Final Activity Task Madhyamik || Class X || madhymik
Activity Task ( Bengali )
2021
Official Website থেকে Activity Task , Download করার জন্য নীচের Link এ ক্লিক করুন
Model Activity Task
অন্য সকল বিষয়ের উত্তরের জন্য নীচের Click করো
বাংলা (প্রথম ভাষা)
দশম শ্রেণি
পূর্ণমান-৫০
1}). ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ তপনের লেখা যে গল্পটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল—
ক) রাজা ও রানি
খ) অ্যাকসিডেন্ট
গ) প্রথম দিন
ঘ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
১.২ পাঠ্য 'অসুখী একজন' কবিতাটির অনুবাদক
ক) শঙ্খ ঘোষ
খ) নবারুণ ভট্টাচার্য
খ) উৎপলকুমার বসু
ঘ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
১.৩ ‘আফ্রিকা' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে—
ক) মানসী
খ) চিত্রা
গ) পত্রপুট
ঘ) নৈবেদ্য
১.৪ ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস' কথাটি বলতেন—
ক) ওয়াটারম্যান
খ) লর্ড কার্জন
গ) উইলিয়াম জোন্স
ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস
১.৫ যে কাব্যগ্রন্থটি শঙ্খ ঘোষের লেখা নয়
ক) দিন ও রাত্রি
খ) দিনগুলি রাতগুলি
গ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ
ঘ) ধূম লেগেছে হূৎ কমলে
২. কম-বেশি ২০টি শব্দের উত্তর লেখো :
২.১ ‘সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ’ – কথাটির অর্থ কী?
উঃ - লেখক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে আলােচ্য উক্তিটিতে ‘লিপি-কুশলী বা ওস্তাদ কলমবাজদের সুন্দর হস্তাক্ষরের উদাহরণ প্রসঙ্গে বলেছেন “সমানি সম শীর্ষানি ঘনানি বিরলানি চ।” এর অর্থ সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন।
২.২ ‘আফ্রিকা' কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল?
উঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আফ্রিকা কবিতাই সাম্রাজ্য লোভী ক্ষমতাবান ইউরোপিয় রা যে গুপ্ত গহ্বর থেকে পশুর মত অশুভ ধ্বনিতে আফ্রিকা সভ্যতা ও সমাজের অন্তিম বার্তা ঘোষিত করেছিল।
২.৩ 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি' কবিতায় কবি ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ বলতে কী নির্দেশ করেছেন?
উঃ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতায় পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ বলতে বোঝানো হয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনের চলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপে নানান বাধা ও প্রতিকূলতা প্রতিমুহূর্তে বরফের দেয়ালের মতোই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এবং সাধারণ মানুষের জীবনে চলার পথে এসব বাধা, বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে হিমানীর বাঁধের সঙ্গে তুলনা করে বোঝানো হয়েছে।
২.৪ ‘মাভৈঃ মাভৈ:’ – এমন উচ্চারণের কারণ কী?
উত্তরঃ উক্ত উদ্ধৃতিটি) বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রলয়োল্লাস কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
এখানে যে "মাভৈঃ" শব্দের কথা উল্লেখ করা আছে, তার অর্থ হল - "ভয় পেও না" অথবা "ভয় করো না"।
শিবের রুদ্ররুপের বর্ণনা করা হয়েছে যা কিনা ধ্বংসলীলায় উন্মত্ত। এই ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে পৃথিবীর জীবকুল ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। এই ভীতসন্ত্রস্ত জীবকুলকে অভয় দিয়ে কবি বলতে চেয়েছেন যে ভয় পাওয়া অমূলক কারণ এই ধ্বংসের পেছনে লুকিয়ে আছে নতুন সৃষ্টির (ভারতের স্বাধীনতা) আগমন।
২.৫ ‘...দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল, – বন্ধুদের কোথা থেকে আসার কথা ছিল?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী গল্পে উল্লেখিত অংশে উদ্ধৃত লাইনটি আমরা দেখতে পাই। বন্ধুদের এনাঞ্জাং থেকে আসার কথা ছিল।
প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :. ৩× ২ = ৬
৩.১ ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর।' – কার জয়ধ্বনি করতে কবির এই আহবান? কেন তার ‘জয়ধ্বনি করতে হবে?
উ:- উদ্ধৃত অংশটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।
কালবৈশাখীর ঝড়ের মত এসে পরাধীন ভারতবর্ষকে বন্দিত্বের শিকল থেকে মুক্ত করতে পারবে এমন ক্ষমতাসম্পন্ন, একদল নবাগত তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য কবি সমগ্র পরাধীন ভারতবাসীকে জয়ধ্বনী করতে বলেছেন।
কবি দেখেছেন, ইংরেজদের কবলে পরাধীন ভারতবর্ষ অন্যায়,অবিচার,বৈষম্য প্রভৃতি সামাজিক অ-সুন্দরে ভরে উঠেছে। এই সমস্ত পাপাচার মুছে দেওয়ার ক্ষমতা প্রাচীনপন্থী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নেই। তাই কবি পরাধীন ভারতবর্ষের চোখে আশার বাণী হিসেবে তুলে ধরেছেন ভয়ঙ্কর ক্ষমতা সম্পন্ন একদল নবাগত তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বরূপ। কবি জানেন এই নবাগত স্বাধীনতা সংগ্রামীরাই একমাত্র পারবে ঝড়ের মত এসে সমাজের যাবতীয় অসুন্দরকে ধ্বংস করে, পুরাতন জরাজীর্ণ মনোভাবের মূলে কুঠারাঘাত করে,ভারতবর্ষের পরাধীনতার লাঞ্ছনা মুছে দিয়ে স্বাধীনতার কেতন ওড়াতে। তাই কবি এই নবাগত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য সমগ্র পরাধীন ভারতবাসীকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।
২.৪ ‘কিন্তু ইহা যে কতোবড়ো ভ্রম…’ কোন্ ভ্রমের কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
৩.২ ‘খুবই গরিব মানুষ হরিদা।
হরিদার পরিচয় দাও। তাঁর দারিদ্র্যের ছবি 'বহুরূপী' গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে?
উত্তর : জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা I তিনি খুবই গরিব মানুষ। পেশাগত দিক থেকে তিনিএকজন বহুরূপী।
গল্পের নায়ক হরিদা পেশায় ছিলেন একজন বহুরূপী। কিন্তু বহুরূপী সেজে তার খুব বেশি অর্থ উপার্জন হতো না। যদিও হরিদা শিল্পীসুলভ নেশার টানে কখনও পাগল, বাউল বা কাপালিক সাজেন, কখনও বা সাজেন বুড়ো কাবুলিওয়ালা, পুলিশ বা রূপসি বাইজি। পরিচিতরা তার এই বহুরূপীর সাজে মুগ্ধ হলে এক আনা বা দু-আনা বকশিশ দিত । অপরিচিতরা বিরক্তির সঙ্গে হাতে তুলে দেয় দু-একটা পয়সা। সপ্তাহের একটা দিনের এই সামান্য রোজগারে হরিদার সংসারের দুঃসহ অভাব আর ঘোচে না। সারা সপ্তাহের ক্ষুধানিবৃত্তির অন্নসংস্থান হয় না। তাই হরিদার উনানের হাঁড়িতে অনেক সময় শুধু ফেলার জল ফোটে, ভাত ফোটে না।
৪. কমবেশি ১২৫ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও।
‘মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ-সঞ্চালনে ভূমিকম্প। – উদ্ধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। -
উত্তর : শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে ঘসেটি বেগম চরিত্রটি একজন স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসাপরায়ণা ও কূটনারী চরিত্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে। নবাব আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা মেহেরুন্নিসা ওরফে ঘসেটি বেগম ছিলেন সম্পর্কে সিরাজের মাসি। ঘসেটি চেয়েছিলেন আলিবর্দির অবর্তমানে বাংলার মসনদে বসবেন তার স্বামী। কিন্তু স্বামীর অকালমৃত্যুতে তার সেই ইচ্ছাপূরণ হয়নি। অন্যদিকে তার পুত্রেরও মসনদপ্রাপ্তি অধরাই থেকে যায়। বোন আমিনার ছেলে সিরাজ মসনদে অধিষ্ঠিত হলে ঘসেটি বেগম ক্রুদ্ধ ও হিংস্র হয়ে ওঠে এবং সে সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
প্রতিহিংসাপরায়ণা : ঘসেটি সিরাজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও অভিসম্পাত করেছে কিন্তু রাজনৈতিক কারণেই সিরাজ ঘসেটিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। তাতে ঘসেটি আরও প্রতিহিংসাপরায়ণা হয়ে ওঠে। ঘসেটির মুখেই সেই প্রতিহিংসার কথা প্রকাশ পায়–“আমার রাজ্য নাই, তাই আমার কাছে রাজনীতিও নাই আছে শুধু প্রতিহিংসা।” এই প্রতিহিংসা তার পূর্ণ হবে সেইদিন যেদিন সিরাজের প্রাসাদ অপরে অধিকার করবে, তাঁকে সিংহাসন থেকে ঠেলে ফেলে শওকতজঙ্গের মতো কেউ হত্যা করবে। সিরাজ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে সে ছিল প্রধান ব্যক্তি।
দেশদ্রোহী : ঘসেটি চেয়েছিল অপুত্রক আলিবর্দির অবর্তমানে সিংহাসনের অধিকার পাবে তার স্বামী, তা না হলে পালিত পুত্র শওকতজঙ্গের সম্ভাবনাও যখন সিরাজের কারণে অসম্ভব হয়, তখন নবাব-বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে, ইংরেজ তোষণে বাংলার পতন ডেকে আনতেও পিছপা হয়নি সে।
অমানবিক: শুধুমাত্র রাজ্যলোভে সন্তানতুল্য সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ঘসেটি। এই চরিত্রে নারীসুলভ ও মাতৃত্বসুলভ মনোবৃত্তি বিলুপ্ত হয়ে কর্কশ নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে। ঘসেটির সঙ্গে থাকতে লুৎফ্ফার ভয় হয়। “মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প!” নবাবের সকল চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রধান বিদ্রোহিণী ছিলেন ঘসেটি বেগম।
স্বার্থান্বেষী : স্নেহময়ী নারীর কোনো স্বভাববৈশিষ্ট্য ঘসেটির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই সে মানবী নয়, দানবী। সিরাজ তাকে মায়ের সম্মান দিয়েছিলেন কিন্তু ঘসেটির মধ্যে মায়ের স্নেহ ছিল না। ছিল তীব্র প্রতিহিংসার দহনজ্বালা। এক কুচক্রী স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসাপরায়ণা কূট নারী হিসেবেই নাট্যাংশে ঘসেটির উপস্থিতি। ঘসেটির চরিত্রে যুগোপযোগিতা ও বাস্তবতার প্রমাণ এই যে, সিরাজের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পথকে প্রশস্ত করেছিল।
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) ৫ x ২ = 10
৫.১ ‘দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল, তা ‘আফ্রিকা' কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।
উঃ-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের অত্যাচার ও শোষণ-বঞ্নার কাহিনিকে বর্ণনা করেছেন । প্রাকৃতিকভাবে দুর্গম আফ্রিকা দীর্ঘসময় ইউরোপীয় শক্তিগুলির নজরের বাইরে ছিল । কিন্তু উনিশ শতকে ইউরোপীয়রা আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে । এই শতকের শেষে প্রায় পুরো আফ্রিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশে পরিণত হয় । এইসব তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্রশক্তি আফ্রিকার মানুষদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাত । তাদের নির্লজ্জ লোভ যেন বর্বরতার রূপ ধরে আত্মপ্রকাশ করেছিল । ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল আফ্রিকার মানুষ । তাদের রক্ত আর চোখের জলে কর্দমাক্ত হয়েছিল আফ্রিকার মাটি । সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রনায়কদের কাঁটা-মারা জুতোর নীচে বীভৎস কাদার পিণ্ড যেন চিরকালের মতো অত্যাচারের চিহ্ন রেখে গিয়েছিল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে ।
৫.২ ‘বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে।'— বক্তা কে? কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে একথা বলেছে?
উ:- উদ্ধৃতাংশটি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র গল্প চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ থেকে গৃহীত হয়েছে।
উদ্ধৃতাংশে উল্লেখিত মন্তব্যের বক্তা অপূর্বর বন্ধুপ্রতিম সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর।
একদিন টিফিনের সময় অপূর্ব তার সহকর্মী বন্ধু রামদাস তলওয়ারকরকে ‘পলিটিকাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে গ্রেপ্তার করার নামে পুলিশের চরম আহাম্মকীর এক গল্প শোনায়। সেই গল্পে উঠে আসে বিরাট মাপের পলিটিক্যাল সাসপেক্ট-কে ধরতে গিরিশ মহাপাত্রের মতো নিরীহ,সাধারণ মানুষকে ধরে, উৎপীড়ন করে পুলিশের চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। অপূর্ব জানায়, এই পুলিশরা তার নিজের আত্মীয় তথা বাংলার পুলিশ তাই তাদের এই আহাম্মকের মতো কান্ড-কারবার অত্যান্ত লজ্জা দায়ক।এই আহম্মক পুলিশেরা অত্যান্ত আপনজন হলেও যাকে গ্রেপ্তার করার জন্য তারা উদ্গ্রীব সেই স্বাধীনতা সংগ্রামী তার কাছে অনেক বেশী আপন কারণ, যে মানুষটি তার সর্বশক্তি উজাড় করে এই পরাধীন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য উদগ্রীব সচেষ্ট অপূর্বর কাছে তার সম্মান সব থেকে বেশি। অন্যদিকে, ইংরেজদের চাটুকারিতা করে যে দেশজ পুলিশরা এই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গ্রেপ্তার করতে ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামকে স্তব্ধ করতে বদ্ধপরিকর তারা যত আপন-ই হোক না কেন অপূর্ব তাদেরকে সমর্থন করে না।
অপূর্বের মুখ থেকে এই কথার প্রসঙ্গ ধরেই রামদাস আ্লোচ্য উক্তিটি করে- “বাবুজি এসব কথা বলার দুঃখ আছে’। অর্থাৎ, ইংরেজ শাসকদের কাছে রাজদ্রোহকে রাজদ্রোহীর অপরাধের সমান অপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে। অপূর্বের জীবনে দুঃখ ঘনিয়ে আসতে পারে।
৬. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দ):
‘ক্ষিদা, এবার আমরা কী খাব?' – উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
উ:- উদ্ধৃতাংশটি প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক মতি নন্দী রচিত ‘কোনি’ উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে।
উপন্যাসের শুরুতেই বারুনির আম কুড়ানোর মধ্য দিয়ে আমরা কোনির দারিদ্রপিড়িত,যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবনযাত্রার পরিচয় পাই। পরে একমাত্র রোজগেরে দাদার মৃত্যুযন্ত্রণাকে সামনে রেখে- ‘ক্ষিদ্দা এবার আমরা কী খাবো” কোনির এই নিদারুণ আর্তনাদের মধ্য দিয়ে আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে কোনির জীবনযাত্রার উপাখ্যান।কোনিদের সাত ভাই বোনের এক বিরাট সংসার। সেখানে খেতে না-পাওয়ার যন্ত্রনা নিত্যসঙ্গী। বাবা যক্ষায় মারা যাওয়ার পর কোনির বড় দাদা কমল সংসারের দায়িত্ব ধরেছিল। তাদের নেই কোনো প্রকার খাদ্যের সংস্থান।রোজকার দু-বেলা খাওয়া কোনিদের হয়ে ওঠেনা৷ কাচা লঙ্কা, কাচা পেঁয়াজ, ফ্যান, সামান্য ভাত আর তেতুল এইটুকুই তাদের সংসারের পাঁচটি প্রাণীর বাঁচার উপাদান।তাদের জীবনযাত্রার মধ্যেও আছে নিদারুণ অভাবের ‘ছাপ। বস্তির মধ্যে, থকথকে নর্দমার পাশে কোনি ঘর। সেই ঘরে আছে একটিমাত্র তক্তপোশ। চিটচিটে কয়েকটা বালিশ। একটি ঘরেই থাকা-খাওয়া সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম। প্রত্যেক পদক্ষেপে অভাব ছিল কোনিদের জীবনের চূড়ান্ত বাধা। এই বাধাই কোনির দাদা কমলের সাঁতারু স্বপ্নকে অকালেই পঙ্গু করে দিয়েছিল। কোনির বাকি ভাই বোনের জীবনেও এভাবেই নেমে এসেছিল শিক্ষা-দিক্ষা, রুচিহীন নিদারুণ শৈশব। এই অবস্থায় হঠাৎ করে কমলের মৃত্যুর হলে কোনিরা এখন চূড়ান্তভাবে আশ্রয়হীন, অভিভাবকহীন।তাই, ক্ষিতীশ সিংহের কাছে কোনির চূড়ান্ত হাহাকারের। মধ্য দিয়ে আশ্রয়হীন,খাদ্যসংস্থান হীন, এক নিদারুণ দারিদ্র্যপীড়িত জীবনযাত্রার পরিচয় পাওয়া যায়।
9. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও. ১ × ৩ = ৩
৭.১ অনুসর্গ হলো একপ্রকার
(ক) বিশেষ্য পদ
(খ) বিশেষণ পদ
(গ) সর্বনাম পদ
(ঘ) অব্যয় পদ
৭.২ ‘বিভক্তি কখনোই লুপ্ত হয় না—
(ক) কর্মকারকে
(খ) করণ কারকে
(গ) সম্বন্ধ পদে
(ঘ) কর্তৃকারকে
৭.৩ নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো
(ক) হইতে
(খ) কর্তৃক
(গ) জন্য
(ঘ) সবগুলি
t. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :
ভোজ্যবস্তু - ভোজের বস্তু - সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
পোশাক-পরিচ্ছদ, - পোশাক ও পরিচ্ছদ -দ্বন্দ্ব সমাস
সন্ধ্যাহ্নিক - সন্ধ্যায় পালনীয় আহ্ণিক – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
৯. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা করো : লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের।
লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল
১০. বঙ্গানুবাদ করো :
Home is the first School where the Child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. It is home that builds his Character. In a good home honest and healthy men are made.
উঃ– গৃহ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম বিদ্যালয় , যেখানে শিশুরা তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে। শিশু দেখে , শুনে এবং সেখানেই তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু করে। গৃহ হল এমন এক স্থান যেখানে শিশুদের চরিত্র গঠন হয়। উন্নতমানের পরিবার সৎ এবং সুস্থ মানুষ তৈরি করে।
** মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ || অধ্যায় - ৪ ( অভিব্যাক্তি ও অভিযোজন )
** Some Important Questions on Physical Science || ভৌত বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন প্রশ্নাবলী
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
No comments