বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-7] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্ন- নারীশিক্ষা প্রসারে মিশনারিদের অবদান আলোচনা কর। Discuss the role of Missionaries in fueling women education. টীকাঃ রোকেয়া বেগম, || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
BA General Education Suggestions || বি.এ. শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper || 6th Semester Suggestions CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-7] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2
প্রশ্ন- নারীশিক্ষা প্রসারে মিশনারিদের অবদান আলোচনা কর। Discuss the role of Missionaries in fueling women education. টীকাঃ রোকেয়া বেগম, || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
============================
নারী শিক্ষা ( Woman Education )
===========================
B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ )
===============================
**********************************
প্রশ্নঃ- নারীশিক্ষা প্রসারে মিশনারিদের অবদান আলোচনা কর।
Discuss the role of Missionaries in fueling women education.
**********************************
উত্তরঃ
মিশনারিদের অবদান (Contribution of the Missionaries)
মিশনারিদের শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল নারী শিক্ষা। শিক্ষার ইতিহাসে ১৭৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত "হেজেস্ গার্লস স্কুল" এর উল্লেখ দেখা যায়। সম্ভবত সেটিই প্রথম মেয়েদের স্কুল। কিন্তু এ সম্বন্ধে বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি। মনে হয় স্কুলটি স্থায়ীও হয়নি। লন্ডন সোসাইটির রেভারেন্ড মে ১৮১৮ সালে চুঁচুড়াতে একটি মেয়েদের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করে নারী শিক্ষার পথ দেখানো শুরু করেছিলেন। ১৮১৯ সালে উইলিয়াম কেরী শ্রীরামপুরে একটি মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৮২০ সালে “ক্যালকাটা ফিমেল জুডেনাইল সোসাইটি" ১৮টি স্কুল স্থাপন করে। পরবর্তী পর্যায় মিস কুক ১৮২১ সালে ৮টি এবং ১৮২২ সালে আরো ৪টি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এই বিদ্যালয়গুলির পাঠ্যক্রমে লেখা পড়া, অঙ্ক, ইতিহাস, ভুগোল এবং সেলাই শেখানো হত। ১৮২৪ সালে “লেডিস সোসাইটি ফর নেটিভ ফিমেল “এডুকেশন" স্থাপিত হয়।
➤ ১৮২৬ সালে মিস কুক (যিনি তখন বিবাহ সূত্রে মিসেস উইল্সন নামে পরিচিত হয়েছেন) রাজা বৈদ্যনাথের দেওয়া ২০,০০০ টাকা দিয়ে “সেন্ট্রাল স্কুল” স্থাপন করেন। সেখানে মহিলা শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণও আরম্ভ হয়।
➤ সেই সময় ১৮২১ সালে, মাদ্রাজে প্রথম মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময় মেয়েদের বিদ্যালয়ের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় সাতে।
➤ বম্বেতে প্রথম নারী বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৮২৪ সালে। দশ বছরে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০টি বিদ্যালয়ে। উত্তর ভারতের নানা জায়গায় নারী শিক্ষা কেন্দ্র গঠিত হতে লাগল। ১৮৩৫ সাল নাগাদ তখনকার অবিভক্ত বাংলাদেশে কয়েকটি জেলা ও বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে যেমন বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুরশিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, উত্তরপাড়া, বারাসাত, হাওড়া, খুলনা যশোর, চট্টগ্রাম ইত্যাদি জায়গাও নারী শিক্ষাকেন্দ্র ছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলানবজাগরণের যুগে স্ত্রী শিক্ষার ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন দেখা দেয়।
➤ পর্দা প্রথার বিলোপ হয়, মেয়েদের শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে অংশ নিতে আগ্রহ দেখা যায়। ভারতীয় শিক্ষাব্রতী রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাধাকান্ত দেব প্রভৃতিরা এগিয়ে আসেন। রাধাকান্ত দেব কলকাতার শোভাবাজারে মেয়েদের জন্য একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। প্যারীচাঁদ মিত্র এবং রাধানাথ শিকদার স্ত্রী শিক্ষার জন্য একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।
➤ কলকাতায় ১৮৪৯ সালে ড্রিঙ্ক ওয়াটার বেথুন এবং দক্ষিণারঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি শিক্ষাবিদ বাঙালির চেষ্টায় “হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়” (Calcutta Female School) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৮৭ খ্রিঃ এই স্কুল বেথুন কলেজে রূপান্তরিত হয়। স্কটিশ মিশনের রেভারেন্ড অ্যালেক্সান্ডার ডাফ বেশ কিছু মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন—যেমন “সেন্ট মার্গারেট স্কুল”, “ডাফ স্কুল”, “হোলি চাইল্ড স্কুল”, “ফ্রাইস্ট চার্চ স্কুল" ইত্যাদি।..
➤ বাংলার বাইরেও একই চিত্র দেখা যেতে লাগল। যেমন মহাত্মা ফুলে পুনেতে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। এ ছাড়াও আহমেদাবাদ; বন্ধে ইত্যাদি জায়গায় অনেক নারী শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপিত হয়। মিশনারীদের দ্বারা স্থাপিত বেশিরভাগ শিক্ষাকেন্দ্রই ধর্মীয় শিক্ষা দান করত। যদিও এইসব স্কুলে মাতৃভাষাকে মাধ্যম রূপে গ্রহণ করা হত, এখানে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাও দেওয়া হত। তবে যে সব বিদ্যালয়গুলি ভারতীয়দের দ্বারা গঠিত যেমন বম্বেতে জগন্নাথ শঙ্কর শেঠের গঠিত বা মহাত্মা ফুলে - প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলিতে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাদান করা হত।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
===============================
**********************************
টীকাঃ রোকেয়া বেগম,
রোকেয়া বেগম, ১৮৮০-১৯৩২ (Begum Rokeya, 1880-1932) :
রোকেয়া হোসেন ১৮৮০ সালে এক বর্ধিষ্ণু বাঙালি মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার অত্যন্ত গোঁড়া ছিল। তাঁর বাবা এবং দুই ভাই যথেষ্ট শিক্ষিত ছিলেন। তাঁর ভাইরা ইংরেজি শিক্ষা লাভ করেছিলেন মিশনারি কলেজ থেকে। কিন্তু তাঁদের পরিবারের রীতি অনুযায়ী মেয়েদের পর্দার প্রথা চালু ছিল এবং গৃহে থেকে কেবল আরবি (কোরান পাঠের জন্য) এবং উর্দু শেখার অনুমতি ছিল। বাংলা বা ইংরেজি শেখার অনুমতি ছিল না, কারণ সেটি অ-মুসলমানেরা পাঠ করত। তবে রোকেয়ার দাদা, আবুল ইব্রাহিমের -উদার মানসিকতা এবং নারী শিক্ষার প্রতি পূর্ণ সমর্থনের জন্য রোকেয়া লুকিয়ে তাঁর কাছ থেকে বাংলা এবং ইংরেজির পাঠ গ্রহণ করেন। তাঁর জীবনে এই দাদা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৬ বছর বয়সে, মধ্য তিরিশের এক বিপত্নীক, উদারমনা, বিহারের জেলাশাসক সায়েদ সেখাওয়াত হুসেনের সঙ্গে তাঁর বিরাহ হয়। সেখাওয়াত অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন এবং রোকেয়াকে সাহিত্য চর্চাতে উৎসাহ দান করতেন। ১৯০৯ সালে সায়েদের মৃত্যু হয়। সেই বছরই রোকেয়া সায়েদের স্মৃতিতে ভাগলপুরেই একটি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এর জন্য সায়েদ সেখাওয়াত তখনকার দিনে ১০,০০০ টাকা আলাদা করে রেখে গিয়েছিলেন।
১৯১০ সালে রোকেয়ার সৎ জামাইয়ের সঙ্গে বিষয় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ লাগে। তখন তিনি ওই বিদ্যালয়টি বন্ধ করে কলকাতায় চলে আসেন। ১৬ই মার্চ ১৯১১ সালে তিনি কলকাতাতে নারী শিক্ষার জন্য “সেখাওয়াত মেমোরিয়া গার্লস স্কুল" স্থাপন করেন। স্কুলটি স্থাপনের সময় ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৮। ১৮২৫ সালে সেটি দাঁড়ায় ৮৪ জনে। ১৯১৭ সালে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল এবং ভারতের ভাইসরয়ের স্ত্রী মিসেস চেমসফোর্ড স্কুলটি পরিদর্শনে যান। তারপর থেকে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিই স্কুলটিকে সমর্থন করতে এগিয়ে আসেন। ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টিকে দশম শ্রেণি অবধি করা হয়। এই স্কুলে বাংলা এবং ইংরেজি ছিল বাধ্যতামূলক বিষয়।
কলকাতায় থাকাকালীন বেগম রোকেয়া মুসলমান নারীদের শিক্ষার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান। ১৯১৬ সালে বাঙালি মুসলমান মহিলাদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সেটির নাম ছিল “আনজুমান-এ-খাওয়াতিন-এ-ইসলাম”। ১৯২৬ সালে “বেঙ্গল উইমেন্স এডুকেশন কনফারেন্স” এর সভাপতিত্ব করেন। তিনি নারী শিক্ষা সংক্রান্ত অনেক বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে আলিগড়ে সারা ভারত নারী সভার (All India Women's Conference) অধিবেশন পরিচালনা করার পরেই তিনি মারা যান। সেই সময় তিনি “নারীর অধিকার” নামে একটি বই লিখেছিলেন, যেটি আর সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি।
তাঁর জীবনী একটি পর্দানসীন, গোঁড়া মুসলমান নারীর, যিনি শুধু যে সমাজের আরোপিত বাধ্যবাধকতার ভেতর দিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছিলেন তাই নয়, অন্য নারীদের এগিয়ে যাবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন।।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2 , BA 6th Semester ( Education General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education Suggestions
No comments