Compulsory Bengali (1) ( আবশ্যিক বাংলা ) Suggestion for 6th Semester of Calcutta University under CBCS System Compulsory Bengali Suggestions( BA General ) with Answer
BA 6th Semester Compulsory Bengali Suggestions(BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সাজেশন ) – প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই BA 6th Semester Compulsory Bengali Suggestions(BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সাজেশন ) Answer গুলি আগামী BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা BA 6TH SEMESTER আবশ্যিক বাংলা পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।
6th Sem (Bengali Compulsory)
সাময়িক পত্র
সাময়িক পত্র
বাংলা সাময়িক পত্রের উদ্ভব ও বিকাশ
← ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন
(প্রতিটির মান ১০)
প্রশ্ন : ১। বাংলা গদ্যের বিকাশে উনিশ শতকের বিভিন্ন সাময়িক পত্রের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো।
উত্তর : ভারতে অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকেই শুরু হয় সংবাদপত্র প্রকাশের চেষ্টা।
ইংরেজি ভাষায় বাংলার খবর প্রকাশের জন্য হিকির সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় 'Bengal Gazette' ( ১৭৮০)। এরপর ১৭৮০-৯৯ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে প্রায় ৯টি ইংরেজি ভাষার বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (b/>) গ্রন্থে বাংলা সাময়িকপত্রের উদ্ভব ও বিকাশের ধারাটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন |
* প্রথম পর্ব: ‘দিগ্দর্শন' (১৮১৮) - – ‘সমাচার চন্দ্রিকা' (১৮২২)। ★ দ্বিতীয় পর্ব: সম্বাদ তিমিরনাশক' (১৮২৩) ‘সংবাদ প্রভাকর' (১৮৩১)।
★ তৃতীয় পর্ব: জ্ঞানান্বেষণ' (১৮৪৩) – - ‘তত্ত্ববোধিনী' (১৮৪৩)।
এটি উনিশ শতকের প্রথমার্ধে প্রকাশিত সাময়িক পত্রের প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধেও প্রকাশিত হয় বেশ কিছু সাময়িক পত্র, যা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে গুরুত্বের দাবী রাখে, যেমন-‘বঙ্গদর্শন', 'ভারতী' ইত্যাদি। এই আলোচনাটিতে উনিশ শতকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাময়িক পত্রিকা এবং বাংলা গদ্যের বিকাশ ও সাহিত্যের উৎকর্ষতায় তাদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
‘দিগদর্শন'
★ প্রকাশকাল: ১৮১৮, ৩রা এপ্রিল।
★ সম্পাদক : শ্রীরামপুর মিশন দ্বারা প্রকাশিত এবং জন ক্লার্ক মার্শম্যান-এর সম্পাদনায় পত্রিকাটির প্রকাশ।
★ ধরন: মাসিক পত্রিকা।
পত্রিকাটির দ্বিভাষিক (বাংলা-ইংরেজি) ও ইংরেজি সংখ্যা প্রকাশিত হত। এটি তরুণদের মানসিক উৎকর্ষসাধন করতে চেয়েছিল। মার্শম্যান সম্পাদক হলেও এটিতে যাঁরা লিখতেন। তারা ছিলেন বাঙ্গালী বেতনভুক পণ্ডিত, যেমন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য, জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। তাই এই পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলা ভাষা সহজবোধ্য, বিদেশীদের বাংলা রচনার মত জড়তাদুষ্ট নয়।
'সমাচার দর্পণ':
★ প্রকাশকাল : ১৮১৮, ২৩মে।
★ সম্পাদক : জে. সি. মার্শম্যান।
* ধরন : সাপ্তাহিক।
★ মূল্য : ৩৭ পয়সা।
* পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৪।
* 'সমাচার-দর্পণ'-কে প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র বলা সমীচীন নয়। কারণ এর পূর্বে একটি মাত্র বাংলা পত্রের সন্ধান মেলে, যদিও তার পুথি পাওয়া যায়নি। পত্রিকাটি হল 'বাঙ্গাল গেজেটি'। ১৮১৮ সালে প্রকাশ পেয়ে ১৮৪১ সাল অবধি চলার পরে ১৮৪২-এর জানুয়ারি থেকে ভবভূতিচরণ চট্টোপাধ্যায়ের দায়িত্বে দু'বছর (১৮৪২-১৮৪৪) চলে পত্রিকাটি। মে, ১৮৫১-তে শ্রীরামপুর মিশন গোষ্ঠীবদ্ধভাবে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় এবং ১৮৫৩ সালে পত্রিকাটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
* আন্তর্জাতিক খবর, বিনোদন, চুটকী এই পত্রে স্থান পেত। রামমোহন রায়ের সঙ্গে 'সমাচার দর্পণ'-এর হিন্দুধর্মবিরোধী গোঁড়ামির মতামত ছিল প্রতিস্পর্ধী। তবে, এই পত্রিকার ভাষাও ছিল সরল ও বোধগম্য।
‘সম্বাদ কৌমুদী'
★ প্রকাশকাল : ৪ ডিসেম্বর, ১৮২১।
★ সম্পাদক : কলুটোলার তারাচাঁদ দত্ত, ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
★ ধরন: সাপ্তাহিক।
★ উদ্দেশ্য হিন্দুধর্মকে নীচ প্রমাণ করে খৃষ্টধর্মের প্রচারক।
'সমাচার দর্পণ'-এর বিরোধিতা করবার জন্য যে তাগিদ বাঙালী জাতি অনুভব করেছিল, এই পত্রিকা তারই ফলজাত। 'লোকহিত সাধন', 'এতদ্দেশীয় লোকেদের জ্ঞান সীমা বিস্তার’ এগুলিও তাদের লক্ষ্যভুক্ত ছিল। রামমোহন রায় এই পত্রিকার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যুক্ত থাকলেও সতীদাহ আইন প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে সম্পাদকদের বিবাদ তীব্র হয়।
‘সমাচার চন্দ্রিকা'
★ প্রকাশকাল : ৫ মার্চ, ১৮২২
* সম্পাদক : ভবানীচরণ চট্টোপাধ্যায়।
* ধরন : ১৮২৪-এ দৈনিক হিসাবে প্রকাশিত, পরে সাপ্তাহিক বা অর্ধ-সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে।
* ‘সম্বাদ কৌমুদী' থেকেই রামমোহন রায় ও তাঁর অদি-প্রগতিশীল ভাবনাচিন্তার সঙ্গে ভবানীচরণ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর হিন্দুত্ববাদী গোঁড়া মনোভাবের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। নিজ মতকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাই ভবানীচরণের উদ্যোগে এই পত্রিকাটি চালু হয়। দেশীয় ঐতিহ্য, ধর্ম, সংস্কৃতি, আচার-আচরণকে ফিরিয়ে এনে বিদেশী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিসর্জন করাকে এই পত্রিকাটি গুরুত্ব দিত। হিন্দু রক্ষণশীল সমাজের মুখপত্র ছিল পত্রিকাটি। প্রগতির বিরোধিতা সত্ত্বেও সমকালে পত্রিকাটি ছিল খুবই জনপ্রিয়। সকলের কাছে পৌঁছোনোর লক্ষ্যে ভাষার সারল্য তাই ছিল অন্যতম মাপকাঠি — যা পরোক্ষে বাংলা গদ্যকে পুষ্ট করেছে।
‘সংবাদ প্রভাকব’
‘তত্ত্বোবোধিনী’র আবির্ভাবের পূর্বাবধি যতগুলি সাময়িক পত্র প্রকাশিত হয়েছে তাদের মধ্যে 'সংবাদ প্রভাকর'-এর স্থান সর্বোচ্চ বললে অতিশয়োক্তি করা হয় না। সংবাদ প্রকাশের প্রথম সচেতন প্রচেষ্টা চোখে পড়ে এই পত্রে।
★ প্রকাশকাল : ২৮ জুন, ১৮৩১।
★ সম্পাদক : ঈশ্বর গুপ্ত ।
★ ধরন: সাপ্তাহিক।
* রঙ্গব্যঙ্গের মাধ্যমে গম্ভীর বিষয় আলোচনা, সাহিত্য চর্চা, নবীন লেখকদের গুরুত্ব প্রদান, সংবাদকে বাণিজ্যিক করে তোলা ইত্যাদি এই পত্রিকার উল্লেখযোগ্য অবদান। আজ যাকে সাংবাদিকতা বলে, তা আমাদের দেশে প্রভাকরের পৃষ্ঠায় প্রথম আত্মপ্রকাশ করে।
জ্ঞানান্বেষণ'
* প্রকাশকাল : ১৮ জুন, ১৮৩১।
★ সম্পাদক : দক্ষিণানন্দন (পরে 'দক্ষিণারঞ্জন') মুখোপাধ্যায়।
★ ধরন : সাপ্তাহিক।
★ পত্রিকাটি ছিল ইয়ং বেঙ্গল'-দের মুখপত্র।
‘সম্বাদ রসরাজ'
★ প্রকাশকাল : ১৯ নভেম্বর, ১৮৩৯।
★ সম্পাদক : কালীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও সর্বেসর্বা ছিলেন গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য।
ধরন: সাপ্তাহিক ।
* এই পত্রিকাটিকে ঘিরে বিতর্ক ও অখ্যাতি দেখা গিয়েছে নানা সময়। সামাজিক অস্থিরতা, রাজনীতি, কোম্পানীর শাসন ইত্যাদি বিতর্কিত ও গুরুতর বিষয়কে তুলে ধরত • পত্রিকাটি। ভাষাগত অশ্লীলতা ও কুরুচিকর মাত্রা ভাষার অন্য একটি দিককে উদ্ঘাটিত করে।
‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’
★ প্রকাশকাল : ১৮৪৩ খ্রীষ্টাব্দের ১৬ই অগাস্ট।
★ সম্পাদক : অক্ষয়কুমার দত্ত।
★ ধরন : মাসিক পত্রিকা।
* প্রাথমিকভাবে এই পত্রিকাটি ধর্মীয় বক্তব্য প্রদানে গুরুত্ব দিত, পরে তা অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতির মতো ক্ষেত্রগুলিকে বিবেচনার পরিসরভুক্ত করে। গ্রাম ও শহরের অর্থনীতি, মধ্যবিত্তের স্বরূপ, নৃতত্ত্ব-পুরাতত্ত্ব ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের মননশীল আলোচনা পত্রিকাটিতে স্থান পায়। নাগরিক চেতনাসমৃদ্ধ একটি পত্রিকা হয়েও মূলগত ঐতিহ্যের শিকড়ের খোঁজ জারি রেখে, গদ্যভাষার চর্চায় সফল অংশগ্রহণ করে পত্রিকাটি নিজ মহিমায় ভাস্বর হয়ে ওঠে।
‘বিবিধার্থ সংগ্ৰহ’
★ প্রকাশকাল : ১৮৫১ খ্রীষ্টাব্দের শেষার্ধে।
* সম্পাদক : রাজেন্দ্রলাল মিত্র।
★ ধরন : বাংলায় প্রথম সচিত্র মাসিক পত্রিকা।
* ‘বিবিধার্থ-সংগ্রহ’ পত্রিকায় মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য 'তিলোত্তমাসম্ভব’-এর প্রথম সর্গটি মুদ্রিত হয়। এই পত্রিকার সম্পাদকরূপে বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পান রাজেন্দ্রলাল বসু। এছাড়াও তাঁর সচিত্র ‘রহস্য-সন্দর্ভ' পত্রিকাটিও কৃতিত্বের সাক্ষ্যবাহী। মধুসূদন দত্তের ‘শর্মিষ্ঠা’, ‘ একেই কি বলে সভ্যতা?’-র সমালোচনা এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য, রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীন কুল সর্বস্ব’ নাটক, বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দুর্গেশনন্দিনী' উপন্যাসের সমালোচনাও আকর্ষণীয়ভাবে প্রকাশিত হয়। এখানে।
‘মাসিক পত্রিকা’
★ প্রকাশকাল : ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অগাস্ট।
★ সম্পাদক : প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার।
★ ধরন : এটি মাসিক পত্রিকা।
★ প্রধানত মেয়েদের জন্য ও সুকুমার সেনের মতে অল্পশিক্ষিত জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে পত্রিকাটি বের হয়। টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামে প্যারীচাঁদ মিত্রের 'আলালের ঘরের দুলাল' প্রকাশিত হয়, প্রথম বর্ষের ৭ম সংখ্যা থেকে। শিক্ষামূলক ও সহজবোধ্য ছিল লেখাগুলি। কথ্য ও লেখ্য ভাষার মেলবন্ধন ছিল এখানে। যতিচিহ্ন ব্যবহার এই পত্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কীর্তি। ক্রিয়াপদে চলিত ও তৎসমের মিশ্র ব্যবহার ছাড়াও প্রচুর তদ্ভব ও ফারসি শব্দের ব্যবহার ছিল পত্রিকাটিতে।
‘সোমপ্রকাশ’
★ প্রকাশকাল : ১৫ নভেম্বর, ১৮৫৮।
★ সম্পাদক : দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।
★ ধরন : সাপ্তাহিক।
★ পরামর্শদাতা ও পরিকল্পনাদাতা : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
★ 'সোমপ্রকাশ'-এর পাতায় একটি শ্লোক মুদ্রিত থাকত “প্রবক্তাং প্রকৃতিহিতায় পার্থিবঃ সরস্বতী শ্রুতি মহতী ন হীয়তাং।”
★ বাংলা সংবাদপত্রকে নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজ-সংস্কারমূলক পথে প্রবাহিত করার সক্ষম প্রচেষ্টার প্রধান কৃতিত্ব সম্পাদকের। বিচক্ষণতা ও জ্ঞানের বৈদগ্ধ্য দ্বারা রাজনৈতিক-ধর্মীয় কুৎসার কদর্যতাকে তিনি বর্জন করেন। একইসঙ্গে ‘সোমপ্রকাশ’-এর হাত ধরেই বাংলা সাহিত্যে তাঁর স্থান তৈরি হয়। ‘বামাবোধিনী পত্রিকা'
* প্রকাশকাল : ১লা ভাদ্র, ১২৭০ বঙ্গাব্দ ( আয়ুষ্কাল : ৬০ বছর) ।★ সম্পাদক : মজিলপুর নিবাসী উমেশচন্দ্র দত্ত। ★ ধরন: মাসিক।
★ কেশবচন্দ্র সেন ও তাঁর সঙ্গীরা যে ‘বামাবোধিনী সভা' স্থাপন করেছিলেন, এটি তার মুখপত্র। পত্রিকাটি মেয়েদের জন্য ও মেয়েদের লেখাকেও এই পত্রিকা উৎসাহ ও অনুমোদন দিয়েছে। যেমন শৈলবালা ঘোষজায়া, লাবণ্যপ্রভা বসু, উষাপ্রভা দত্ত প্রমুখ। সাহিত্যক্ষেত্রে নারীদের পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল এই পত্রিকা। তবে উল্লেখ্য বিষয়, নারীদের অগ্রগতিকে যেমন পত্রিকাটি ত্বরান্বিত করে, তেমনি এমন নারীশিক্ষার বিস্তার তাঁরা করে, যা আদতে পুরুষতন্ত্রের সীমায় আবদ্ধ। স্বামীদের উপদেশ মেনে চলা, সমাজ ও পরিবারে আদর্শ নারী হয়ে ওঠার দিকটি নির্দেশ করতে চেয়েছে পত্রিকাটি।
‘বঙ্গদর্শন'
★ প্রকাশকাল : ১৮৭২ (১২৭৯ বঙ্গাব্দ, ১লা বৈশাখ) ।
★ সম্পাদক : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায়।
★ ধরন : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম সাহিত্য-নির্ভর পত্রিকা এটি।
* এটি বাংলা সাময়িক পত্রিকার জগতে আধুনিকতার প্রথম সোপান। নতুন বিষয়, যুক্তি-তর্ক, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, হাস্য-কৌতুক, সমাজতন্ত্র, ব্যঙ্গাত্মক রচনা, পুরাতত্ত্ব, সঙ্গীত, গ্রন্থ সমালোচনা, ধর্মতত্ত্ব, প্রাচীন সাহিত্য, অর্থনীতি, কৃষিতত্ত্ব, বাংলা ভাষা ও বাঙালীর জীবনচর্যা — এ সবকিছুই সহজবোধ্য ভাষায় উপস্থাপিত হত ‘বঙ্গদর্শন'-এর পাতায়। জ্ঞানচর্চা, সাহিত্যচর্চা, মননশীল রচনার বিচিত্র সমাহার হয়ে ওঠে পত্রিকাটি। এই পত্রিকা বাঙালীর ভাব ও বোধকে বহুমুখী পরিসরে উজ্জীবিত করে তোলে। সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রটিও ছিল বহুধাবিস্তৃত কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সমালোচনামূলক নিবন্ধ এসবকিছুই সহজ ভাষায় সকলের পাঠোপযোগী করে পরিবেশিত করত বঙ্গদর্শন।
‘ভারতী’
★ প্রকাশকাল : প্রকাশসাল ১৮৭৭।
★ সম্পাদক : দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ধরন : মাসিক পত্রিকা।
* এটি মূলত সাহিত্যনির্ভর পত্রিকা। তবে ধর্ম, দর্শন, সমাজ, শিক্ষা, বিজ্ঞান, শিল্প ইত্যাদির মতো নানা বিষয় নিয়ে নানা স্বাদের রচনা প্রকাশিত হত 'ভারতী'-তে। বিদেশী সাহিত্য অনুবাদ ও গ্রন্থ সমালোচনা বিষয়ে এই পত্রিকার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশের বিষয়কে বাদ না দিলেও স্বদেশের ভাবই ছিল প্রধান।
* পত্রিকাটি প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল ধরে প্রকাশিত হত (১৮৭৭-১৯২৬)। প্রথম সাত বছর দ্বিজেন্দ্রলাল ঠাকুর, তারপর স্বর্ণকুমারী দেবী, হিরন্ময়ী দেবী, সরলাদেবী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ এই ভার গ্রহণ করেন। পত্রিকাটি প্রকাশকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স ছিল ষোলো বছর। এই পত্রিকাটি ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
‘হিতবাদী’
★ প্রকাশকাল : ৩০ মে, ১৮৯১।
★ সম্পাদক : আচার্য কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য ।
★ ধরন : সাপ্তাহিক ।
* সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য রচনায় অংশ হিসাবে ছোটগল্প রচনার উৎস ‘হিতবাদী’। কোনো তাত্ত্বিক সারবত্তা হিসাবে নয়, ছোটগল্পকে মানবজীবনপ্রসূত করে প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি— যার সাহিত্যিক প্রভাব রয়েছে ‘হিতবাদী’-এর পাতায়। ‘হিতবাদী’ নামটি দ্বিজেন্দ্রনাথের সৃষ্টি। যে উদ্দেশ্য (Motto)-র কথা তিনি বলেন, তা হল 458^ prime । ‘হিতং মনোহারি চ দূর্লভঃ
'সাধনা'
* প্রকাশকাল : ১২৯৮ বঙ্গাব্দ।
★ সম্পাদক : সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর (দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় পুত্র) ।
★ ধরন : মাসিক।
* এই পত্রিকার প্রাণশক্তি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, সাহিত্যে আলোচনা পত্রিকাটিকে প্রথম সংখ্যা থেকেই ঋদ্ধ করেছে। তাঁর ভ্রমণ-সাহিত্য ‘য়ুরোপ যাত্রীর ডায়েরী’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ও ‘দুলিয়া’ গল্প দুটি এই পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হয়। অন্যান্য লেখকের গুণগ্রাহী রচনাও প্রকাশ পেয়েছিল। যেমন, শ্রীশচন্দ্র মজুমদারের ‘কৃতজ্ঞতা’ উপন্যাস। ‘সাহিত্য' পত্রিকায় চন্দ্রনাথ বসুর আহার তত্ত্ব' প্রবন্ধের প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ ‘সাধনা'-য় একটি প্রবন্ধ লেখেন। ফলে সাহিত্য, সাহিত্যিক আদান-প্রদান ও বৈদগ্ধ্যপূর্ণ মননশীলতায় পত্রিকাটি ছিল অন্যন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এটিই তার গুরুত্ব।
এছাড়াও ঊনবিংশ শতকের কিছু পত্রিকা আছে, যেগুলি বাংলা গদ্যের উন্মেষ ও বিকাশের ধারায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ও ভাষা-সাহিত্যকে পূর্ণ ও পরিণত করে তুলেছে। এগুলির মধ্যে 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' (১৮৬৩), 'অবোধবন্ধু' (১৮৬৩), 'বালক' (১৮৮৫), 'সাহিত্য' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
==========+++++++========
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
No comments