Education Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System Education Suggestions( BA General ) with Answer
Education Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Education Suggestions( BA General ) with Answer
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
2nd Semester Education Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
Education
--- আরো দেখো ---
**** শিক্ষামনোবিজ্ঞানের প্রকৃতি (Nature) আলোচনা করো। ****
উত্তর: শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। স্বাভাবিক
ভাবেই সমাজবিজ্ঞানের
প্রকৃতির সঙ্গে শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের | প্রকৃতির যথেষ্ট সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতিগুলি হল
শিক্ষা-মননাবিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি পৃথক শাখা
:
পূর্বে শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান মনোবিজ্ঞানের
একটি প্রয়ো গমূলক শাখা বলে বিবেচিত হত। বর্তমানে শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি
পৃথক শাখা হিসেবে স্বীকৃত। শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন নতুন
পরীক্ষানিরীক্ষা ও গবেষণা করে সমাধানের উপায় নির্দিষ্ট করা শিক্ষামনোবিদ্যার কাজ।
বস্তুতপক্ষে শিক্ষাদান কার্যকে সার্থক। রূপ দেওয়ার জন্যই শিক্ষা-মনোবিদ্যার
সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান সব শর্তগুলিই পূরণ করে। তাই শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান
একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান। •
শিক্ষা-মননাবিজ্ঞানের
নিজস্ব পদ্ধতি :
বিজ্ঞানের সকল
বিষয়বস্তুকে অনুশীলনের জন্য তিনটি পর্যায়ের কথা বলা হয়েছে। এই তিনটি পর্যায়
হল—পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ। শিক্ষা-মনোবিদ্যার অনুশীলনের ক্ষেত্রেও
তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের বিষয় অনুশীলনের জন্য সাধারণত
দু-ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যথা ব্যক্তিভিত্তিক পদ্ধতি এবং নৈর্ব্যক্তিক
পদ্ধতি। ব্যক্তিভিত্তিক পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম। হল পর্যবেক্ষণ, কেস স্টাডি,
তুলনামূলক পদ্ধতি ইত্যাদি আর নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম হল পরীক্ষণ
পদ্ধতি, জেনেটিক পদ্ধতি, পরিসংখ্যান পদ্ধতি, সার্ভে পদ্ধতি ইত্যাদি। এই সমস্ত
নিজস্ব অনুশীলন পদ্ধতির সাহায্যে শিক্ষা-মনোবিদ্যা অন্য কোনো শাস্ত্রের ওপর নির্ভর
না-করে স্বতন্ত্রভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম
হয়েছে।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের
সমাজকল্যাণকর দিক :
প্রত্যেক | বিজ্ঞানের যেমন সমাজকল্যাণকর দিক
আছে, তেমনি Iশক্ষা-মনোবিজ্ঞানেরও একটি সমাজকল্যাণকর দিক আছে। এই দিক শুধুমাত্র
শিক্ষাকালীন আচরণই অনুশীলন করে না, অনুশীলনকালে পরীক্ষালব্ধ ও গবেষণাল) ফলাফলকে
সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানুষের সমাজকল্যাণে নিয়ো জিত উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের স্বতন্ত্র পরীক্ষামূলক দিক।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান বর্তমানে শুধুমাত্র প্রয়ো গমূলক
বিজ্ঞান নয়, এই শাস্ত্র শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নানারকম
তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছে। এর ফলে তার নিজস্ব পরীক্ষামূলক
দিক গড়ে উঠেছে। স্বতন্ত্র পরীক্ষামূলক দিকের ওপর ভিত্তি করে জ্ঞানের এই শাখা
শিখনের বিভিন্ন দিক অনুশীলন করে থাকে।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান একটি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান :
ব্যক্তি ও সমাজের মঙ্গল হয় এমন সব বিষয় নিয়ে
শিক্ষামনোবিজ্ঞান আলোচনা করে। ব্যক্তি ও সমাজের উভয়ের বা যে-কোনো পক্ষের ক্ষতি
হয় এমন কোনো বিষয় নিয়ে শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান আলোচনা করে না।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিষয় :
শিক্ষামনোবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়ের
(যেমন-শিখন, শিক্ষণ, প্রেষণা, মনোযোগ,
স্মৃতি ইত্যাদি) ওপর ব্যাপক গবেষণার ফলে নতুন নতুন তথ্য, নীতি আবিষ্কৃত হয়েছে যার
প্রয়ো গ শিক্ষাবিজ্ঞানকে আরও উন্নত ও কার্যকারী করে। তুলেছে। এই অর্থে গতিশীলতা
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র :
শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান ও ব্যক্তি পার্থক্যকে
গুরুত্ব দেয়। ব্যক্তিগত পার্থক্য একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। তাই ব্যক্তি পার্থক্যকে
ভিত্তি করে শিক্ষা-মনোবিজ্ঞান তার বিষয়সমূহকে পর্যালোচনা করে।
শিক্ষামনোবিজ্ঞান ও অন্যান্য বিজ্ঞান
শিক্ষা মনোবিজ্ঞান শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞান
এই দুটি বিষয়ের ওপর সীমাবদ্ধ থাকে না। সমাজবিদ্যা, জীববিদ্যা, নৃবিদ্যা, শারীরবিদ্যা,
প্রযুক্তিবিদ্যা প্রভৃতি তথ্য ও তত্ত্ব শিক্ষা-মনোবিদগণ ব্যবহার করে নিজের বিষয়কে
আরও কার্যকারী করে তুলেছে।
সুতরাং, আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানের সবরকম লক্ষণই কমবেশি শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানে লক্ষ করা যায়। শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানের নিজস্ব অনুশীলন পদ্ধতি, স্বতন্ত্র আলোচনার ক্ষেত্র, স্বতন্ত্র পরীক্ষামূলক দিক, নিজস্ব গবেষণার রীতি ইত্যাদি থাকার ফলে আর অন্য কোনো বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করতে হয় না .
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
** প্রশ্নঃ- এরিকসন মনোসামাজিক বিকাশের পর্যায়ক্রম।
এরিকসন মনোসামাজিক বিকাশের পর্যায়ক্রম। (Stages of Psychosocial Development) মনোসামাজিক দ্বন্দ্ব এবং অহমের বিকাশ ঘটে কয়েকটি পর্যায় বা স্তরের মধ্যে
দিয়ে। প্রতিটি স্তরে দ্বন্দ্বের বিষয়বস্তু অনুযায়ী এরিকসন সেই স্তরের স্বতন্ত্র
নাম দিয়েছেন। প্রথমে সারা জীবনকে প্রধান চারটি পর্যায়ে ভাগ করে তারপর প্রতিটি
পর্যায়কে কিছু উপস্তরে ভাগ করেছেন এরিকসন।।
1. প্রারম্ভিক পর্যায় (Early
Stage): এই পর্যায়টি তিনটি উপস্তরে বিভক্ত। জন্ম থেকে প্রথম পাঁচ
বছর প্রারম্ভিক পর্যায়ের ব্যাপ্তিকাল।
• প্রথম স্তর (জন্ম থেকে এক বছর পর্যন্ত) আস্থা বনাম অনাস্থা (Trust vs. Mistrust):
শিশুর
অভিজ্ঞতার মধ্যে যদি বৈপরীত্য না থাকে, অভিজ্ঞতা যদি ধারাবাহিক ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তবে তার মধ্যে নিরাপত্তাবোধের
সৃষ্টি হয় এবং সবকিছুর প্রতি আস্থা জন্মায়। অন্যদিকে তার চাহিদা পূরণ না হলে
অথবা তার মধ্যে ধারাবাহিকতা না থাকলে সে আস্থা হারায়। আস্থা এবং অনাস্থার দু
দিয়েই তার জীবন শুরু হয়।
• দ্বিতীয় স্তর (দুই থেকে তিন বছর) স্বাধীনতা
বনাম লজ্জা ও সন্দেহ (Autonomy Vs. Shame and doubt):
মা-বাবার প্রতি
আস্থা সৃষ্টি হলে শিশুরা স্বাভাবিক সক্রিয়তার ক্ষেত্রে কিছুটা স্বাধীনতা পেতে
চায়। যদি তাকে অকারণে বাধা দেওয়া না হয়, সতর্ক দৃষ্টি রেখে তাকে স্বাধীনতা ভোগ করতে দেওয়া হয় তবে তার মধ্যে
আত্মনির্ভরতা জন্মায়। কিন্তু যদি বড়োরা তার সবকিছু করে দেয় এবং তার সক্রিয়তায়
বাধা দেয় তবে তার নিজের সক্ষমতার প্রতি সন্দেহ জন্মায়। তখন তার পক্ষে অনেক কাজেই
ব্যর্থ হওয়া স্বাভাবিক। যদি ব্যর্থতার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় তবে তার মধ্যে
লজ্জার প্রকাশ ঘটে, একেই বলা হয়েছে
স্বাধীনতা বনাম লজ্জা ও সন্দেহের দ্বন্দ্ব।।
• তৃতীয় স্তর (চার থেকে পাঁচ বছর) উদ্যোগ বনাম
অপরাধবোেধ (Initiative vs.
Guilt):
স্বাধীনতা, আত্মনির্ভরতা, ভাষা ও বাচনিক বিকাশ
প্রভৃতির ফলে,
শিশু নিজে থেকে নানা কাজে উদ্যোগ নিতে চায়। সে তার জগৎকে
নিজে থেকে জানতে চায়, পরীক্ষানিরীক্ষা করে
দেখতে চায়। যদি মা-বাবা, শিক্ষক ও
অন্যান্যরা স্বাধীনভাবে নেওয়া এই সব উদ্যোগে বাধা না দেন তবে শিশু আরও
অনুসন্ধিৎসু ও সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিপরীতক্রমে তার উদ্যোগের ক্ষেত্রটি সংকুচিত করে
দিলে,
সে ভাবে অন্যায় কাজ করছে। ফলে তার মধ্যে অপরাধবোধ সৃষ্টি
হয়।
2. মধ্যবর্তী পর্যায় (Middle
Stage):
এই পর্যায় প্রধানত
প্রাথমিক শিক্ষার কাল। পর্যন্ত ব্যাপ্ত। এখানে একটি স্তরের কথাই বলা হয়েছে।
• ** চতুর্থ স্তর (6 থেকে 11 বছর)
উদ্যম বনাম হীনম্মন্যতা (Industry vs. Inferiority):
এই সময় শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমবয়স্কদের সঙ্গে একত্র।
জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে থাকে। তার পরিচয়ের গণ্ডি বিস্তৃত হয়। তা ছাড়াও নানা
নিয়মকানুন মেনে চলা, নিয়মের মধ্যে কাজ
এমনকি খেলাধুলা করার ফলে তার মধ্যে উদ্যম ও উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। তারা নিজেদের
ক্রমবর্ধমান শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা সম্বন্ধে সচেতন হতে থাকে। যদি তার সক্ষমতার
সীমার মধ্যে কাজ করতে দেওয়া যায় তবে সাফল্য তাকে আরও উদ্যমী করে তোলে। কিন্তু
সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কাজ ও ব্যর্থতা শিশুর মধ্যে হীনম্মন্যতার জন্ম দেয়।
কাজের স্বীকৃতি পেলে এবং বড়োদের অকারণ সমালোচনা, ব্যর্থতার জন্য তিরস্কার এসব না থাকলে উদ্যমের বিকাশ হয় এবং
অন্যথায় হীনম্মন্যতা জাগ্রত হয়।।
3. তৃতীয় পর্যায়: কৈশোর কাল (Third Stage: Adolescence):
মনোসামাজিক বিকাশের এই পর্যায়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ
এই সময় কিশোর-কিশোরীদের
স্বতন্ত্র আত্মপরিচয় গড়ে ওঠে।
** পঞ্চম স্তর (12 থেকে 18 বছর ), আত্মপরিচয়
বনাম আত্মপরিচয়ের বিভ্রান্তি (Identity vs. identity confusion):
শৈশবের শেষে এবং কৈশোরের শুরু থেকে
‘আমি কে এবং কী এই প্রশ্নটির উত্তর খোঁজা শুরু হয়। অর্থাৎ অন্যরা, তাকে কী মনে করে কোন দৃষ্টিতে দেখে বা ভাবে এই বিষয়টি সম্বন্ধে
কিশোরীরা সচেতন হয়ে ওঠে। অন্যের মতামত বিশেষভাবে
সমবয়সিদের
মতামত তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই জন্যই কৈশোরে 'র প্রতি আনুগত্য সবচেয়ে বৃদ্ধি পায়। অন্যের চোখে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে
তোলার বাসনা তার মধ্যে কাজ করে । কিন্তু নিজের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব, মূল্য ও পরিচয় সম্বন্ধে সন্দিহান হয়ে পড়লে, তারা এক ধরনের বিভ্রান্তির শিকার হয় । একদিকে আত্মপরিচয়ের সন্ধান আর অন্যদিকে
আত্মপরিচয়ের বিভ্রান্তি এই দুইয়ের দ্বন্দ্ব কৈশোরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
########################################
--- আরো দেখো ---
আত্মপরিচয় সন্ধান (Search
for Identity): এরিকসনের মনোসামাজিক তত্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল
বয়ঃসন্ধিকালের আত্মপরিচয় সংকট সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া। এই সময়
শারীরিক বৃদ্ধি,
যৌনতার বিকাশ, অভিভাবকদের প্রত্যাশা ও চাপ, সামাজিক অনিশ্চয়তা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, সমবয়সিদের দাবি এই সব মিলিয়ে তাদের এক সংকটের মুখে ঠেলে দেয়। তাদের প্রকৃত
পরিচয়,
জীবনের উদ্দেশ্য ইত্যাদি নিয়ে নানা সংশয় ও নিরাপত্তাহীনতা
তৈরি হয়। এই ব্যক্তিগত সংকটের একমাত্র নিরসন আত্মপরিচয় লাভ। নতুবা পরিচয়হীনতা
ব্যক্তির জীবনে সৃষ্টি করে এক শূন্যতার। পরবর্তী গবেষকরা পরিচয় লাভের চারটি
রকমফের বা অবস্থা চিহ্নিত করেছেন।
• আবছায়া পরিচয় (Identity
diffusion):
এই অবস্থায় নিজস্ব পরিচয় নির্ধারণের ভিত্তিগুলি একাকার
হয়ে যায়। পরিকল্পনাহীনভাবে ব্যক্তি এক-একটি পরিচয় নির্ধারণ করে এবং পরিত্যাগ করে।
• পরিচয় নির্বাচন (Identity
fore closure):
এই অবস্থায়, অন্যের দেওয়া
পরিচয়কেই নির্বিচারে বেছে নেওয়া হয়। অনেকগুলি বিকল্প পরিচয়ের মধ্যে একটিকে
নির্বাচন করে প্রাথমিকভাবে পরিচয় নির্ধারণের প্রচেষ্টা শেষ করে দেওয়ার নাম
পরিচয় নির্বাচন।
•
সাময়িক পরিচয়হীনতা(Identity moraterism):
পরিচয় নির্বাচন করতে গিয়ে কিশোর-কিশোরীরা আবার
বিভ্রান্তির শিকার হয়। কারণ অন্যের দেওয়া পরিচয় প্রায়ই তার সামাজিক ও
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিরোধী হতে পারে। তখন তারা সাময়িকভাবে পরিচয় সন্ধান স্থগিত
রাখে এবং সাময়িকভাবে
পরিচয়হীনতার শিকার হয়।
, পরিচয় লাভ (Identity achievement);
অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা এবং সঠিক
সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে হয় অর্থাৎ যখন একটি শক্তিশালী অহংবোধ নিজের পর করতে সক্ষম
হয় এবং তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে, তখন আত্মপরিচয় লাভ ঘটেছে।
আত্মপরিচয় যখন নিজের পেক্ষিতে বিচার করে নির্ধারিত নজের
প্রকৃত পরিচয় নির্ধার তখনই বলা হয়
ব্যক্তির।
চতুর্থ পর্যায়: পরবর্তী সময় (Later years)
এই পর্যায়কে এরিকসন তিনটি স্তরে ভাগ করেছেন
. ষষ্ঠ
স্তর (18 থেকে 35 বছর) হৃদ্যতা বনাম একাকীত্ব ঃ
এই স্তরে যৌনতার বাইরে গিয়ে একধরনের অন্তরঙ্গতাবোধ তৈরি
হয়। নিজের আত্মপরিচয় ধরে রেখেও পারস্পরিক মনোসামাজিক হৃদ্যতা তৈরি হতে থাকে।
বন্ধুদের প্রতি ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ জনের প্রতি দায়িত্ববোধের প্রকাশ ঘটে। এই কারণে
সংকীর্ণ আত্মপরিচয় ক্রমশ প্রসারিত হতে থাকে। কারণ ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক পরিবেশে, অনের অন্তরঙ্গতা
সৃষ্টির জন্যই মানুষের আত্মপরিচয়ের বিস্তৃতি দরকার অন্তরঙ্গতাবোধ মানুষের সামাজিক
জীবনের ভিত্তি। যদি তার অভাব ঘটে অর্থাৎ সঠিক আত্মপরিচয় নির্ধারিত না হওয়ার দরুন
তার বিস্তার অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে এবং অন্তরঙ্গতাবোধ তথা হৃদ্যতা তৈরি না হয়, তবে ব্যক্তি নিঃসঙ্গ
হয়ে পড়ে। হৃদ্যতা এবং একাকীত্বের মধ্যে প্রবল দ্বন্দ্বের
সূত্রপাত হয়।
• সপ্তম স্তর (35 থেকে 65 বছর) উৎপাদনমুখিতা বনাম অচলাবস্থা (Generativity
Vs. Stagnation):
এই স্তরটি মানুষের জীবনের মধ্যবর্তী ও সক্রিয়তার কাল।
সাংসারিক দায়দায়িত্ব পালনে তৎপর মধ্যবয়স্ক মানুষ যতদূর সম্ভব নিজের
উৎপাদনশীলতাকে কাজে লাগাতে চায়। সামাজিক দায়িত্ব, সন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা, অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো সব কিছুর জন্য অর্থোপার্জন করা এই
স্তরের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু বয়সবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা
স্তিমিত হয়ে আসে। এই অবস্থায় মানুষ এক ধরনের স্থিতিশীলতার শিকার হয়।
• অষ্টম স্তর ( 65 বছরের পর): সততা বনাম হতাশা ঃ
দীর্ঘ সময় যাবৎ দায়িত্ব পালন করে এবংজীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতার
সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে মানুষ তার সামাজিক জীবনের শীর্ষে পৌঁছতে পারে । বয়স বৃদ্ধির ফলে
ও অবসর গ্রহনের ফলে এক ধরনের হতাশা তার মধ্যে কাজ করে , যার ফলে তার নিজেকে একটু মূল্যহীন বলে মনে হয় ।
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
পিয়াজ বর্ণিত জ্ঞানমূলক বিকাশের বিভিন্ন স্তরগুলি
উল্লেখ কর।
উত্তরঃ
জ্ঞান বা প্রজ্ঞা বলতে আমরা বুঝি ব্যক্তি তার চারপাশের
জগতের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার অভিজ্ঞতার অর্জন ও বাস্তবে প্রয়োগ ঘটানোকে।
সুইস চিন্তাবিদ জাপিয়াজে (Jean Piaget) এতে আমরা জ্ঞানমূলক ক্রিয়াশীলতা নিয়ে জন্মাই এবং যা আমাদের পারিপার্শ্বিক
জগতের পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞানমূলক সংগঠন তৈরি করে। তিনি মনে করেন এই
জ্ঞানমূলক সংগঠনে অভিযোজন ও আত্তিকরণ
সহায়তা করে।
জ্ঞানমূলক বিকাশের
স্তর :
দীর্ঘ গবেষণার পর জা পিয়াজেঁ জ্ঞানমূলক বিকাশের চারটি স্তরের কথা বলেছেন-
(ক) সংবেদন সঞ্চালনমূলক স্তর (Sensor Motor Stage)- জন্ম থেকে ২ বছর।
(খ) প্রাক্-সক্রিয়তার স্তর (Pre-Operational Stage)- ২ থেকে ৭ বছর।
(গ) মূর্ত-সক্রিয়তার স্তর (Concrete-Operational Stage)-৭ থেকে ১১ বছর।
(ঘ) যৌক্তিক-সক্রিয়তার স্তর (Formal-Operational Stage)-১১ থেকে ১৮ বছর।
(ক) সংবেদন সালনমূলক স্তর :
জন্ম থেকে ২ বছর পর্যন্ত এই স্তরটি বিস্তৃত। এই স্তরের
বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) শিশুরা এই বয়সে
আত্মকেন্দ্রিক থাকে।
(২) বস্তুর
স্থায়িত্ব সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না।
(৩) এই স্তরের
প্রথমদিকে শিশুরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকে না তবে ধীরে ধীরে তারা অন্যান্যদের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়।
(৪) এই স্তরের শেষের দিকে শিশুরা পুনরাবৃত্তি পৃথকীকরণ ও সামান্যীকরণের মাধ্যে
মানসিক কল্প গঠনে সক্ষম হয়।
(খ) প্রাক্-সক্রিয়তার স্তর : এই স্তরের সময়কাল হল ২ বছর থেকে ৭ বছর। এই স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) বাস্তববাদ : এই স্তরে শিশুর সক্রিয় বাস্তবধর্মী চিন্তনের বিকাশ হতে থাকে।
বহির্জগৎ ও অন্তর্জগৎ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান হয়।
(২) সর্বপ্রাণবাদ : এই পর্যায়ে শিশুরা সব বস্তুকেই সজীব বলে মনে করে। (৩) কৃত্রিমতাবাদ : এই বয়সের শিশুরা মনে করেন পৃথিবীর সকল জিনিস মানুষ সৃষ্টি
করেছে। (৪) অবযুক্তিপূর্ণ বিচার : এই স্তরের শিশুদের চিন্তনে আরোহী
ও অবরোহী যুক্তির প্রয়োগ
হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে অযৌক্তিক চিন্তন লক্ষ্য করা যায়।
(গ) মূর্ত-সক্রিয়তার স্তর : এই পর্যায়ের সময়সীমা হল ৭ বছর থেকে ১১ বছর। এই স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১)
সংরক্ষণ : এই বয়সের শিশুরা বিশ্বাস করে কোন বস্তুর বাহ্যিক কিছু
পরিবর্তন হলেও মূল বস্তুটি অপরিবর্তিত থাকে। এই ধারণাকে বলা হয় সংরক্ষণ।।
(২) ক্রমপর্যায় : এই স্তরের
শিশুরা মূর্ত বস্তুকে ক্রমপর্যায়ে সাজাতে পারলেও বিমূর্ত বস্তুকে ক্রমপর্যায়ে
সাজাতে পারে না।।
(৩)
শ্রেণিকরণ : এই পর্যায়ে বিষয়বস্তুর বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা
শ্রেণিকরণ করতে পারে।
(৪) সংখ্যার ধারণা : এই স্তরে
শিশুরা সংখ্যা সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা গঠন করে।
(ঘ) যৌক্তিক-সক্রিয়তার স্তর : এই স্তরের সময়সীমা হল
১১ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত। এই
স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(১) অবরোহী যুক্তি নির্ভরতা : এই স্তরে শিশুরা
যুক্তির মাধ্যমে কোন কিছু গ্রহণ বা বর্জন করে।।
(২) স্বীকার্যমূলক চিন্তন : এই পর্যায়ে শিশুদের মনে বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে প্রশ্ন জাগে। তাই তারা
বিমূর্ত চিন্তনের আশ্রয় নেয়।।
(৩) দলগত অপারেশন : এই স্তরে
শিশুরা যৌথ পরিকল্পনার সংমিশ্রণে সাধারণীকরণ। করতে পারে। একে বলা হয় দলগত অপারেশন
বা INRC Group, (I= Identity, N= Negative. R=Reciprocity, C =
Corelation)
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
########################################
--- আরো দেখো ---
**** বিস্মৃতির কারণ গুলি
আলোচনা কর ****
ভুলে যাওয়া বা
বিস্মরণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সেগুলি হল,
(ক) পর্যালোচনার অভাব :
কোন বিষয় শিখনের পর
দীর্ঘদিন আলোচনা না করলে বিষয়টি ভুলে যাই। আবার কখনও কখনও দেখা যায় কোনরকম চর্চা বা অনুশীলন না করা, বিষয়বস্তুর সংরক্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। একে স্মৃতিরেশ (Reminiscence) বলে।
(খ) পশ্চাদমুখী প্রতিরোধ :
পশ্চাদমুখী প্রতিরোধ ভুলে যাওয়ার একটি অন্যতম কোন বিষয় শেখার পর অপর কোন বিষয় শিখলে পরের শেখা বিষয় প্রথমের শেখা বিছ খানিকটা ভুলিয়ে দেয়। একে পশ্চাদমুখী প্রতিরোধ বলে। তাই দুটি বিষয় শেখার মাঝে কিছুটা বিরতি দেওয়া উচিত।
(গ) অগ্রমুখী প্রতিরোধ :
যখন আগের শেখা বিষয় পরের শেখা বিষয়কে ভুলিয়ে সে
তখন তাকে অগ্রমুখী প্রতিরোধ বলে। তাই অগ্ৰমুখী প্রতিরোধ বিস্মৃতির একটি অন্যতম কারণ।
. (ঘ) আঘাতজনিত বিস্মরণ :
দৈহিক আঘাতের ফলে অনেক সময় আমরা বিষয়বস্তু ভলে যাই। বিশেষত মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে আমরা সংরক্ষিত জিনিস ভুলে যাই। মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার দরুণ আমরা ভুলে যাই।
(ঙ) অবসাদ :
বিস্মৃতির আরেকটি কারণ হল
অবসাদ। অবসাদের দরুণ আমাদের শরীর ও মনে ক্লান্তি আসে। এই সময় যদি আমরা কিছু শিখি তাহলে খুব তাড়াতাড়ির মধ্যেই তা আমরা ভুলে, যাই।
(চ) নিদ্রা :
কোন বিষয় শেখার পর সঙ্গে সঙ্গে যদি ঘুমিয়ে পড়া যায় তাহলে সংরক্ষণ। ভালো হয়। কিন্তু জেগে থাকলে অধিত বিষয়ের সংরক্ষণ কম হয়। মনোবিজ্ঞানী ডােলেনবাক
(Dollenback) তার পরীক্ষার মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন।
(ছ) আবেগজনিত বিস্মরণ :
অনেক সময় আবেগজনিত কারণে আমরা ভুলে যাই। রাগ, | ভয়, ঘৃণা প্রভৃতি প্রক্ষোভ মানুষের মধ্যে এমন তীব্র আকার নেয় যে মনের মধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে এবং অধীত বিষয় ভুলিয়ে দেয়।
(জ) অবদমন :
অনেক সময় আমরা ইচ্ছে করে ভলে যাই। যে সব ঘটনা আমাদের দুঃখ। দেয় বা যে সব বিষয় আমাদের কাছে অপ্রয়ো
জনীয় তখন আমরা সেই বিষয় বা ঘটনা বা ব্যক্তিকে
**** স্মৃতি শক্তি বাড়ানো
যায় কিভাবে ?
বা
, মনে রাখার উপায় গুলি কী কী ?******
মনোবিজ্ঞানী স্টাউট এর মতে, সাধারণ
স্মৃতিশক্তির কোন উন্নতি সাধন
সম্ভব না হলে প্রচেষ্টার
দ্বারা বিশেষ স্মৃতির’ (Specialmemory) উন্নতি সাধন সম্ভব। তবে
নাইট ও নাইট বলেনপা
ঠের ক্ষেত্রে উন্নত পদ্ধতি গ্রহণ করলে, দীর্ঘদিন পাঠিত বিষয় স্মরণ রাখা সম্ভব। এইরূপ
পরোক্ষভাবে
স্মৃতির উন্নতি সম্ভব। ক্ষমতার নিরিখে স্মৃতিশক্তির বিকাশ সম্ভব। তার জন্য নিম্নলিখিত
পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে—
(ক) আগ্রহ :
বিষয়বস্তু
শেখার আগে ঐ বিষয়ের
প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা দরকার। আগ্রহ
না। থাকলে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করা কঠিন হবে
এবং সংরক্ষণ ক্ষণস্থায়ী হবে।
| (খ) মনোযাগ :
মনোযোগ হল মনকে নিযুক্ত
করার প্রক্রিয়া। কোন বিষয় আয়ত্ত
করার। সময় মনকে সেই
বিষয়ে নিযুক্ত করতে পারলে সংরক্ষণের
কাজ ঠিকভাবে হয়। কারণ মনোযোগের
। সাহায্যেই বিষয়বস্তুগুলি জ্ঞানেন্দ্রিয় থেকে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিতে
যায়।
(গ) অনুষঙ্গ স্থাপন :
দুটি
বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করার পদ্ধতিই হল
অনুষঙ্গ।। কোন বিষয় শেখার
সময় অতীতে শেখা বিষয়ের সঙ্গে
অনুষঙ্গ স্থাপন করতে পারলে বিষয়বস্তু।
অনেক সহজে আয়ত্ত করা
যায় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ
করা যায়।
(ঘ) অর্থ বুঝে পড়া :
বিষয়বস্তু
অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝে পড়লে
তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে। থাকে। মুখস্থ
করে পড়লে তা বেশিদিন স্থায়ী
হয় না।
(ঙ) অধিশিখন :
এবিংহসের মতে, নির্ভুল পুনরাবৃত্তির
জন্য যতবার শিক্ষা করা দরকার। তার
অধিক যেকোন শিখনই হল অধিশিখন। যেমন
কোন ব্যক্তি কুড়িবার পড়ার পর কোন কবিতা
মুখস্থ করতে ও নির্ভুলভাবে
আয়ত্ত করতে পারে। তখন
ঐ ব্যক্তিটি যদি আরোও দশবার
কবিতাটি। পাঠ করে তবে
অধিশিখন হবে।
চ) সবিরাম
পদ্ধতি :
অনেক বিষয় একসঙ্গে বিবাভারে
ও
বাত : অনেক বিষয় একসঙ্গে অবিরামভাবে
পড়ে গেলে আমরা ভুলে সই কারণে বিরতি দিয়ে দিয়ে পড়লে শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের মস্তিষ্কে
স্থায়ী হয়। .
(ছ) অনুশীলন
:
কোন বিষয় শেখার পর বারবার অনুশীলন করলে তা মনে।
পর বারবার অনুশীলন করলে তা মনে
রাখা সহজ ৮। শিখনের পর অনুশীলন চালিয়ে যেতে থাকলে শিখনের ফল স্থায়ী হয়।
(জ) আবৃত্তি
পদ্ধতি :
স্থায়ীভাবে কোন বিষয়কে মনে
রাখতে হলে আবৃত্তি খুবই কার্যকর। আরত্তির মাধ্যমে সহজেই কোন বিষয় আয়ত্ত করা যায়।
ছন্দ ও সরের মাধ্যমে বিষয়বস্তু এই পদ্ধতিতে আয়ত্ত করা হয় বলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।।
(ঝ) শ্রেণিগঠন
পদ্ধতি :
শ্রেণিগঠন করে পড়লে সহজে স্মরণ
রাখা যায়। উদাহরণস্বরূপ। বলা যায়-৫২৬৮৩১৯৪ এই সংখ্যাটিকে ৫২, ৬৮, ৩১, ৯৪ এইভাবে দলবদ্ধভাবে
পড়লে অনেক সহজে মনে রাখা যায়।
(ঞ) স্মৃতি সংকেত : কোনও সংকেত
বা স্মৃতি সহায়ক কৌশলও আমাদের কোন বিষয়
মনে রাখতে সাহায্য করে। যেমন—VIBGYOR
এই শব্দ দিয়ে সাতটি রং মনে রাখা যায়। V -
Violet, 1 - Indigo, B -
Blue, G-Green, Y-Yellow, R-Red
(ট) অনুকুল
ও অপরিবর্তিত পরিবেশ :
শিক্ষাপোযোগী পরিবেশ হলে সহজে বিষয়বস্তু আয়ত্ত
করা যায়। এছাড়া যে পরিবেশে শিখন হয়েছে সেই পরিবেশকে অপরিবর্তিত রাখলে শিক্ষার্থীর
পুনরুদ্রেকে সুবিধা হয়।
(ঠ) শারীরিক
ও মানসিক সুস্থতা :
কোন বিষয় শেখার সময় শিক্ষার্থীর
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা মস্তিষ্কের কাজকে
বিঘ্নিত করে, ফলে শিখতে দেরী হয়।
(ড) দৃঢ় সংকল্প
:
বিষয়বস্তু শেখার পূর্বে মনকে সঠিকভাবে প্রস্তুত
করতে হবে এবং | প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।।
(চ) প্রাক্ষোভিক নিয়ন্ত্রণ :
শেখার সময় শিক্ষার্থীদের রাগ,
ভয়, দুঃখ প্রভৃতি আবেগগুলিকে | দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এইসব আবেগ বা প্রক্ষোভগুলি
সংরক্ষণে বাধার সৃষ্টি করে।
(ণ) সংক্ষিপ্তসার
লেখা :
কোন বৃহৎ বিষয় শেখার পর তার
সংক্ষিপ্তসার লিখে রাখা | উচিৎ। কারণ ঐ সংক্ষিপ্তসারটি মনে থাকলে বৃহৎ অংশটিও সহজে
মনে থাকবে।
(ত) সমগ্র ও অংশ পদ্ধতি :
সমগ্র
পদ্ধতি বলতে বোঝায় বিষয়বস্তুকে সামগ্রিকভাবে পড়া।
*** বুদ্ধি
অভীক্ষার প্রয়ো জনীয়তা আলোচনা কর ।***
(ক) শ্রেণীকরণের
ক্ষেত্রে :
বিভিন্ন বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন
ধরণের শিক্ষা
পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
যাদের বুদ্ধি খুব কম (বুদ্ধাঙ্ক ৭ এর কম) তাদের
জন্য আলাদা নক্ষাব্যবস্থা আবার যাদের বুদ্ধি খুব বেশি (বুদ্ধাঙ্ক ১৩ এর বেশি) তাদের পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা না করা দরকার।
কারণ উভয় ধরণের শিক্ষার্থীর গ্রহণ ক্ষমতা, চিন্তাশক্তি, স্মৃতি প্রভৃতি এক নয়।
(খ) পাঠ্যক্রম
নির্দেশনায় :
মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্যিক,
বৃত্তিমূলক প্রভৃতিতে সাফল্য লাভের ল। বিভিন্ন পরিমাণ বুদ্ধির প্রয়ো জন। এ প্রসঙ্গে
U.S.A.-তে একটি জাতীয় গবেষণায় বলা হয়েছে। কি বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার জন্য
বন্ধ্যাঙ্ক
শাখার জন্য বুদ্ধ্যাঙ্ক প্রয়ো
জন যথাক্রমে- 114, 108, 106 ও 1041
(গ) শিক্ষামূলক
নির্দেশনার ক্ষেত্রে :
বুদ্ধি অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের
মানসিক ক্ষমত, - অনুরাগ এবং বিশেষ সামর্থ্য সম্পর্কে অনেক বিষয় জানা যায়। শিক্ষার্থীর
বুদ্ধি ঠিকমত পরিমাপ করতে পারলে তার সামর্থ্য অনুযায়ী কোন বিষয়টি তার পক্ষে যথাযথ
হবে তা নির্ণয় করা
যায়। '
(ঘ) বৃত্তিমূলক
নির্দেশনার ক্ষেত্রে :
শিক্ষার্থীর সাধারণ বুদ্ধির মান, বিশেষ বিশেষ কর্ম।
করার মানসিক ক্ষমতা, প্রবণতা, আগ্রহ প্রভৃতি বুদ্ধি অভীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।
সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীর বৃত্তি নির্বাচন করা দরকার। তবু, নাইট এবং নাইট বলেছেন— এমন
অনেক বৃত্তি আছে,
যেসব বৃত্তিতে ব্যক্তির মধ্যে
উন্নত বুদ্ধির উপস্থিতি এক অপরিহার্য বিষয়। যদিও তা সাফল্যের | ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তার
কথা বলে না।
(ঙ) শিক্ষন
প্রক্রিয়ার উন্নতিকরণ :
বুদ্ধি অভীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী
কি শিখতে পারে; কত | দ্রুত শিখতে পারে তা জানা যায়। এর মাধ্যমে আদর্শ শিক্ষণ পদ্ধতি
রচনা করা যেতে পারে।
(চ) মানসিক
রোগ নির্ণয় :
মানসিক রোগ, অনগ্রসর, জড় বুদ্ধিসম্পন্ন ও ব্যতিক্রমধর্মী
শিশুদের বুদ্ধি অভীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করা যায়। তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যক্তিবৈষম্য
অনুযায়ী শিক্ষা পরিকল্পনা রচনা করতে হবে।
########################################
--- আরো দেখো ---
কোহলবার্গের
নৈতিক বিকাশের তত্ত্বটি ব্যাখ্যা কর।
আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক লরেন্স কোহলবার্গ মানুষের নৈতিক বিকাশ কীভাবে হয় তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নৈতিক
বিকাশের তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তার মতে, শিশুর নৈতিক স্তর শুরু হয় বিভিন্ন নৈতিক বিষয়
ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে। শৈশবে শিশুর বিভিন্ন বিষয়ে ভালো-মন্দ বিচার করার মাধ্যমে
তার মধ্যে নৈতিক বিকাশের সূচনা হয়।
বিকাশ প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা
:
কোহলবার্গ মানুষের নৈতিক বিকাশের প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা
করতে গিয়ে বলেছেন যে, ব্যক্তির নৈতিক বিকাশের মূল উপাদান হল ৩টি। যথা
| (i) জ্ঞানমূলক বিকাশ
:
ব্যক্তির
নীতিবোধ তার জ্ঞানমূলক বিকাশের উপর ভিত্তি করে গড়ে | ওঠে। জ্ঞানমূলক বিকাশ নৈতিক বিকাশের
ক্ষেত্রে অপরিহার্য হলেও একেবারেই পর্যাপ্ত নয়।
(ii) জ্ঞানমলুক দ্বন্দ্ব:
কোহলবার্গেরমতে, ব্যক্তিরনীতিবোধ
তার অন্তর্দ্বন্দও ঘটিয়ে জ্ঞানমূলক স্তরে সাম্যাবস্থা ফিরিয়ে আনে। অর্থাৎ ব্যক্তির
সামাজিক পরিবেশে প্রতিক্রিয়ার ফলে জ্ঞানমূলক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
(iii) নির্দিষ্ট ভূমিকা গ্রহণের
ক্ষমতা :
কোন পরিস্থিতিকে অন্যের মতাে
করে কে করা বা মর্যাদা দেওয়া হল ভূমিকা গ্রহণের ক্ষমতা। যে ব্যক্তির ভূমিকা গ্রহণের
ক্ষমতা, নৈতিক বিকাশের সম্ভাবনা বেশি।
উপরোক্ত তিনটি উপাদান পরস্পরের
ওপর নির্ভরশীল। তবে এই তিনটি উপাদ জ্ঞানমূলক দ্বন্দ্বই নৈতিক বিকাশের মূল নিয়ন্ত্রক।
নৈতিক বিকাশের স্তর :
1969 সালে কোহলবার্গ ব্যক্তির
বিকাশের প্রতিক্রিয়াকে প্রধানত তিনটি মাত্রাতে ভাগ করেছেন। সেগুলি হল
(i) প্রাক প্রথাগত মাত্রা
(4-10 বছর)।
(ii) প্রথাগত মাত্রা (10-13 বছর)।
(iii) উত্তর প্রথাগত মাত্রা (13 বছরের পর)।
(i) প্রাক প্রথাগত মাত্রা
:
শিশুর 4-10 বছর বয়স পর্যন্ত
এই স্তর বিস্তৃত। এই পর্যায়ে শিশু নৈতিক বিচার বোধ বিশেষভাবে নিজের স্বার্থের দ্বারা
নির্ধারিত হয়। এই পর্যায়কে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা—
(a) সামঞ্জস্যহীন
নীতিবোধের স্তর :
শিশু এই স্তরে ভালো-মন্দ বিচার
করে শাস্তি ও পুরস্কারের মাধ্যমে। শিশু যে আচরণে শাস্তি পায় তা খারাপ এবং যে আচরণে
পুরস্কৃত তা ভালো ।
(b) ব্যাক্তি
কেন্দ্রিক নীতিবোধের স্তরঃ
শিশুর এই স্তরের নৈতিক আচারন
তার নিজের চাহিদার দ্বরা নিয়ন্ত্রিত হয় । চাহিদা মেটানোর জন্য যে ধরনের আচারন করার
প্রয়োজন শিশু তাই করে ।
(ii) প্রথাগত মাত্রা : এই পর্যায় শিশুর 10-13 বছর বয়স পর্যন্ত
বিস্তৃত। এই স্তরে নৈতিক
চরিত্র নীতির দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই পর্যায়ের নৈতিক
বিকাশ নিয়ন্ত্রিত হয় পরিবার, গোষ্ঠী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির নিয়মের দ্বারা।
এই স্তরের দুটি পর্যায় রয়েছে যথা—
(a)
প্রত্যাশামূলক নীতিবোধের স্তর :
এই
স্তরে শিশুর নীতিবোধ অন্যদের প্রত্যাশা এবং
পরণের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।
এই স্তরে শিশু অপরের সমর্থন প্রত্যাশা করে।
(b)
সমাজ ও বিবেকনিয়ন্ত্রিত নীতিবোধের স্তর :
এই
পর্যায়ে শিশুর নৈতিক আচরণ সমাজের এবং নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত হয়। তারা আইনসম্মত
ও সামাজিক আচরণ করাকেই নৈতিক আচরণ বলে মনে করে।
(iii) উত্তর প্রথাগত মাত্রা :
শিশুর ১৩ বছর বয়সের পর এই পর্যায় শুরু হয়। এই
পর্যায়ে সবথেকে ভালো নৈতিক বিকাশ হয়। এই স্তরে ব্যক্তির নীতিবোধ আত্মস্বার্থ বা সমাজ
স্বার্থের পরিবর্তে ব্যক্তিগত যুক্তির দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই পর্যায়ের দুটি স্তর
রয়েছে সেগুলি হল— |
(a) সামাজিক চুক্তি
নিয়ন্ত্রিত নীতিবোধের স্তর :
এই স্তরে ব্যক্তির নৈতিক আচরণ সমাজের | প্রতি তার
দায়িত্বের দ্বারা নির্ধারিত হয়। এই পর্যায়ে ব্যক্তি তার নৈতিক আচরণগুলির যুক্তি
খুঁজে পায়। সামাজিক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে তার নৈতিক আচরণ প্রকাশিত হয়।
(b) সর্বজনীন
নীতিবোধের স্তর :
এই স্তরে
নৈতিক আচরণ আত্মকেন্দ্রিক নয়। সমাজের কল্যাণকারী সামাজিক রীতিনীতিগুলিকে সে যুক্তি
দ্বারা গ্রহণ করে এবং সেই সামাজিক মূল্যবোধগুলিকে নিজের আচরণে প্রকাশ করে।
প্রাচীন
অনুবর্তন ও সক্রিয় অনুবর্তন এর পার্থক্য
লেখো ।
বিষয় |
প্রাচীন অনুবর্তন |
সক্রিয় অনুবর্তন |
(১)
প্রবক্তা |
রাশিয়ান শারীরতত্ত্ববিদ
আইভান প্যাভলভ। |
আমেরিকার মনোবিজ্ঞানী বি. এফ. স্কিনার। |
(২)
প্রত্যাশা |
এই অনুবর্তনে প্রতিক্রিয়া
প্রত্যাশামূলক। |
এই অনুবর্তনে প্রতিক্রিয়া নির্দেশমূলক। |
(৩)
স্নায়ুতন্ত্র |
প্রতিক্রিয়া মূলত স্বতন্ত্র
স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত |
প্রতিক্রিয়া প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। |
(.৪)
উপাদান |
এই অনুবর্তনে চারটি
উপাদান দুটি উদ্দীপকএবং দুটি প্রতিক্রিয়া। |
এই ক্ষেত্রে এক একটি উদ্দিপক এবং এক একটি প্রতিক্রিয়া জোড়া হিসাবে ধরা হয়ে থাকে । |
(৫) প্রতিক্রিয়া | |
এই অনুবর্তনে অনুবর্তিত
প্রতিক্রিয়া অনাবর্তিত উদ্দীপক দ্বারা জোর করে সৃষ্টি করা হয়| |
এই অনুবর্তনের অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে আসে । |
########################################
--- আরো দেখো ---
পরবর্তী উত্তরের জন্য নীচের Link এ ক্লিক করো ।
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions .
No comments