Header Ads

Header ADS

Compulsory Bengali (3) রজনী ( আবশ্যিক বাংলা ) Suggestion for 6th Semester of Calcutta University under CBCS System Compulsory Bengali Suggestions( BA General ) with Answer

Compulsory Bengali (  আবশ্যিক বাংলা )   Suggestion for 6th  Semester of Calcutta University under CBCS System Compulsory Bengali Suggestions( BA General ) with Answer

Compulsory Bengali (  আবশ্যিক বাংলা )   Suggestion for 6th  Semester of Calcutta University under CBCS System Compulsory Bengali Suggestions( BA General ) with Answer


BA 6th Semester Compulsory Bengali Suggestions(BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সাজেশন ) –  প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই BA 6th Semester Compulsory Bengali Suggestions(BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সাজেশন ) Answer গুলি আগামী  BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।

*******************************

 সম্পূর্ন বাংলা সাজেশন পেতে নীচে  click  করো 

BA  6th Semester  বাংলা সাজেশন


 

উপন্যাস 


রজনী


প্রশ্ন : ১। 'রজনী' উপন্যাসে লবঙ্গলতা চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো।


উত্তর : রজনী সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের একটি অসামান্য উপন্যাস। অন্যান্য উপন্যাসের তুলনায় আয়তনে ছোট হলেও বিষয়বস্তু, গঠনপ্রণালি, চরিত্রায়ণসহ নানা দিক থেকে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসগুলির মধ্যে শুধু নয়, সমগ্র বাংলা সাহিত্যে রজনীর স্থান অনন্য। হৃদয়ের ভালোবাসা ও তা পাবার আকাঙ্ক্ষায় নারী-পুরুষ উভয়ের হৃদয়ের ব্যাকুলতা, আত্মকথন রীতির মাধ্যমে তার প্রকাশ ইত্যাদি এই উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য। উপন্যাসে প্রধান নারী চরিত্র দুটি – রজনী ও লবঙ্গলতা। লবঙ্গলতা এই কাহিনীতে এসেছে গৌণভাবে। কিন্তু কাহিনীর আবর্তনের সাথে সাথে তার চরিত্রের দৃঢ়তা, সততা ও ব্যক্তিত্বে লেখক এতটাই মুগ্ধ হয়ে পড়েছেন যে রজনী অপেক্ষা লবঙ্গলতার হৃদয়ের ভালোবাসার দ্বন্দ্বই মুখ্য হয়ে পড়েছে। রজনীর প্রেম ফিরে পেয়েছে তার মনের মানুষকে। জন্মান্ধ রজনী ফিরে পেয়েছে তার দৃষ্টিশক্তি। কিন্তু অপর নায়িকা লবঙ্গর জীবনটা শুধুমাত্রই দায়িত্বের বোঝা। পরিবার ও সমাজের মান রক্ষার্থে সে ছেড়েছে তার মনের মানুষকে, গ্রহণ করেছে বৃদ্ধ স্বামীকে, সতীন ও সতীনপুত্রকে। তাই রজনীর প্রতি লেখক যতটা সহানুভূতিশীল, লবঙ্গ সেখানে যেন অনেকটাই অবহেলিত। লবঙ্গ একজন আদর্শ হিন্দু রমণী, যে কায়মনোবাক্যে তার বিবাহিত স্বামীর প্রতি অনুরক্তা। পিতামহ সদৃশ স্বামীর যত্নআত্তির ব্যাপারে তার নজর চোখে পড়ার মতো। তার হৃদয়ের অন্তরে অমরনাথের জন্য যতই ভালোবাসা থাকুক না কেন, তা সে কোনোভাবেই প্রকাশ করতে চায় না। কাহিনির ঘনঘটায় যতই তার হৃদয় দুর্বল হয়ে পড়ুক না কেন, লবঙ্গকে কোনো অবস্থাতেই বিচ্যুত হতে দেখিনি। উপরন্তু প্রকাশ পেয়েছে পতিব্রতা লবঙ্গলতার চরিত্রের সততা – “যে আমার স্বামী না হইয়া একবার আমার প্রণয়াকাঙ্ক্ষী হইয়াছিল, তিনি স্বয়ং মহাদেব হইলেও তাঁহার জন্য আমার হৃদয়ে এতটুকু স্থান নেই।”


কাঙ্ক্ষিত পুরুষকে না-পাওয়ার যে যন্ত্রণা সে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই তাকে ভেঙে পড়তে দেখিনি। রজনী তাও তার আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করতে পেরেছে। কিন্তু লবঙ্গ? সে তো গৌণ চরিত্র। রজনীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে, লেখকের কাছে সে তো অবহেলিত। তাই তার কাছে ইহলোকে ভালোবাসা বলে আর কিছু নেই, আছে দায়িত্ব। তাইতো সে সঙ্গোপনে স্বগোক্তি করে “কাণি! ভালোবাসার তুই কি জানিস! তুমি লবঙ্গলতার অপেক্ষা সহস্রগুণে সুখী!”


অমরনাথ রজনীকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তার আসল বংশপরিচয় উদ্ধার করে। আর তার সাথে উদ্ধার হল রজনীর সম্পত্তি। এই সম্পত্তি নিয়ে যখন গোলমাল দেখা দিল তখন রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হয়ে একমাত্র লবঙ্গলতাই তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করল। এ-শুধু তার সংসারের প্রতি দায়বদ্ধতাই নয়, অনেকটা যেন তার পুরনো প্রেমিক অমরনাথকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যই। যে অমরনাথের প্রতি তার অধিকার তা রজনীর কিভাবে হতে পারে? এ তো নারী হৃদয়ের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে তার আপাতদৃষ্টিতে জয় হল বটে, f < 8 প্রকাশ পেল নারী হৃদয়ের চিরন্তন দুর্বলতা। চরম কূটনৈতিক বুদ্ধিধারিণী লবঙ্গলতা, সমস্ত বিষয়-সম্পত্তি উদ্ধার করার পর সবদিক থেকে পরাজিত অমরনাথকে তাই বলছে “তুমি আমার কে? তা তো জানি না। এ পৃথিবীতে তুমি আমার কেহ নও। কিন্তু যদি লোকান্তর থাকে – ”

 সম্পূর্ন বাংলা সাজেশন পেতে নীচে  click  করো 

BA  6th Semester  বাংলা সাজেশন


 

অর্থাৎ এই ইহলোকে লবঙ্গর যা কিছু তা হয়তো রামসদয়ের সম্পত্তি। কিন্তু যে অবচেতন বা কল্পনালোকের জগতে আর কারও অধিকার নেই সেখানে থাকবে শুধুই অমরনাথ। প্রেম, ভালোবাসা, ব্যক্তিত্ব, আদর্শ ও দয়ার যে প্রতিমূর্তি বঙ্কিমচন্দ্র তৈরি করেছেন তার সীমা সাধারণের অগম্য। তাই তো অমরনাথ লবঙ্গর হৃদয়কে বলছেন সমুদ্রতুল্য হৃদয়। যে হৃদয়ের প্রসাদ পেয়েছেন দরিদ্র রজনীর পরিবার থেকে শুরু করে বিবাহযোগ্যা বহু রমণীর পরিবার। আনুগত্য লাভ করেছেন বিধবা দরিদ্রগণ ব্যক্তিত্বের কাছে নতি স্বীকার করতে হয় আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত 768-^ 4 f4 ছোটমার কাছে হারিলাম”। তার দৃঢ়তার কাছে নতি স্বীকার করেছে পরিবারের সকলে। দৃঢ়তার দম্ভ তার মুখেই মানায়, “আমি যদি কায়েতের মেয়ে হই, তবে তোমার এ বিবাহ দিবই দিব।”


তাইতো বঙ্কিম সাহিত্যে লবঙ্গ অনন্যা। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, আদর্শ, দয়া-মায়া, সংস্কারের অন্তরালে যে অপরূপ মাতৃময়ী রূপ বঙ্কিমচন্দ্র তৈরি করেছেন, তা লবঙ্গলতাকে পাঠকমনে চিরকালীন করে রেখেছে।





প্রশ্ন : ২। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রজনী' উপন্যাসের রজনীর চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো।


উত্তর : ‘রজনী’ সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের একটি ব্যতিক্রমধর্মী উপন্যাস। বঙ্কিমচন্দ্র রচিত উপন্যাসগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য রোমান্সধর্মিতা এবং পরিবেশনায়, কাহিনির ঘটনা সন্নিবেশে ও চরিত্র সৃষ্টিতে তিনি সর্বত্র বিস্ময়ের সঞ্চার করেছেন। নরনারীর জীবনে প্রেম আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু জন্মান্ধ নারী ভালোবাসতে পারে কি না, প্রেমানুরাগ তার হৃদয়দেশে কতখানি সক্রিয়, কোন্ পথে তার প্রণয়ানুভূতির উন্মীলন অন্ধ নারীর প্রেমোন্মাদের চিত্র অঙ্কন করে লেখক 5overline 5 উপন্যাসের মধ্যে বৈচিত্র্যের সমাবেশ করেছেন।


১৮৩৪ সালে লর্ড লিটন The Last Days of Pompeii নামে একটি উপন্যাস লেখেন। ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত ইতালির প্রাচীন নগরী পম্পেই-এর সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে এই উপন্যাসটি লিখিত। এতে অন্যান্য অনেক চরিত্রের মধ্যে একটি চরিত্র ছিল এক অন্ধ ফুলওয়ালী ‘নিদিয়া'।


আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে যেদিন পম্পেই নগরীর রাজপথ অন্ধকার হয়ে গেল তখন এই অন্ধ নিদিয়াই অবলীলাক্রমে তার প্রণয়ী গ্লকাসকে পথ দেখিয়ে অভিশপ্ত নগরী থেকে বের করে এনে বন্দরের দিকে নিয়ে গিয়ে জাহাজে পৌঁছে দেয়। কারণ অন্ধ নিদিয়ার কাছে অন্ধকার ও আলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।


বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর রজনী উপন্যাসের নামভূমিকা চরিত্র রজনীর চরিত্রাঙ্কনে এই নিদিয়ার চরিত্র দ্বারা অনেকাংশেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। যদিও লিটনের উপন্যাসে অন্ধের 

পর্যবেক্ষণশক্তির বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে, কিন্তু সেই বৈশিষ্ট্য কীভাবে তার হৃদয়ের অনুভূতিকে রূপান্তরিত করে তার বর্ণনা নেই। রজনী উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র জন্মান্ধ রজনীর প্রেম-ভালোবাসার বিভিন্ন অনুভূতিকেই লেখার মাধুর্য বলে আত্মকাহিনির কথনরীতির মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন।

 সম্পূর্ন বাংলা সাজেশন পেতে নীচে  click  করো 

BA  6th Semester  বাংলা সাজেশন

 

রজনী জন্মান্ধ। তার পিতার নাম হরেকৃষ্ণ দাস। সে ছিল দরিদ্র কায়স্থ। গৃহিনীর মৃত্যুর পর রুগ্ন হরেকৃষ্ণ তার একমাত্র কন্যা রজনীর দেখভালের জন্য তাকে কলকাতায় আপন শ্যালিকার পতি রাজচন্দ্র দাসের কাছে পাঠিয়ে দেন। তখন থেকেই রজনী কলকাতায় রাজচন্দ্র দাসের কাছেই মানুষ। তারা ছিলেন নিতান্তই দরিদ্র। মৃজাপুরের কাছে একটি সামান্য খাপরেলের ঘরে তারা বাস করত। রাজচন্দ্র দাস ফুল এনে দিত আর অন্ধ রজনী সেই ফুলের মালা গাঁথত। মালা ও ফুল বিক্রি করেই তাদের দীনযাপন হত। দরিদ্র হলেও রজনী ছিল রূপবতী “স্থির প্রকৃতি সুন্দর শরীরে সেই কটাক্ষহীন দৃষ্টি দেখিয়া কোনো ভাস্কৰ্য্যপটু শিল্পকরের যত্ননির্মিত প্রস্তরময়ী স্ত্রীমূর্তি বলিয়া বোধ হইত।” রজনীর মার্জিত ব্যবহার ও রূপ দেখে মনে হত যেন কোনো বড়ো পরিবারের মেয়ে। রজনীর স্বভাবের স্নিগ্ধতায় লেখক এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, রাগের মুহূর্তেও রজনীর মুখ দিয়ে কোনো খারাপ কথা প্রকাশ করতেই পারল না। এটা তার পরিবারের সংস্কৃতিরই পরিচয়। গরীব হতে পারে, কিন্তু তাদের পারিবারিক সংস্কৃতি ছিল খুবই উচ্চমানর। লবঙ্গ বেশি পয়সা দিত বলেই তারা মালা কখনও অতিরিক্ত নিত না। পারিবারিক সততার গুণ রজনীর মধ্যেও প্রকাশ পেয়েছিল পুরোমাত্রায়। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অমরনাথের চেষ্টায় রজনী যে সম্পত্তির মালিক হয়েছিল, অবলীলায় সেই সম্পত্তি সে লবঙ্গলতাকে দান করে দিতে চাইল। তাই তো ‘রমণীকুলে, অন্ধ রজনী অদ্বিতীয় রত্ন। লবঙ্গলতার প্রোজ্জ্বল জ্যোতিও তাহার কাছে ম্লান হইল।'


জন্মান্ধ রজনীর জগৎ ছিল খুবই সীমাবদ্ধ। তার অন্ধকার জগতে শুধুই শব্দের ছড়াছড়ি। তার অন্ধকার জগৎ শব্দ, স্পর্শ ও গন্ধময়। আর ছিল ফুল। তার কল্পনার বিলাসে তাই বিচরণ করে যুথী, জাতি, মল্লিকা, শেফালিকা, কামিনী, গোলাপ, সেউতি। তার অন্ধত্ব যে কত দুর্বিষহ, তার অন্ধকার জগতে সে যে কতটা একাকী তার পরিচয় পাই তার বিবাহের কল্পনায়। বাবার কাছে গল্প শুনে মনুমেন্টকে পতি হিসাবে কল্পনা করে নেয়। এই বক্তব্যটির মধ্যে দিয়ে রজনীর চরিত্রে রসিকতাবোধ, বিবাহ সম্পর্কে তার আগ্রহ ও বিবাহ না হওয়ার জন্য মানসিক যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে। শুধু গলার আওয়াজ শুনেই বড়ো বাড়ির ছোটো ছেলে শচীন্দ্ৰকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলে। অন্ধ মেয়ে বাবা-মা সংসারের সবার কাছে বড়ো দায়। তাকে বিদায় করতে পারলেই যেন সবাই দায়মুক্ত হয়। কিন্তু রজনী নিজেকে সংসারের দায় বলে মনে করে না। অন্ধ হলেও তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে, রুচি আছে এবং এই আদর্শ ও রুচির জন্যই গোপাল বা হীরালালকে সে কখনোই স্বীকার করে না। পরিস্থিতির চাপে মনের জোর হারালেও শরীরের জোরের পরিচয় সে হীরালালকে দিয়েছে। রজনী শচীন্দ্রকে ভালোবাসলেও শচীন্দ্র দরিদ্র রজনীকে স্ত্রী হিসাবে ভাবতেও পারে না। কিন্তু রজনীর সম্পত্তি প্রাপ্ত হওয়ার পর তার আসল পরিচয় জানার পরে আস্তে আস্তে শচীন্দ্রের মনে রজনীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। অপরদিকে কৃতজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে রজনী অমরনাথকেও ফেরাতে পারে না। অমরনাথ  রজনীতে আসক্ত। রজনী তার মনের ভালোবাসাকে যে ভুলতে পারে না। তাই লবঙ্গলতার কাছে সে ভেঙে পড়ে। চোখের জল আর বাঁধ মানে না। এখানে রজনী চরিত্র ভালোবাসার  সৎ না অসৎ তা বিতর্কের বিষয়। কিন্তু জন্মান্ধ নারী ভালোবাসতে পারে কি না, প্রেমানুরাগ তার হৃদয়দেশে কতখানি সক্রিয়, কোন্ পথে তা প্রণয়ানুভূতির উন্মীলন ঘটায় আখ্যায়িকাটিতে লেখক এরূপ একটি বিষয়কে ফুটিয়ে তুলেছেন। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী বিদগ্ধা রমণী রজনীর প্রেমের আশ্চর্য জন্মকথায়, এর বিচিত্র বিকাশে, কাব্যের সুরভি ঢেলে দিয়েছেন কবিপ্রাণ বঙ্কিম। অন্ধ ফুলওয়ালীর প্রেমরসসিক্ত মূর্তিটি বড়োই সুন্দর। দৃষ্টিশক্তিহীনা এই রমণীর প্রণয় পারবশ্যের কাহিনি বঙ্কিমের এক অভিনব সৃষ্টি।







প্রশ্ন : ৪। ‘রজনী' উপন্যাসের অমরনাথ চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করো।


উত্তর : আত্মকথনরীতির মাধ্যমে রচিত বঙ্কিম উপন্যাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস রজনীর মূল বিষয় নারী-পুরুষের ভালোবাসা ও তার সম্পর্কের পরিণতি। এই উপন্যাসের চরিত্রগুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ চরিত্র হল অমরনাথের চরিত্র। অমরনাথের আদি নিবাস শান্তিপুর গ্রামে। পুরুষোচিত সমস্তরকম গুণ যথা “ধন সম্পদ বয়স বিদ্যা বাহুবল – কিছুরই অভাব ছিল না”। বিবাহযোগ্য বয়সে, তার পিসির শ্বশুরবাড়ি কালিকাপুর গ্রামের লবঙ্গলতার সাথে বিবাহ ঠিক হয়। কিন্তু বংশের কুলকলঙ্কের দোষে সেই সম্বন্ধ ভেঙে যায় এবং কিশোরী লবঙ্গ বৃদ্ধ রামসদয় মিত্রের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হয়ে কলকাতায় চলে আসে। কিশোর বয়সের ভালোবাসাকে হারিয়ে অমরনাথ ভগ্নহৃদয় হয়ে পড়ে। এর বেশ কিছুদিন পরে লবঙ্গলতা বাপের বাড়িতে আসে এবং অমরনাথ overline48 হয়ে লবঙ্গর ঘরে চুপি চুপি প্রবেশ করলে লবঙ্গ কিশোরী বয়সের চপলতায় তার পিঠে গরম লোহার শলাকা দিয়ে ‘চোর’ লিখে দেয়। সেই অবধি রাগে, দুঃখে, লজ্জায় অমরনাথ গৃহত্যাগী হয়ে দেশে দেশে ভ্রমণ করে বেড়ায়। এই হল অমরনাথ চরিত্রের প্রাথমিক বর্ণনা। বঙ্গদর্শনের খসড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র অমরনাথের যে চরিত্র চিত্রণ করেছেন সেখানে অমরনাথের চরিত্রে অনেক পাণ্ডিত্য ও বাগ্‌বৈদগ্ধ থাকলেও, চরিত্রে যথেষ্ট নীচতাও ছিল। সেখানে দেখানো হয়েছে অমরনাথ রজনীকে উদ্ধার করেছে তার বিষয়সম্পত্তির লোভে এবং লবঙ্গলতাকে হারানোর প্রতিশোধ নেবার জন্য। সেখানে অমরনাথ সম্পর্কে লবঙ্গলতার অভিব্যক্তি “তুমি অদ্বিতীয় পাষণ্ড”। বিষয়সম্পত্তির বিতৃষ্ণা থেকেই সে দেশান্তর হয়। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে রজনী উপন্যাসে অমরনাথ একজন সর্বগুণসম্পন্ন ট্র্যাজেডি নায়ক। লবঙ্গ কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। “আমার যোগ্য কাজ আমি খুঁজি, যাহাতে আমার মন মজিবে তাই খুঁজি।”


এই খুঁজতে খুঁজতেই হঠাৎ তার জীবনে রজনীর আবির্ভাব। নিজের জীবনের শূন্যতা ভরানোর জন্য এবং রজনীর সম্পত্তি উদ্ধার করার কাজে সে প্রবৃত্ত হল। রজনীর হারানো সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার পরও তার চরিত্রের মহানুভবতা হ্রাস পায় না। সে রজনীর প্রতি আসক্ত। এমনকি রজনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে তাকে নিয়ে বাকী জীবন থিতু হয়ে সুখে কাটাবে বলে মনস্থির করলেও রজনীর সম্পত্তি তাকে প্রলুব্ধ করে না। যে অন্ধ রমণী পরিবার পরিজনদের কাছে একটা দায়ভার, সেই জন্মান্ধকেই জীবনসাথী করে সে বাকী জীবন সুখে কাটাতে চায়। রজনীর সম্পত্তি তাকে প্রলুব্ধ করতে পারেনি, বরঞ্চ কথা প্রসঙ্গে লবঙ্গলতাকে সে এটাও বলে যে “আমি রজনীকে বিবাহ করিব – বিষয় বিবাহ করিব না।”


বঙ্গদর্শনে অমরনাথের চরিত্রের মধ্যে লবঙ্গলতার প্রতি যে প্রতিশোধের চেহারা দেখতে পাই, রজনীর বিষয় অধিকারের মধ্যে সেই চেহারার ছায়া প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি হল পুরোনো ভালোবাসা লবঙ্গর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তার সমীহ আদায়। এক্ষেত্রে সে পুরোপুরি সফল। তার চরিত্রের মহানুভবতায় লবঙ্গ মুগ্ধ হয়ে বলতে বাধ্য হয় “তুমি অদ্বিতীয়”। এখানেই অমরনাথের চরিত্রের নৈতিক জয়। বিষয় আসক্তিহীন, সৎ পরোপকারী অমরনাথের চরিত্রের উদারতায় দৃঢ়চেতা রমণী লবঙ্গও হার মানতে বাধ্য হয়। “আমি হারিয়া, মনে মনে অমরনাথকে শত শত ধন্যবাদ করিতে করিতে, হর্ষ বিষাদে ঘরে ফিরিয়া আসিলাম।” অমরনাথকে ধন্যবাদের যোগ্য হিসাবে দেখতে পেয়েই লবঙ্গলতার অন্তঃস্থল পুলকে রোমাঞ্চিত হয়েছে।


বঙ্কিমচন্দ্রের রজনী উপন্যাসে অমরনাথ একজন সর্বতোভাবে ট্র্যাজিক চরিত্র। উপন্যাসের নায়ক। যে নায়কোচিত সবরকম গুণ সমৃদ্ধ হয়েও নিষ্ঠুর নিয়তির পরিহাসে ভবসাগরের দোকানপাট উঠিয়ে নিঃসঙ্গ জীবন বরণ করে নেয়। ট্র্যাজিক চরিত্র হলেও সে লবঙ্গলতার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী। লবঙ্গর লোকাত্তরের প্রণয়াস্পদ, রজনীর জীবনের আদর্শ পুরুষ। অমরনাথের চরিত্রের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্যই ঔপন্যাসিক লিখেছেন, “ইহার কী নাম রাখিয়াছেন?” শচীন্দ্রনাথ বলিলেন ‘অমরপ্রসাদ’।

********************************







**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  বাংলার শিক্ষা  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General  , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions . HS Education suggestion , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান ,  ️ BA 6th Semester History DSE-B2 Suggestion ,BA 6th Semester History DSE-B1 Suggestion , CBCS Bengali Suggestions . 

 


No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.