Header Ads

Header ADS

Compulsory Bengali ( আদাব - ছোট গল্প ) ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ( আবশ্যিক বাংলা ) ( BA General ) with Answer

Compulsory Bengali   ( আদাব  - ছোট গল্প  ) ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন  (  আবশ্যিক বাংলা )   Suggestion for 6th  Semester of Calcutta University under CBCS System Compulsory Bengali Suggestions( BA General ) with Answer


Compulsory Bengali   ( আদাব  - ছোট গল্প  ) ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন  (  আবশ্যিক বাংলা )   Suggestion for 6th  Semester of Calcutta University under CBCS System Compulsory Bengali Suggestions( BA General ) with Answer


BA 6th Semester Compulsory Bengali Suggestions(BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সাজেশন ) –  প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই BA 6th Semester Compulsory Bengali Suggestions(BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সাজেশন ) Answer গুলি আগামী  BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।

*******************************

 সম্পূর্ন বাংলা সাজেশন পেতে নীচে  click  করো 

BA  6th Semester  বাংলা সাজেশন


ছোট গল্প 

আদাব 


ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন (প্রতিটির মান ১০)


প্রশ্ন : ১। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঊর্দ্ধে ‘আদাব' গল্পটি একটি মানবিকতার দলিল হয়ে উঠেছে। আলোচনা করো।

উত্তর : জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির আবর্তে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির চিত্র নতুন নয়। ইতিহাসের পাতা এমন অনেক ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে। ‘আদাব’ গল্পটি তেমনি এক অস্থির সময়ের বুকে মানবিকতার জয়গান গেয়েছে। ভারতবর্ষে ধর্মীয় সমস্যা ও তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দাঙ্গার ঘটনা বারবার ঘটেছে। মূলত হিন্দু ও মুসলমান নানা জটিলতা ও সংঘর্ষের কারণে একে অন্যের শত্রু হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত যখন বিদেশী শক্তির হাত থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে, তেমন সময় মুসলিম লীগ তাদের দীর্ঘদিনের স্বতন্ত্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবী সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে হরতাল ডাকে। সময়টা ১৯৪৬ সালের আগস্ট মাস। ধর্মীয় সম্পর্ককে ঢাল বানিয়ে এই হরতাল এক রক্তাক্ত দাঙ্গার রূপ পায়। এই ঘটনাটি ৪৬ সালের দাঙ্গা হিসাবে ইতিহাসে উল্লিখিত হয়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ধর্মীয় দাঙ্গার চেহারা নেয়।


হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার পারস্পরিক হত্যালীলায় শহর সেই সময় রক্তে ভেসে গিয়েছিল। উল্টে পড়া মানুষের মনে জমে থাকা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নৃশংসভাবে প্রকাশ পায়। প্রায় দশ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শহরের এই নারকীয় পরিস্থিতিতে গল্পটি শুরু হয় – একটা ডাস্টবিনের দুইধার থেকে দুটি লুকিয়ে থাকা ভীত সন্ত্রস্ত মানুষের আলাপ হয়। ডাস্টবিনের মতো নোংরা একটি পারস্পরিক হানাহানির সময়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে ডাস্টবিনটি। দু'জন মানুষের মধ্যে একজন নৌকার মাঝি, অন্যজন সুতাকলের মজুর। বাইরে দাঙ্গার পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে দুটি মানুষই প্রাণভয়ে লুকিয়েছিল। এইরকম অস্থির সময়ে অপরিচিত মানুষের সাক্ষাতে দু'জনের মধ্যেই এক ঘোর অবিশ্বাসের বাতাবরণ ঘনিয়ে ওঠে। দু’জনেই একে অপরকে অন্য ধর্মের বিশ্বাসী বলে সন্দেহ করতে থাকে। একদিকে যেমন 'হিন্দু না মুসলমান' এই প্রশ্নে তাদের মন জর্জরিত হতে থাকে, তেমনি আবার মনের গভীরে জমাট বাঁধে নিজের প্রতি অবিশ্বাস – “ এ প্রশ্নের উত্তর পেলেই হয়ত মারাত্মক পরিণতিটা দেখা দেবে। তাই সাহস করছে না কেউ কাউকে সে কথা জিজ্ঞেস করতে।”


যদিও খানিক পরেই সেই প্রকৃত পরিচয় উদ্ঘাটিত হয়, জানা যায় মাঝি মুসলমান। তবে বাইরের পরিস্থিতির ভয়াবহতায় দু'জনের ধর্মপরিচয়ের এই বৈষম্য তীব্র আকার ধারণ করে। না। কিছু সময়ের চাপানউতোর তৈরি হলেও প্রবল বিপদের মুখে দুটি মানুষের ধর্মপরিচয় হয়ে পড়ে অপ্রাসঙ্গিক; কাহিনির এই বিন্যাসের মধ্যে দিয়ে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবের অসারতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।


সমস্ত রাত দমবন্ধ করা, আশঙ্কাময় পরিস্থিতির মধ্যে অতিবাহিত করে দু'জন। একইসঙ্গে বিপদের মোকাবিলা করে তারা। বোঝা যায়, বিপদের সময় মানুষই মানুষের সহায় হয়, তাদের ধর্ম, জাত-পাতের পার্থক্য তখন হয়ে পড়ে অর্থহীন। পরের দিন ঈদ, তাই মাঝি পরবের দিন স্ত্রী-সন্তানদের কাছে ফিরে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুতাকলের মজুর তাকে এই পরিস্থিতিতে যেতে বারণ করে বিপদের আশঙ্কায়। কিন্তু পরে সে মাঝির আবেগের সহমর্মী হয়ে ওঠে। সে মাঝির সুস্থ যাত্রা কামনা করে, কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। ডাকাত সন্দেহে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়।

ভাবে নিজেদের বিপদের কথা, মা বউ ছেলেমেয়েদের কথা...” দুটি মানুষের একজন হিন্দু, অন্যজন মুসলমান বিপরীত ও বিরুদ্ধ ধর্মভুক্ত তারা। কিন্তু এভাবে তাদেরকে লেখক এক করে দেন, কারণ তারা দু'জনেই নিজেদের পরিবার ও সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তারা আলাদা, কিন্তু মনুষ্যধর্মে একাত্ম। রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী নেতারা নিজেদের স্বার্থে সবসময়ই সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থ তাঁরা কখনোই রক্ষা করেন না। তাই তাঁরা যখন সুরক্ষিত গৃহে অবস্থান করেন, তখন বিভেদ ও বৈষম্যের আগুনে সাধারণ মানুষেরা একে অন্যের প্রাণনাশ করে। সেই বৈষম্য ধর্ম, জাতি, বিত্ত শ্রেণির ফলাফল; রাজনৈতিক নেতারা তার প্রধান কারিগর হয়ে ওঠেন কখনও কখনও –


“ন্যাতারা হেই সাততলার উপুড় পায়ের উপুড় পা দিয়ে হুকুম জারি কইরা কইরা রইল আর হালার মরতে মরলাম আমরাই। তাই “ এই মাই’র দইর কাটাকুটি কিয়ের লেইগা?” কথাটি পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগায় এই নিষ্ফল হিংসা-হত্যা- হানাহানির সম্পর্কে। সত্যিই কী এই পারস্পরিক বিদ্বেষ ফলদায়ী? কাহিনির বুননে লেখক এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। একদিকে যখন মানুষ স্বার্থন্বেষী, বৈষম্যময় ও ষড়যন্ত্রকারী, তেমনি মাঝি ও সুতাকলের মজুর — ভিন্নধর্মী হয়েও একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী। তাই চরম বিপদের মুখেও একে অন্যের শুভকামনা করেছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মানবিকতার জয়গান। তাই বিদায় মুহুর্তে উভয় উভয়কে যে 'আদাব' সম্ভাষণটি করেছে, তা তার ইসলামিক পরিভাষাকে ছাপিয়ে মানবিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। দুটি মানুষের শুভবোধের আদান-প্রদানই মানবিকতাকে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সংকীর্ণতার ঊর্দ্ধে প্রতিষ্ঠিত করেছে।


 সম্পূর্ন বাংলা সাজেশন পেতে নীচে  click  করো 

BA  6th Semester  বাংলা সাজেশন



প্রশ্ন : ২। 'আদাব' গল্পটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটি সম্পর্কে বিশদে লেখো।


উত্তর : রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে পিষ্ট সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ও দুর্দশার ঘটনা চিরকালীন। তেমনি এক অস্থির সময়ের গল্প ‘আদাব'। বিপন্ন ও বিধ্বস্ত মানবিক চেতনা এই গল্পের কাহিনি বিন্যাসের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। 

ভারতবর্ষে হিন্দু ও মুসলমান দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময় প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রাগাধুনিক কালে মোগল-পাঠান অধিকার পর্ব থেকে ইসলামীয় শাসকদের প্রতি নানারকম অসন্তোষ জমেছে মানুষের মনে। পরবর্তী কালে ব্রিটিশ শাসনের সময় মুসলিম শাসকেরা অধিক সুবিধাভোগী হিন্দুদের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। উনিশ শতকে হিন্দুদের তথাকথিত ‘নবজাগরণ' ঘটে; অন্যদিকে বঞ্চিত মুসলমানরা তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি-রাজনীতির অধিকারের দাবীতে সরব হয়ে ওঠে। একে কেন্দ্র করে তৈরি হয় আলিগড় আন্দোলন ও পরে মুসলিম লিগ সংগঠিত হয়। উনিশ শতকের কুড়ির দশক থেকেই শুরু হয় বিচ্ছিন্ন দাঙ্গা, যা চল্লিশের দশকে ব্যাপকতর হয়ে পড়ে। প্রাথমিক দূরত্ব কাটিয়ে’ ৪৩-এর মন্বন্তরের সময় হিন্দু মুসলিম দূরত্ব কিছুটা কমে। এইসময় কংগ্রেস কমিউনিস্ট পার্টির মেলবন্ধনের যে সুযোগ তৈরি হয়, তা বাংলায় ১৯৪৬-এ নৌবিদ্রোহ, আজাদ হিন্দ ফৌজের গতি ও বিভিন্ন শ্রমিক আন্দোলনে দৃঢ় হয়। ২৯শে জুলাই তারিখে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি- মুসলিম লীগের মিলিত সমাবেশের কথাও ইতিহাসে লিপিবদ্ধ।

অবশ্য কিছুদিনের মধ্যে চিত্রটা বদলে গেল। ১৬ অগস্ট – "নৃশংসতম এই ভ্রাতৃহত্যার তাণ্ডব চলেছিল পুরো চারদিন ১৯ তারিখ পর্যন্ত।”

(‘ইতিহাসের দিকে ফিরে ছেচল্লিশের কলকাতা দাঙ্গা'/ সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) অগস্টের প্রথম থেকেই বার্তা দিচ্ছিল মুসলিম লীগ। মূলত, স্বাধীন স্বতন্ত্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের যে দাবী মুসলীম লীগ ১৯৪০ সাল থেকেই করছিল, তাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জটিলতার কারণে তারা হরতাল ডাকে। বস্তুত ব্রিটিশ বিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম মনে করে কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি এই হরতালে সমর্থন জানায়। কিন্তু জনমানসে অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়ে ও তা ক্রমে ধর্মীয় বিদ্বেষের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। প্রবাসী পত্রিকায় (আশ্বিন ১৩৫৩) 'আনিসুজ্জামানের বিবৃতি’-র একটি কথা প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়।


“ ধর্মের দোহাই দিয়া এই দাঙ্গায় মুসলমানগণকে উত্তেজিত করানো হইয়াছে।” 44 হরতালের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে অজ্ঞাত সাধারণ মানুষ গুজব ও অস্থিরতার শিকার হয়ে দাঙ্গায় লিপ্ত হয় এবং ধর্মীয় পরিচয় হয়ে ওঠে তার চালিকাশক্তি। ধর্মীয় বৈষম্যের বশবর্তী হয়ে মানুষ হত্যালীলায় মেতে ওঠে – উত্তেজিত, অবিবেচক, রক্তপিপাসু মানুষের পাশবিক গণহত্যার সাক্ষী হয়ে থাকে ইতিহাস। ৪৬-এর আন্দোলন আজও ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়।

********************************

 





**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  বাংলার শিক্ষা  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General  , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions . HS Education suggestion , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান ,  

 


No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.