Education Suggestions || CBCS - Calcutta University
Education Suggestions || CBCS - Calcutta University
মৌলিক অধিকার কাকে বলে ?
উঃ মৌলিক অধিকার হলো নাগরিক জীবনের বিকাশ ও ব্যক্তির জন্য সে সমস্ত অপরিহার্য শর্তাবলী যা সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংবিধান হতে প্রাপ্ত এবং সরকারের নিকট অলঙ্ঘনীয়। মৌলিক অধিকার নাগরিকের জন্মগত অপরিহার্য অধিকার ।
NCPCR এর সম্পূর্ণ নাম কী ?
উঃ National Commission for Protection of Child Rights
সাম্যের অধিকার কাকে বলে ?
উঃ সাম্যের অধিকার বলতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ জন্মস্থান, ধনী-নির্ধন এবং স্ত্রী - পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের আত্মবিকাশের জন্য অত্যাবশ্যক সুযোগ-সুবিধা এবং দাবির স্বীকৃতি কে বোঝায়
গার্হস্থ্য আইনের দুটি দূর্বলাতা লেখো ।
উঃ ১) গার্হস্থ্য হিংসা একটি অপরাধ বা অভিযোগ হিসাবে না দেখে একটি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিষয় হিসেবে দেখা হয় ।
২) বেশিরভাগ মহিলা অভিযোগ জানানোর ব্যাপারে অনাগ্রহী। এই মহিলারা ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সমতালাভের সাংবিধানিক অধিকারের অধিকারী কিন্তু সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটকে সমর্থন করে তারা অভিযোগ জানানোর ব্যাপারে অনাগ্রহী।
মানসিক হিংসার দুটি উদাহরন দাও ।
মানসিকহিংসার মধ্যে থাকে , হুমকি, বিচ্ছিন্নতা, জনসমক্ষে লাঞ্ছনা, নিরলস সমালোচনা, অনবরত ব্যক্তিগত অবমূল্যায়ন, জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ বা সহযোগীতা করতে অস্বীকার এবং ব্যক্তির নিজের সম্পর্কে সন্দেহ প্রবেশ করানো অন্তর্ভুক্ত
পুরুষের সুরক্ষা বলতে কী বোঝ ?
অর্থনৈতিক নির্যাতন বলতে কী বোঝ ?
উঃ অর্থনৈতিক নির্যাতন এমন এক ধরনের নির্যাতন যখন কোনও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর তার অন্য সঙ্গীর অর্থনৈতিক সংস্থানগুলোতে প্রবেশের অধিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পদগুলি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
POCSO - র পুরো নাম কী ?
উঃ Protection of Children from Sexual Offences
২০০৯ সালের অধিকার আইন বলতে কী বোঝো ?
উঃ শিক্ষার অধিকার আইন (আরটিই), ২০০৯-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি ভারতের ৬-১৪ বছর বয়সি সকল শিশুর জন্য বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষা। বুনিয়াদি শিক্ষা সম্পূর্ণ করার আগে কোনও শিশুকে ফেল করানো, বহিষ্কার করা বা কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় পাস করতে বাধ্য করা যাবে না ।
কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান ভারতে অপরাধ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষন করে ?
উঃ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো
ভারতীয় সংবিধানে বর্নিত মৌলিক অধিকার কয়টি ?
উঃ ভারতীয় সংবিধানে মোট ৬টি মৌলিক অধিকার বর্ণিত রয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানে বর্নিত যেকোন দুটি মৌলিক কর্তব্য লেখো ।
উঃ ✪ সংবিধান মেনে চলা এবং তার ধারণা ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতকে সম্মান করা|
✪ স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধকারী মহান আদর্শ গুলির লালন এবং অনুসরণ করা
✪ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতির সংরক্ষণ করা
✪ দেশকে রক্ষা করা এবং দেশের প্রয়োজনে ডাক পড়লেই জাতীয় পরিষেবা প্রদান করা
UNICEF এর পুরো নাম লেখো
উঃ United Nations International Children's Emergency Fund
শিক্ষা ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কিভাবে সচেতনতা গড়ে তোলে ?
উঃ শিক্ষাবিস্তারে গণমাধ্যমগুলির ভুমিকা অতুলনীয় । গণমাধ্যমগুলি একাধারে যেমন শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তােলে তেমনি সমাজ শিক্ষা তথা গণশিক্ষাও ঘটায়, তাই গণমানসকে উদ্দীপিত করে তােলার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়ােজন শিক্ষার জন্য গণমাধ্যমগুলির সঠিক ব্যবহার। ফলে এর বিষয়ভুক্তির দিকেও আমাদের নজর দেওয়া প্রয়ােজন – যেমন ভারতের অর্থনীতির কিভাবে উন্নয়ন সম্ভব, গ্রামােন্নয়নের পরিকল্পনা, সুস্বাস্থ্যের কর্মসূচী প্রভৃতি। তাই বলা যায় সঠিক গণশিক্ষার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের রুচি ও সঠিক শিক্ষার প্রসার ঘটানাে সম্ভব ।
গনতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের মধ্যে পার্থক্য লেখো
উঃ ১) মৌলিক অধিকার বলতে সংবিধানে ন্যায়সঙ্গত ও লিখিত নাগরিকদের প্রাথমিক অধিকারকে বোঝায়। আর ,গনতান্ত্রিক হ'ল মৌলিক অধিকার যা সমস্ত মানুষ উপভোগ করতে পারে, তারা যেখানেই বাস না করে, তারা কী করে, এবং তারা কীভাবে আচরণ করে ইত্যাদি ।
২) মৌলিক অধিকারের একটি দেশ নির্দিষ্ট এবংগনতান্ত্রিক অধিকারের মর্যাদার সাথে জীবনের অধিকার
শিশুর সুরক্ষায় পরিবারের যে-কোনো দুটি ভুমিকা লেখো
উঃ-
১) শিশুর নিরাপদ আশ্রয়স্থল
২) বৃদ্ধি বিকাশের চাহিদাপূরণ ।
1) অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উঃ - অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যোগাযোগ কে চারভাগে ভাগ করা যায় -
১) আন্তর ব্যক্তিগত যোগাযোগ
২) অন্তর ব্যাক্তিগত যোগাযোগ
৩) দলীয় যোগাযোগ
৪) গণ যোগাযোগ
2) যোগাযোগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপগুলি উল্লেখ করো ।
উঃ যোগাযোগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপগুলি হল -
১) প্রেক্ষাপট
২) উৎস
৩) বার্তা প্রেরন
৪) মাধ্যম /পথ
৫) সংকেত
৬) সংকেত যুক্তকরন
৭) বার্তা গ্রহন
8) সংকেত মুক্ত করন
৯) প্রতি সংকেত
3) যেকোনো দুই প্রকার শ্রোতার নাম লেখো ।
উঃ
১) মনোযোগ সহকারে শ্রবনকারী শ্রোতা
২) মনোযোগবিহীন শ্রোতা
4) বাচনিক যোগাযোগের বিভিন্ন উপায়গুলি উল্লেখ করো
উঃ বাচনিক যোগাযোগের উপায় গুলি হল -
১) মৌখিক উপায়
২) লিখিত উপায়
৩) মৌখিক ও লিখিত উভয়
5) যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে কথন দক্ষতার প্রধান দুটি ভাগের নাম লেখো ।
উঃ কথন দক্ষতাকে প্রধান দুই ভাগে ভাগকরা হয় -
১) বাচনিক যোগাযোগ
২) অবাচনিক যোগাযোগ
6) দলগত আলোচনার যেকোনো দুটি সুবিধা উল্লেখ করো ।
উঃ - দলগত আলোচনার দুটি সুবিধা হল-
১) সক্রিয়তা - আলোচনা পদ্ধতীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করে । ফলে শিখন বেশিদিন মনে থাকে ।
২) স্বাধীন মতপ্রকাশঃ দলগত আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে । ফলে তাদের মধ্যে শিখন ভীতি দূর হয় ও তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ।
7) সরব পাঠ বলতে কী বোঝো ।
উঃ - রব - বা ধ্বনি সহযোগে পাঠকেই সরব পাঠ বলে ।
গণতান্ত্রিক অধিকার কাকে বলে ?
উঃ কোনো গনতান্ত্রিক দেশের জনগন তার ব্যাক্তিত্ব ও জীবনকে পূর্নভাবে বিকশিত করার জন্য দেশ তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দান করে এবং এগুলির লক্ষ্য হল জনসাধারনের সার্বজনীন কল্যানসাধন । এগুলিকেই গনতান্ত্রিক অধিকার বলে ।
নাগরিকতার দুটি বিশিষ্ট লেখো
উঃ -.
১) নাগরিক রাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা , কিন্তু বিদেশি রাষ্ট্রের অস্থায়ী বাসিন্দা ।
২) নাগরিক নিজ রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করে কিন্তু বিদেশী রাষ্ট্রে বসবাস কারী রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করে না ।
৩) রাষ্ট্রের প্রতি ভালোবাসা ও রাষ্ট্রের কল্যানে আত্মনিয়োগ করে ।
শিশু নিরাপত্তার দুটি প্রয়োজনীয়তা লেখো
উঃ
1) শিশুদের স্বাস্থ্য এবং ক্ষমতার যাতে অপব্যবহার না হয় এবং দেশের কোনো নাগরিক যাতে তার আর্থিক সংস্থানের জন্য এমন কোনো পেশার সাথে যুক্ত না হয় যেটি তার বয়স এবং শারীরিক দক্ষতার সাথে মানানসই নয় সেটি সুনিশ্চিত করা
2) শিশুরা যাতে একটি সুস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, স্বাধীনভাবে, মর্যাদার সাথে বেড়ে ওঠার সকল রকম সুযোগ এবং সুবিধা পায় এবং শৈশব এবং কৈশোর যাতে সবরকমের অপব্যবহার এবং নৈতিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষিত থাকে ।
গণমাধ্যম কাকে বলে ?
উঃ যে সব মাধ্যমে জনগণের কাছে সংবাদ, মতামত ও বিনোদন পৌঁছানো বা পরিবেশন করা হয় তাকে গণমাধ্যম বলে। এটি সাধারণ মানুষের সিংহভাগে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম। যেমন - সংবাদপত্র , বেতার , টেলিভিশন ইত্যাদী ।
বিতর্কের দুটি বৈশিষ্ট লেখো
উঃ বিতর্কের বৈশিষ্টগুলি হল -
১) বিষয় ঃ বিতর্কের জন্য সর্বদা দুটি বিপরীত মত ধর্মী বিষয় থাকা দরকার ।
২) তথ্যবহুলঃ যে বিষয়েই বিতর্ক হোক না কেনো তা যেন সর্বদা তথ্য বহুল হয় ।
৩) সময় সীমা ঃ কোনো বিতর্কের ক্ষেত্রে সর্বদা একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকা দরকার ।
গাহর্স্থ্য সংঘর্ষের দুটি কারন লেখো ।
উঃ - নানা কারনে গার্হস্থ্য সংঘর্ষ হয়ে থাকে -
১) বৈষয়িক ব্যাপারেঃ বিভিন্ন জায়গা জমি ও সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে পরিবারের মধ্যে নানা কারনে সংঘাত ঘটে থাকে ।
২) মতের অমিল ঃ সাংসারিক বিভিন্ন কার্যের ক্ষেত্রে পরিবারের নানা সদস্যদের মতের মিল না হবার কারনেও অনেক সময় গার্হস্থ সঙ্ঘাত হতে দেখা যায় ।
৩) বৈবাহিক সম্পর্ক ঃ পরিবারের অমতে বা অন্য কোনো কারনে বৈবাহিক ক্রিয়া সম্পন্ন হলে , তা অনেক সময় গার্হস্থ্য সংঘর্ষের কারন হয়ে ওঠে ।
##
POCSO আইন অনুসারে কীভাবে একটি নির্যাতিত শিশু সুরক্ষা লাভ করতে পারে
##
শিশুদের প্রতি যাতে কোনও ধরণের যৌন অপরাধ না হয়, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন, তাকেই ‘পকসো’ বলা হয়।
যার পুরো কথা, দ্য প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট ২০১২।
শুধু নিরাপত্তা দেওয়া নয়, কোনও শিশুর প্রতি কোনওপ্রকার যৌন অপরাধ ঘটলে কীভাবে বা কি পদ্ধতিতে তার বিচার হবে, কোন আদালতে তার বিচার হবে, কোন পদ্ধতিতে শিশুটির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে, কোন পদ্ধতিতে তদন্ত হবে, শিশুটির চিকিৎসা কীভাবে হবে–ইত্যাদি বিধানের ব্যবস্থা রয়েছে এই আইনে। পকসো আইনে ১৮ বছরের নিচে বাচ্চাদেরই শুধু শিশু বলে গণ্য করা হবে।
• যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭ থেকে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানা।
• যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সাজা ৩ থেকে ৫ বছরের কারাবাস। সর্বোচ্চ সাজা ৫ থেকে ৭ বছরের কারাবাস ও জরিমানা।
• অশ্লীল কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ বছর জেল ও জরিমানা। সর্বোচ্চ ৭ বছর জেল ও জরিমানা।
এছাড়াও আইনে বলা হয়েছে
• যৌন হয়রানির শিকার শিশুর জবানবন্দী নিতে হবে তার বাড়ি বা পছন্দমত স্থানে। এই মামলায় প্রাধান্য দিতে হবে মহিলা পুলিশ আধিকারিককে।
• রাতে শিশুকে থানায় আনা যাবে না।
• জবানবন্দির সময় পুলিশ ইউনিফর্ম পরে থাকা চলবে না।
• শিশুর কথা শুনে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করতে হবে। শিশুর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া যাবে না।
• প্রয়োজনে জবানবন্দির সময় শিশুটির জন্য দোভাষীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
• শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুর জবানবন্দি নেওয়ার সময় পরিবারের লোকের সাহায্য নিতে হবে।
• মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় শিশুর মা–বাবা কিংবা বিশ্বস্ত ব্যক্তির উপস্থিতি দরকার।
• নির্যাতিতা মহিলা হলে, মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় মহিলা চিকিৎসক থাকতে হবে।
• বিচার চলাকালীন শিশুর বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকবে হবে।
• কোনও উত্তেজনামূলক প্রশ্ন শিশুকে করা যাবে না।
• নির্যাতিতা শিশুর নাম বিচারের সময় গোপন রাখতে হবে।
• বিশেষ আদালতের নির্দেশ ছাড়া এই খবর প্রকাশ করা যাবে না।
• বিশেষ জুভেনাইল পুলিশ দল ২৪ ঘণ্টার ভিতরে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে পুরো ঘটনা জানাতে হবে।
• শিশুটির গুরুতর আঘাত বা ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ এর ব্যবস্থা করতে হবে।
• অপরাধের ৩০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শিশুর কাছে যা প্রমাণ আছে, তা আদালতে নথিভুক্ত করতে হবে।
**********************************
ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত যে কোনো দুটি মৌলিক অধিকার সম্পর্কে লেখো
**********************************
উত্তর ঃ
** স্বাধীনতার অধিকার (১৯-২২ নং ধারা):
❐ এই অধিকারে সবাইকে স্বাধীনভাবে কথা বলার,ভাষণ দেবার, নিজেদের মত বিনিময়ের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
❐ সকল নাগরিক দেশের যেকোনো অংশে স্বাধীন ভাবে আসা যাওয়া করতে পারবে।
❐ দেশের যে কোন অংশে বসবাস করার স্বাধীনতা থাকবে।
❐ স্বাধীনভাবে পয়সা রােজগার এবং খরচ করার অধিকার থাকবে।
** শােষণের বিরুদ্ধে অধিকার (২৩-২৪ নং ধারা):
❐ চৌদ্দ বৎসরের কম বয়সী কোন বাচ্চাকে কোন কারখানায়, খনি বা কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লাগানাে যাবে না।
❐ কোন মানুষকে কেনাবেচা অর্থাৎ ক্রীতদাসে পরিণত করা যাবে না।
❐ কোন ব্যক্তিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করানো যাবে না।
❐ বিনা পারিশ্রমিকে কাউকে বেগার খাটানাে যাবেনা।
❐ শােষণকে ঘাের অপরাধ মান্য করা হয়।
************************
জাতি সংঘের ঘোষনাপত্রে উল্লিখিত শিষুর অধিকারসমূহ আলোচনা করো
************************
অনুচ্ছেদ-১: শিশুর বয়স
এই সনদে ১৮ বছরের নীচে সব মানবসন্তানকে শিশু বলা হবে, যদি না শিশুর জন্য প্রযোজ্য আইনের আওতায় ১৮ বছরের আগেও শিশুকে সাবালক হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷
অনুচ্ছেদ-২: শিশু অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা
১. অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ তাদের নিজ নিজ আওতায প্রতিটি শিশুর জন্য এই সনদে উল্লেখিত অধিকার সমূহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে এবং এগুলির নিশ্চয়তা বিধান করবে৷ এ ব্যাপারে শিশু অথবা তার পিতামাতা কিংবা আইনসম্মতঃ অভিভাবকের ক্ষেত্রে গোত্র, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক ভিন্নমত, জাতিয়তা অথবা সামাজিক পরিচয়, বিত্ত, সামর্থ জণ্মসূত্রে কিংবা অন্য কোন বংশগত অবস্থানের কারণে বৈষম্য করা যাবে না৷
২. শিশুর পিতামাতা, আইনসম্মত অভিভাবক কিংবা পরিবারের সদস্যদের অবস্থান, কার্যকলাপ, প্রকাশ্য মতামত বা বিশ্বাস যদি কোন শিশুর জন্য বৈষম্য কিংবা শাস্তির কারণ হয় তবে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ শিশুর অধিকার রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে
৩. এই সনদে উল্লেখিত শিশুর অধিকার রক্ষার জন্য শিশুর বিকাশের সাথে সংগতিপূর্ন উপযুক্ত নির্দেশ ও পরামর্শদানের ক্ষেত্রে বাবা-মা, স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী যৌথ পরিবার বা সমাজের কোন ব্যক্তি, আইনসম্মত অভিভাবক অথবা আইনানুগতভাবে শিশুর দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য কোন ব্যক্তির প্রতি দায়িত্ব, অধিকার এবং কর্তব্যের প্রতি অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ সম্মান দেখাবে
শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার
প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকার অধিকারকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ স্বীকৃতি দেবে
শিশুর জন্ম নিবন্ধীকরণ
জণ্মের সাথে সাথে শিশুর জণ্মের নিবন্ধীকরণ করতে হবে৷ জণ্মের সাথে একটি নাম, নাগরিকত্ব এবং যতদূর সম্ভব শিশুর পিতামাতার পরিচয় জানবার অধিকার এবং তাদের কাছে প্রতিপালিত হবার অধিকার থাকবে
পারিবারিক সংহতি
অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র কোন শিশুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে বিছিন্ন না করার নিশ্চিয়তা বিধান করবে৷ তবে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও আইনের ক্ষেত্রে বিধিবিধান অনুসারে এবং বিচার বিভাগীয় আলোচনা সাপেক্ষে শিশুর সর্বোচ্চ স্বার্থে শিশুকে যদি পৃথক করাই শিশুর সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করে সেক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে
শিশু পাচার প্রতিরোধ
শিশুদের অবৈধভাবে বিদেশে পাচার এবং দেশে ফেরত না আসতে পারাকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র প্রতিহত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷
শিশুর মত প্রকাশের অধিকার
মতামত গঠনে পরিপক্ক শিশু নিজস্ব মতামত এবং ধারনা প্রকাশে অবাধ স্বাধীনতার অধিকারী৷ সেই সকল অধিকার রক্ষার জন্য শিশু বয়স এবং নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা অনুযায়ী এই সকল মতামতকে যাতে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয় অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ তার নিশ্চয়তা বিধান করবে
শিশুর ভাব প্রকাশের অধিকার
শিশুর স্বাধীনভাবে ভাব প্রকাশের অধিকার থাকবে৷ এই অধিকারের মধ্যে সীমান্ত নির্বিশেষে সব ধরনের তথ্য, ধ্যান-ধারনা সম্পর্কে জানার, গ্রহণ করার এবং অবহিত করার স্বাধীনতা থাকবে৷ তা মৌখিক, লিখিত, ছাপান অথবা অংকন চিত্রের বা শিশুর পছন্দ মত অন্য কোন মাধ্যমে হতে পারে
শিশুর চিন্তা, বিবেক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা
শিশুর নিজস্ব বিকাশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিশুর অধিকার চর্চার বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পিতামাতা এবং আইনসঙ্গত অভিভাবক, যেখানে প্রযোজ্য, তার অধিকার এবং কর্তব্যের প্রতি অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র সম্মান দেখাবে
শিশুর আইনসম্মত পরিচিতি
শিশুর জাতীয়তা, নাম এবং পারিবারিক সম্পর্ক, আইনসম্মত পরিচিতি রক্ষায় শিশুর অধিকারের প্রশ্নটিকে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র সংরক্ষণ করবে৷ সেখানে কোন বেআইনী হস্তক্ষেপ করা চলবে না৷
************
ভারতীয় নারী অগ্রগতীর পথে প্রতিবন্ধকতা গুলি আলোচনা করো ।
************
শিক্ষাক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের পার্থক্য কমিয়ে সকলের জন্য সমান অধিকার দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কমিশন নারীশিক্ষার ব্যাপারে বহুবিধ সুপারিশ করে সেগুলি কার্যকরী করার কথা বলেছে। এতৎসত্ত্বেও আজও ভারতবর্ষে নারীশিক্ষায় নানারকম সমস্যা রয়ে গিয়েছে। নারীশিক্ষার সমস্যা বা বাধাগুলি নিম্নে আলােচিত হল—
(১) কুসংস্কার : ভারতীয় সমাজে নানারূপ কুসংস্কার বিদ্যমান। নিরক্ষর মহিলাগণ বাড়ির বাইরে গিয়ে পড়াশােনা করতে চান না বা তাদের অনুমতি দেওয়া হয় না। ফলে নারীরা শিক্ষা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
(২) অভিভাবকদের উদাসীনতা : এদেশের অধিকাংশ অভিভাবক মেয়েদের শিক্ষার থেকে ছেলেদের শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেন। তাই মেয়েদের প্রতিভা, সামর্থ্য বা ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য না দিয়ে শুধুমাত্র বিয়ের উপযােগী করে তােলার জন্য তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে এবং অনুন্নত জাতি-উপজাতিদের মধ্যে এই প্রবণতা অত্যধিক।
(৩) যাতায়াতের অসুবিধা : প্রয়ােজন অনুসারে আঞ্চলিক দূরত্ব বিচার করে মেয়েদের জন্য পৃথক বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের দূরত্ব বেশি হওয়ায় মেয়েদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বহুক্ষেত্রে তারা পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
(৪) ছাত্রীনিবাসের অপ্রতুলতা : গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রীনিবাস না থাকায় দূরবর্তী অঞলের মেয়েদের পক্ষে শিক্ষাগ্রহণ খুবই অসুবিধাজক।
(৫) বিদ্যালয়ের অভাব : নারীদের জন্য বিশেষ বিদ্যালয় দরকার হয়। কিন্তু এই ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক বিদ্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফলে নারীরা পড়াশােনায় আগ্রহী হলেও তারা পড়ার সুযােগ থেকে বঞ্ছিত হয়।
(৬) অর্থের অভাব : এই ধরনের নারীদের বিশেষ শিক্ষাদানের জন্য যে পরিমাণ অর্থের দরকার পড়ে সেই পরিমাণ অর্থ সরকারের পক্ষে মঞ্জুর করা সম্ভব হয় না, ফলে এদের শিক্ষা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয় না।
(৭) ত্রুটিপূর্ণ পাঠক্রম : পাঠক্রম ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় ছেলে ও মেয়েদের সবসময়ই একই পাঠক্রম অনুসরণ করতে হয়। অনেকসময়ই মেয়েরা অর্জিত বিদ্যাকে পরবর্তী জীবনে কাজে লাগাতে পারে না।
(৮) পর্যাপ্ত কলেজের অভাব : উচ্চশিক্ষার প্রয়ােজনে সর্বত্র মেয়েদের জন্য কলেজ নেই, সহশিক্ষার সুযােগও অনেক কলেজে নেই।
(৯) শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্রের অপ্রতুলতা : মেয়েদের জন্য শিক্ষক-শিক্ষণ কলেজও কম আছে, ফলে যােগ্য শিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষিকার অভাব রয়েছে।
(১০) পাঠাগারের অভাব : গ্রামাঞ্চলে তাে বটেই শহরাঞ্চলেও পাঠাগারের অভাবে নারীশিক্ষা ব্যাহত হয়।
(১১) বাল্যবিবাহ : অনুন্নত ও দরিদ্র পরিবারে নারীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সেই বহু পরিবার বালিকাদের বিবাহ দিয়ে থাকে, যা নারীশিক্ষা সম্প্রসারণের পথে বাধা হয়ে দাড়ায়।
(১২) সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার অভাব : পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মর্যাদা আজও কম— যা পরােক্ষে নারীশিক্ষার উপরে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। সামাজিক নিরাপত্তার অভাববােধও নারীশিক্ষার পথকে দুর্গম করে তুলেছে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
(ক) প্লেটোর শিক্ষণপদ্ধতির তিনটি নীতি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
১) গল্পচ্ছলে শিক্ষা
২) খেলাচ্ছলে শিক্ষা
৩) অনুকরনের মাধ্যমে শিক্ষা
(খ) পেস্তালৎসির লিখিত দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ
1) How Gertrude teach her children 2) The Evening Hours of a Hermit
(গ) “বিদ্যালয় হল সমাজের ক্ষুদ্র প্রতিচ্ছবি” – এই কথাটি কে বলেছিলেন?
উত্তরঃ জন ডিউই
(ঘ) 'Casa-De-Bambini'- কী? -
উত্তরঃ ১৯০৭ সালে মাদাম মারিয়া মন্তেস্বরি অবহেলিত শিশুদের জন্য একটি শিশু শিক্ষালয় তৈরি করেন,এই শিক্ষালয়কে বলা হয় ‘কাসা দাই বামবিনি ‘বা’ শিশু শিক্ষা নিকেতন’
(ঙ) আইভান ইলিচ রচিত একটি বিখ্যাত পুস্তকের নাম লেখো।
(চ) বুনিয়াদি শিক্ষা কী?
উত্তরঃ গ্রামীণ হস্তশিল্পকে কেন্দ্র করে দৈহিক শ্রমের মাধ্যমে উৎপাদনাত্মক কর্মকে ভিত্তি করে মানুষের ন্যূনতম প্রয়ােজনের জন্য যে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে তাকে বলে বুনিয়াদি শিক্ষা।
(ছ) পেস্তালৎসির শিক্ষাচিন্তার চারটি মূলনীতি উল্লেখ করো।
(জ) ‘নেতিবাচক শিক্ষা’ কী?
উত্তরঃ নেতিবাচক শিক্ষা হল সে শিক্ষা । যে শিক্ষা প্রত্যক্ষ ভাবে জ্ঞান প্রদানের পূর্বে শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরিস্ফুট করতে চেষ্টা করে। অর্থাৎ শিশু তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রথমে লাভ না করলেও তা আহরণ করার জন্য উপযোগী হবে।এই শিক্ষা কালে সরাসরি সদ গুণ অর্জন না করলেও মন্দ গুণ থেকে দূরে থাকবে এই শিক্ষা শিশুর মনে সত্য সঞ্চার করেনা বটে মিথ্যা থেকে দূরে রাখে”
(ঝ) শিক্ষার মাধ্যম সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের মতে শিক্ষা গ্রহনের জন্য প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধনের যথার্থ প্রয়োজন । তার মতে শিক্ষা একটি জীবনমুখি , আনন্দময় , স্বতস্ফুর্ত একটি প্রক্রিয়া । তার মতে , প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার মাধ্যমেই মানুষ যথার্থ শিক্ষা লাভ করতে পারে ।
(ঞ) গান্ধিজির মতে শিক্ষার সংজ্ঞা লেখো।
উত্তরঃ শিক্ষা হল শিশুর দেহ -মন ও আত্মার সর্বাঙ্গীন বিকাশসাধন । প্রকৃত শিক্ষা হল শিষুর অভ্যান্তরিন আধ্যাত্মিক , বৌদ্ধিক ও শারীরিক ক্ষমতাসমুহের উদ্দীপনা ও বিকাশ ।
(ট) কে ‘Laboratory School' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং কবে?
উত্তরঃ জন ডিউই । ( ১৯৮৪ সালে )
ড. রাধাকৃষ্ণানের মতে শিক্ষার তিনটি লক্ষ্য লেখো।
উত্তরঃ
১) ব্যাক্তির বিকাশঃ রাধাকৃষ্ণানের মতে শিক্ষার লক্ষ হল ব্যাক্তির বিকাশ । তার বিশেষ ক্ষমতার আবিষ্কার , প্রশিক্ষন এবং সমাজের কল্যানের জন্য তার প্রয়োগ ।
২) আত্মসংযমঃ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ হিসাবে তিনি আত্মসংযমের উপর গুরুত্ব দেন । যার সাহায্যে আমরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব , ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরে থাকতে পারি ।
৩) সুস্থ ও মুক্ত মনের অধিকারীঃ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হল একটি সুস্থ ও মুক্ত মনের অধিকারী হওয়া ।
(ড) ‘আকাডেমি’ কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ ৩৮৭ খ্রীঃ পূঃ প্লেটো
(ঢ) নারীশিক্ষা সম্পর্কে ভগিনী নিবেদিতার মত লেখো।
উত্তরঃ ভারতীয় নারীকে নিবেদিতা গড়ে তুলতে চান একজন ভারতীয় নারী রুপে । শিক্ষা হবে তার সর্বাঙ্গীন বিকাশের একটি সামাজিক অলঙ্কার । ভারতের কোমল প্রান নারীজাতির অজ্ঞতা ও দূর্বলতা দর্শনে তিনি ব্যাথিত হন , তিনি মনে প্রানে অনুভব করেন যে , একটা জাতিকে যদি বাঁচাতে হয় , তবে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমবেত শিক্ষা ও শক্তির সাহায্যে তা সম্ভব হবে ।
(ণ) স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দের মতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য আত্মউপলব্ধি । তবে ব্যাক্তির বস্তুগত উন্নতি ছাড়া এই উদ্দেশ্য সম্ভব নয় । তার মতে শিক্ষার চরম উদ্দেশ্য মুক্তি । এ কেবল আত্মার বিমুক্তি নয় , সকল প্রকার বন্ধন থেকে মুক্তি , সকল দুর্বলতা থেকে মুক্তি ।
No comments