Header Ads

Header ADS

Final Activity Task Geography || ভূগোল আক্টিভিটি টাস্ক

Final Activity Task  Geography || ভূগোল আক্টিভিটি টাস্ক  






ভূগোল 

Official Website  থেকে  Activity Task , Download  করার জন্য নীচের Link  এ  ক্লিক করুন 

Model Activity Task 

অন্য সকল বিষয়ের উত্তরের জন্য নীচের Click করো


  •  Life Science ( জীবন বিজ্ঞান ) 
  • Physical Science (  ভৌত বিজ্ঞান ) 


 

১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১ x ৯ = ৯

১.১ অবরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলো—

ক) প্লাবনভূমি

খ) এস্কার

গ) গিরিখাত

ঘ) স্বাভাবিক বাঁধ

১.২ হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ ফাঁক হলো

ক) ফিয়র্ড

খ) বার্গস্রুণ্ড

গ) করি

ঘ) এরিট

১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো

ক) লাদাখ- অঙ্গরাজ্য

খ) পুদুচেরী- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

গ) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ -অঙ্গরাজ্য

ঘ) হরিয়ানা – কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল


১.৪ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো –

ক) শৃঙ্খলিত শৈলশিরা – নদীর সঞ্চয়কাজ

খ) এরিটি – হিমবাহের সঞ্চয়কাজ

গ) অপসারণ গর্ভ – বায়ুর সম্বয়া

ঘ) বালিয়াড়ি- বায়ুর সঞ্চয়কাজ


১.৫ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো –

ক) নির্দিষ্ট ঋতুতে এদের পাতা ঝরে যায়।

খ) পাতায় মোমের প্রলেপ থাকে

গ) উদ্ভিদের ভালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে

ঘ) এদের শ্বাসমূল থাকে


১.৬ অতিবিরল জনঘনত্বযুক্ত একটি রাজ্য হলো

ক) পশ্চিমবঙ্গ

খ) গোয়া

গ) উত্তরপ্রদেশ

ঘ) সিকিম

 

১.৭ আরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলো

ক) গিরিখাত

খ) রাসে মতানে

গ) বালিয়াড়ি

ঘ) গৌর


১.৮ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো

ক) উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত – নীলগিরি

খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী – নর্মদা

গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি

ঘ) উত্তর-পূর্ব ভারত – কৃষ্ণ মৃত্তিকা


১.৯ ভারতের রুঢ় বলা হয়

ক) জামসেদপুরকে

খ) দুর্গাপুরকে

(গ) ভিলাইকে

ঘ) বোকারোকে

Ans: খ) দুর্গাপুরকে

 

২. শূন্যস্থান পূরণ করো ১ x ৩ = ৩

২.১ বায়ুর ___অপসারন ______ প্রক্রিয়ায় বালি ও পলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয়।


২.২ _____কাশ্মীর ______ পত্যকা পীরপাঞ্চাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণি দ্বারা বেষ্টিত। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয়।


২.৩ ___উত্তর পূর্ব__ মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয়।


৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখো: ১ x ৩ = ৩

৩.১ নদীখাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্তগুলি হলো মন্থকূপ।

Ans: ঠিক

৩.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনেরবেলা স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়।

Ans: ভুল

৩.৩ শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ।

Ans: ভুল

Ans: ভুল


  স্তম্ভ মেলাও :       ১ x ৩ = ৩

ক স্তম্ভখ স্তম্ভ
৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল  (i)  ক্রেভাস
৪.২ মালাবার উপকূল  (ii)  তুলো
৪.৩ হিমবাহ  (iii) কয়াল

Ans:

ক স্তম্ভখ স্তম্ভ
৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল  (ii)  তুলো
৪.২ মালাবার উপকূল  (iii) কয়াল
৪.৩ হিমবাহ     (i)  ক্রেভাস


৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৫.১ পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয়? উত্তর : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল পার হয়ে নদী যখন পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদীর বহন ক্ষমতা ও স্রোতের বেগ দুই কমে যায় । ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে বহন করে আনা পলি , বালি , কাঁকর , নুড়ি ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে পর্বতের পাদদেশে পলল ব্যজনী সৃষ্টি করে । যেমন : হিমালয়ের পাদদেশে এইরূপ পলল ব্যজনী দেখা যায়। 

     

৫.২ ‘ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীর মােহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদী অর্থাৎ আরব সাগরে পতিত নর্মদা , তাপ্তি প্রভৃতি নদীর মোহনায় ব – দ্বীপ দেখা যায় না কারণ :
1. স্বল্পদৈর্ঘ্য নদীপথ : নদীগুলির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় নদীতে পলির পরিমাণ কম থাকে । 
2. অল্প সংখ্যক উপনদী : পশ্চিমবাহিনী নদী গুলিতে উপনদীর সংখ্যা কম এবং সেগুলি ছোট ছোট । ফলে, নদী গুলিতে জল ও পলির পরিমাণ কম হয় ।
3. খরস্রোতা ও গভীর মহীসোপান : গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে খাড়া ঢালে নদীগুলি প্রবাহিত হওয়ায় গতিবেগ খুব বেশি হয় । এছাড়া আরব সাগরের মহীসোপানের ঢাল অত্যন্ত বেশি হওয়ায় বিশেষত কাম্বে উপসাগরে নর্মদা ও তাপ্তি নদীর মোহনা অত্যন্ত গভীর হওয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ সমুদ্রের তলে তলিয়ে যায় । ফলে ব – দ্বীপ গঠিত হতে পারে না ।
৫.৩ ‘অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয়’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ভূপৃষ্টে যে সীমারেখার নীচে বরফ গলে যায় বা যে সীমারেখার ওপর বরফ গলে না, তাকে হিমরেখা বলে। অক্ষাংশভেদে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য ঘটে। যেমন নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দিলেও অক্ষাংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে তা ক্রমশ তির্যকভাবে কিরণ দিতে থাকে। এই কারণে বায়ুর উষ্ণতারও তারতম্য লক্ষ করা যায়। উচ্চ অক্ষাংশ বিষিষ্ট অঞ্চলে হিমরেখা সমুদ্র সমতলে অবস্থান করে। কিন্তু অক্ষাংশের মান যত কমে, হিমরেখার উচ্চতা তত বৃদ্ধি পায়।
৫.৪ ভারতে জলবিভাজিকা উন্নয়নের দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।
উত্তর : যে সামগ্রিক কারিগরি পরিকল্পনার মাধ্যমে সমগ্র নদী অববাহিকা অঞ্চলের ভূমিক্ষয়, ধস, বন্যা ও খরা প্রতিরােধ করে জমি, মাটি জল ও বনভূমির সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র পরিবেশের উৎপাদন ও সম্পদের স্থায়ী উন্নয়ন করা যায়, তাকে জলবিভাজিক উন্নয়ন বা ব্যবস্থাপনা বলে।
উদ্দেশ্য: ১) জলবিভাজিকা উন্নয়নের প্রধান উদ্দেশ্য হলাে প্রাকৃতিক উৎস গুলি থেকে পাওয়া জল ও সমাজে জলের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রাখার ব্যবস্থা করা।
২) প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার করা ও এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি ঘটানাে।

 

৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :           ৩ x ৩ = ৯

৬.১ ধাপ চাষ, ফালি চায় ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে কীভাবে মুক্তিকা প্রতিরোধ করা সম্ভব?

Ans :

(ক) ধাপচাষ : মাটি সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল ধাপচাষ। ধাপ চাষ পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিক্ষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পাহাড়ি বা ঢালু জমিতে ঢাল অনুযায়ী সিঁড়ি বা ধাপ গঠন করলে ঢালের কৌণিক মান হ্রাস পায়।তাই ধাপ তৈরি করলে সেখানে জলের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

(খ) ফালি চাষ: পাহাড়ি অঞ্চলে ছোটো ছোটো অংশে পাহাড়ের ঢালু জমিতে আড়াআড়িভাবে ফিতাকৃতি জমি তৈরি করে ক্ষয় প্রতিরোধী শস্য চাষ করার পদ্ধতিকেই ফালি চাষ বলে। শিম, ডাল, সয়াবিন, ভুট্টা প্রভৃতি শস্য চাষ করা হয়। এই পদ্ধতিতে ভূমিক্ষয় রোধ হয় ও মাটির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে।

(গ) সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ: পার্বত্য অঞ্চলে উঁচু, নীচু এলাকায় সমান উচ্চতাযুক্ত বিন্দুগুলিকে যোগ করে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে সমোন্নতি রেখা বলে। ওই রেখা বরাবর শস্যক্ষেত্র তৈরি করে কৃষিকাজ করা হয়। এতে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

৬.২ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার পার্থক্য নিরূপণ করো

ক) সৃষ্টির প্রক্রিয়া

খ) উপত্যকার আকৃতি

গ) অবস্থান

Ans :

বিষয়নদী উপত্যকাহিমবাহ উপত্যকা
ক) সৃষ্টির প্রক্রিয়া  নদীবাহিত পাথরগুলি পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে বা নদীখাতের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে এই ভুমিরূপ তৈরি করে।পার্বত্য অঞ্চলে যে উপত্যকার মধ্যে দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হয়, সেখানে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হিমবা উপত্যকার সৃষ্টি হয়।
খ) উপত্যকার আকৃতি  শুষ্ক বা অর্ধ-শুষ্ক অঞ্চলে পার্শ্বক্ষয়ের চেয়ে নিম্নক্ষয়ের মাত্রা বেশি হয় বলে ‘1’ আকৃতির এবং আর্দ্র বা আর্দ্রপ্রায় অঞ্চলে নিম্নক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা পার্শ্বক্ষয়ও হতে থাকে বলে ‘v’ আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়।পার্বত্য অঞ্চলে যে উপত্যকার মধ্যে দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হয়, সেখানে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হিমবা উপত্যকার তলদেশ ও পার্শ্বদেশ প্রায় সমানভাবে না মসৃণ হয় এবং এর ফলে উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘ অক্ষরের মতো হয়।
গ) অবস্থান  শুষ্ক-মরু অঞ্চল ও তুষারাবৃত অঞ্চল ছাড়া নদী উপত্যকা ভূপৃষ্ঠের প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়।হিমবাহ উপত্যকা শুধুমাত্র সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল ও শীত মেরু অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ।

৬.৩ হিমালয় পর্বতমালা কীভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?

Ans : হিমালয় পর্বতমালা ভারতের উত্তরে প্রহরীর মতো বিরাজমান হয়ে ভারতের জলবায়ুকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

i) তীব্র শীত থেকে রক্ষা :  হিমালয় পর্বতমালা ভারতের উত্তরে অবস্থান করায় শীতকালে সাইবেরিয়া থেকে আসা অতি শীতল বায়ু ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে শীতের তীব্রতা কম থাকে।

ii) শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতে সহায়তা: ভারতের দক্ষিণ দিক থেকে আসা মৌসুমী বায়ু হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে অর্থাৎ প্রতিবাদ ঢালে বাধা পেয়ে গাঙ্গেয় সমভূমি তে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়।

iii) আরামদায়ক জলবায়ু : হিমালয় পর্বতমালার উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় উপত্যাকা অঞ্চলে আরামদায়ক জলবায়ু বিরাজ করে।

iv) মৌসুমী বায়ুর নিয়ন্ত্রক : হিমালয় পর্বতমালা মৌসুমী বায়ুর গতিপথ কে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

v) পশ্চিমী ঝঞ্ঝঞ্ঝার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব হিমালয়ের জন্য বাধাপ্রাপ্ত হয় পূর্বদিকে বেশি দূর অগ্রসর হতে পারে।

৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :                        ৫ x ৩ = ১৫

৭.১ হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিত্র বর্ণনা দাও।

Ans : গ্রাবরেখা : হিমবাহ ক্ষয়জাত পদার্থগুলিকে হিমবাহের সাথে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্জিত হয়। এরূপ সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বলে। অবস্থানের ভিত্তিতে গ্রাবরেখা বিভিন্ন প্রকার- 

  • পার্শ্ব গ্রাবরেখা : হিমবাহ পদার্থকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পাশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল পার্শ্ব গ্রাবরেখা।
  • মধ্য গ্রাবরেখা : দুটি হিমবাহ পাশাপাশি প্রবাহিত হলে মিলন অঞ্চলে সঞ্চিত গ্রাবরেখা হল—মধ্য গ্রাবরেখা,
  • প্রান্ত গ্রাবরেখা : হিমবাহ যেখানে এসে শেষ হয় অর্থাৎ গলে যায় সেখানে পদার্থ সজ্জিত হয়ে সৃষ্ট ভাবরেখা হল প্রান্ত গ্রাবরেখা।
  • হিমবাহের তলদেশে পদার্থ সজ্জিত এ ছাড়া হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল ভূমি গ্রাবরেখা।
  • বলয়াকারে সজ্জিত গ্রাবরেখা হল বলয়ধর্মী আবরেখা,
  • সমুদ্রের তলদেশে সজ্জিত। প্রাবরেখাকে স্তরায়িত আবরেখা বলে। কাশ্মীরের লিডার ও কোলাহই উপত্যকায় বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখা দেখা যায়।


৭.২ ভারতের কোন অঞ্চলে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়? এই বাগিচা ফসল চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।


Ans : ভারতের কর্ণাটকের চিকমাগালুরে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়। চিকমাগালুর ভারতের কফি উৎপাদক কেন্দ্র।

কফি চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ হল –

প্রাকৃতিক পরিবেশঃ-

[i] জলবায়ু:  ক্রান্তীয় অঞ্চলের উয়-আর্দ্র পরিবেশ, বিশেষত নিরক্ষীয় আবহাওয়ায় কফি চাষ ভালো হয়।

[a] উয়তা: কফি চাষের জন্য বেশি উন্নতার প্রয়োজন। সাধারণত 20-25 °সে উন্নতায় কফি চাষ করা হয়।

[b] বৃষ্টিপাতঃ 150 থেকে 250 সেন্টিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টিপাত হলে কফি চাষ ভালো হয়।

[c] ছায়া: কফি চারাগাছগুলিকে প্রখর সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচানোর জন্য বাগিচার মধ্যে ছায়াপ্রদায়ী গাছ হিসেবে কলা, ভুট্টা প্রভৃতি বড়ো পাতার গাছ রোপণ করা হয় |

[ii] মৃত্তিকা: লাভা-সৃষ্ট উর্বর মাটি এবং লাল দোআঁশ মাটি কফি চাষের উপযোগী।

[iii] ভূমির প্রকৃতি: ঢালু উচ্চভূমি, বিশেষত পর্বতের পাদদেশে কফি গাছ ভালো হয়। দক্ষিণ ভারতের দক্ষিণ কর্ণাটক, পার্বত্য অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তর কেরলের পার্বত্য অঞ্চল ও তামিলনাড়ুর উত্তরাংশে প্রচুর কফি উৎপন্ন হয়।


৪. ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাবগুলি আলোচনা করো। ৫

উত্তর : ভারতীয় জনজীবনে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো -

i) বসতির অভাব : ভারতীয় বড় বড় নগর গুলিতে জনসংখ্যার চাপ এতটাই বেশি যে সকল মানুষের জন্য বাসস্থান বা আবাসস্থল এর অভাব পরিলক্ষিত হয় । তাছাড়া মানুষ জীবিকার খোঁজে শহরে চলে এলে এখানে বাসস্থানের অভাব সৃষ্টি হয় ।ফলস্বরূপ রেললাইনের পাশে ,রাস্তার ধারে, খালপাড়ে ,বস্তিতে মানুষ আশ্রয় নেয়।

ii) পরিবহন সমস্যা : ভারতীয় শহরগুলিতে পরিবহন গত সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যানজট সম্পর্কিত সমস্যা। ভারতের প্রায় প্রতিটি শহরের নিত্যদিনের একটি ঘটনায় পরিণত হয়েছে ।বড় বড় নগর গুলির বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার সামলানোর জন্য যে পরিমাণ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজন তা না থাকায় এই ভারতীয় শহর বা নগরগুলিতে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।

iii) পানীয় জলের অভাব : মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন হয় জলের। কিন্তু বড় বড় শহরগুলোতে বসবাসকারী মানুষের ব্যবহার ও পানীয় জলে যে বিপুল চাহিদা দেখা যায় তা অনেক সময় পূরণ করা সম্ভব হয় না। ফলে পানীয় জলের জন্য শহরগুলিতে হাহাকার দেখা যায়। কেবলমাত্র মানুষের ব্যবহারে প্রয়োজনীয় জল নয় শিল্পকারখানাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে জলের প্রয়োজন পড়ে তাই বর্তমানে শহরগুলিতে জলের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করতে শহরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে জল সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় জলের যোগান দেয়া হয়ে থাকে। যেমন ভারতের চেন্নাই শহরে জলের অভাবের সমস্যা দেখা দেয়।

iv) বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা : শহর বা নগর একটি দেশ বা অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। মনুষ্য পরিষেবা মূলক প্রায় সব রকমের কার্যাবলীর উপস্থিতি শহর অঞ্চলে দেখা যায় । শিল্প ,পরিবহন, বাণিজ্য ,সামাজিক কাজে নগর বা শহর অঞ্চলে প্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ভারতের প্রায় প্রতিটি শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়।

v) বেকারত্ব বৃদ্ধি : ভারতীয় নগর গুলিতে গ্রাম অঞ্চলের তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে সবথেকে বেশি। তাই গ্রামীণ অঞ্চলে থেকে প্রচুর শ্রমিক কাজের আশায় নগরগুলোতে পরিব্রাজন করে ।কিন্তু সেই পরিব্রাজনকারী মানুষের সংখ্যা একসময় এতটাই বেড়ে যায় যে সকল মানুষের কাজের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না, ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়।

vi) কঠিন বর্জ্য পদার্থ জনিত সমস্যা : শহর অঞ্চলের কঠিন বর্জ্য পদার্থ জনিত সমস্যা বড় সমস্যা। কঠিন পদার্থ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো পরিত্যক্ত কাগজ, পলিথিন ব্যাগ ,কাঁচ ও প্লাস্টিকের বোতল । পারিবারিক বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য শিল্প-কারখানার প্রভৃতি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ শহর অঞ্চলের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যা নিক্ষেপ করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গার অভাব দেখা যায়। শুধু তাই নয় এই বর্জ্য গুলির ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত পরিকাঠামো ভারতের বেশিরভাগ শহরে নেই।

<<<<অন্যান্য বিষয়য়ের  জন্য নীচের লিঙ্কে  click  করো >>>>

 English ( ইংরেজী )  

 History (  ইতিহাস ) 

Geography ( ভূগোল ) 

Mathematics (  গণিত )  

** মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ || অধ্যায় - ৪ ( অভিব্যাক্তি ও অভিযোজন )  

** Some Important Questions on Physical Science || ভৌত বিজ্ঞানের কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন প্রশ্নাবলী 




**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  বাংলার শিক্ষা  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 


No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.