Header Ads

Header ADS

History Suggestion for Third Semester of Calcutta University under CBCS System History Suggestions( BA General ) with Answer

 History Suggestion for Third Semester of Calcutta University under CBCS System 

History Suggestions( BA General )  with Answer 



Calcutta University || CBCS System || All Semester Suggestions 

Calcutta University  all Semester Suggestions || All Subjects  ( with Answer )

Semester 1 ( I )

👉 Click Here 

Semester 2 ( II )

👉 Click Here

Semester -3 ( III )

👉 Click Here

Semester – 4 ( IV )

👉 Click Here 

Semester – 5 ( V )

👉 Click Here 

Semester – 6 ( VI )

👉 Click Here



Semester 3 History

মুঘল যুগের অর্থনীতি


1 ) ক্রোরি কাদের বলা হত?

উত্তর) সম্রাট আকবরের সময়ের এক ধরনের কর্মচারী ছিল, যারা নির্দিষ্ট অঞ্চলের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পেত, তাদের ‘ক্রোরি' বলা হত। আকবরের সময় মোট ১৮২ জন ক্রোরি ছিলেন বলে জানা যায়। এঁরা প্রত্যেকে এক কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করতেন।


সুলতানি যুগের ইক্তা প্রথা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।


সুলতানি যুগের ইক্তা প্রথা

সূচনা | সুলতান ইলতুৎমিস ভারতে ইক্তা প্রথার প্রচলন করেন। সুলতানি যুগে অভিজাত শ্রেণির লোকেরা ছোটো বা বড়ো আয়তনের জমি লাভ করতেন। এই জমিগুলিকে বলা হত ইত্তা | ইত্তার প্রাপককে বলা হত ইক্তাদার বা মাতি।


বৈশিষ্ট্য

ইক্তাব্যবস্থার কতকগুলি বৈশিষ্ট্য ছিল। সেগুলি হল—

[1] ইক্তাদারের কাজ ছিল সেই অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করা। এরপর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ মিটিয়ে বাকি রাজস্ব সুলতানের রাজকোশে জমা দিতে হত।

 [2] ইক্তাদারকে প্রয়োজন অনুসারে অন্য ইক্তায় বদলি করা যেত। 

[3] রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভের ফলে ইক্তাদার বা মাতিকে কতকগুলি কাজ অবশ্যই করতে হত। যেমন—ইক্তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, নির্দিষ্ট পরিমাণে সেনাবাহিনী রাখা, সুলতানকে বিদ্রোহ বা যুদ্ধের সময়ে সেনাবাহিনী দিয়ে সাহায্য করা ইত্যাদি | কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, ইত্তাদারগণ সমস্ত খরচ মেটানোর পর বাড়তি অর্থ রাজকোশে জমা না দিয়ে নিজেরাই আত্মসাৎ করত।


ইক্তাব্যবস্থায় বিভিন্ন পরিবর্তন

ইলতুৎমিস সেনাবাহিনীর লোকেদের ইক্তা প্রদান করেন এবং দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য ইক্তাদারদের বদলির নীতি নেন | কিন্তু ইলতুৎমিসের মৃত্যুর পর ইক্তাদাররা স্বাধীনভাবে কাজ চালাতে থাকে ৷ বলবন ইত্তা থেকে রাজস্ব পাওয়ার জন্য হিসাবরক্ষার ওপর জোর দেন এবং তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যক সৈন্য রাখার প্রতি নজর দেন। আলাউদ্দিন খলজি আবার দিল্লির নিকটবর্তী অঞ্চলের জামকে খালসা জমিতে পরিণত করেন এবং দূরবর্তী অঞ্চলের জমিতে ইক্তাব্যবস্থা চালু করেন। তিনি জমি জরিপ করে ইক্তার রাজস্ব নির্ধারণ, শুধু সেনাপতিদের ইক্তা প্রদান প্রভৃতি নীতি নেন মহম্মদ বিন তুঘলক সেনাদের নগদে বেতন প্রদান চালু করেন। ফিরোজ তুঘলকের সময় ইত্তাদারদের ওপর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পায় এবং ইত্তা প্রথা ক্রমে বংশানুক্রমিক হয়ে পড়ে।




2)  দহশালা ব্যবস্থা কী?

উত্তর। সম্রাট আকবরের রাজস্বব্যবস্থার একটি নতুন পদ্ধতির নাম ছিল দহশালা ব্যবস্থা। আকবর ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দে এই ব্যবস্থা চালু করেন। এই ব্যবস্থায় বিগত দশ বছরের কৃষি উৎপাদনের গড় কষে সেটার এক-তৃতীয়াংশ ভূমিরাজস্ব হিসেবে নেওয়া হত।


আদিনা মসজিদ

 

আদিনা মসজিদ মালদহে অবস্থিত। এটি সিরিয়ার উমাইয়া মসজিদের আদলে তৈরি। এটি তৎকালীন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ।

মসজিদটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ। এটি বেঙ্গল সালতানাতের সময় সিকান্দার শাহ কর্তৃক একটি রাজকীয় মসজিদ হিসেবে নির্মিত হয়। তিনি ইলিয়াস শাহী রাজবংশের সদস্য ছিলেন এবং মহিমান্বিত সুলতান এবং বিশ্বাসীদের খলিফার মত উঁচু উপাধি বহন করেন। মসজিদটি সাবেক রাজকীয় রাজধানী পাণ্ডুয়ায় অবস্থিত। বিশাল স্থাপত্য উমাইয়া মসজিদের হাইপোস্টাইলের সাথে যুক্ত, যা নতুন এলাকায় ইসলাম প্রবর্তনের সময় ব্যবহার করা হয়। ১৩৫৩ ১৩৫৯ সালে দিল্লি সালতানাতকে দুইবার পরাজিত করার পর প্রথম দিকের বঙ্গ সালতানাত সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে টেনে নিয়ে যায়। আদিনা মসজিদ ১৩৬৪ সালে কমিশন করা হয়।[] ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের সাথে সাথে বঙ্গ সালতানাত ভেঙ্গে যায়।

অবস্থান

পুরাতন মালদহ শহর থেকে ২০কিলমিটার দূরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত। এর বিপরীতে আছে আদিনা মৃগ উদ্যান।

 স্থাপত্য

এই মসজিদ উত্তর-দক্ষিণে ৫২৪ ফুট লম্বা ৩২২ ফুট চওড়া। এতে ২৬০টি থাম ৩৮৭টি গম্বুজ আছে। মসজিদের নকশা বাংলা, আরব, ফার্সি বাইজেন্টাইন স্থাপত্য অন্তর্ভুক্ত। যদিও মসজিদটি তার আকারের কারণে দূর থেকে আকর্ষণীয়, কিন্তু সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত সাজসজ্জার কারণে এটি থেকে একটি ভাল দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা বৈশিষ্ট্য দেখা কঠিন করে তোলে। এটি ধ্বংসস্তূপের রাজমিস্ত্রি দিয়ে নির্মিত হয়েছিল যা ইট, পাথর, স্তূপের প্রলেপ, প্লাস্টার, কংক্রিট, গ্লেজিং বা চুন মসৃণ দ্বারা আবৃত ছিল। পাথরের ফুল ভবনের চারপাশের অভ্যন্তর এবং বহির্ভাগের খিলানে একত্রিত করা হয়। এর পরিকল্পনা দামেস্কের বড় মসজিদের অনুরূপ


3)  জায়গিরদার কারা ছিল?

উত্তর) মধ্যযুগে শাসকরা বহু সরকারি কর্মচারীদের নগদের পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি ভোগদখলের জন্য দিত। সেই জমিকে বলা হত জায়গির আর জায়গিরের মালিককে জায়গিরদার বলা হত।


4) জমা ও হাসিল কী ছিল?

উত্তর) জায়গির প্রথার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল জমা ও হাসিল | জমা বলতে বোঝাত জমি থেকে প্রাপ্ত বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের সরকারি হিসাব। আবার বাস্তবে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হত তাকে হাসিল বলা হত।


5) নিতিকাচ কাদের বলা হত।

উত্তর। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনব্যবস্থায় এক ধরনের রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের বিভিকাচ বলা হত। এরা পরগনার রাজস্ব আদায়ের কাজ করতেন এবং কানুনগোদের কাছ থেকে জমি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতেন।

6) পেশকাশি জমিদার কারা ছিল?

উত্তর। মুঘল যুগে যেসব জমিদার রাজস্ব প্রদানের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন প্রতি বছর সম্রাটকে প্রদান করত তাঁরা পেশকাশি জমিদার নামে পরিচিত ছিলেন।


7) কাদের মালগুজারি জমিদার বলা হত?

উত্তর মুঘল যুগের যে সমস্ত জমিদার জমি জরিপের পর নির্দিষ্ট করা রাজস্ব প্রতি বছর মুঘল সম্রাটকে প্রদান করত তাদের মালগুজারি জমিদার বলা হত।


8) মুঘল যুগে ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যপথের নাম করো।

উত্তর। মুঘল যুগে ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বাণিজাপথ ছিল—আগ্রা থেকে লাহোর ও কাবুলের মধ্য দিয়ে কাস্পিয়ান সাগর পর্যন্ত বাগিজাপথ, লাহোর থেকে মুলতানের মধ্য দিয়ে কান্দাহার পর্যন্ত বাণিজ্যপথ, পাটনা থেকে অযোধ্যার মধ্য দিয়ে নেপাল পর্যন্ত বাণিজ্যপথ প্রভৃতি।




9) মুঘল যুগে কোন্ কোন্ দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করা হত।

 উত্তর : মুঘল যুগে ভারত থেকে খাদ্যশস্য, নারকেল, ডাল, তৈলবীজ, দ্ৰুতিবঃ, আফিম, চিনি, মশলা প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হত।


10) কোন্ কোন্ ইউরোপীয় দেশ মুঘল যুগে ভারতে বাণিজ্য শুরু করেছিল? 

উত্তর:  মুঘল যুগে পোর্তুগিজরা প্রথমে ভারতে ব্যাবসা শুরু করে। তারা খাদ্যশস্য, মশলা প্রভৃতি এদেশ থেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাবসা শুরু করে।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল  কলকাতার বিখ্যাত গড়ের মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত স্মৃতিভবন। ১৯০১ সালে ৯৪ বছর বয়সে মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাওয়ার পর তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে সাদা মার্বেল পাথরের এই ভবনটি নির্মিত হয়। লর্ড কার্জন এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তাঁর মূল পরিকল্পনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিশাল বাগিচার মাঝে একটি সৌধ এবং সেই সাথে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের স্মৃতিবাহী নানা সামগ্রী সমৃদ্ধ একটি জাদুঘর নির্মাণ।



তবে মেমোরিয়াল নির্মাণের মূল কাজটি অত্যন্ত শ্লথ গতিতে অগ্রসর হতে থাকে। ১৯০৫ সালে কার্জন যখন ভারত ছেড়ে যান তখন এর কাজ ঠিক মতো শুরুই হতে পারে নি। এই শ্লথ গতির পেছনে কারণ হলো, কার্জনের পর যিনি ভারতে ভাইসরয়ের দায়িত্ব নিয়ে আসেন তিনি তাঁর পূর্বসূরির মতো মেমোরিয়ালের ব্যাপারে ততটা উৎসাহ দেখান নি; আর সেই সাথে ভবন নির্মাণে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও দীর্ঘসূত্রিতা চলে। পরিকল্পনার সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯০৪ সালে এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৯০৬ সালে। আর ভবনের উপরি-কাঠামোর নির্মাণকাজ শুরু হয় আরও চার বছর পর ১৯১০ সালে। ইতোমধ্যে ইস্চ নিজেকে কলকাতার শ্রেষ্ঠ স্থপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন। তখন তাঁকে সরকারিভাবে প্রকল্পের সুপারিনটেন্ডেন্ট আর্কিটেক্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ২৫টি গ্যালারির সমন্বয়ে গঠিত। ‘কুইন্স হল’টি আকর্ষণের মূল কেন্দ্র। এর সকল দেওয়ালে মহারানীর ঘোষণা লিপিবদ্ধ। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন ঘটনার অঙ্কিত চিত্র যেমন- তাঁর সিংহাসনারোহণ, তাঁর বিয়ে, তাঁর পুত্র ও উত্তরাধিকারীর ব্যাপটিস্টকরণ, রাজপুত্রের বিবাহ, ফ্রগমোরে তাঁর বাসভবন ইত্যাদি দ্বারা গ্যালারি সজ্জিত। রানীর ব্যবহূত কিছু সামগ্রী, যেমন- শৈশবে ব্যবহূত তাঁর পিয়ানো, উইন্ডসোর প্রাসাদে দৈনন্দিন চিঠি-পত্র লেখার জন্য ব্যবহূত তাঁর টেবিল ও চেয়ার, ভারতীয় প্রজাদের উদ্দেশ্যে লেখা তাঁর শেষ চিঠি ইত্যাদি।


মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে আরও আছে বিভিন্ন সময়ে ভারতবর্ষে আসা বিখ্যাত ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রতিকৃতি; যেমন, মেকলে, কিপলিং, বিশপ হেবার, উইলিয়ম হিকি প্রমুখ। নিজ যোগ্যতায় ভারতীয় কিছু ব্যক্তিও এখানে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেশবচন্দ্র সেন,  মাইকেল মধুসূদন দত্ত,  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর পিতামহ  দ্বারকানাথ ঠাকুর। কিছু দলিল-পত্রও এখানে সংরক্ষিত আছে, এর মধ্যে রয়েছে নন্দকুমারের জালিয়াতি সম্পর্কিত দলিল যার জন্য তাঁকে অন্যায়ভাবে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এছাড়াও আছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্মৃতিবাহী বিভিন্ন নিদর্শনাদি, যেমন- রানী মেরী, পঞ্চম জর্জ ও অন্যান্যদের আবক্ষ মূর্তি, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে দখলকৃত ফরাসি কামান ইত্যাদি।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধান আকর্ষণীয় বস্ত্ত হলো রানী ভিক্টোরিয়ার বিষণ্ণ বিশাল একটি মূর্তি। এর দুদিকে রয়েছে দুটি সৃদুশ্য জলাশয়। ভারত শাসনকারী অনেক শাসকই রোমান রীতির পরিচ্ছদাবৃত হয়ে এখানে প্রস্তর মূর্তিতে উপস্থাপিত, যেমন-  লর্ড ক্লাইভ, ওয়ারেন  হেস্টিংস,  কর্নওয়ালিস,  ওয়েলেসলী এবং  লর্ড ডালহৌসী।


গম্বুজ শীর্ষে হাতে বিউগলসহ ভিক্টোরি নামে অভিহিত ব্রোঞ্জের দেবী মূর্তিটি একটি কৌতূহলোদ্দীপক সংযোজন। প্রায় পাঁচ মিটার উঁচু ও ৩,৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের মূর্তিটির বেদিতে বল-বিয়ারিং সংযোজিত। বাতাসের গতিবেগ খুব বেশি হলে জায়গায় দাঁড়িয়ে মূর্তিটি অবলীলাক্রমে ঘুরতে পারে। মনুমেন্টের বাগানকে সৌন্দর্যমন্ডিতকারী ভাস্কর্যগুলি ইটালিয় শিল্পিদের শিল্পকর্ম। উত্তর দিকে অবস্থিত আর একটি আকর্ষণীয় ভাস্কর্য হলো সিংহ-মস্তক মূর্তি। এই মূর্তিটি থেকে পানির চারটি ধারা চারটি পথে প্রবহমান, যা ভারতের চার প্রধান নদী- সিন্ধু, গঙ্গা, যমুনা ও কৃষ্ণার প্রতীক।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বর্তমানে বহু চিত্রকর্ম, প্রাচীন পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভারতে ব্রিটিশ শাসনামলের বহু স্মৃতি বহন করে চলেছে। সব মিলিয়ে এখানে প্রায় ৩,৫০০টি নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে কলকাতায় পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।



11) মুঘল যুগে বাণিজ্যের মাধ্যমে বিদেশ থেকে কী কী আমদানি করা হত। 

উত্তর) মুঘল যুগে বাণিজ্যের মাধ্যমে বিদেশ থেকে সোনা, রুপো, কাচের জিনিস, চামড়ার দ্রব্য, মদ, ঘোড়া প্রভৃতি আমদানি করা হত।


12)  মুঘল যুগের কয়েকজন বিখ্যাত নারীর নাম লেখো।

উত্তর) মুঘল যুগে বিখ্যাত নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন রানি দুর্গাবতী, রানি চাঁদ সুলতানা, নূরজাহান, জাহানারা, গুলবদন বেগম, জাঁজাবাই, তারাবাই প্রমুখ।


13) শাহজাহানের সময় সেচব্যবস্থার উন্নতির জন্য কী কী সেচখাল খনন করা হয়েছিল?

উত্তর শাহজাহানের সময়ে পাঞ্জাবে সেচব্যবস্থার উন্নতির জন্য বেশ কিছু সেচখাল খনন করা হয়েছিল, যেমন—রাভি থেকে লাহোর পর্যন্ত সেচখাল, পাঠানকোট খাল, বাটলা খাল প্রভৃতি।


14)  জারতি প্রথা বলতে কী বোঝ?

উত্তর)  টোডরমল রাজস্বব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যার নাম জাবতি প্রথা। এই ব্যবস্থায় জমি জরিপ করে তার ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।


15)  টোডরমল জমিকে উৎপাদিকা শক্তি অনুসারে কীভাবে ভাগ করেছিলেন? 

উত্তর » টোডরমল জমির উৎপাদিকা শক্তি অনুসারে জমিকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছিলেন, যথা— পোলাজ, পরৌটি, চাচর ও বানজার জমি।


16) দন্ডুর কী ছিল?

উত্তর )- আকবর শস্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য একটি নীতি প্রবর্তন করেন যাকে দস্তুর বলা হত। এই নীতি অনুসারে প্রতি বছর সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শস্যের দামের বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহের পর মুঘল দরবারে তা বিচারবিবেচনা করা হত। এর ভিত্তিতে শস্যের মূল্য ঘোষণা করা হত।


17)  মুঘল যুগে কাদের 'বহিরাগত মুসলমান' বলা হত? 

উত্তর) মুঘল যুগে পারস্য, আরব ও মধ্য এশিয়া থেকে আগত তুর্কি, মোঙ্গল ও উজবেগ সম্প্রদায়ের মুসলমানকে 'বহিরাগত মুসলমান' বলা হত। এরা মূলত শাসক শ্রেণি ছিল এবং মুঘল দরবারে প্রভাব-প্রতিপত্তি বজায় রেখেছিল।


18)  হিন্দুস্থানি মুসলমান কারা ছিল?

উত্তর) ভারতে যেসব হিন্দু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল তাদের বলা হত হিন্দুস্থানি মুসলমান। এরা ছিল সংখ্যায় বেশি কিন্তু এদের কোনো সামাজিক মর্যাদা ছিল না।


19) মুঘল যুগে হিন্দুসমাজে জাতিভেদ কেমন ছিল?

 উত্তর) মুঘল যুগে হিন্দুসমাজে জাতিভেদ প্রথা প্রবল ছিল। সমাজের উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্গ সম্প্রদায়ের বিভাজন ছিল। উচ্চবর্ণের মানুষরা সরকারি চাকরি ও অন্যান্য বধা পেত। কিন্তু নিম্নবর্ণের মানুষরা কৃষক ও শ্রমিকের কাজ করত।


20)  সুলতানি যুগে কী ধরনের কর আদায় করা হত?

 উত্তর ) - সুলতানি যুগে বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করা হত। তবে এদের মধ্যে চারটি প্রধান কর ছিল— খারাজ বা ভূমিকর, খাম্স বা লুন্ঠিত দ্রব্যের ওপর কর, জাকাত বা ধনী মুসলিমদের ওপর আরোপিত কর এবং জিজিয়া বা অ-মুসলিমদের ওপর আরোপিত কর।


21)  'খুদকন্তু' ও 'পাইকস্তু’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর।)  মুঘল যুগে যেসব কৃষক নিজের জমির ওপর অধিকার ভোগ করত এবং স্বাধীনভাবে জমি চাষ করত তাদের 'খুদকন্ত' বলা হত। অন্যদিকে যেসব কৃষক অন্য ভূস্বামীর জমিতে চাষ করত তাদের ‘পাইকস্ত’ বলা হত।


22) মুঘল যুগে কৃষিজমি কয় প্রকার ছিল?

উত্তর) মুঘল যুগে কৃষিজমি তিনভাগে বিভক্ত ছিল | যথা—খালিসা জমি, জায়গির এবং পাইবাকি জমি।


23) জায়গির কাকে বলা হত?

উত্তর) -  মুঘল যুগে সম্রাটরা মনসবদার শ্রেণিকে তাদের কাজের জন্য বেতন হিসেবে কিছু জমি প্রদান করতেন। এই জমিকে বলা হত ‘জায়গির’ |



24) অষ্টাদশ শতকে মুঘল দরবারে কী ধরনের গোষ্ঠী গড়ে ওঠে।

উত্তর) অষ্টাদশ শতকে মুঘল দরবারে অভিজাত সম্প্রদায়গুলি প্রধানত তিনটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। সেগুলি হল—ইরানি গোষ্ঠী, তুরানি গোষ্ঠী এবং হিন্দুস্থানি গোষ্ঠী।


 25) জায়গিরদারি সংকট কী?

উত্তর ) - ঔরঙ্গজেবের আমল থেকে মুঘল সম্রাটরা দেশের অধিকাংশ জমিকে জায়গিরে পরিণত করেছিলেন। এরপর এই জায়গিরগুলি অভিজাতদের প্রদান করা হয়। কিন্তু সমস্ত জায়গিরের জমির মান ভালো ছিল না। ফলে উর্বর জমিযুক্ত জায়গির লাভের জন্য অভিজাত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়, যা জায়গিরদারি সংকট নামে পরিচিত। 



26) মনসবদারদের প্রধান দুটি শ্রেণি কী ছিল?

উত্তর) -মনসবদারদের প্রধান দুটি শ্রেণি ছিল—ওমরাহ এবং মনসবদার। যাদের অধীনে এক হাজার থেকে বারো হাজার পর্যন্ত সৈন্য থাকত তাদের ওমরাহ বলা হত। আর যাদের অধীনে এক হাজারের কম সৈন্য থাকত তাদের মনসবদার বলা হত। 


27)  মনসবদারি প্রথার কয়েকটি ত্রুটি লেখো।

উত্তর )- মনসবদারি প্রথার বহু ত্রুটি দেখা যায়।

 সেগুলি হল——

মনসবদাররা অনেকক্ষেত্রেই কম সংখ্যক সৈন্য রাখত। প্রয়োজন হলে ভাড়াটে ব্যক্তিকে সৈন্য সাজিয়ে যুদ্ধে পাঠাত। এদের বাহিনীতে কম সংখ্যক ঘোড়া থাকত। তা ছাড়া মনসবদাররা একে অন্যকে সেনা ও ঘোড়া ধার দিত প্রভৃতি।


28 মুঘল যুগে জমিদারি ব্যবস্থার শ্রেণিবিভাগ কেমন ছিল? 

উত্তর) মুঘল যুগে জমিদারি বস্থা কতকগুলি স্তরে বিভক্ত ছিল। সবার ওপরে ছিল সামন্ত রাজা যিনি সমস্ত জমির মালিক ছিলেন। পরের স্তরে ছিল মধ্যস্বত্বভোগী জমিদার শ্রেণি এবং সবার শেষে ছিল ছোটো জমিদার শ্রেণি।


29) মুঘল যুগের কৃষক বিদ্রোহগুলির প্রকৃতি কীরূপ ছিল?

উত্তর) ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, গৌতম ভদ্র প্রমুখ মুঘল যুগের কৃষক বিদ্রোহ গুলিকে কৃষক অসন্তোষ হিসেবে দেখেছেন। এর সঙ্গে শিখ ও নিম্নবর্ণের হিন্দুধর্মীয় চেতনা যুক্ত হয়েছিল। মুঘল যুগে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত কৃষক বিদ্রোহগুলি একাধারে কৃষক ও উপজাতিদের বিদ্রোহ এবং অন্যদিকে নিম্নবর্ণীয় হিন্দুদের বিদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত হয়।


30)  মুঘল যুগে রাজস্ব প্রশাসন কেমন ছিল?

উত্তর) সম্রাট আকবর প্রথম ভূমিরাজস্ব প্রশাসন গঠন করেন। তিনি রাজস্ব যন্ত্রকও সৃষ্টি করেন, যার নাম ছিল দেওয়ান-ই-উজিরাত | উজির এই দপ্তরের প্রধান ছিলেন। প্রদেশের রাজস্ব দফতরের নাম ছিল দেওয়ান-ই-সুবা | স্থানীয় স্তরে আমিল, চৌধুরি, কানুনগো প্রভৃতি কর্মচারী রাজস্ব প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিল।



তাজমহল ও তার অজানা ইতিহাস

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২২-০১-২০২২ - তাজমহল ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় সমাধি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম যিনি মুমতাজ মহল নামে পরিচিত, তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। সৌধটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে যা সম্পূর্ণ হয়েছিল প্রায় ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে। 
তাজমহলকে (কখনও শুধু তাজ নামে ডাকা হয়) মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং ইসলামী স্থাপত্যশিল্পের সম্মিলন ঘটানো হয়েছে। যদিও সাদা মার্বেলের গোম্বুজাকৃতি রাজকীয় সমাধিটিই বেশি সমাদৃত, তাজমহল আসলে সামগ্রিকভাবে একটি জটিল অখণ্ড স্থাপত্য। এটি ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল।[৩] তখন একে বলা হয়েছিল 'বিশ্ব ঐতিহ্যের সর্বজনীন প্রশংসিত শ্রেষ্ঠকর্ম।

তাজমহল বিশ্বের অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ ও মনোমুগ্ধকর নিদর্শন। ভালোবাসার অবিশ্বাস্য স্মরণীয় ভাস্কর্য। ইসলামিক স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন যা শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
১৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে শাহজাহান, যিনি মুঘল আমলের সমৃদ্ধশালী সম্রাট ছিলেন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মুমতাজ মহল-এর মৃত্যুতে প্রচণ্ডভাবে শোকাহত হয়ে পড়েন। মুমতাজ মহল তখন তাদের চতুর্দশ কন্যা সন্তান গৌহর বেগমের জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন

প্রভাবঃ 
তাজমহল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নকশার উপর, বিশেষ করে পারস্য ও মুঘল স্থাপত্য অনুসারে। নির্দিষ্ট কিছু নকশা তিমুর ও মুঘল ইমারতের মত হুবহু করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিমুরের গুর-ই-আমির, সমরখন্দে মুঘল সাম্রাজ্যের পূর্বসূরি,[৬] হুমায়ূনের মাজার, ইমাদ-উদ-দৌলার মাজার (কখনো ডাকা হয় শিশু তাজ নামে), এবং দিল্লীতে শাহজাহানের নিজের তৈরি দিল্লী জামে মসজিদ। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়, মুঘল ইমারত পরিমার্জনের এক নতুন স্তরে পৌঁছায়।[৭] যেখানে পূর্ববর্তী মুঘল ইমারতসমূহ তৈরি হয়েছিল লাল বেলে পাথরে, শাহজাহান চালু করেছিলেন সাদা দামি মার্বেল পাথরের প্রচলন।

বাগান 
তাজমহলের সামনের চত্বরে একটি বড় চারবাগ (মুঘল বাগান পূর্বে চার অংশে বিভক্ত থাকত) করা হয়েছিল। ৩০০ মিটার X ৩০০ মিটার জায়গার বাগানের প্রতি চতুর্থাংশ উঁচু পথ ব্যবহার করে ভাগগুলোকে ১৬টি ফুলের বাগানে ভাগ করা হয়। মাজার অংশ এবং দরজার মাঝামাঝি অংশে এবং বাগানের মধ্যখানে একটি উঁচু মার্বেল পাথরের পানির চৌবাচ্চা বসানো আছে এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি সরলরৈখিক চৌবাচ্চা আছে যাতে তাজমহলের প্রতিফলন দেখা যায়। এছাড়া বাগানে আরও বেশ কিছু বৃক্ষশোভিত রাস্তা এবং ঝরনা আছে।

সমাধি 
তাজমহলের মূলে হল তার সাদা মার্বেল পাথরের সমাধি। যা অন্যান্য মুঘল সমাধির মত মূলত পারস্যদেশীয় বৈশিষ্ট্য, যেমন আইওয়ানসহ প্রতিসম ইমারত, একটি ধনুক আকৃতির দরজা, উপরে বড় গম্বুজ রয়েছে। সমাধিটি একটি বর্গাকার বেদিকার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভিত্তি কাঠামোটি বিশাল এবং কয়েক কক্ষবিশিষ্ট। প্রধান কক্ষটিতে মুমতাজ মহল ও শাহজাহানের স্মৃতিফলক বসানো হয়েছে, তাদের কবর রয়েছে এক স্তর নিচে

নির্মান
তাজমহল দেয়াল ঘেরা আগ্রা শহরের দক্ষিণ অংশের একটি জমিতে তৈরি করা হয়েছিল যার মালিক ছিলেন মহারাজা জয় শিং। শাহজাহান তাকে আগ্রার মধ্যখানে একটি বিশাল প্রাসাদ দেওয়ার বদলে জমিটি নেন।[৯] তাজমহলের কাজ শুরু হয় সমাধির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে। প্রায় ৩ একর জায়গাকে খনন করে তাতে আলগা মাটি ফেলায় হয় নদীর ক্ষরণ কমানোর জন্য। সম্পূর্ণ এলাকাকে নদীর পাড় থেকে প্রায় ৫০ মিটার উঁচু করা সমান করা হয়। তাজমহল ৫৫ মিটার লম্বা। সমাধিটি নিজে ব্যাসে ১৮ মিটার এবং উচ্চতায় ২৪ মিটার।

পাথর উঠিয়ে ঠিক উচ্চতায় বসাতে কপিকল ব্যবহার করা হত। গাধা এবং ষাঁড়ের দল কপিকল নাড়াতে শক্তির যোগান দিতো।
নির্মাণকাজের ক্রম ছিল এরকম

ভিত্তি
সমাধি
চারটি মিনার
মসজিদ এবং জাওয়াব
প্রবেশ দরজা
ভিত্তি আর সমাধি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১২ বছর। পুরো এলাকার বাকি অংশগুলো নির্মাণ করতে লেগেছিল আরও ১০ বছর। (যেহেতু চত্বর এলাকাটি কয়েকটি ভাগে নির্মিত হয়েছিল তাই তৎকালীন ইতিহাস লেখকগণ নির্মাণ শেষের বিভিন্ন তারিখ উল্লেখ করেন। যেমন সমাধিটির কাজ শেষ হয়েছিল ১৬৪৩ খ্রিষ্টাব্দে, কিন্তু বাকি অংশগুলোর কাজ তখনও চলছিল।


কারিগর
তাজমহল কোন একজন ব্যক্তির দ্বারা নকশা করা নয়। এ ধরনের প্রকল্পে অনেক প্রতিভাধর লোকের প্রয়োজন।
বিভিন্ন উৎস থেকে তাজমহল নির্মাণ কাজে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের বিভিন্ন নাম পাওয়া যায়।

পারস্যদেশীয় স্থপতি, ওস্তাদ ঈসা; চত্বরের নকশা করার বিশেষ ভূমিকায় অনেক স্থানেই তার নাম পাওয়া যায়।
পারস্য দেশের (ইরান) বেনারসের 'পুরু'; ফার্সি ভাষার এক লেখায় (দেখুন আইএসবিএন ৯৬৪-৭৪৮৩-৩৯-২) তাকে তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বড় গম্বুজটির নকশা করেছিলেন ওত্তোমান সাম্রাজ্য থেকে আসা ইসমাইল খাঁন,[১০] যাকে গোলার্ধের প্রথম নকশাকারী এবং সে যুগের একজন প্রধান গম্বুজ নির্মাতা মনে করা হয়।
কাজিম খাঁন, লাহোরের বাসিন্দা, বড় গম্বুজের চূড়ায় যে স্বর্ণের দণ্ডটি ছিল, তিনি তা গড়েছিলেন।
চিরঞ্জিলাল, একজন পাথর খোদাইকারক যিনি দিল্লী থেকে এসেছিলেন; প্রধান ভাস্কর ও মোজাইকারক হিসেবে নেওয়া হয়েছিল।
পারস্যের (সিরাজ, ইরান) আমানত খাঁন, যিনি প্রধান চারুলিপিকর (তার নাম তাজমহলের প্রবেশপথের দরজায় প্রত্যায়িত করা আছে, সেখানে তার নাম পাথরে খোদাই করে লেখা আছে)
মোহাম্মদ হানিফ রাজমিস্ত্রিদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন।
সিরাজ, ইরান থেকে মীর আব্দুল করিম এবং মুক্কারিমাত খাঁন, যারা ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দিকগুলো সামাল দিতেন।

তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই শাহ জাহান তার পুত্র আওরঙ্গজেব দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত ও আগ্রার কেল্লায় গৃহবন্দি হন। কথিত আছে, জীবনের বাকি সময়টুকু শাহ জাহান আগ্রার কেল্লার জানালা দিয়ে তাজমহলের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়েই কাটিয়েছিলেন। শাহ জাহানের মৃত্যুর পর আওরঙ্গজেব তাকে তাজমহলে তার স্ত্রীর পাশে সমাহিত করেন। একমাত্র এ ব্যাপারটিই তাজমহলের নকশার প্রতিসমতা নষ্ট করেছে। ১৯ শতকের শেষ ভাগে তাজমহলের একটি অংশ মেরামতের অভাবে খুব খারাপভাবে নষ্ট হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের সময় ইংরেজ সৈন্যরা তাজমহলের বিকৃতি সাধন করে আর সরকারি কর্মচারীরা বাটালি দিয়ে তাজমহলের দেয়াল থেকে মূল্যবান ও দামি নীলকান্তমণি খুলে নেয়।


যুদ্ধের সময় রক্ষাকারী ভারা
১৯ শতকের শেষ দিকে লর্ড কার্জন তাজমহল পুনর্নির্মাণের একটি বড় প্রকল্প হাতে নেন। প্রকল্পের কাজ ১৯০৮ সালে শেষ হয়। তিনি তাজমহলের ভিতরের মঞ্চে একটি বড় বাতি (যা কায়রো মসজিদে ঝুলানো একটি বাতির অনুকরণে তৈরি করার কথা ছিল কিন্তু তৎকালীন কারিগরেরা ঠিক হুবহু তৈরি করতে পারেনি ) বসিয়েছিলেন। তখনই বাগানের নকশা পরিবর্তন করে ইংরেজ পার্কের মত করে গড়া হয় যা এখনও রয়েছে।

বিংশ শতাব্দীতে তাজমহলের ভাল রক্ষণাবেক্ষণ হয়। ১৯৪২ সালে যখন জার্মান বিমান বাহিনী এবং পরে জাপানি বিমান বাহিনী দ্বারা আকাশপথে হামলা চালায় তৎকালীন সরকার তখন তাজমহল রক্ষার জন্য এর উপর একটি ভারা তৈরি করেছিল (ছবি দেখুন)। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় তাজমহলকে ভারা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল যাতে বিমান চালকদের ভ্রম তৈরি করে। কারণ ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অকুণ্ঠ সমর্থন জুগিয়েছিল ।

তাজমহল সম্প্রতি যে হুমকির মুখে পড়েছে তা হল যমুনা নদীর তীরের পরিবেশ দূষণ। সাথে আছে মাথুরাতে তেল পরিশোধনাগারের কারণে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টি (যা ভারতীয় উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে)।

১৯৮৩ সালে তাজমহলকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

পর্যটনকেন্দ্র
নির্মাণের পর থেকেই তাজমহল বহু পর্যটককে আকর্ষিত করেছে। এমনকি তাজমহলের দক্ষিণ পাশে ছোট শহর তাজ গঞ্জি বা মুমতাজাবাদ আসলে গড়ে তোলা হয়েছিল পর্যটকদের জন্য সরাইখানা ও বাজার তৈরির উদ্দেশ্যে যাতে পর্যটক এবং কারিগরদের চাহিদা পূরণ হয়।[১২]

বর্তমানে, তাজমহলে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন পর্যটক আসে যার মধ্যে ২,০০,০০০ পর্যটক বিদেশি, যা একে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত করেছে। সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসে ঠান্ডা মৌসুমে অক্টোবর, নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে। বায়ু দূষণকারী যানবাহন তাজমহলের কাছে আসা নিষিদ্ধ। তাই, পর্যটকদের গাড়ি রাখার স্থান থেকে পায়ে হেঁটে অথবা বৈদুতিক বাসে করে তাজমহলে আসতে হয়। খাওয়াসপুরাগুলো পর্যটকদের জন্য পুনরায় চালু করা হয়েছে।[১৩][১৪]

বর্তমানে তাজ দর্শনের খরচ ভারতীয়দের জন্য মাত্র ৪০ টাকা।। সার্ক দেশের পর্যটকদের জন্য তাজের প্রবেশমূল্য ৫৩০ টাকা। আর বাকি বিশ্বের জন্য তা ১০০০ টাকা।

উত্তরের জন্য নীচের লিংকে click করো 

Calcutta University || CBCS System || All Semester Suggestions 

Calcutta University  all Semester Suggestions || All Subjects  ( with Answer )

Semester 1 ( I )

👉 Click Here 

Semester 2 ( II )

👉 Click Here

Semester -3 ( III )

👉 Click Here

Semester – 4 ( IV )

👉 Click Here 

Semester – 5 ( V )

👉 Click Here 

Semester – 6 ( VI )

👉 Click Here


**** যদি কোন ভুল থেকে থাকে তবে তা   Typing mistake এর জন্য ।   আমাদের  comment   করে জানান  আমরা তা সংশোধন করে দেবার চেষ্টা করবো ****

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক  বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET  প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় । 

তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা  বাংলার শিক্ষা  e-Portal  এর সাহায্যে   সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে  Online Exam   Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো । 

এখানে মাধ্যমিকের মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ  , উচ্চ-মাধ্যমিক এর   ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর  ) বাংলা  , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত ,  ইতিহাস ,  , স্নাতক ( জেনারেল )  কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education ,  প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online  পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে । 

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General  , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions . 

 


No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.