বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-6] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্ন- নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা কর।( Discuss the role of Raja Rammohan Roy in the field of women education.) টীকাঃ রোকেয়া বেগম, || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
BA General Education Suggestions || বি.এ. শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper || 6th Semester Suggestions CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-6] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2
প্রশ্ন- নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা কর।( Discuss the role of Raja Rammohan Roy in the field of women education.) টীকাঃ রোকেয়া বেগম, || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
============================
নারী শিক্ষা ( Woman Education )
===========================
B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ )
===============================
**********************************
প্রশ্নঃ- নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা কর।
( Discuss the role of Raja Rammohan Roy in the field of women education.)
**********************************
উত্তরঃ
** ভারতীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজা রামমোহনের অবদান অসীম। তিনি তৎকালীন ভারতবর্ষকে আধুনিক করার জন্য ইংরেজি শিক্ষার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তা ইংরেজ সরকারের প্রতি আনুগত্য তৈরি বা সরকারি কর্মী বাড়ানোর জন্য নয়। রামমোহন চেয়েছিলেন ইংরাজি শিক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানের দরজা খুলে দিতে। তিনি বুঝেছিলেন বিজ্ঞানই মানুষকে উদারচেতনা করতে পারে, যুক্তি দিয়ে বিচার করতে শেখায় এবং আত্ম-সচেতন ও আত্মসমালোচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এর মাধ্যমেই আসতে পারে প্রকৃত জাতীয়তাবাদ।
তিনি বাংলা ভাষাকেও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন নানা ভাবে। যেমন, বাংলা শব্দকোশ তৈরি করে, তাঁর রচনাগুলির মাধ্যমে বাংলাভাষায় নিজস্ব গদ্যরীতি সৃষ্টি করার মাধ্যমে তিনি বাংলা ভাষাকে বিদ্যাচর্চার বাহন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। এখানে উল্লেখ করা দরকার রামমোহনের পূর্বে শিক্ষিত মানুষের বিদ্যাচর্চার ভাষা ছিল সংস্কৃত অথবা ফারসি।
নারীর সামাজিক মর্যাদা উন্নত করার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন, তেমনি বিধবা বিবাহের সপক্ষেও খুবই জোরালো লড়াই করেছিলেন। তিনি মেয়েরা যাতে তাদের পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী হতে পারে সে জন্যেও প্রচুর চেষ্টা করেছেন। রামায়ণ, মহাভারত, যজ্ঞবল্লভ কাত্যায়ন, বৃহস্পতি ইত্যাদি থেকে উদ্ধৃত করে দেখিয়েছিলেন যে প্রাচীনকালেও মহিলাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার ছিল। পুরুষদের বহুবিবাহের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। তিনি এক্ষেত্রে নানা ধর্মগ্রন্থ উদ্ধৃত করে দেখিয়েছিলেন যে দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি কিছু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া আছে। এটিকে বহির্ভূত ভাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্রাহ্ম সমাজের জন্য যেসব নীতি, আচরণ বিধি ও নিয়ম তৈরি হয়েছিল তার মাধ্যমেও রামমোহন নারী শিক্ষা ও নারী প্রগতির ওপর বিশাল প্রভাব ফেলেছেন। লক্ষণীয় বিষয় হল যে স্ত্রী-শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় স্থাপন বা পৃষ্ঠপোষকতা করা, অর্থদান করা ইত্যাদি কাজের কোনটাই তিনি করেননি। কিন্তু পরবর্তীকালের জন্য নারীশিক্ষার ভিত্তিভূমিটি তিনি তৈরি করতে সচেষ্ট ছিলেন। বহু ভাষাবিদ, শাস্ত্রজ্ঞ, যুক্তিবাদী, বাপ্পী, সুলেখক ও সমাজ সংস্কারক রামমোহন বুঝেছিলেন যে নারীর শিক্ষার জন্য দরকার তাকে সামাজিক দুরাচার ও শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। তাঁর সমস্ত কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে মানবতার এই মুক্তি অনেকটা সুনিশ্চিত করতে পেরেছিলেন। •
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
===============================
**********************************
টীকাঃ রোকেয়া বেগম,
রোকেয়া বেগম, ১৮৮০-১৯৩২ (Begum Rokeya, 1880-1932) :
রোকেয়া হোসেন ১৮৮০ সালে এক বর্ধিষ্ণু বাঙালি মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার অত্যন্ত গোঁড়া ছিল। তাঁর বাবা এবং দুই ভাই যথেষ্ট শিক্ষিত ছিলেন। তাঁর ভাইরা ইংরেজি শিক্ষা লাভ করেছিলেন মিশনারি কলেজ থেকে। কিন্তু তাঁদের পরিবারের রীতি অনুযায়ী মেয়েদের পর্দার প্রথা চালু ছিল এবং গৃহে থেকে কেবল আরবি (কোরান পাঠের জন্য) এবং উর্দু শেখার অনুমতি ছিল। বাংলা বা ইংরেজি শেখার অনুমতি ছিল না, কারণ সেটি অ-মুসলমানেরা পাঠ করত। তবে রোকেয়ার দাদা, আবুল ইব্রাহিমের -উদার মানসিকতা এবং নারী শিক্ষার প্রতি পূর্ণ সমর্থনের জন্য রোকেয়া লুকিয়ে তাঁর কাছ থেকে বাংলা এবং ইংরেজির পাঠ গ্রহণ করেন। তাঁর জীবনে এই দাদা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৬ বছর বয়সে, মধ্য তিরিশের এক বিপত্নীক, উদারমনা, বিহারের জেলাশাসক সায়েদ সেখাওয়াত হুসেনের সঙ্গে তাঁর বিরাহ হয়। সেখাওয়াত অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন এবং রোকেয়াকে সাহিত্য চর্চাতে উৎসাহ দান করতেন। ১৯০৯ সালে সায়েদের মৃত্যু হয়। সেই বছরই রোকেয়া সায়েদের স্মৃতিতে ভাগলপুরেই একটি মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এর জন্য সায়েদ সেখাওয়াত তখনকার দিনে ১০,০০০ টাকা আলাদা করে রেখে গিয়েছিলেন।
১৯১০ সালে রোকেয়ার সৎ জামাইয়ের সঙ্গে বিষয় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ লাগে। তখন তিনি ওই বিদ্যালয়টি বন্ধ করে কলকাতায় চলে আসেন। ১৬ই মার্চ ১৯১১ সালে তিনি কলকাতাতে নারী শিক্ষার জন্য “সেখাওয়াত মেমোরিয়া গার্লস স্কুল" স্থাপন করেন। স্কুলটি স্থাপনের সময় ছাত্রী সংখ্যা ছিল ৮। ১৮২৫ সালে সেটি দাঁড়ায় ৮৪ জনে। ১৯১৭ সালে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল এবং ভারতের ভাইসরয়ের স্ত্রী মিসেস চেমসফোর্ড স্কুলটি পরিদর্শনে যান। তারপর থেকে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিই স্কুলটিকে সমর্থন করতে এগিয়ে আসেন। ১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টিকে দশম শ্রেণি অবধি করা হয়। এই স্কুলে বাংলা এবং ইংরেজি ছিল বাধ্যতামূলক বিষয়।
কলকাতায় থাকাকালীন বেগম রোকেয়া মুসলমান নারীদের শিক্ষার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান। ১৯১৬ সালে বাঙালি মুসলমান মহিলাদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সেটির নাম ছিল “আনজুমান-এ-খাওয়াতিন-এ-ইসলাম”। ১৯২৬ সালে “বেঙ্গল উইমেন্স এডুকেশন কনফারেন্স” এর সভাপতিত্ব করেন। তিনি নারী শিক্ষা সংক্রান্ত অনেক বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে আলিগড়ে সারা ভারত নারী সভার (All India Women's Conference) অধিবেশন পরিচালনা করার পরেই তিনি মারা যান। সেই সময় তিনি “নারীর অধিকার” নামে একটি বই লিখেছিলেন, যেটি আর সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি।
তাঁর জীবনী একটি পর্দানসীন, গোঁড়া মুসলমান নারীর, যিনি শুধু যে সমাজের আরোপিত বাধ্যবাধকতার ভেতর দিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছিলেন তাই নয়, অন্য নারীদের এগিয়ে যাবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন।।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2 , BA 6th Semester ( Education General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education Suggestions
No comments