HS Education Suggestion Answer (part - 2 )
HS Education Suggestion || উচ্চমাধ্যমিক এডুকেশন সাজেশন ( উত্তর সহ ) || Education Suggestions || HS Education Suggestion Answer (part - 2 )
*/// *** অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল কী ? এর বৈশিষ্ট আলোচনা করো । শিক্ষাক্ষেত্রে এর গুরুত্ব আলোচনা করো ।***///***
We
অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল (Insightful Learning Mechanism)
সমস্যা সমাধানমূলক শিখন কৌশলের একটি অন্যতম হল অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল। সমগ্রতাবাদী মনোবিদ, পরীক্ষা থেকে সিদ্ধান্ত করলেন যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রাণীরা প্রচেষ্টা ও ভুলের পদ্ধতির দ্বারা শেখে না। সাধারণ সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ উপলব্ধির মাধ্যমেই প্রাণীরা সমস্যা সমাধান করতে পারে। প্রাণীর মধ্যে উপলব্ধি হঠাৎ আসে। গেস্টাল্ট মনোবিদগণ সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ হঠাৎ প্রত্যক্ষণকে বলেছে অন্তর্দৃষ্টি (Insight)।
যখন সমস্যামূলক পরিস্থিতির সামগ্রিক রূপ হঠাৎ মনে জাগরিত হয় এবং বিভিন্ন অংশের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমস্যায় তাৎপর্য উপলব্ধি হয়ে থাকে, তাকে বলে অন্তর্দৃষ্টি।)
গেস্টাল্ট মতবাদের প্রবক্তরা হলেন কোহলার (Wolfgang Kohler), কক্কা (Kurt Koffka), এবং ওয়ারদাইমা (Max Wertheimer)
(২) পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণ: পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণ হল অন্তর্দৃষ্টি পদ্ধতির অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। কেবলমাত্র প্রাসঙ্গিক অংশগুলিকে বেছে নেওয়ার পদ্ধতি হল পৃথকীকরণ এবং পরে প্রাসঙ্গিক অংশগুলির মধ্যে একটা সাধারণ সূত্র নির্ণয় করার নাম সামান্যীকরণ।
(৩) সমস্যার স্বরূপ উপলব্ধি করণ: অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন পদ্ধতির এই পর্যায়ে অর্থাৎ পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণের পর শিক্ষার্থীরা সমস্যার স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে।
(৪) পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয়: সমস্যার স্বরূপ উপলব্ধি করার পর শিক্ষার্থী সমস্যার প্রাসঙ্গিক অংশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারে।
(৫) হঠাৎ সমস্যার সমাধান করা: সবশেষে যখন সমস্যার স্বরূপ শিক্ষার্থীর কাছে পরিষ্কার এবং সমস্যার প্রাসঙ্গিক অংশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করতে সমর্থ হয় তখন সে হঠাৎ করে সমস্যাটিকে সমাধান করে ফেলে।
(৬) অন্তদৃষ্টি জাগানাে: প্রাণীর সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে হঠাৎ প্রত্যক্ষণকে গেস্টাল্ট মনােবিদগণ অন্তদৃষ্টি বলেছেন। তারা মনে করেন, অন্তদৃষ্টি জাগরিত না হলে শিখন সম্ভব নয়। সুতরাং অন্তদৃষ্টি জাগরিত হওয়া এই শিখনের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
(৭) মানসিক ক্ষমতা: অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন কৌশল যান্ত্রিক নয়; এটি বুদ্ধি, চিন্তন, যুক্তিকরণ ইত্যাদি মানসিক ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল। তাই উন্নত ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণী বা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই শিখন কৌশল বেশি কার্যকরী।
(৮) প্রত্যক্ষণ: অন্তদৃষ্টিমূলক শিখনে আরও একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল প্রত্যক্ষণ। প্রাণীর প্রত্যক্ষণ না হলে শিখন সম্ভব হবে না। তাই সমস্যামূলক শিখন পরিস্থিতির প্রত্যক্ষণ একান্তভাবে প্রয়ােজন।
উপরােক্ত পদ্ধতিতে অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন কৌশলের দ্বারা বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যাসমাধান করার জন্য এর প্রয়ােগ দেখা যায়।
থর্নডাইকের শিখনতত্ত্বটি শারীরতত্ত্ববিদদের দ্বারা বিশেষভাবে সমালােচিত হলেও এই তত্ত্বটি শিক্ষাজগতে এক আলােড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই তত্ত্বটির শিক্ষাগত তাৎপর্য নিম্নে আলােচনা করা হল一
(১) শিক্ষকের দায়িত্ব বৃদ্ধি: এতদিন শিক্ষার্থীর অকৃতকার্যতার জন্য তার বুদ্ধি বা মেধাকে দায়ী করা হত; তার জন্য শিক্ষকের কোনাে দায় থাকত না। কিন্তু এই তত্ত্ব অনুযায়ী সমস্ত দায় শিক্ষকের দক্ষতার। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর অকৃতকার্যতার জন্য শিক্ষকের দক্ষতার অভাবই দায়ী। ফলে শিক্ষকের দায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
(২) প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব: শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণের জন্য শারীরিক, মানসিক ও প্রাক্ষোভিকভাবে কতটা প্রস্তুত তার উপর তার সাফল্য নির্ভরশীল। তাই শিখন পরিস্থিতিতে সে কতটা প্রস্তুত সেই বিষয়ে শিক্ষককে নিশ্চিত হতে হবে।
(৩) শিখনের ফল তৃপ্তিদায়ক করে তােলা: শিখনের ফল শিক্ষার্থীর কাছে তৃপ্তিদায়ক বা সুখকর বা আনন্দদায়ক হলে শিখন স্থায়ী হবে। তাই পাঠ্যবিষয়কে শিক্ষার্থীর সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীর মধ্যে এইসকল অনুভূতিগুলি আসে এবং তা বিরক্তিকর না হয়।
(৪) অনুশীলনের উপর গুরুত্বদান: শিখন অনুশীলন নির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থী যাতে বারংবার অনুশীলনের সুযােগ পায় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
(৫) শিক্ষকের আংশিক সহযােগিতা: কোনাে সমস্যা সমাধানে শিক্ষক মহাশয় শিক্ষার্থীকে পুরােপুরি সাহায্য না করে আংশিক সাহায্যদান করবেন।
(৬) শিক্ষার্থীর ভুলে শাস্তির ভ্রূকুটি নয়: নতুন কোনাে কিছুর শিখনে শিক্ষার্থীর ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। ভুল হলে শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া চলবে না; শাস্তি না দিলেই তার শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
(৭) পূর্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্যা নির্বাচন: শিক্ষার্থীর সামনে এমন সব সমস্যা তুলে ধরতে হবে যা সে তার পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সমাধান করতে সমর্থ হয়।
থর্নডাইকের শিখনের সূত্রগুলি লেখাে।
থর্নডাইকের শিখনের সূত্র
আমেরিকান মনােবিদ এডওয়ার্ড লি থর্নডাইক (Edward Lee Thorndike) উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযােগস্থাপনের মাধ্যমে প্রচেষ্টা ও ভুলের কৌশল ব্যাখ্যা করেছেন। সমস্যামূলক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রাণী কী ধরনের প্রতিক্রিয়া করবে এবং কীভাবে শিখন লাভ করবে সেই সংক্রান্ত তিনটি মুখ্য সূত্র এবং পাঁচটি গৌণ সূত্রের কথা বলেছেন তিনি।
থর্নডাইকের মুখ্য সূত্র
(১) অনুশীলনের সূত্র: এই সূত্রটি দু-ভাগে বিভক্ত—
ব্যবহারের সুত্র: সমস্ত শর্ত অপরিবর্তিত রেখে উদ্দীপকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পরিবর্তনীয় বন্ধন স্থাপনের পর বারবার চর্চা করা হলে সেই সংযােগের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
অব্যবহারের সূত্র: কোনাে পরিবর্তনীয় উদ্দীপক-প্রতিক্রিয়া বন্ধন স্থাপনের পর বহুদিন চর্চা না করলে তাদের বন্ধন ক্রমে শিথিল হতে থাকে।
(২) ফললাভের সূত্র: উদ্দীপক (S) ও প্রতিক্রিয়া (R)-এর সংশােধনযােগ্য সংযােগের ফল যদি শিক্ষার্থীর কাছে সুখকর বা আনন্দদায়ক হয় তবে সংযােগটি শক্তিশালী হয় অর্থাৎ S-R বন্ধন দৃঢ় হয়। অপরপক্ষে সংযােগের ফল যদি অতৃপ্তকর বা বিরক্তিকর হয়, তবে সংযােগটি (S-R বন্ধন) দুর্বল হয়।
(৩) প্রস্তুতির সূত্র: থর্নডাইক শিখনের মুখ্য সূত্রে দৈহিক প্রস্তুতির কথা বলেছেন। তাঁর মতে, উদ্দীপক ও তার উপযােগী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযােগ স্থাপনের জন্য ব্যক্তির দৈহিক প্রস্তুতি থাকা প্রয়ােজন। সংযােগ স্থাপনের জন্য যদি ব্যক্তি প্রস্তুত থাকে তাহলে সংযােগ স্থাপন করতে দিলে সে তৃপ্তিবােধ করবে। ব্যক্তির যদি প্রস্তুতি থাকে, সেক্ষেত্রে জোর করে সংযােগ স্থাপন করতে দিলে সে বিরক্তিবােধ করবে।
থর্নডাইকের গৌণ সূত্র
(১) মানসিক প্রস্তুতির সূত্র: যে-কোনাে কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তির মানসিক প্রস্তুতি বিশেষ প্রয়ােজন। অর্থাৎ প্রেষণা, আগ্রহ, মনােযােগ, বুদ্ধি, স্মৃতি ইত্যাদির দিক থেকে প্রস্তুতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
(২) বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র: প্রচেষ্টা ও ভুলের শিখনে প্রাণী সঠিক প্রতিক্রিয়াটি করার আগে একই উদ্দীপকে বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া করে সমস্যাটির সমাধান করতে চায়। এটি হল বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র।
(3) আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র: থর্নডাইকের মতে, প্রাণী সামগ্রিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়া করে না। প্রতিক্রিয়া করার সময় প্রাণী। অংশভিত্তিক প্রতিক্রিয়া করে সম্পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হয়।
(৪) উপমানের সূত্র: থর্নডাইকের এই সূত্রানুযায়ী, প্রাণী যখন কোনাে নতুন সমস্যামূলক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তখন পূর্বের কোনাে অবস্থার সঙ্গে আংশিক মিল খুঁজে বার করে। পূর্বে যেভাবে প্রতিক্রিয়া করে সমস্যার সমাধান করেছিল বর্তমানে সেভাবে প্রতিক্রিয়া করে সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করে।
(৫) অনুষঙ্গমূলক সঞালন সূত্র: থর্নডাইক তার অনুষঙ্গামূলক সঞ্চালন সূত্রে বলেছেন, প্রাণী যখন কোনাে উদ্দীপকের উপযােগী প্রতিক্রিয়াটি করতে সক্ষম হয়, তখন সেই প্রতিক্রিয়াটি যে-কোনাে উদ্দীপকের সঙ্গে যুক্ত করা যায়।
প্রাচীন অনুবর্তন ও সক্রিয় অনুবর্তনের মধ্যে পার্থক্য লেখো
প্রাচীন
অনুবর্তন |
অপারেন্ট ( সক্রিয়
) অনুবর্তন |
·
প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন শারীরবিজ্ঞানী প্যাভলভ। |
ü অপারেন্ট অনুবর্তনের স্রষ্টা হলেন মনোবিজ্ঞানী বি এফ স্কিনার। |
·
প্যাভলভ তার গবেষণাটি করেছিলেন কুকুর নিয়ে। |
ü স্কিনার তার গবেষণাটি করেছিলেন ইদুর ও পায়রা নিয়ে। |
·
এই অনুবর্তন উদ্দীপককেন্দ্রিক (S-type) |
ü এই অনুবর্তন প্রতিক্রিয়াকেন্দ্রিক (R-type) |
·
প্রাচীন অনুবর্তনে শক্তিদায়ক উদ্দীপককে পূর্বেই উপস্থাপন করা হয়। |
ü সক্রিয় অনুবর্তনে শক্তিদায়ক উদ্দীপকটিকে প্রতিক্রিয়া করার পর উপস্থাপন করা হয়। |
·
এই অনুবর্তন প্রাণীর স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। |
ü এই অনুবর্তন কৌশল প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। |
·
প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলটি প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয়। |
ü সক্রিয় অনুবর্তন কৌশলটি
প্রাণীর ইচ্ছাধীন। |
·
এই অনুবর্তনে যে S-R বন্ধন তৈরি হয় তা মূলত সাযুজ্যের (Contiguity) জন্য হয়ে থাকে। |
ü এই অনুবর্তনে যে S-R বন্ধন তৈরি হয় তা মূলত ফলাফলের (effect) দ্বারা হয়ে থাকে। |
·
প্রাচীন অনুবর্তনে প্যাভলভের তত্ত্বটিকে Type S শিখন বলে। |
ü অপারেন্ট অনুবর্তনে তত্ত্বটিকে Type R শিখন বলে। |
·
প্রাচীন অনুবর্তনে স্বাভাবিক উদ্দীপক অনুবর্তিত উদ্দীপকের সঙ্গে যুক্ত থাকে। |
ü অপারেন্ট অনুবর্তনে প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে শক্তিদায়ক উদ্দীপক যুক্ত থাকে। |
·
এই অনুবর্তনে দুটি উদ্দীপক থাকে— একটি স্বাভাবিক এবং অপরটি বিকল্প। |
ü সক্রিয় অনুবর্তনে শুধুমাত্র একটি উদ্দীপক থাকে। |
·
প্রাচীন অনুবর্তনে উদ্দীপকের প্রতিস্থাপন হল অনুবর্তনের মূল বিষয়। |
ü সক্রিয় অনুবর্তনে আচরণের উন্নতিকরণই হল মূল বিষয়। |
·
এই অনুবর্তনে সময় নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়। |
ü সক্রিয় অনুবর্তনে প্রেষণা ও পুরস্কারের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। |
·
প্রাচীন অনুবর্তনের গতি সামনের দিকে অর্থাৎ আগে উদ্দীপক, তারপর প্রতিক্রিয়া। |
ü সক্রিয় অনুবর্তনে গতি পশ্চাৎমুখী। অর্থাৎ আগে প্রতিক্রিয়া, তারপর উদ্দীপক। |
·
এখানে মূলত অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশামূলক। |
ü এখানে অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া নির্দেশমূলক। |
·
অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়ার শক্তি প্রারম্ভিক অবস্থায় শূন্য থাকে। |
ü অপারেন্ট অনুবর্তনে কোনো শূন্য শক্তিসম্পন্ন প্রতিক্রিয়ার কথা ভাবা হয় না। |
·
শিশু ও ইতর প্রাণীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের অনুবর্তন বেশি কার্যকরী। |
ü উন্নত বুদ্ধি ও মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অপারেন্ট অনুবর্তন বেশি কার্যকরী। |
স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্ব ও থাস্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বের
স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্ব | থাস্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্ব |
(১) দ্বি-উপাদান তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন চার্লস স্পিয়ারম্যান। | (১) দলগত উপাদান তত্ত্বের প্রবর্তক হলেন মনােবিদ থাস্টোন। |
|
|
(২) ম্পিয়ারম্যানের মতে, মানসিক ক্ষমতা দুটি উপাদানের সমন্বয়। | (২) থাস্টোনের মতে, মানসিক ক্ষমতা সাতটি প্রাথমিক বা মৌলিক শক্তির সমন্বয়। |
|
|
(৩) এই তত্ত্বে G উপাদান - সাধারণ ক্ষমতা এবং S উপাদান - বিশেষ ক্ষমতা হিসেবে সূচিত হয়। | (৩) এই তত্ত্বের উপাদানগুলি হল M-স্মৃতিশক্তি, N-সংখ্যা, P- প্রত্যক্ষণ, R-যুক্তি, S-স্থান প্রত্যক্ষণ, V-ভাষা, N-শব্দ স্বাচ্ছন্দ্য। |
|
|
(৪) স্পিয়ারম্যান তত্ত্বটি American Journal of Psychology তে 'General Intelligence Objectively Determined and Measured' প্রবন্দ্বে প্রকাশিত হয়। | (৪) The Nature of Intelligence' বইতে প্রকাশ পায়। |
|
|
(৫) স্পিয়ারম্যান সহগতির উল্লেখ করেন। | (৫) থাস্টোন সহগতির উল্লেখ করেননি। |
|
|
(৬) এই তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষমতা এমন একটি শক্তি যেখানে দুটি উপাদানের প্রয়ােজন হয়। | (৬) এই তত্ত্ব অনুযায়ী ক্ষমতা সাতটি মৌলিক বা প্রাথমিক শক্তির সমন্বয়। |
|
|
(৭) এই তত্ত্বে যে দুটি উপাদানের কথা বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি হল সাধারণ উপাদান যা যে-কোনাে কাজের ক্ষেত্রেই প্রয়ােজন বা অত্যাবশ্যক। | (৭) এই তত্ত্বে এমন কোনাে শক্তি নেই যা সবক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে। অর্থাৎ কর্ম সম্পাদন ক্ষমতা ৭টি মৌলিক উপাদানে সীমাবদ্ধ। |
|
|
(৮) স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বের উপাদানগুলি সহজাত কিংবা অর্জিত দুই প্রকারের হতে পারে। | (৮) থাস্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বের সাতটি উপাদানই মৌলিক এবং বংশগত। |
|
|
(৯) ম্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বটি ইলেকট্রিক থিয়ােরি নামে পরিচিত। | (৯) থাস্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বটি প্রাথমিক মানসিক নামে পরিচিত। |
|
|
(১০) এই তত্ত্বটি রাজতন্ত্রবাদের উপর ভিত্তি করে হয়েছে। | (১০) এই তত্ত্বটি সামন্ততন্ত্রবাদের উপর ভিত্তি করে হয়েছে। |
No comments