Header Ads

Header ADS

মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান বা নিয়ন্ত্রক গুলি কী কী ? Geography Question And Answer

  মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান বা নিয়ন্ত্রক গুলি আলোচনা করো।
বা,
মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় উপাদান গুলি আলোচনা করো।
বা,
মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান বা নিয়ন্ত্রক 

🌷Geography🌷
🌷Question And Answer 🌷
মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান বা নিয়ন্ত্রক গুলি আলোচনা করো। বা,  মৃত্তিকা সৃষ্টির সক্রিয় উপাদান গুলি আলোচনা করো। বা,  মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান বা নিয়ন্ত্রক, Geography Question And Answer



 মৃত্তিকা সৃষ্টির উপাদান বা নিয়ন্ত্রক (Elements or Controlling Factors of Soil Formation)


ভিন্ন ভিন্ন শর্তাবলির সাপেক্ষে বিভিন্ন মৃৎ-উৎপাদী উপাদানগুলির যৌথ মিথস্ক্রিয়ায় জন্ম নেয় নতুন নতুন মৃত্তিকা। এরা ভৌত ও রাসায়নিক বিচারে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। মৃত্তিকা স্তরের গঠন স্বকীয়তা যেসব বিচিত্র শর্তসমূহের ওপর নির্ভরশীল, সেগুলিকে রাশিয়ার বিখ্যাত মৃৎ বিজ্ঞানী ডকুচেভ (Dokuchaev) চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করেন। তাঁর সমীকরণটি হল - S = f (cl, o, p, t)


যেখানে, S– মৃত্তিকা (Soil), cf-আঞ্চলিক জলবায়ু (climate).0– জীবকুল (organism).p—মূল উপকরণ বা আদি শিলা (parent material), t—–সময় (time). মৃৎ বিজ্ঞানী জেনি উপলব্ধি করেন যে, ভূমিরূপের পরিবর্তনের সাথে সাথে মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যেরও পরিবর্তন হয়। তাই তিনি ডকুচেভের চারটি মৃত্তিকা গঠনকারী উপাদান ছাড়াও আর কতকগুলি বাহ্যিক, অভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় নিয়ন্ত্রকের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জেনি (1958) প্রদত্ত সমীকরণটি হল -সময় S=f(cl, o, p, r, t)


যেখানে, s—মৃত্তিকা (Soil), cl— স্থানীয় জলবায়ু (Climate) o– উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের ক্রিয়াকলাপ, আণুবীক্ষণিক জীবের সংখ্যা ও প্রকৃতি (Micro-organism), P—আদি শিলা (Parent materials), ভূ-প্রকৃতি (relief), t—সময় (time). অতএব বলা যায় মৃৎ উৎপাদী প্রধান উপাদানগুলি হল - (1) মূল উপকরণ বা আদি শিলা, (2) ভূমির প্রকৃতি, (3) সময়, (4) জলবায়ু ও (5) জীবজগৎ।


প্রথম তিনটি উপাদান মাটি গঠনের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় বা পরোক্ষ প্রভাব রাখে এবং শেষ দুটি উপাদানের ভূমিকা সর্বাত্মক। এরা সক্রিয় বা প্রত্যক্ষভাবে মাটি গঠনে ভূমিকা পালন করে। যে-কোনো মৃত্তিকাই এইসব উপাদানের মিথস্ক্রিয়ার ফলশ্রুতি, যদিও স্থানীয়ভাবে কখনও কখনও কোনো কোনো উপাদান অধিকতর প্রভাব বিস্তার করে থাকে।


●মৃত্তিকা সৃষ্টির নিষ্ক্রিয় উপাদান (Passive Factors):


A. জনক বা আদি শিলা (Parent Materials or Rock)

B. ভূপ্রকৃতি (Topography or Relief)

C.ভূমির বয়স বা সময় (Age of Soil)

D. জলবায়ু (Climate)

E. জীবজগৎ



🌸 জনক বা আদি শিলা (Parent Materials or Rock) 🌸


A. জনক বা আদি শিলা (Parent Materials or Rock) : মৃত্তিকা বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। মৃত্তিকাদেহ (Soil body) গঠন করতে যে পদার্থ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে লাগে, তার উৎসকে মূল উপাদান বলে। নিরেট শিলা (Solid rock) কিংবা বিয়োজিত শিলা সাধারণত মাটি গঠনের প্রধান উৎস হওয়ায় একে জনক বা আদি শিলাও বলে।


খনিজ, জৈব ও অজৈব পদার্থের মিশ্রণেই গড়ে ওঠে মাটির মূল উপাদান। তবে মূল উপকরণ হিসাবে খনিজের প্রাধান্যই বেশি থাকে। সাধারণত (1) গ্রানাইট, নিস ইত্যাদি—–আম্লিক শিলারূপে, (2) অ্যান্ডেসাইট, ডাইওরাইট—মধ্যবর্তী শিলারূপে, (3) ব্যাসল্ট, ডোলেরাইট -ক্ষারকীয় শিলারূপে, (4) পেরিডোটাইট, সারপেনটাইন— অতি ক্ষারকীয় শিলারূপে এবং (5) চুনাপাথর, মার্বেল— কার্বনেট শিলারূপে মাটি গঠনে আদি শিলার ভূমিকা পালন করে। এছাড়া মৃত্তিকা গঠনে সঞ্চিত পলিও মূল উপাদান রূপে কাজ করে। আদিশিলা মাটি গঠনে যে



● মাটির ধর্ম : মৃত্তিকার মূল উপাদান দ্বারা মুক্তিকার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম, যথা- এখন, কাঠামো, জলবারণ ক্ষমতা, বর্ণ, ph এর মান প্রভৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়। এজন্য বিভিন্ন শিলায় বিভিন্ন ধরনের মাটি গঠিত হতে দেখা যায়। যেমন—–(1) গ্রানাইট ও নিস্ শিলায় । ফেসপারের পরিমাণ বেশি থাকলে কাদামাটি সৃষ্টি হয়। () ব্যাসন্ট শিলা থেকে কৃষ্ণমৃত্তিকা, ল্যাটেরাইট ও লাল মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়। (১) চুনাপাথর ও মার্বেল থেকে রেনজিনা মাটি এবং সিলিকা-সমৃদ্ধ শিক্ষা থেকে পডসল মাটি গড়ে ওঠে।


● শিলার সক্রিয়তা: আমি শিলার প্রভাব সর্বাধিক হলে এন্ডোডায়ানামোমরফিক মাটির উৎপত্তি হয়। যেমন- লিখোসল, রেগোসল ও অ্যালুভিয়াম।


● মাটির রংঃ খনিজ লবণ, চুনাপাথর ও কোয়ার্টর সমৃদ্ধ মাটির রং সাদা, ধূসর ও কখনো কখনো অলিভ সবুজ হয়।


● মাটির কাঠামো : আদি শিলার খনিজ ফেল্ডপার হলে কালামাটির সৃষ্টি হয়। কাদামাটি বেশি হলে তা মাটির বিভিন্ন ধরনের কাঠামো সাহায্য করে।


● মাটির ক্ষারকীয়তা: আমি শিলা পেরিডোটাইট ও সারপেনটাইন হলে মাটি স্কারধর্মী হয়।


● মাটির গঠন : আদি শিলায় চুনের পরিমাণ বেশি থাকলে মাটি শুরু গঠনের হয়। আর সোডিয়াম যৌগ বেশি থাকলে কথাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়, গঠন পূর্বল হয় ও মাটি অনুর্বর হয়।


🌸ভূপ্রকৃতি (Topography or Relief) 🌸



ভূপ্রকৃতি (Topography or Relief) : ভূপ্রকৃতি মৃত্তিকার মধ্যে মূলত আর্দ্রতা ও জলের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে জলনিকাশি ব্যবস্থা বাতি অথবা বাধাপ্রাপ্ত উভয়ই হতে পারে। ভৌমজলপ্তরের উত্তল অথবা অবতল অবস্থা ভূপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। উল্লিখিত সব অবস্থাই মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। যেমন


● পার্বত্য ভূ-প্রকৃতিতে মাটি গঠনে জনক শিলার প্রভাব বেশি। ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় চূর্ণীকৃত পদার্থ সহজেই অপসারিত হয় বলে মৃত্তিকার স্বর গঠন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে, মুক্তিকা অপরিণত বা নবীন অবস্থায় থাকে। এই ধরনের নবীন মৃত্তিকার সঙ্গে বড়ো বড়ো পাথর, শিলাখণ্ড, বোল্ডার ইত্যাদি মিশে যে মুক্তিকার সৃষ্টি হয় তাকে কঙ্কালসার (Skeletal) মুক্তিকা বলে।

ক্তিকা সবুজ, ধূসর, নীলচে ধূসর থেকে স্বাভাবিক ধূসর রংয়ের হয়।


● পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু বিরাজ করায় নানা ধরনের মুক্তিকা গঠিত হয়।


● উত্তর গোলার্ধে পর্বতের দক্ষিণমুখী ঢাল অধিকতর উচু, আলোকিত ও আর্দ্র থাকে। এখানে ক্ষারধর্মী চুনময় মাটি সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা লক্ষ করা যায় এবং আগ্নিক মাটির সৃষ্টি হয়।

  • ভূমির ঢাল অবতল হলে, মৃত্তিকা সঞ্চয়ের উপযোগী পরিবেশ গড়ে ওঠে। আবার ওই ঢাল উত্তল হলে ক্ষয়কার্যের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ভূমির একই ঢালে উত্তল ও অবতল অংশে ভিন্ন প্রকৃতির মৃত্তিকা গড়ে ওঠে। একই ঢালের ঊর্ধ্বাংশে মৃত্তিকার ক্ষয় বেশি হয়।
🌸 ভূমির বয়স বা সময় (Age of Soil)🌸

ভূমির বয়স বা সময় (Age of Soil) : রেগোলিথ থেকে পরিণত মাটি সৃষ্টি হতে যে সময়ের প্রয়োজন হয় তাকে মাটি সৃষ্টির সময় বলে। মাটি গঠনে সময়ের ভূমিকা সঠিকভাবে নির্ণয় করা মুশকিল হলেও দেখা গেছে যে-


(1) অপ্রবেশ্য পদার্থ অপেক্ষা বেলেপাথরের ন্যায় প্রবেশ্য পদার্থে মুক্তিকা গঠন দ্রুতগতিতে সংঘটিত হয়। হিমবাহ সঞ্চয়ের (Tills) উপর মৃত্তিকা গঠিত হতে কয়েকশো বছর লেগে যায় এবং ভারী ব্যাসস্টের উপর মুক্তিকার গঠন হতে আরও অনেক বেশি সময় লাগে।


(2) মূল উপকরণ থেকে মৃত্তিকা সৃষ্টি হতে দীর্ঘ সময় লাগে।2-2.5 সেমি মৃত্তিকা সৃষ্টি হতে কয়েকশো বছর লেগে যায়। মৃত্তিকা গঠনের জন্য যে দীর্ঘ সময় লাগে, তা নির্ভর করে আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান, ভূমিরূপ (Landform),আণুবীক্ষণিক জীব প্রভৃতি কতকগুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিষয়ের ওপর।


(3) অপরিণত মৃত্তিকাতে মূল উপাদানের চরিত্র প্রকট হয়। অপরিণত মৃত্তিকাতে স্তরায়ণ সুস্পষ্ট নয়।


(4) মাটি দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত হলে তা পরিণত অবস্থায় আসে। অনুকূল পরিবেশে মৃত্তিকা পরিণত অবস্থায় পৌঁছাতে সময় লাগে কয়েকশো বছর। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশে মৃত্তিকার পরিণত অবস্থায় পৌঁছাতে সময় লাগে কয়েক হাজার বছর। পরিণত মৃত্তিকাতে স্তর সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়।


🌸 জলবায়ু (Climate)🌸


জলবায়ু (Climate) : মৃত্তিকা গঠনে জলবায়ু সক্রিয় ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলবায়ুর দুটি প্রধান উপাদান হল— বৃষ্টিপাত ও উষ্মতা। এরা জল ও তাপ সরবরাহ করে আদি শিলা বা মূল পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজনে সাহায্য করে। আবার জলবায়ু উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর বণ্টন ও প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে, যা জৈব পদার্থরূপে মৃত্তিকায় ফিরে আসে। জৈব পদার্থের পচন-ক্রিয়ার সময় যে অ্যাসিড ও লবণ মুক্ত হয় তা শিলা ও খনিজ পদার্থের ওপর ক্রিয়াশীল থাকে। জলবায়ুর প্রভাবে গঠিত মাটি সমূহ এক্টোডায়নামোমরফিক মাটি নামে পরিচিত, যেমন—কৃষ্ণ মৃত্তিকা, চারনোজেম মৃত্তিকা প্রভৃতি।


তাই বলা যায়, জলবায়ু—মৃত্তিকা গঠনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে। বৃষ্টিপাত ও উন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে জলবায়ুর প্রভাব নীচে আলোচনা করা হল –


  • বৃষ্টিপাত : মৃত্তিকার নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় -

(1) বৃষ্টিপাত অধিক হলে মৃত্তিকায় হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে pH এর পরিমাণ কমে, মৃত্তিকা আম্লিক হয়। ● অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে উদ্ভিদের প্রাচুর্য লক্ষ করা যায়। অধিক জৈব পদার্থের সঞ্জয়ের ফলে মৃত্তিকায় নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।


(2) অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে ক্যালশিয়াম কার্বোনেট কার্বনেশন পদ্ধতিতে ক্যালশিয়াম বাই কার্বনেটে পরিণত হয়ে মৃত্তিকার অনেক গভীরে স্থানান্তরিত হয়।


(3) আৰ্দ্ৰ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে রাসায়নিক আবহবিকার ত্বরান্বিত হয় এবং মৃত্তিকায় কর্দমের পরিমাণ বাড়ে।


(4) আৰ্দ্ৰ ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে এলুভিয়েশন পদ্ধতিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি মৃত্তিকার ঊর্ধ্বম্ভর থেকে অপসৃত হয়।


  • উষ্ণতা ঃ উষ্ণতা বা তাপমাত্রা দ্বারা মৃত্তিকার নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ন্ত্রিত হয় –


(1) অধিক উন্নতার জন্য আবহবিকার ভূত্বকের অধিক গভীরতা (Deep Weathering) পর্যন্ত ক্রিয়াশীল থাকে।


(2) তাপমাত্রা বেশি হলে জৈব পদার্থ ও নাইট্রোজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়।


(3) আর্দ্র-ক্রান্তীয় অঞ্চলে গড় বার্ষিক উন্নতা বৃদ্ধি পেলে রাসায়নিক বিয়োজন অধিক হয় ও মৃত্তিকায় কদমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।


🌸জীবজগৎ🌸 :


জীবজগতের দুটি প্রধান উপাদান হল—উদ্ভিদজগৎপ্রাণীজগৎ। এর মধ্যে উদ্ভিদজগৎ মৃত্তিকা গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। যেমন –


উদ্ভিদজগতের প্রভাবঃ


(1) উদ্ভিদের শিকড় শিলায় প্রবেশ করে এবং জল ও বাতাসের চলাচলের পথ সৃষ্টি করে দেয়।


(2) উদ্ভিদের মূল ও শিকড় মাটির নীচে যখন মরে যায় ও পচে যায়, তখন একাধিক জৈব অ্যাসিড নির্গত হয়। জীবন্ত শিকড় থেকে কার্বনিক অ্যাসিড ও অন্যান্য পদার্থ নির্গত হয়। অন্তঃপ্রবাহী জলধারার সঙ্গে এইসব অ্যাসিড ও অন্যান্য পদার্থ মিশে শিলা ও খনিজ পদারে সঙ্গে বিক্রিয়া করে মৃত্তিকা গঠনে সাহায্য করে।


প্রাণীজগতের প্রভাব ঃ


(ক) জীবজন্তুর প্রভাব ঃ


(1) মৃত্তিকা গঠন প্রক্রিয়ায় প্রাণীজগতের অবদান প্রধানত যান্ত্রিক প্রকৃতির। পিঁপড়ে, কেঁচো, ইঁদুর ইত্যাদি প্রাণী মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বিসি স্তরের উপাদানের মধ্যে মিশ্রণ ঘটায়। ফলে মাটি উর্বর হয়।


(2) জৈব পদার্থ বেশি থাকলে মাটিতে হিউমাসের পরিমাণ বেশি হয় এবং মাটির রং হয় কালো। হিউমাস সমৃদ্ধ মাটি পুষ্টিমৌল সম্পন্ন হয়।


(3) মৃত্তিকার স্তর গঠনে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি হলে মাটির স্তর পুরু ও খনিজ সমৃদ্ধ হয়।


(4) মৃত্তিকায় জৈব পদার্থের জোগান ও বিশ্লেষণ, মৃত্তিকার গঠনশৈলি, দৃঢ়তা, মৃত্তিকার পুষ্টির চক্রাকার আবর্তন ইত্যাদি উদ্ভিদ ও জুঁই জগতের প্রভাবেই সম্ভব হয়।


(5) তৃণাচ্ছাদিত অঞ্চলে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি হয়। ফলে এখানের মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি হয়।



(খ) মাটি গঠনে জীবাণুর প্রভাব ঃ মাটির উৎপত্তি এবং মাটিকে বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক চরিত্র প্রদানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবাণুর অবদান যথেষ্ট বেশি থাকে। জীবাণুর প্রকৃতি ও সংখ্যার ওপর মাটির গঠন ও এর গুণাবলি নির্ভরশীল, কারণ –


(ক) হিউমাস গঠন ঃ জৈব পদার্থের একমাত্র উৎসরূপে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষকে জীবাণুকুল বিয়োজিত করে হিউমিফিকেশন প্রক্রিয়ায় হিউমাসে পরিণত করে।


(খ) পুষ্টিমৌল গঠন ঃ হিউমাস গঠনের সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুকুল একে আরও ভেঙে দিয়ে এর মধ্যেকার বিভিন্ন খনিজকে পৃথক করে ও এক খনিজের সঙ্গে অন্য খনিজের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে নতুন খনিজ তৈরি করে। খনিজের মাধ্যমে এভাবে জৈব পদার্থ মাটিতে ফিরে আসে। এর ফলে মাটি পুষ্টিমৌল সমৃদ্ধ হয় এবং এভাবে মাটির পুষ্টির চক্রাকার আবর্তন বজায় থাকে।


(গ) নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ : মাটির ওপরের স্তর বা নীচের স্তরে উদ্ভিদ-কোশ বিয়োজনে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটিরিয়ার ভূমিকার জন্য উপর ও নীচের স্তরে মাটি উর্বর হয়, তথা নাইট্রোজেন আবদ্ধ হয়।


(ঘ) চারিত্রিক ধর্ম নিয়ন্ত্রণ ঃ উদ্ভিদের দেহাবশেষ জীবাণুর দ্বারা বিয়োজিত হয়ে যে খনিজের সৃষ্টি করে তা মাটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।


উপরোক্ত মৃত্তিকা গঠনকারী পাঁচটি উপাদান মৃত্তিকা গঠনে সমান গুরুত্বপূর্ণ নয়। কোনো কোনো উপকরণ বিশেষ পরিবেশগত কারণে অনেক বেশি কার্যকর হয়। উপকরণগুলি পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং পরস্পরের পরিপূরক।





এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান  পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান  পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস  পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল  পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ  দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন  তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে  

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Geography(General)  General  , BA 6th Semester ( Geography(General)  General ) Suggestions . 

 

 






No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.