WBBSE।। Geography।। Suggestions
Geography Suggestions
প্রশ্নঃ ভারতে জনসংখ্যা বণ্টনের তারতম্যের কারণসমূহ
বা
ভারতের জনঘনত্বের তারতম্যের কারণ আলোচনা করো।
বা
ভারতের অসম জনবন্টনের তারতম্যের কারণ।
🌸🌷ভারতে জনসংখ্যা বণ্টনের তারতম্যের কারণসমূহ🌸🌷
ভারতে জনসংখ্যার প্রধান বৈশিষ্ট্যই হল অসম বণ্টন। দেখা গেছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় 50% (প্রায় 61 কোটি) বাস করে সমভূমিতে (মোট ভূমির প্রায় 23%)। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে জনসংখ্যার বণ্টন যেমন কম, তেমন মালভূমি অঞ্চলে বণ্টন মাঝারি। জনসংখ্যা বণ্টনের তারতম্যের কারণগুলিকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে—(ক) প্রাকৃতিক কারণ, (খ) অপ্রাকৃতিক বা সাংস্কৃতিক কারণ।
[ক] প্রাকৃতিক কারণ (Physical Factors) :
ভূ-প্রকৃতি, নদনদী, জলবায়ু, উদ্ভিদ, মৃত্তিকা, ভৌমজল, ভৌগোলিক অবস্থান প্রভৃতি জনসংখ্যা বণ্টনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
ভূ-প্রকৃতি :- ভূ-প্রকৃতি ভারতে জনসংখ্যা বণ্টনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। ভূমির উচ্চতা, ঢাল, বন্ধুরতা, জলমগ্ন জলাভূমি প্রভৃতি উপাদানের ওপর ভিত্তি করে জনবসতি গড়ে ওঠে। সিন্ধু, গঙ্গা ও উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল সমতল হওয়ায় কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিল্পে উন্নত; তাই জনসংখ্যা খুব বেশি। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল উঁচু, বন্ধুর এবং ঢাল বেশি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিল্প প্রভৃতি গড়ে উঠতে পারেনি, কৃষিকাজ কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল; তাই, জনসংখ্যা এখানে খুবই কম। তবে হিমালয়ের কয়েকটি বিশেষ স্থানে (দার্জিলিং, গ্যাংটক, সিমলা, মুসৌরি প্রভৃতি) প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক দৃশ্যের কারণে পর্যটন শিল্পে উন্নত হওয়ায় জনসংখ্যা বেশি। মালভূমি অঞ্চলগুলিতে ভূমির ঢাল ও উচ্চতা মধ্যম প্রকার। ফলে জনবণ্টন মাঝারি। তবে, মালভূমির কয়েকটি স্থানে প্রচুর খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়। খনিজের ওপর ভিত্তি করে এখানে শিল্প গড়ে ওঠায় জনসংখ্যা বেশ বেশি।
নদনদী : ভারতের জনসংখ্যা বণ্টনে নদনদী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী প্রভৃতি নদী অববাহিকা উর্বর হওয়ায় জনসংখ্যা বেশি। প্রত্যক্ষভাবে নদীর মাধ্যমে জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। নদী—যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ায় নদী-উপত্যকায় শিল্পের বিকাশ ঘটেছে তাই নদী অববাহিকাগুলি জনাকীর্ণ। প্রাচীনকালে অধিকাংশ সভ্যতার বিকাশ নদী অববাহিকাতেই গড়ে উঠেছে।
জলবায়ু ঃ- জলবায়ু ও মানুষের ওপর জলবায়ুর প্রভাব অপরিসীম। তাই জনসংখ্যার স্থানীয় বর্ণীন উচ্চতা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, আল্লকা, শীতের প্রকোপ প্রভৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয়। উপকূপের জলবায়ু সারা বছর মনোরম বলে জনসংখ্যা বেশি। উন্নৎ-পূর্ব পায়াতি রাজগুলোতে জলবায়ু স্যাঁতসেঁতে বলে জনসংখ্যা কম। আবার উচ্চ হিমালয় পার্বত্য অবলে অত্যধিক শৈতা এবং এর মর অঞ্চলে অভ্যধিক গরম ও বৃষ্টির কারণে স্থানগুলি জনবিরল। জলবায়ুর প্রধান উপাদান – বৃষ্টিপাত, জনসংখ্যাতে প্টেনকে সর্বাচিক নিয়ন্ত্রণ করে। তাই হয় The Population May of India follows the rainfal map কারণ, বৃষ্টি হলে কৃষিতে পর্যাপ্ত জল শুওয়া যায়।
মৃত্তিকাঃ- মাটির গুণাগুণের ওপর জনজীবন নির্ভর করে। মাটির গঠন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য জনসংখ্যা বন্টনের তারতম্য ঘটায়। গলঙ্গা সমভূমি ও উপকূলীয় সমভূমির মুক্তিকা অত্যন্ত উত্তর বলে জনঘনত্ব বেশি। আবার, মালভূমি হওয়া সত্ত্বেও উরে বেগুন মুক্তিকার কারণে ডেকান ট্র্যাপ অঞ্চল বেশ জনাকীর্ণ। ছোটোনাগপুরের ল্যাটেরাইট, দক্ষিণ ভারতে লাল মাটি এবং হিমালয অনুর্বর হওয়ায় জনসংখ্যা কম।
জলাশয়ঃ- জলাশয় ও ভৌমজল ইলনিকাশি ব্যবস্থা, ভৌমজল স্তরের গভীরতা ও প্রাপ্তি, জলাভূমির অবস্থান প্রভৃতি গ্রাম্য জনসংখ্যার বণ্টনকে প্রভাবিত করে। এর মরুভূমির জন্যটন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জলাভূমির অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল। বন্যা অঞ্চলগুলিতে, যেখানে জলনিকাশি ব্যবস্থা উন্নত, সেখানে প্রচুর মানুষ বসবাস করে। সমভূমি অঞ্চলের মধ্যে যেখানে ভৌমজল স্তরের গভীরতা কম, সেখানে কৃষিকাজ উন্নত বলে জনসংখ্যাও বেশি।
বনভূমি: উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গভীর বনভূমি—বসবাসের প্রতিকূল পরিবেশ হওয়ায় জনসংখ্যা কম। তবে, বনভূমি সীমান্ত অঞ্চলে বনজ সম্পদ (কাঠ, মg, লতাপাতা সংগ্রহের কারণে জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়।
[খ] অর্থনৈতিক কারণ (Economic Factors) ঃ-
প্রাকৃতিক কারণগুলির সাথে সাথে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণ জনসংখ্যা বন্টনে সমান ভূমিকা গ্রহণ করে।
খনিজ সম্পদঃ- নিজ উত্তোলক অঞ্চলে কাজের সুযোগের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে, ফলে ধীরে ধীরে বসতি গড়ে ওঠে। ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চল ভারতের খনিজভাণ্ডার হওয়ায় এখানে বহু মানুষের বাস। একই কারণে, বাইলাভিলা, সালেম প্রভৃতি অতি অল জনাকীর্ণ।
শিল্পঃ- শিল্পের উন্নতিতে কাজের সুযোগ বাড়ে। ফলে, বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষাবলে বসবাস শুরু করে। তাই, শিল্পালগুলিতে জনসংখ্যা অত্যধিক বেশি হয়। পশ্চিমবঙ্কোনা হুগলি নদীর উভয় তীরে হলদিয়া, দুর্গাপুর, আসানসোল, মুম্বাই, পুনে, গুজরাট এই কারণেই অতি
কৃষি ও পশু পালন : ভারতে গ্রামীণ জনসংখ্যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে। উর্বর মৃত্তিকা ও সমতল ভূমিভাগের কারণে গঙ্গা সমভূমি ও উপকূলীয় সমভূমিতে জনাধিক্য দেখা যায়। সমভূমিতে যেখানে জলসেচ ব্যবস্থা উন্নত, সেখানে নিবিড় পদ্ধতিতে বছরে একাধিকবার ফসল উৎপাদন হয় বলে ধন জনবণ্টন দেখা যায়। গুজরাটের। উত্তর অংশ অনুর্বর হলেও পশুপালনের কারণে বেশি লোক বাস করে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা : যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও জনসংখ্যার কটন সর্বদাই সমানুপাতিক। সমভূমি অঞ্চলে জালের মতো। সড়কপথ, রেলপথ বিস্তৃত বলেই অতি জনাকীর্ণ। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুন্নতির কারণেই হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল কম
[গ] সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণ ঃ-
শহরায়ন : শহরায়ণের প্রভাবে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ে। শহরের জনসংখ্যার ঘনত্ব সর্বদা বেশি। তাই বৃহত্তর মুম্বাই, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ প্রভৃতি স্থানে জনঘনত্ব প্রতি বর্গকিমিতে 6000 জন অপেক্ষা বেশি।
জীবিকার সুযোগ : উর্বর শস্যশ্যামল ভূমি, শিল্পাঞ্চল, শহর প্রভৃতি মানুষের প্রাথমিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান) সহজে সেটার বলে উর্বর অঞ্চল, শহর ও নগরের দিকে মানুষের আগমন (Migration) ঘটে।
শিক্ষাকেন্দ্র : শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে দেশবিদেশ থেকে শিক্ষার্থী আসে, ফলে, জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। শান্তিনিকেতন, বারাণসী নে এই কারণেই জনসংখ্যা বেশি। (iv) দান-সদনে পুরী, কাশী, মথুরা প্রভৃতি তীর্থস্থানে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন হয়। ফলে দোকান, বাজার গড়ে ওঠে এবং মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
রাজনৈতিক কারণ ও সরকারি নীতি : রাজনৈতিক পরিবেশ, সরকারি ও বেসরকারি নীতি—জনসংখ্যা বিন্যাসের তারতম্য ঘটায়। 1947 সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার কারণেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জনসংখ্যার আধিক্য ঘটে। সরকার পরিকল্পনার মাধ্যমে উপনগরী গড়ে তুললে (যেমন—সল্টলেক, রাজারহাট) জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
ঐতিহাসিক স্থান : ঐতিহাসিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি (আগ্রা, পাটনা, মহিশুর প্রভৃতি)-তে স্বাভাবিক কারণেই জনসংখ্যার পুনর্বিন্যাস ঘটে।
এছাড়াও পর্যটন ব্যবস্থা, জনসাংখ্যিক কারণ (Demographic factors) যেমন—জন্মহার মৃত্যুহার, পরিব্রাজন,প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি জনসংখ্যা বণ্টনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
তবে, ভারতে জনসংখ্যা বণ্টনে কোনো একটি বিশেষ উপাদানের পরিবর্তে সম্মিলিতভাবে উপাদানগুলির কার্যকারিতার প্রভাব দেখা যায়।
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 6th Semester )
আরো দেখো ....
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Geography(General) General , BA 6th Semester ( Geography(General) General ) Suggestions .
No comments