Header Ads

Header ADS

2nd Semester Suggestion Elective Bengali || CU 2nd Semester Suggestion || CU Semester System || Banglarshiksa( বাংলার শিক্ষা ) Elective Bengali Suggestions with Answer

 Elective Bengali  Suggestion for Second Semester of Calcutta University under CBCS System 

Elective Bengali Suggestions( BA General )  with Answer 

2nd Semester Suggestion HISTORY || CU 2nd Semester Suggestion || CU Semester System || Banglarshiksa( বাংলার শিক্ষা ) Elective Bengali Suggestions with Answer



কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের Elective Bengali সাজেশন ( উত্তরসহ ) 

BA ( General  2nd Semester ) 

Calcutta University || CBCS System || All Semester Suggestions 

Calcutta University  all Semester Suggestions || All Subjects  ( with Answer )

Semester 1 ( I )

👉 Click Here 

Semester 2 ( II )

👉 Click Here

Semester -3 ( III )

👉 Click Here

Semester – 4 ( IV )

👉 Click Here 

Semester – 5 ( V )

👉 Click Here 

Semester – 6 ( VI )

👉 Click Here


( প্রতিটি প্রশ্নের মান  ১০ )

প্রশ্নঃ বৈদিক ভাষা থেকে নব্য ভারতীয় আর্যভাষার বিবর্তনের পরিচয় দিয়ে বাংলা ভাষা উদ্ভবের ইতিহাস ব্যাখ্যা করো।

অথবা,

সংস্কৃত ভাষা বাংলা ভাষার জননী প্রচলিত এই উক্তিটি ভাষাতত্ত্বের বিচারে কতটুকু গ্রহণযোগ্য যুক্তিসহ বিচার করো। |

অথবা,

 প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা বিবর্তনের পথে আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষায় কীভাবে রূপান্তরিত হল ?

 

উত্তর :

    জীবন্ত ভাষা নদীর মত। নদীর স্রোতের মতো প্রবহমান। নদী থেকে যেমন শাখানদীর সৃষ্টি হয়, জন্ম হয় উপন্দীর তেমনি যুগে যুগে স্থানে স্থানে ভাষার পরিবর্তন হয়, উদ্ভব হয় নতুন ভাষার। বাংলা ভাষার উদ্ভব তথা মাতৃ পরিচয় অন্বেষন করতে গিয়ে আমরা এই তত্ত্বেরই সত্যতা উপলব্ধি করব। সারা পৃথিবীর প্রায় চার হাজার ভাষাকে তাদের মূলাভূত। সাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রধানত তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের পদ্ধতির সাহায্যে ১২ টি ভাষা বংশে বর্গীভুত করা হয়ে থাকে। এই সব ভাষা বংশের মধ্যে ইন্দো ইউরোপীয় বা মূল আর্যভাষা বংশটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই ভাষা থেকে জাত আধুনিক ভাষাগুলির পৃথিবীর বহু অঞ্চলে তথা দুই বিশাল মহাদেশ ইউরোপ এশিয়ার বহুল অংশে প্রচলিত। বলা যায়, সমস্ত ভাষা পরিবারের লোক সংখ্যা প্রায় অর্ধেক ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত। এই ইন্দো ইউরোপীয় মূল ভাষা বলেই বাংলা ভাষার আদি উৎস। তবে এই আদি উৎস থেকে বিবর্তনের পরবর্তী ধাপে বাংলা ভাষার জন্ম হয়নি। ভাষার স্বাভাবিক পরিবর্তন ক্রমবিকাশের | ধারায় মধ্যবর্তী অনেকগুলি স্তর পেরিয়ে বাংলা ভাষা জন্ম লাভ করেছে। | ইন্দোইউরোপীয় বা মূল আর্য ভাষাভাষি জনগোষ্ঠী তাদের আদি বাসস্থান দক্ষিন রাশিয়ার

উরাল পর্বতের পাদদেশ থেকে আনুমানিক ২৫০০ খ্রীঃ পূর্বাব্দের কাছাকাছি সময় থেকে | পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে আরম্ভ করে। এই বিস্তারের ফলে তাদের ভাষায় ক্রমশ

আঞ্চলিক পার্থক্য বৃদ্ধি ঘটে। এবং ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে প্রথমে ১০টি প্রাচীন ভাষা জন্ম হয়। এই ইন্দো ইউরোপীয় শাখাটি দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে গেছে ।ইরানীয় ও ভারতীয় আর্য প্রথম উপশাখাটির ইরান পারস্যে চলে যায়,ভারতীয়  আর্য ভারতে প্রবেশ,করে

আনমানিক ১৫০০ খ্রীঃ পূর্বাব্দে। সেইদিন থেকে ভারতীয় আর্যভাষার ইতিহাসের সূচনা  এবং আজ পর্যন্ত এই আর্যভাষা পরিবর্তন পৰ্বিৱর্তনের মাধ্যমে.ভারতবর্ষে বিকাশ  করে চলেছে।

 

যিশুখ্রীষ্টের জন্মের প্রায় ২৫০০ বছর আগে থেকে যিশুখ্রীষ্টের জন্মের পরবর্তী প্রায় ১০০০ বছর পর্যন্ত ভারতীয় আর্যভাষার এই ৪৫০০ বছরকে বিবর্তনের স্তর থেকে প্রধানত তিনটি যুগে ভাগ করা যায় --

() প্রাচীন ভারতীয় আর্য (আনুমানিক ১৫০০ খ্রীঃপূর্ব থেকে ৬০০ খ্রীঃ পূর্ব পর্যন্ত)

 () মধ্য ভারতীয় আর্য (আনুমানিক ৬০০ খ্রী পূর্ব থেকে ৯০খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত)

() নব্য ভারতীয় আর্য (৯০০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত)

প্রাচীন ভারতীয় আর্যে দুটি রুপ ছিল - সাহিত্যিক (বৈদিক ভাষা বা ছন্দেশ ভাষা) কথ্য রূপটির চারটি আঞ্চলিক উপভাষা ছিল,

প্রাচ্য

 উদীচ্য,

মধ্য দেশীয়

দাক্ষিণাত্য।

উপরিউক্ত আলোচনাটি নিম্নোক্ত ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা গেল .

ইন্দো ইউরোপীয়,

১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য।

 

২) ইরানীয়

 

ক) সাহিত্যিক

বৈদিক ভাষা / ছন্দেশ ভাষা।

 

খ) কথ্য

 

 

১)প্রাচ্য

২)উদীচ্য

 ৩)মধ্যদেশীয়

৪)দাক্ষিণাত্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জীবন্তভাষার স্বাভাবিক নিয়মে প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষাও পরিবর্তিত হচ্ছিল। কিন্তু বেদের ভাষাকে এদেশের ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির ধারক মনিষী সমাজ নেতারা দেব ভাষা বলে বিশ্বাস করতেন। প্রকৃতির অপরিহার্য নিয়মে এই ভাষার যে স্বাভাবিক পরিবর্তন হয়ে আসছিল তাকে তারা দেবভাষা বিকৃতি মনে করলেন। আর এই বিকৃতি রোধ করার জন্য তারা ব্যাকরণ রচনা করলেন। এইভাবে তারা ব্যকরণের নিয়ম দিয়ে শুদ্ধ মার্জিত রূপের যে রচনা করলেন তারই নাম সংস্কৃত অর্থাৎ যার সংস্কার সাধন করা হয়েছে!

 ভাষার ব্যকরণ রচনা করেছিলেন তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন পানিনি।

    নিজেদের মাতৃভাষা উদীচ্যের কিছু উপাদান মিশ্রিত করে তার ব্যকরণে শুদ্ধ সংস্কৃতের রূপটি বিধিবদ্ধ করেন। মূলতঃ পানিনি কর্তৃক মার্জিত এই সংস্কৃতই সংকীর্ণ অর্থে সংস্কৃতভাষা যা সাধারণ ক্লাসিক্যাল সংস্কৃত। তা লৌকিক সংস্কৃত নামেও পরিচিত। সুতরাং সংস্কৃত হল বৈদিকের পরবর্তী কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা এবং যে ভাষা সাধারণের ব্যবহার বা প্রচার ছিল না ফলে জীবন্ত ভাষার মত তার কোন বিবর্তন হয়নি। এবং কোন ভাষার জন্ম দিতে পারেনি। বরং প্রাচীন ভারতীয় আর্যের কথ্যরূপটি প্রচলিত চার উপভাষার বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হয়ে নতুন ভাষার জন্ম দিয়েছে।

প্রাচ্য উদীচ্য মধ্যদেশীয় দাক্ষিণাত্য এই কথ্য উপভাষাগুলি লোকমুখে স্বাভাবিক পরিবর্তন লাভ করে যখন প্রাকৃত ভাষার রূপ নিল তখন মধ্য ভারতীয় আর্যভাষার যুগ সূচিত হল।

প্রাকৃতের প্রথমস্তরে তার চারটি আঞ্চলিক উপভাষা ছিল। সেগুলি

প্রাচ্যা           ১) প্রাচ্য প্রাকৃত    ২) প্রাচ্যমধ্যপ্রাকৃত

উদীচ্য      → উত্তর পশ্চিমা প্রাকৃত

মধ্যদেশীয় দাক্ষিণাত্য →  দক্ষিণ পশ্চিম প্রাকৃত।

প্রাকৃত ভাষা বিবর্তনের দ্বিতীয় স্তরে যখন পদার্পন করল তখন মূলত এই চার রকমের। মৌখিক প্রাকৃত থেকে পাঁচরকমের সাহিত্যিক প্রাকৃতের জন্ম হল। উত্তর পশ্চিম থেকে পৌশাচী দক্ষিণ পশ্চিম দিকে থেকে সৌরশ্রেণি মহারাষ্ট্রী, প্রাচ্য মধ্যাংশ থেকে অর্ধমাগধী এবং প্রাচ্য থেকে মাগধী। পৌশাচী, মহারাষ্ট্রি, সৌরশ্রেণী মাগধী ছিল শুধু সাহিত্যে ব্যবহৃত প্রাকৃত। প্রাকৃতের বিবর্তনে তৃতীয়স্তরে এই সব সাহিত্যিক প্রাকৃতের ভিত্তি স্থানীয় কথ্য রূপ গুলি থেকে অপভ্রংশের জন্ম হল। এবং অপভ্রংশের শেষ স্তরে পেলাম অবহট্ট। প্রত্যেক শ্রেণীর প্রাকৃত থেকে সেই শ্রেণীর অবহট্টের জন্ম হয়েছিল।

 যেমন প্রাচ্য প্রাকৃত - মাগধী প্রাকৃত - মাগধী অপভ্রংশ - মাগধী অপভ্রংশ অবহট্ট। এই অপভ্রংশ অবহট্টের পর ভারতীয় আর্যভাষা তৃতীয় যুগে পদার্পণ করল। আনুমানিক ৯০০ খ্রীষ্টাব্দে। শুরু হল নব্য ভারতীয় আর্যযুগ। এই যুগেই মাগধী অপভ্রংশ অবহট্ট থেকে আমাদের বাংলা ভাষার জন্ম।

যদিও সৌরশ্রেণীর অপভ্রংশের সাহিত্যিক নিদর্শন ছাড়া মধ্য ভারতীয় আর্যের সেই স্তরে অপর চারটি অপভ্রংশের কোন নির্মিত নিদর্শন পাওয়া যায় নি। এই কারণে ভাষা বিজ্ঞানী ডঃ পরেশচন্দ্র মজুমদার মাগধী অপভ্রংশের সম্পর্কে আশা প্রকাশ করে বলেছেন, মাগধী আক্রমনে আদর্শ কথ্য প্রাকৃত থেকে বাংলা ভাষার জন্ম। কিন্তু আদর্শ কথ্য প্রাকৃতের কোন লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি, এটিও অনুমিত স্তর মাত্র। অন্যপক্ষে জর্জ আব্রাহাম গ্ৰীয়াসেন, ভাষাচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ ভাষা বিজ্ঞানী বলেছেন মাগধী অপভ্রংশ অবহট্ট থেকে বাংলা ভাষার জন্ম। উভয় মতে পক্ষে বিপক্ষে অনেক যুক্তি আছে কিন্তু সেই বিতর্কে না গিয়ে অধিকতর প্রচলিত মতকে গ্রহণ করতে পারি।

 

মগধী অপভ্রংশ অবহট্ট থেকে বাংলা ভাষার জন্ম। এই বাংলা ভাষার জন্মের ক্রমিক বিবর্তনটি সূত্রাকারে এইরূপ

ইন্দো ইউরোপীয় বা মূল আর্য।

ইন্দো ইরানীয়

প্রাচীন ভারতীয় আর্য, আঞ্চলিক কথ্য উপভাষা প্রাচ্য

মধ্য ভারতীয় আর্য ও প্রাচ্য প্রাকৃত

সাহিত্যিক প্রাকৃত মাগধী

মাগধী অপভ্রংশ অবহট্ট

নব্য ভারতীয় আর্য ঃ বাংলা |

 

বৈদিক ভাষা থেকে নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা বিবর্তনে আলোচনা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় সংস্কৃত ভাষা হল প্রাচীন ভারতীয় ভাষাবৈদিক ভাষার পরবর্তী একটি প্রায় কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা যা পরে মৃতভাষা হয়ে গিয়েছিল। অন্য দিকে বৈদিক ভাষাই ছিল জীবন্ত ভাষা। এই যে কথ্য ভিত্তি ছিল তারই বিবর্তনের ধারায় মধ্যবর্তী স্তর অতিক্রম করে বাংলা প্রভৃতি নব্যভারতীয় আর্যভাষা গুলির জন্ম হয়েছে। সুতরাং জন্ম উৎস বিচারে বলতে হয়, বৈদিক ভাষার কথ্য রূপ থেকেই বাংলা ভাষার জন্ম সংকীর্ণক্ষেত্রে বাংলা ভাষার জন্ম মাগধী অপভ্রংশ  অবহট্ট থেকে।

 

 ########################################

====================================

--- আরো দেখো  --- 

Semester 2 ( II ) CBCS System
Philosophy Suggestions -  Click Here 
Elective Bengali Suggestions -  Click Here 
Education Suggestions -  Click Here 

########################################
====================================

প্রশ্ন ধ্বনিপ্রধান বা মাত্রাবৃত্ত বা কলাবৃত্ত ছন্দ সম্পর্কে আলোচনা কর।

 

উত্তর :

“ মহাযাত্রা! কিন্তু বিধি বুঝিব কেমনে

তার লীলা? ভঁড়াইলা সে সুখ আমারে।“

তানপ্রধান বা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মতো এই ছন্দেও নাম বিভ্রাট সমস্যা প্রচুর। এই ছন্দেরনামকরণে নানা মুনির নানা মত। কেউ একে বলেছেন ‘ধ্বনিপ্রধান, কেউ বলেছেন মাত্রাবৃত্ত  কেউ বলেছেন কলাবৃত্ত। |

 ড. অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় এই ছন্দে উচ্চারিত অন্তরের ধ্বনি পরিমাণের প্রাধান্যের দিকে লক্ষ্য রেখে এর নাম দিয়েছেন ধ্বনিপ্রধান ছন্দ’।

 ড. প্রবোধচন্দ্র সে প্রথমে এর নাম দিয়েছিলেন মাত্রাবৃত্ত', পরে নাম দেন কলাবৃত্ত। | পয়ারে অক্ষরধ্বনির অতিরিক্ত যে স্বরের টান থাকে, মাত্রাছন্দে যে থাকে না। পয়ারের মতো মাত্রাবৃত্তের স্থিতিস্থাপকতা বা শোষণশক্তিও নেই।

‘কলাবৃত্ত ছন্দে স্বরবর্ণের প্রাধান্য দেখা যায় না। যৌগিক অক্ষরের দীর্ঘীকরণের দিকে এর প্রকৃতি দেখা যায়।

কলাবৃত্ত ছন্দে মূল পর্ব বারো, পাঁচ, ছয় ও সাত মাত্রার হয়। রুদ্ধদলের সংখ্যা দুই। এখানে যৌগিক অক্ষরগুলি দীর্ঘ ও অন্য অক্ষরগুলি হ্রস্ব ধরতে হয়।

অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় বলেছেন—“এই ছন্দে আরামপ্রিয়তা ও আরাম বিমুখতার চূড়ান্ত অভিব্যক্তি দেখা যায়। এই জন্য এই ছন্দে বর্ণ সংঘাত হ্রস্বীকরণের রীতি সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়া চলিতে হয়, কোনো যৌগিক অক্ষর কাটিলেই বাগযন্ত্রে একটুখানি আরাম দেওয়া হয়। এবং এই অক্ষরটি উচ্চারণের পর খানিকক্ষণ শেষ ধ্বনির ঝংকারটিকে টানিয়া রাখিতে হয়। এই ধ্বনি যৌগিক অক্ষর মাত্রেরই দুই মাত্রা অক্ষর বলিয়া পরিগণিত হয়।” | বাংলা ছন্দে হ্রস্বস্বরের ধ্বনি পরিমাণ এক কনা বা দল, দীর্ঘ দলের ধ্বনি পরিণাম দুই কলা বা দুই দল। এ ক্ষেত্রে সব মুক্তদলই সেরূপে বা একমাত্রিকরূপে উচ্চারিত হয়, রুদ্ধদল দীর্ঘ বা দিমাত্রিকরূপে উচ্চারিত হয়। * এই ছন্দ বিলম্বিত লয়ের ছন্দ। 

ধ্বনিপ্রধান বা মাত্রাবৃত্ত বা কলাবৃত্ত  ছন্দের বৈশিষ্ট্য সমূহ

(১) এই ছন্দে যুক্তব্যঞ্জনের পূর্ববর্তী স্বর দুই মাত্রার।

 (২) হলন্ত বা ব্যঞ্জনান্ত অক্ষরের স্বর দীর্ঘ।

 (৩) যৌগিক অক্ষর দীর্ঘ অর্থাৎ দুই মাত্রার অন্য অক্ষর এক মাত্রার।

(৪) মৌলিক স্বর অর্থাৎ প্রাচীন দীর্ঘ অস্পষ্ট ইত্যাদির দীর্ঘতা থাকে।

(৫)ং এবং ঃ এর পূর্বস্বর দীর্ঘ। অন্যান্য স্বর প্রসার একমাত্রার।

(৬) এই ছন্দে প্রতিটি অক্ষরধ্বনির প্রাধান্য থাকে।

(৭) এই ছন্দে ধ্বনির প্রাধান্যের জন্য এর মধ্যে গীতিধর্ম থাকে।

(৮) শ্বাসবায়ুর পরিমাণের সূক্ষ্ম হিসাব এই ছন্দের চিত্রে অপরিহার্য।

(৯) মৌলিক অক্ষর দুই মাত্রার হয়।

মাত্রাবৃত্ত বা কলাবৃত্ত ছন্দের উদাহরণ

()     “ভূতের মতন চেহারা যেমন নির্বোধ অতি ঘোর।

          যা কিছু হারায় গিন্নি বলের কেষ্টা বেটাই চোর।

()     “বেলা যে পড়ে এলো, জলকে চল

পুরোনো সেই স্বরে সে যেন ডাকে দূরে

কোথা সে ছায়া সখি, কোথা সে জল।

কোথা সে বাধা ঘাট, অশত্থ তল।

(৩)    জন-গণ-মন অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্য বিধাতা।

পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ।

 ()  “মকরচুড়/মুকুট খানি/করবী তব/ঘিরে

 পরায়ে দিনু/শিরে।

জালায়ে বাতি/মাতিল সখী/দল

তোমার দেহে/রতন সাজ/ করিল ঝল/মল।

পর্ব মাত্রার।

চরণদ্বি পাৰ্বিক।

স্তবক – মিশ্র।

 

 প্রশ্নঃ ৩। দলবৃত্ত ছন্দ বলতে কি বোঝ? উদাহরণসহ দলবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য আললাচনা কর।

 

উত্তরঃ

লয় — বিলম্বিত

রীতি — মাত্ৰাকৃত বা ধ্বনিপ্রধান।

 অন্যান্য ছন্দের মতো এই জাতীয় ছন্দের নামকরণেও নানা মুনির নানা মত।

 ড. অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় এর নামকরণ করেছেন শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ। পরে এর নাম দেন ধ্বনিপ্রধান।

 ডঃ. প্রবোধচন্দ্র সেন এর নামকরণ করেছিলেন স্বরবৃত্ত ছন্দ’ পরে এর নাম পালটে দেন দলবৃত্ত।

 ড. তারাপদ ভট্টাচার্য এই ছন্দের নাম দিয়েছেন কলাবৃত্ত ছন্দ।

রবীন্দ্রনাথ এর নাম মেহেন লৌকিক ছন্দ। সাধারণ ভাবে এই ছন্দকে ছড়ার ছন্দও বলা হয়। বর্তমানে দলবৃত্ত নামটাকে অনেকক্ষেত্রে প্রধান করা হয়েছে। মধ্যযুগে এর নাম ছিল ধামালী।

সংজ্ঞা ঃ যে ছন্দে প্রত্যেক পর্বেই অন্তত একটি করে প্রখর বা শ্বাসাঘাত পড়ে, তাকে দলবৃত্ত ছন্দ বলা হয়।

এই ছন্দে প্রত্যক অক্ষর বা Syllable একমাত্রার। প্রতি পর্বে সাধারণত থাকে চার মাত্রা। সাধারনত চারটি করে পর্ব থাকে। শেষ পর্বটি অপূর্ণ।

 

ড. অমূল্যধন মুখোপাধ্যায় বলেছেন “প্রায় প্রত্যেক পর্বেই অন্তত একটি প্রধান শ্বাসাঘাত পড়ে। এই শ্বাসাঘাতের প্রভাবেই এই ছন্দের বিশেষ লক্ষ্যগুলি উৎপন্ন হয়। এই জন্য ইহাকে শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দ বলে। শ্বাসাঘাতের জন্য বাগযন্ত্রের একটা সচেষ্ট প্রয়াস আবশ্যক; এবং সুনিয়ন্ত্রিত সময়ান্তরে তাহার পুনঃপ্রবৃত্তি হইয়া থাকে। এই কারণে শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দের বৈচিত্র্যখুব কম”। যেমন—

 (১)    “আকাশ জুড়ে ঢল নেমেছে সূর্যি ঢলেছে ।

চাচঁর চুলে জলের গুঁড়ি, মুক্তো ফলেছে।”

২ )     “খোকা যাবে মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে।

ছিপ নিয়ে গেল কোলা ব্যাঙে মাছ নিয়ে গেল চিলে।”

(৩)     “বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান

শিব ঠাকুরের বিয়ে হল তিন কন্যে দান।

এক কন্যে রাঁধেন বাড়েন আরেক কন্যে খান |

আরেক কন্যে গোঁসা করে বাপের বাড়ী যান।”

দলবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্যসমূহ

(১) এই ছন্দে প্রতি পর্বের প্রথমে একটি করে প্রখর বা শ্বাসাঘাত

পড়ে।

(২) এক এক দল এক মাত্রা।

(৩) প্রতি পর্বে চার মাত্রা ও দুটি করে পর্বাঙ্গ থাকে। শেষ পর্বটি অপূর্ণ।

(৪) স্বরান্ত ও হলন্ত অক্ষরগুলি একমাত্রার।

৫) শ্বাসাঘাতের জন্য পর্বগত ব্যঞ্জন শব্দ সংকুচিত হয়। ফলে দুই মাত্রার শব্দ

এক মাত্রা হয়ে যায়।

(৬) মুক্ত ও রুদ্ধ দল সর্বদা সমান সমান। |

 (৭) প্রতি পর্বের ব্যঞ্জন বা হসবর্ন বাদ দিয়ে যে সব স্বরবর্ণর সংখ্যা

গুণেই মাত্রা সংখ্যা ও ছন্দের চলন ঠিক করা যায়।

 (৮) এই ছন্দের লয় দ্রুত।

########################################
====================================

--- আরো দেখো  --- 

Semester 2 ( II ) CBCS System
Philosophy Suggestions -  Click Here 
Elective Bengali Suggestions -  Click Here 
Education Suggestions -  Click Here 

########################################
====================================

প্রশ্নঃ-   মধ্যভারতীয় আর্যভাষার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

 

 উত্তর : মধ্যভারতীয় আর্যভাষার সময়কাল হল খ্রীষ্টপূর্ব ৬০০-১০০০ খ্রীষ্টাব্দ। এই স্তরকে অনেকে প্রাকৃত নামেও উল্লেখ করেন।

 ধ্বনিগত রূপ :

১। স্বরধ্বনির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যেমন ঋ, ৯, ঋ স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হয়েছে।

২। ঐ-কার ঔ-কারে এবং এ-কার ও-কারে পরিণত হয়েছে।

৩। সংস্কৃত অক্ষরের দীর্ঘস্বর হ্রস্বস্বরে রূপায়িত হয়েছে।

৪। পদের শেষে অনুস্বার ছাড়াই ব্যঞ্জনধ্বনির বিলোপ হয়েছে।

৫। পদাদির যুক্ত ব্যঞ্জনের একটি লুপ্ত হয়েছে। যুক্ত ব্যঞ্জনে সমীভবন দেখা যায়।

৬। তিনটি শ, ষ, স এর মধ্যে সকল প্রাকৃতে স দেখা যায় কেবল মাগধী প্রাকৃতে শ’| এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

৭। স্বর মধ্যগত একক ব্যঞ্জন লোপ পেয়েছে এবং মহাপ্রাণ একক ব্যঞ্জন হকারে

পরিণত হয়েছে।

রূপগত বৈশিষ্ট্য

: ১। শব্দরূপ সরল হয়েছে এবং ব্যঞ্জনা শব্দ লোপ পেয়েছে।

২। তিনটি বচনের মধ্যে দ্বিবচন লুপ্ত হয়েছে।

 ৩। নামরূপ সর্বনামে বিভক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে।

৪। পাঁচটি কালের দুটি (ট, লুঙ) লুপ্ত হয়েছে।

 ৫। শব্দের শেষে ব্যঞ্জন লুপ্ত হওয়ায় প্রথম ও দ্বিতীয়া বিভক্তির বহুবচনে পুং ও স্ত্রী . লিঙ্গে ভেদ থাকল না।

৬। কর্তা ও কর্ম ব্যতিরিক্ত কারকে বিভক্তির বিশেষ বিশেষ শব্দ ব্যবহার চালু হল।

এইভাবেই প্রত্যয় ও অনুসর্গের ব্যবহার দেখা গেল।

৭। ' ঋ-কারান্ত শব্দরূপ লোপ পেয়েছে এবং কমেছে অসমপিকা ক্রিয়ার বৈচিত্র্য।

৮। অক্ষর ভিত্তিক ছন্দ নির্ণীত হতে থাকলো অথাৎ অক্ষর উচ্চারণের কাল অনুসারে

 মাত্রা নির্ণয় শুরু হল।

 ৯। নামমূলক পদ গঠন দেখা গেল।


আরো উত্তরের  জন্য নীচের লিংকে click করো 

Calcutta University || CBCS System || All Semester Suggestions 

Calcutta University  all Semester Suggestions || All Subjects  ( with Answer )

Semester 1 ( I )

👉 Click Here 

Semester 2 ( II )

👉 Click Here

Semester -3 ( III )

👉 Click Here

Semester – 4 ( IV )

👉 Click Here 

Semester – 5 ( V )

👉 Click Here 

Semester – 6 ( VI )

👉 Click Here


**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  বাংলার শিক্ষা  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (II) Elective Bengali General  , BA 2nd Semester (Elective Bengali ) Suggestions . 

No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.