Philosophy Suggestion for Second Semester of Calcutta University under CBCS System Elective Bengali Suggestions( BA General ) Answer Philosophy
Philosophy Suggestion for Second Semester of Calcutta University under CBCS System
Elective Bengali Suggestions( BA General ) with Answer Philosophy
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের Elective Bengali সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
( প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ )
প্রশ্নঃ-১ । অভিজ্ঞতাবাদের মূলতত্ব আলোচনা করো । এই তত্ত্ব কি গ্রহন যোগ্য ? উত্তর দেখো
উত্তর :
অভিজ্ঞতাবাদ অনুসারে ইন্দ্রিয়ানুভব জ্ঞানলাভের একমাত্র উৎস এবং জ্ঞানের সীমা প্রত্যক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ। |
দৃষ্টিবাদ দুপ্রকারঃ
চরমপন্থী দৃষ্টিবাদ ও নরমপন্থী দৃষ্টিবাদ। মিল চরমপন্থী দৃষ্টিবাদের প্রধান প্রবক্তা। নরমপন্থী দৃষ্টিবাদের প্রবক্তা হিউম। চরমপন্থী দৃষ্টিবাদীদের মতে, যে-কোনাে জ্ঞানই ইন্দ্রিয়ানুভবলন্ধ। কিন্তু নরমপন্থী দৃষ্টিবাদীরা জ্ঞানের ক্ষেত্রে বুদ্ধির প্রয়ােজনীয়তা অস্বীকার করেন না। তবে তারা বলেন, পূর্বে পাওয়া গেছে এমন জ্ঞানের বিন্যাসের ক্ষেত্রে বুদ্ধির প্রয়ােজন হয়। আধুনিক যুগে দৃষ্টিবাদের প্রধান প্রবর্তক হলেন লক, বার্কলে এবং হিউম – এঁরা ব্রিটিশ দার্শনিক। দৃষ্টিবাদের পরিপূর্ণ রূপটি আলােচনা করতে হলে বিভিন্ন তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই মতবাদের বক্তব্য উল্লেখ করা প্রয়ােজন |
জ্ঞানতত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টিবাদের আলােচনা
দৃষ্টিবাদীরা বলেন, ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতা জ্ঞানের একমাত্র উৎস। লকের মতে, মনে এমন কিছু নেই যা পূর্বে ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতার মধ্যে ছিল না বা সংবেদনলন্ধ নয়। মনে কোনাে সহজাত ধারণা নেই। জন্মসময়ে মানুষের মন অলিখিত কাগজের মতাে থাকে (Tabula rasa)। বিভিন্ন ধারণাগুলির মধ্যে মিল ও অমিল প্রত্যক্ষ করে জ্ঞানলাভ করি। অনুরূপভাবে, হিউম বলেন, প্রত্যক্ষ জ্ঞানলাভের একমাত্র উৎস। প্রত্যক্ষের দুটি রূপ, ইন্দ্রিয়জ (Impression) ও ধারণা (Idea)। ইন্দ্রিয়জ ধারণার পূর্বগামী। প্রত্যেকটি ধারণার অনুরূপ ইন্দ্রিয়জ থাকে। ইন্দ্রিয়জ ও ধারণার সাহায্যে আমরা জ্ঞানলাভ করি। বার্কলে জ্ঞানতত্ত্বে দৃষ্টিবাদ অনুসরণ করেন। তিনি মনে করেন, বস্তুর জ্ঞান ও বস্তুর অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ-নির্ভর (Esse est pericipi)। চরমপন্থী দৃষ্টিবাদী মিলের মতে, শুধু বাস্তব ব্যাপারবিষয়ক জ্ঞান ইন্দ্রিয়ানুভবের ওপর নির্ভরশীল তা নয়, অমূর্ত সাধারণ সত্য, যৌক্তিক সত্য – এগুলি স্বতঃসিদ্ধ নয়, এগুলি অভিজ্ঞতার সামান্যীকরণের ফল। এমনকি, 2 + 2 = 4, এরূপ গাণিতিক বচনগুলিও আরােহনলব্ধ সিদ্ধান্ত। যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী মতে (Logical positivists) অবশ্যম্ভব জ্ঞান আরােহনলব্ধ সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু অবশ্যম্ভব পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্য (apriori necessary statements) মাত্রই বিশ্লেষক। আপতিক বাক্য (contingent statement) মাত্রই সংশ্লেষক। প্রথমটির | সত্যমূল্য ইন্দ্রিয়ানুভব ছাড়া জানা সম্ভব, দ্বিতীয়টির সত্যতা নির্ণয়ের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়ােজন হয়। বাহ্যিক জগৎ-সম্পৰ্কীয় বাক্যগুলি সংশ্লেষক। বিশ্লেষক বাক্যে ধারণার সম্বন্ধ ব্যক্ত হয়। |
সত্যতার পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞতাবাদের আলােচনা ঃ
বচন সত্য বা মিথ্যা হতে পারে। বুদ্ধিবাদ অনুসারে বচন তিন প্রকার - পূর্বতঃসিদ্ধ বিশ্লেষক, পরতসাধ্য সংশ্লেষক এবং পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক। এই মতের বিরােধিতা করে দৃষ্টিবাদীরা বলেন, বাক্য দুপ্রকার - পূবর্তঃসিদ্ধ বিশ্লেষক ও পরতসাধ্য সংশ্লেষক। হিউম এবং যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে অবশ্যম্ভব জ্ঞান আরােহবন্ধ সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু অবশ্যম্ভব পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্যমাত্রই বিশ্লেষক এবং আপতিক বাক্য মাত্রই সংশ্লেষক। প্রথমটির সত্যমূল্য অনুভব ছাড়া নির্ণয় সম্ভব, দ্বিতীয়টির জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়ােজন হয়।
মনােবিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টিবাদের আলােচনা
বুদ্ধিবাদীরা ইন্দ্রিয় (sense) ও বুদ্ধি (reason) ছাড়া স্বজ্ঞা (intuition) বলে তৃতীয় প্রকার বােধশক্তির উল্লেখ করেন। এই বােধশক্তির জন্য বিষয়কে সরাসরি উপলব্ধি করা যায়। দৃষ্টিবাদীরা বলেন, স্বজ্ঞা বলে কোনাে স্বতন্ত্র বােধশক্তি আমাদের নেই। আমাদের সব অনুভব ও বােধ ইন্দ্রিয়-অভিজ্ঞতা নির্ভর।
মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টিবাদের আলােচনা
মূল্যের বস্তুগত সত্তা নেই কারণ, মূল্য ইন্দ্রিয়ানুভবগম্য নয়। যা ইন্দ্রিয়ানুভবগম্য নয়, তার বাস্তব সত্তা স্বীকার করা যায় না। যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী মতে মুল্য-প্রকাশক বাক্যগুলি আমাদের পছন্দ-অপছন্দ, ভালাে লাগামন্দ লাগা, অনুমােদন-অননুমােদন প্রভৃতি মনােভাব ব্যক্ত করে।
প্রশ্ন-২ । সবিচারবাদের মূলতত্ব আলোচনা করো ।
প্রশ্নঃ ৩। জানা শব্দের বিভিন্ন অর্থ লেখো । উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর ।
প্রশ্নঃ ৪। বাচনিক জ্ঞানের শর্ত গুলি কী কী ? শর্তগুলি আলোচনা করো ।
প্রশ্নঃ ৫। অভিজ্ঞতাবাদ কী ?
প্রশ্নঃ-৬ঃ লকের ধারনা অভিজ্ঞতাবাদ তত্বটি আলোচনা করো ।
প্রশ্নঃ-৭ঃ বার্কলের আত্মগত ভাববাদ তত্ত্বটি আলোচোনা করো ।
উত্তরঃ
যে মতবাদ অনুসারে সত্তার ধর্ম হল জ্ঞাততা বা প্রত্যক্ষতা (Esse est percipi) সেই মতবাদকে আত্মগত ভাববাদ বলে। | এই মতবাদের প্রবর্তক হলেন বিশপ বার্কলে। মতবাদটিকে মানসবাদও (mentalism) বলা হয়। কারণ এই মতবাদ অনুসারে বিষয়ের সত্তা ব্যক্তি-মনের (individual mind) ওপর নির্ভরশীল।
আত্মগত ভাববাদের সঙ্গে বস্তুবাদের পার্থক্য আছে বস্তুবাদে বাহ্যিক বস্তুর জ্ঞানাতিরিক্ত সত্তা স্বীকার করা হয়। কিন্তু আত্মগত ভাববাদ অনুসারে বাহ্যিক জগৎ ব্যক্তি-মনের ধারণা। এই মতবাদে মন ও মনের ধারণা ছাড়া অন্য কোনাে বস্তুর সত্তা স্বীকার করা হয় না। বাহ্যিক বস্তুর জ্ঞান-নিরপেক্ষ অস্তিত্ব নেই। অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কবিহীন হয়ে কোনাে বস্তু থাকতে পারে না। থাকা এবং জ্ঞাত হওয়া একই কথা।
আত্মগত ভাববাদের সঙ্গে বস্তুগত ভাববাদের পার্থক্য আছে বস্তুগত ভাববাদের প্রবর্তক হেগেল। আত্মগত ভাববাদের প্রবর্তক হলেন বার্কলে। বার্কলের মতবাদ অনুসারে তথাকথিত বাহ্যিক জগৎ আমাদের মনের ধারণা বা অভিজ্ঞতা। বাহ্যিক বস্তুর জ্ঞান-নিরপেক্ষ অস্তিত্ব নেই। বিষয়ের জ্ঞান আছে বলেই জ্ঞাত বিষয়ের সত্তা আছে। বস্তুগত ভাববাদ অনুসারে বস্তুর অস্তিত্ব চেতনাসাপেক্ষ। তবে এই চেতনা কোনাে ব্যক্তি বা ঈশ্বরের চেতনা নয়। বাহ্যিক বস্তু ও ব্যক্তি-চেতনা পরমব্রত্মের প্রকাশ। এজন্য বস্তু ও চেতনা উভয়ের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। কিন্তু বার্কলের আত্মগত ভাববাদে বাহ্যবস্তুর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব অস্বীকৃত।
আত্মগত ভাববাদের মূল কথা হল, জড়জগতের মনােনিরপেক্ষ সত্তা নেই। জগৎ হল ধারণাসমূহের সমষ্টি জড়বস্ত ও বস্তধর্ম ধারণা মাত্র। দৃষ্টিবাদী জ্ঞানতত্ত্ব অনুসরণ করে বার্কলে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন। জ্ঞানতত্ত্বে বার্কলে একজন দষ্টিবাদী বা অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক। লকের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে একমত যে, সংবেদন ও অন্তর্দর্শন অভিজ্ঞতা লাভের দুটি পথ। সংবেদন অননের মাধ্যমে আমরা যা পাই তা হল ধারণা। লকের মতে, ধারণা হল জ্ঞানের বিষয়। বাকলে বলেন, মন ছাড়া ধারণার অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। ধারণার অর্থ হল, কোনাে মনের ধারণা। মন বা আত্না হল ধারনার প্রত্যক্ষ কর্তা। এখন, জ্ঞেয় বস্তু যদি ধারণা হয় এবং ধারণা যদি মনের ধারণা হয় তবে বস্তুকে ধারণা বলাই যুক্তি যুক্ত । অভিজ্ঞতায় পাওয়া জগৎ প্রকৃতপক্ষে ধারণার জগৎ। মন এবং মনের ধারণাই একমাত্র তত্ত্ব। বার্কলের এই মতবাদ আত্মগত ভাববাদ নামে পরিচিত।
--- আরো দেখো ---
প্রশ্নঃ-৮ঃ দেকার্তের কার্যকরন সম্পর্কে প্রসুক্তি তত্ত্ব আলোচোনা করো ।
প্রশ্নঃ-৯ঃ লকের প্রতিরুপী বস্তুবাদের মূলতত্ত্ব আলোচোনা করো ।
প্রশ্নঃ-১০ঃ হিউমের কার্যকরন সম্পর্কে সতত সংযোগ তত্ত্ব আলোচোনা করো । এই তত্ত্বটি গ্রহন যোগ্য ?
উত্তরঃ
কার্য-কারণ সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাবাদী বা হিউমের অভিমতের দুটি দিক আছে। একটি সদর্থক দিক, অপরটি নঞর্থক দিক
(ক) নঞর্থক দিক ঃ
কারণ ও কার্যের মধ্যে অবশ্যম্ভব সম্বন্ধ খণ্ডন
(১) লৌকিক ধারণা অনুসারে কারণের মধ্যে এমন কোনাে শক্তি (power) থাকে যা সক্রিয়ভাবে কোনাে কার্য উৎপন্ন করেঃ একটি বল যখন অপর একটি বলকে আঘাত করে তখন দ্বিতীয় বলটি গতিশীল হয়। সাধারণ লােক মনে করে যে, প্রথম বলটির মধ্যে কোনাে গােপন শক্তি আছে, যা দ্বিতীয় বলটির গতিশীলতার কারণ। হিউম বলেন, কারণের মধ্যে এই জাতীয় কোনাে গােপন শক্তির অস্তিত্ব আমরা প্রথম বলে প্রত্যক্ষ করি না।
২) কার্যকারণ সম্বন্ধে বুদ্ধিবাদী তত্ত্ব যুক্তিসংগত নয় ঃ
কার্য-কারণের মধ্যে অনিবার্য সম্বন্ধ আছে বলে বুদ্ধিবাদী দাবি করেন। হিউম বলেন, অনিবার্য সম্বন্ধের মুদ্রণ আমাদের মনে নেই, অন্তর ইন্দ্রিয়জেও অনিবার্য সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায় না। সুতরাং অনিবার্য সম্বন্ধের ধারণা কাল্পনিক। আমরা কেবল কার্যকারণ সম্বন্ধে যুক্ত দুটি ঘটনার মধ্যে পূর্বাপর সম্বন্ধ প্রত্যক্ষ করি। বিষপানে মৃত্যু হয়। বিষপান ও মৃত্যুর মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ আছে। বিষপান আগে ঘটে, মৃত্যু পরে ঘটে। ঘটনা দুটির পূর্বাপর সম্বন্ধ আমাদের প্রত্যক্ষের বিষয় হয়। কিন্তু এদের মধ্যে তথাকথিত অনিবার্য সম্বন্ধ আমাদের প্রত্যক্ষের বিষয় হয় না। |
(৩) কার্যকারণ সম্বন্ধে যুক্ত এমন একটি বিশেষ দৃষ্টান্তে এমন কিছু থাকে না যার থেকে আবশ্যিক সম্বন্ধের ধারণা পাওয়া যায় ? ধরা যাক, কোনাে বস্তুকে আমি প্রথম দেখলাম। বস্তুটি কী কার্য উৎপন্ন করবে তা প্রথম প্রত্যক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা ছাড়াই যদি কার্যকারণের অনিবার্যতা বৃদ্ধির সাহায্যে জানা যেত তাহলে চিন্তা বা বুদ্ধির সাহায্যে বলে দেওয়া যেত বস্তুটি কীরূপ কার্য উৎপন্ন করবে।
(৪) অভিজ্ঞতাপূর্ব যুক্তির (apriori reasoning) সাহায্যে কারণ কার্যের মধ্যে অনিবার্য সম্বন্ধের ধারণা প্রমাণ করা যায় না কারণ ও কার্যের মধ্যে যদি অনিবার্য সম্বন্ধ থাকত তবে কারণের ধারণাকে বিশ্লেষণ করলে কার্যের ধারণা পাওয়া যেত। যেমন— ত্রিভুজের ধারণাকে বিশ্লেষণ করলে এর তিনকোণের সমষ্টি দুই সমকোণ— এই ধারণাটি পাওয়া যায়। দুধপান ও পুষ্টির মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধ আছে। কিন্তু যে ব্যক্তি দুধপানের পর পুষ্টিলাভ হয়েছে এই ব্যাপারটি বােঝেনি, সেই ব্যক্তি দুধপানের ধারণাকে যতই বিশ্লেষণ করুক না কেন তার মধ্যে পুষ্টির ধারণা পাবে না।
(৫) কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রকাশক বচনগুলি সংশ্লেষক বচন
একটি বস্তুর ধারণার মধ্যে যদি অন্য একটি বস্তুর ধারণা থাকে তবে
বস্তু দুটির সম্বন্ধ প্রকাশক বচন বিশ্লেষক বচন হবে। কিন্তু বিষপানে মৃত্যু হয়” এই কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রকাশক বচনটি বিশ্লেষণ
নয়, সংশ্লেষক বচন।
(৬) কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রকাশক বচনের অস্বীকৃতি স্ববিরােধী হয় না
আবশ্যিক বচনের অস্বীকৃতি স্ববিরােধী (self
contradictory)। ২ + ২ = ৪ —এটি একটি আবশ্যিক বচন। কেননা, এর বিপরীত বচন চিন্তা করা যায় না।
প্রশ্নঃ-১১ঃ দেকার্তের দেহ-মন-সম্পর্কে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াবাদ আলোচোনা করো। এই তত্ত্ব কী গ্রহন যোগ্য ?
প্রশ্নঃ-১২ঃ দেকার্তের বুদ্ধিবাদের মূলতত্ত্ব আলোচোনা করো । অথবা ,
বুদ্ধিবাদ অনুসারে জ্ঞানের উৎস কী? দেকার্তের বুদ্ধিবাদ আলােচনা করাে।
উত্তর : বুদ্ধিবাদ অনুসারে যথার্থ জ্ঞানের একমাত্র উৎস হল বুদ্ধি বা প্রজ্ঞা। ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান অনিশ্চিত, সংশয়াত্মক এই জ্ঞান বা ভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা কখনও সার্বিক ও আবশ্যিক জ্ঞান দিতে পারে না। আবশ্যিকতা ও সার্বিকতা যor জ্ঞানের লক্ষণ। বুদ্ধির সাহায্যে এই জ্ঞান পাওয়া যায়। সক্রেটিস ও প্লেটো প্রাচীন গ্রিক বুদ্ধিবাদী দার্শনিক। দেকার্ত, ভলফ, স্পিনােজা ও লাইবনিজ হলেন আধুনিক বুদ্ধিবাদী দার্শনিক। তারা সকলেই এবিষয়ে একমত যে, কেবল বুদ্ধি যথার্থ, সুনিশ্চিত ও সার্বিক জ্ঞান দিতে পারে।।
দেকার্তের অভিমতঃ
দেকার্ত আধুনিক পাশ্চাত্ত্য দর্শনের জনক। তিনি ফরাসি দার্শনিক এবং গণিতজ্ঞ। তিনি মনে করেন, কেবলমাত্র গণিতশাস্ত্র যথার্থ জ্ঞান দিতে পারে। গাণিতিক জ্ঞান সর্বজনীন ও আবশ্যিক। এই জ্ঞান ভ্রান্ত হতে পারে না। 2 + 2 = 4 বা ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ’ —এই বচনগুলি সার্বিক সত্য প্রকাশ করছে। দর্শন যথার্থ জ্ঞান দিতে চায়। তাই তার মডেল হবে গণিতশাস্ত্র। গাণিতিক অবরােহ পদ্ধতি হবে দর্শনের একমাত্র পদ্ধতি। দেকার্তের উদ্দেশ্য ছিল দর্শনকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করা। এইজন্য তিনি সংশয় পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। দেকার্ত সংশয় পদ্ধতি প্রয়ােগ করে ‘আমি চিন্তা করি অতএব আমি অস্তিত্বশীল’ (I think, therefore, I am : Cogito ergo sum) এই মহাসত্যে উপনীত হলেন। সংশয় পদ্ধতি ও গাণিতিক অবরােহ পদ্ধতি প্রয়ােগ করে দেকার্ত দেখালেন যে, কেবলমাত্র বুদ্ধির সাহায্যে সার্বিক ও সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা যায়। ইন্দ্রিয়ানুভব ছাড়াই বুদ্ধি তার সহজাত ধারণার সাহায্যে সুনিশ্চিত জ্ঞান লাভ করতে পারে। এই প্রসঙ্গে দেকার্ত তিন শ্রেণির ধারণার উল্লেখ করেন। যথা, কৃত্রিম, আগন্তুক ও সহজাত ধারণা।
(১) কৃত্রিম বা কাল্পনিক ধারণা ঃ একাধিক ধারণাকে কল্পনার সাহায্যে যুক্ত করে মন যে নতুন ধারণা গঠন করে তাকে কাল্পনিক
ধারণা বলে। যেমন, সােনার পাহাড়, পরি, পক্ষীরাজ ঘােড়া ইত্যাদি।
(২) আগন্তুক ধারণাঃ বাহ্যিক জগৎ থেকে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে পাওয়া ধারণাকে আগন্তুক ধারণা বলে। যেমন নদী, পাহাড়, বৃক্ষ
প্রভৃতি ধারণা।
(৩) সহজাত ধারণাঃ
ইন্দ্রিয়ানুভবের সাহায্য গ্রহণ না করেই বুদ্ধি এইরকম ধারণার সৃষ্টি করে। যেমন, নিত্যতা, অসীমতা প্রভৃতি সহজাত ধারণা থেকে, অবরােহ পদ্ধতির সাহায্যে, যথার্থ ও সার্বিক জ্ঞান ধারণা পাওয়া যায়। ।
সমালােচনা ও ‘আমি চিন্তা করি, অতএব আমি অস্তিত্বশীল’, এই সত্যের ওপর ভিত্তি করে কেবল নিজের অস্তিত্বকেই প্রমাণ করা যায়। তাই বাহ্যিক জগতের অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য দেকার্তকে ঈশ্বরের অবতারণা করতে হয়েছে। দেকার্তের দর্শনে স্পষ্টতা ও প্রাঞ্জলতা বচনের সত্যতার মাপকাঠি। কিন্তু স্পষ্টতা ও প্রাঞ্জলতা সত্যতার মাপকাঠি হতে পারে না। এমন অনেক বৈজ্ঞানিক বচন আছে যেগুলিকে এক সময়ে স্পষ্ট বলে সত্য বলা হত, কিন্তু পরবর্তীকালে বচনগুলি ভান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। যেমন, টলেমির সময়ে ভাবা হত সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। কোপারনিকাস এই বাক্যটিকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিপরীত মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। দেকার্ত মনে করেন, সহজাত ধারণার সাহায্যে অবরােহ পদ্ধতি প্রয়ােগ করে বুদ্ধি যথার্থ জ্ঞান লাভ করে। দেকার্তের এই মন্তব্য সত্য হলে তাকে আর ঈশ্বরের অবতারণা করতে হত না। তা ছাড়া যদি আমরা সহজাত ধারণার সাহায্যে জ্ঞান লাভ করি তাহলে আমাদের
জ্ঞান ভ্রান্ত হয় কেন? এইসব কারণে দেকার্তের মত যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে হয়।
প্রশ্নঃ-১৩ঃ সবিচারবাদের মূলতত্ত্ব আলোচোনা করো । এই তত্ত্ব কি গ্রহনযোগ্য ?
প্রশ্নঃ-১৪ঃ জ্ঞানোৎপত্তি সংক্রান্ত দেকার্তের মতবাদটি আলোচনা করো ।
প্রশ্নঃ১৫ঃ হিউমের অভিজ্ঞতাবাদ আলোচনা করো
প্রশ্নঃ-১৬ঃ কার্যকরন সম্বন্ধ বিষয়ে হিউমের অভিমত আলোচোনা করো ।
প্রশ্নঃ-১৭ঃ ‘জানা’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ।
জানা’ এই ক্রিয়াবাচক শব্দের বিভিন্ন অর্থ
জ্ঞানতত্ত্বের একটি মৌলিক প্রশ্ন হল — জ্ঞান কী? বা জ্ঞানের স্বরূপ কী? জ্ঞানের স্বরূপ জানা’ প্রত্যয়টি বিশ্লেষণ করে বােঝা যেতে পারে। জানা’ প্রত্যয়টির বিশ্লেষণ করতে হলে প্রত্যয়টির বিভিন্ন প্রয়ােগ উল্লেখ করতে হয়। জানা এই ক্রিয়াবাচক পদটির বিভিন্ন প্রয়ােগ লক্ষ করা যায়। জন হসপার্স জানা’ শব্দটির তিনটি মুখ্য ব্যবহার বা অর্থ উল্লেখ করেছেন ও পরিচয়, কর্মকুশলতা ও বাচনিক অর্থ।
‘জানা এই ক্রিয়াবাচকপ্রদটি পরিচয়’ (acquaintance) অর্থে প্রয়োেগ
‘জানা এই ক্রিয়াবাচকপদটি পরিচিতি (acquaintance) অর্থে ব্যবহৃত হয়। কোনাে ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় থাকলে আমরা বলি ওই ব্যক্তিটিকে জানি। পরিচয়’ শব্দটিকে কখনও সংকীর্ণ অর্থে, কখনও আবার ব্যাপক অর্থে প্রয়ােগ করা হয়। সংকীর্ণ অর্থে ‘পরিচয়’ বলতে, সাক্ষাৎ-পরিচয়কে বােঝায়। এই অর্থে বলা হয় আমি রামকে জানি’, ‘আমি ছাত্রটিকে চিনি। এই অর্থে কোনাে ব্যক্তি বলবে না যে, তার সঙ্গে জুলিয়াস সিজারের পরিচয় আছে। আমি শ্যামলকে জানি’ —এই বাক্যে, জানা শব্দটি পরিচয়’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘পরিচিতি’ শব্দটিকে কখনাে কখনাে কিছুটা ব্যাপক অর্থে গ্রহণ করা হয়। এই অর্থে আমি রবীন্দ্রনাথকে জানি। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ-পরিচয় ঘটতে পারে না, তবু আমি জানি যে, তিনি একজন শ্রেষ্ঠ কবি যিনি নােবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে বলেই আমি তাঁর সম্বন্ধে এসব কথা বলতে পারি।
জানা’ পদটির কর্মকুশলতা’ অর্থ ঃ
‘জানা’ পদটিকে কখনাে কখনাে কর্মকুশলতা (knowing how) অর্থে ব্যবহার করা হয়। এই অর্থে আমরা বলি, তুমি কি সাঁতার কাটতে জানাে?’, ‘তুমি কি ঘােড়ায় চড়তে জানাে?' ইত্যাদি। এই ক্ষেত্রে জিজ্ঞাস্য হল তােমার সাতার কাটার সামর্থ্য (ability) আছে কিনা, বা তােমার ঘােড়ায় চড়ার কৌশল জানা আছে কিনা। উত্তরদাতা এই সামর্থ্যের অধিকারী কিনা তা তার সাঁতার কাটা বা ঘােড়ায় চড়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। দৃষ্টান্ত ও (১) “আমি সাইকেল চালাতে জানি। (২) আমি সাঁতার কাটতে জানি। উল্লিখিত বাক্য দুটিতে ‘জানা’ শব্দটি সামর্থ্য (ability) বা কৌশল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
‘জানা’ পদটির বাচনিক অর্থ
জানা’ পদটিকে প্রায়ই বাচনিক জ্ঞান অর্থে (propositional sense) ব্যবহার করা হয়। এই ক্ষেত্রে জানার বিষয় হল কোনাে বচন (proposition) at Caican Troll (facts) | এই অর্থে আমরা বলি যে—
(১) আমি জানি যে, রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলির রচয়িতা।
২) আমি জানি যে, রবীন্দ্রনাথ একজন কবি।
(৩) আমি জানি যে, আমার মাথা ধরেছে।
প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আমি জানি যে এই বাক্যাংশের পরের অংশটি কোনাে বচন বা কোনাে তথ্য (fact)। এই ক্ষেত্রে আমি ওই তথ্য বা বচনগুলিকে জানি। এই ক্ষেত্রে জানা’ পদটিকে বাচনিক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
উত্তরের জন্য নীচের লিংকে click করো
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) Philosophy General , BA 2nd Semester (Philosophy ) Suggestions .
No comments