Education Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System Education Suggestions( BA General ) with Answer সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী ( মান – ৭ )
Education Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Education Suggestions( BA General ) with Answer
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
2nd Semester Education Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
Education
সংক্ষিপ্ত রচনাধর্মী প্রশ্নাবলী ( মান – ৭ অথবা ৫ )
প্রশ্নঃ- শিখনের বৈশিষ্টগুলি আলোচনা করো
1.
উদ্দেশ্যমুখী
প্রথাগত শিখনের মূলে এক বা একাধিক উদ্দেশ্য থাকে।
উদ্দেশ্য থাকার কারণেই ব্যক্তি
বিশেষ
শিখনের তাগিদ অনুভব করে।
2.
বিকাশমান
শিখনের ফলে অভিজ্ঞতা সঞ্জয় হয়। এই অভিজ্ঞতা ব্যক্তিকে ক্রমশ সমৃদ্ধ করে তোলে এবং সারাজীবন ধরে তার অভিযোজনকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই শিখনকে |ক্রমবিকাশমান প্রক্রিয়া বলা যায়।
3.
অভিযোজনমুলক
দৈনন্দিন জীবনে ব্যক্তিকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি
হতে হয়। শিখন ব্যক্তিকে বিভিন্ন
পরিবেশের
সঙ্গে অভিযোজনে সাহায্য করে। শিখনলব্ধ জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ব্যক্তিকে
পরিবেশের
সঙ্গে মানিয়ে চলতে সাহায্য করে।
4. চাহিদানির্ভর
অধিকাংশ
ক্ষেত্রেই শিখন চাহিদানির্ভর। এই চাহিদা ব্যক্তির নিজস্ব হতে পারে, আবার
সমাজ-প্রত্যাশিতও হতে পারে। ব্যক্তি তার চাহিদাপূরণের জন্য অনেক কিছু শেখে। যেমন, আত্মরক্ষার চাহিদার জন্য আত্মরক্ষার কৌশলগুলি শেখে; জ্ঞানের চাহিদাপূরণের জন্য পুস্তক, সংবাদপত্র ইত্যাদি পাঠ করতে শেখে; আবার সমাজ-প্রত্যাশিত চাহিদার পূরণের জন্য সে সমাজের নিয়মনীতি, সামাজিকতা ইত্যাদি শেখে।
5.
, আচরণগত পরিবর্তন
শিখনের ফলে আচরণের পরিবর্তন ঘটে। বস্তুত শিখনের সংজ্ঞাই হল প্রচেষ্টার ফলে আচরণের পরিবর্তন। একজন শিশু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যে আচরণ করে, সেই শিশু বড়ো হলে একই পরিস্থিতিতে অন্যরকম আচরণ করে। এর অন্যতম কারণ হল ইতিমধ্যে সে অনেক কিছুই শিখেছে, যা তার আচরণে পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে।
6. অনুশীলনসাপেক্ষ
একাধিকবার অনুশীলনের ফল হল শিখন। অনুশীলন নিরপেক্ষ আচরণের পরিবর্তনকে শিখন বলা হয় না। পরিণমনের ফলেও আচরণের পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু ওই প্রকৃতির আচরণের পরিবর্তনকে শিখন বলা যাবে না কারণ এখানে অনুশীলনের ভূমিকা অপরিহার্য। নয়।
########################################
--- আরো দেখো ---
প্রশ্নঃ- বান্দুরা সামাজিক
জ্ঞানমূলক শিখন তত্ত্বটি ব্যাখ্যা কর।
মনোবিদ্
অ্যালবার্ট বান্দুরা ব্যক্তিত্ব বিকাশ সম্পর্কিত
গবেষণায় সামাজিক শিখন তত্ত্বের কথা বলেছেন। শিখনের এই তত্ত্বে তিনি বলেছেন, ব্যক্তি তার চারপাশের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করে। এই
পর্যবেক্ষণের ফলে তার আচরণে অনেক পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন যেহেতু সামাজিক
পরিবেশে সম্পন্ন হয় সে জন্য এই তত্ত্বকে সামাজিক শিখন তত্ত্ব বলে।
সামাজিক
জ্ঞানমূলক শিখনের নীতি : যে নীতিগুলির ওপর ভিত্তি করে বান্দুরা তার সামাজিক
জ্ঞানমূলক শিখন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন সেগুলি হল—
(i) ত্রিমুখী বিনিময় নীতি : বান্দুরার মতে মানুষের জীবনের তিনটি মুখ্য উপাদান রয়েছে। সেগুলি হল—
(a) আচরণ
: আচরণ হল স্থায়িত্ব, জটিলতা, সম্পাদনের দক্ষতা ইত্যাদি।
(b) পরিবেশ
: পরিবেশ বলতে তিনি বুঝিয়েছেন
পরিস্থিতি, সম্পর্ক, ব্যক্তিগত ভূমিকা ইত্যাদি।
(c) জ্ঞানমূলক
ও ব্যক্তিগত উপাদান : এর অন্তর্ভুক্ত হল ধারণা, বিশ্বাস, প্রেষণা, আগ্রহ, মনোযোগ ইত্যাদি।
(ii) ভিকেরিয়াস রি-ইনফোর্সমেন্ট নীতি : বান্দুরার মতে, কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির আচরণ পর্যবেক্ষণের সময় দ্বিতীয় ব্যক্তির
প্রতিক্রিয়ার উপর রি-ইনফোর্সমেন্টের প্রভাব প্রথম ব্যক্তির নিকট খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। একে ভিকারিয়াস রি-ইনফোর্সমেন্ট বলে। বান্দুরা বলেছেন, মডেলের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে ভিকারিয়াস
রি-ইনফোর্সমেন্টের মাধ্যমে শিশুরা অনেক নতুন আচরণ আয়ত্ত করে। মডেলকে দুটি
শ্রেণিতে ভাগ করা যায়—
(a) প্রকৃত মডেল : পিতামাতা, শিক্ষক, খেলাধুলা ও চিত্রজগৎ এবং সমাজের অত্যন্ত সফল।
ব্যক্তি ইত্যাদি।।
(b) সাংকেতিক মডেল : বেতার ও দূরদর্শনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সিনেমা, পুস্তক, ম্যাগাজিন ইত্যাদি এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্নঃ- আধুনিক শিক্ষায় অনুবর্তনের
তাৎপর্য বা গুরুত্ব আলোচনা করো
প্যাভলভের
অনুবর্তনবাদ শিক্ষা মনে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন মনোবিদই তার
এই তত্ত্বটিকে অবহেলা পারেন না। যাই হোক, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তাহলে দেখা শিক্ষাব্যবস্থা প্যাভলভের অনুবর্তন নীতির দ্বারা বিশেষভাবে
প্রভাবিত। বিশেষ করে পা বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব অনবদ্য।
নিম্নে
এই তত্ত্বের তাৎপর্যগুলি আলোচিত হল—
(ক) ভাষা শিক্ষাদান :
ছোট্ট শিশুকে ভাষা শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তনের ভমিত অনস্বীকার্য। যেমন একটি শিশুকে ‘গাছ’ দেখিয়ে ‘গাছ’ শব্দটি উচ্চারণ করলে, শিশুও অনুকরণ কহে ঐ শব্দটি উচ্চারণ করবে। এভাবে শিশু বর্ণ, বর্ণের আকৃতি, শব্দরূপ ইত্যাদি ধীরে ধীরে শিখে থাকে।
(খ) বিষয়ের
প্রতি ঘৃণা ও ভালোবাসা :
অনুবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন বিশেষ বিষয়ে ঘৃণা, আবার কোন বিষয়ে ভালোবাসার মনোভাব জাগ্রত হয়। যেমন গণিত বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীর ভীতি লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু প্রথম থেকে এটা থাকে না। প্রথম প্রথম শিক্ষার্থী আগ্রহ সহকারেই গণিত করত। কিন্তু যখনই তার ভুল হত, তখনই সে শিক্ষকের কাছ থেকে ‘বেত্রবটিকা’ উপহার পেত। এরকম চলতে চলতে গণিত বিষয়টার প্রতিই তার ঘৃণার উদ্রেক হয়। আবার সেরকমই শিক্ষাবিজ্ঞান বা বাংলা বিষয়ের শিক্ষকদের প্রীতিপূর্ণ ও আদুরে মনোভাব ঐ বিষয়টির প্রতি শিক্ষার্থীদের ভালোবাসা জাগ্রত করে।
(গ) সু-অভ্যাস
গঠন :
শিশুদের
মধ্যে সু-অভ্যাস গঠনের ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—
সকালে ঘুম থেকে ওঠা, দাঁত মাজা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নির্দিষ্ট সময়ে। পড়তে বসা ইত্যাদি এই ধরণের সু-অভ্যাস শিশুকে শিক্ষাজীবনে, এমনকি ভবিষ্যৎ-এও বিশেষভাবে সাহায্য করে
(ঘ) কু-অভ্যাস দূর করা :
অনুবর্তনের
মাধ্যমে যেমন সু-অভ্যাস গঠন করা যায়, তেমনি কাস দূর করাও যায়। যেমন—কোন শিক্ষার্থী যদি খাতায় লেখার সময় খুব
বেশী কাটাকুটি ও জড়িয়ে জড়িয়ে লেখে, তাহলে শিক্ষকের কাজ হবে তৎক্ষণাৎ সে বিষয়ে শিশুকে সতর্ক এভাবে বেশ কিছুদিন
করতে থাকলে, শিশু বা শিক্ষার্থীর কু-অভ্যাস দূর হয়।
(ঙ) সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ :
প্রাচীন
অনুবর্তনের মাধ্যমে শিশু তথা শিক্ষার্থীরা মাজিক মূল্যবোধ ও আচার-আচরণের শিক্ষা
পায়। যেমন—সততা, শ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাব, শিষ্টাচার, কা প্রীতি ইত্যাদি। এই বিষয়গুলি শুধু সমাজেই নয় শিক্ষাক্ষেত্রেও ভীষণ
গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ- শিক্ষাক্ষেত্রে অনুশীলন সুত্রের গুরুত্ত্ব লেখো
শিক্ষাক্ষেত্রে
অনুশীলন সূত্রের প্রয়োগ নিম্নে আলোচনা করা হল _
(ক) কাজের মাধ্যমে অনুশীলনঃ
বিদ্যালয়ে শিক্ষক
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের সময় প্রত্যক্ষ প্রয়োগমূলক কাজের মধ্য
দিয়ে বিষয় অনুশীলনের ব্যবস্থা করবেন।
যেমন ঃ বিতর্কসভা, শিক্ষামূলক ভ্রমণ ইত্যাদি।
(খ)
বারবার চর্চা বা আলোচনাঃ
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক শিক্ষাদানের সময় জটিল ও নতুন বিষয়গুলি বারবার চর্চা বা
একাধিকবার আলোচনা করবেন। যাতে আলোচনা যান্ত্রিক না হয়
সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
গ)
জানা থেকে অজানা বিষয় যাওয়াঃ
শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে
শিক্ষাদানের সময় “জানা থেকে অজানা” যাওয়ার
নীতি অনুসরণ করবেন। শিক্ষার্থীকে এই নীতি অনুসরণ করে
শিক্ষাদান করলে শিক্ষাগ্রহণে তারা অনেক বেশি
আগ্রহী হবে।।
ঘ) ভুলত্রুটি পরিত্যাগঃ
অব্যবহার সূত্রের মাধ্যমে ভুল ও অপ্রয়োজনীয় অংশগুলি যাতে
প্রথমেই পরিত্যক্ত হয়
সেদিকে শিক্ষক বিশেষভাবে নজর রাখবেন।
সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বৈশিষ্টগুলি আলোচনা করো ।
1, ধর্মিতাঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা
সাধারণধর্মী।
2. প্রকৃতিঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা সহজাত।
3. বয়সের প্রভাবঃ এই ক্ষমতা একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত (বলা হয় আঠারো বৎসর) বিকাশ
লাভ করে।
4. সর্বজনীনতাঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা সর্বজনীন।
5, সংখ্যাঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একটি একক ক্ষমতা।
6,কর্মভেদেঃ কর্মভেদে সাধারণ মানসিক ক্ষমতার পরিমাণে পার্থক্য
ঘটে।
7. পারমাপঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা
পরিমাপে বুদ্ধি অভীক্ষা ব্যবহার করা হয়। এর সূচক হল বুদ্ধ্যঙ্ক।।
৪. আভজ্ঞতাঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা
অভিজ্ঞতা সঞ্চালনে সহায়তা করে।
9. অনুশীলনঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা অনুশীলনসাপেক্ষ নয়। ।
10. বণ্টনঃ সাধারণ মানসিক ক্ষমতা জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে বন্টিত হয় ।
//////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
**** বিস্মৃতির কারণ গুলি আলোচনা কর ****
ভুলে যাওয়া বা বিস্মরণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সেগুলি হল,
(ক) পর্যালোচনার অভাব :
কোন বিষয় শিখনের পর দীর্ঘদিন আলোচনা না করলে বিষয়টি ভুলে যাই। আবার কখনও কখনও দেখা যায় কোনরকম চর্চা বা অনুশীলন না করা, বিষয়বস্তুর সংরক্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। একে স্মৃতিরেশ (Reminiscence) বলে।
(খ) পশ্চাদমুখী প্রতিরোধ :
পশ্চাদমুখী প্রতিরোধ ভুলে যাওয়ার একটি অন্যতম কোন বিষয় শেখার পর অপর কোন বিষয় শিখলে পরের শেখা বিষয় প্রথমের শেখা বিছ খানিকটা ভুলিয়ে দেয়। একে পশ্চাদমুখী প্রতিরোধ বলে। তাই দুটি বিষয় শেখার মাঝে কিছুটা বিরতি দেওয়া উচিত।
(গ) অগ্রমুখী প্রতিরোধ :
যখন আগের শেখা বিষয় পরের শেখা বিষয়কে ভুলিয়ে সে তখন তাকে অগ্রমুখী প্রতিরোধ বলে। তাই অগ্ৰমুখী প্রতিরোধ বিস্মৃতির একটি অন্যতম কারণ।
. (ঘ) আঘাতজনিত বিস্মরণ :
দৈহিক আঘাতের ফলে অনেক সময় আমরা বিষয়বস্তু ভলে যাই। বিশেষত মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে আমরা সংরক্ষিত জিনিস ভুলে যাই। মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার দরুণ আমরা ভুলে যাই।
(ঙ) অবসাদ :
বিস্মৃতির আরেকটি কারণ হল অবসাদ। অবসাদের দরুণ আমাদের শরীর ও মনে ক্লান্তি আসে। এই সময় যদি আমরা কিছু শিখি তাহলে খুব তাড়াতাড়ির মধ্যেই তা আমরা ভুলে, যাই।
(চ) নিদ্রা :
কোন বিষয় শেখার পর সঙ্গে সঙ্গে যদি ঘুমিয়ে পড়া যায় তাহলে সংরক্ষণ। ভালো হয়। কিন্তু জেগে থাকলে অধিত বিষয়ের সংরক্ষণ কম হয়। মনোবিজ্ঞানী ডােলেনবাক (Dollenback) তার পরীক্ষার মাধ্যমে তা প্রমাণ করেছেন।
(ছ) আবেগজনিত বিস্মরণ :
অনেক সময় আবেগজনিত কারণে আমরা ভুলে যাই। রাগ, | ভয়, ঘৃণা প্রভৃতি প্রক্ষোভ মানুষের মধ্যে এমন তীব্র আকার নেয় যে মনের মধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে এবং অধীত বিষয় ভুলিয়ে দেয়।
(জ) অবদমন :
অনেক সময় আমরা ইচ্ছে করে ভলে যাই। যে সব ঘটনা আমাদের দুঃখ। দেয় বা যে সব বিষয় আমাদের কাছে অপ্রয়ো জনীয় তখন আমরা সেই বিষয় বা ঘটনা বা ব্যক্তিকে
**** স্মৃতি শক্তি বাড়ানো যায় কিভাবে ?
বা , মনে রাখার উপায় গুলি কী কী ?******
মনোবিজ্ঞানী স্টাউট এর মতে, সাধারণ স্মৃতিশক্তির কোন উন্নতি সাধন সম্ভব না হলে প্রচেষ্টার দ্বারা বিশেষ স্মৃতির’ (Specialmemory) উন্নতি সাধন সম্ভব। তবে নাইট ও নাইট বলেনপা ঠের ক্ষেত্রে উন্নত পদ্ধতি গ্রহণ করলে, দীর্ঘদিন পাঠিত বিষয় স্মরণ রাখা সম্ভব। এইরূপ পরোক্ষভাবে
স্মৃতির উন্নতি সম্ভব। ক্ষমতার নিরিখে স্মৃতিশক্তির বিকাশ সম্ভব। তার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে—
(ক) আগ্রহ :
বিষয়বস্তু শেখার আগে ঐ বিষয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা দরকার। আগ্রহ না। থাকলে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করা কঠিন হবে এবং সংরক্ষণ ক্ষণস্থায়ী হবে।
| (খ) মনোযাগ :
মনোযোগ হল মনকে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া। কোন বিষয় আয়ত্ত করার। সময় মনকে সেই বিষয়ে নিযুক্ত করতে পারলে সংরক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়। কারণ মনোযোগের । সাহায্যেই বিষয়বস্তুগুলি জ্ঞানেন্দ্রিয় থেকে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিতে যায়।
(গ) অনুষঙ্গ স্থাপন :
দুটি বিষয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করার পদ্ধতিই হল অনুষঙ্গ।। কোন বিষয় শেখার সময় অতীতে শেখা বিষয়ের সঙ্গে অনুষঙ্গ স্থাপন করতে পারলে বিষয়বস্তু। অনেক সহজে আয়ত্ত করা যায় এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
(ঘ) অর্থ বুঝে পড়া :
বিষয়বস্তু অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝে পড়লে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে। থাকে। মুখস্থ করে পড়লে তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
(ঙ) অধিশিখন :
এবিংহসের মতে, নির্ভুল পুনরাবৃত্তির জন্য যতবার শিক্ষা করা দরকার। তার অধিক যেকোন শিখনই হল অধিশিখন। যেমন কোন ব্যক্তি কুড়িবার পড়ার পর কোন কবিতা মুখস্থ করতে ও নির্ভুলভাবে আয়ত্ত করতে পারে। তখন ঐ ব্যক্তিটি যদি আরোও দশবার কবিতাটি। পাঠ করে তবে অধিশিখন হবে।
চ) সবিরাম পদ্ধতি :
অনেক বিষয় একসঙ্গে বিবাভারে ও
বাত : অনেক বিষয় একসঙ্গে অবিরামভাবে পড়ে গেলে আমরা ভুলে সই কারণে বিরতি দিয়ে দিয়ে পড়লে শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়। .
(ছ) অনুশীলন :
কোন বিষয় শেখার পর বারবার অনুশীলন করলে তা মনে।
পর বারবার অনুশীলন করলে তা মনে রাখা সহজ ৮। শিখনের পর অনুশীলন চালিয়ে যেতে থাকলে শিখনের ফল স্থায়ী হয়।
(জ) আবৃত্তি পদ্ধতি :
স্থায়ীভাবে কোন বিষয়কে মনে রাখতে হলে আবৃত্তি খুবই কার্যকর। আরত্তির মাধ্যমে সহজেই কোন বিষয় আয়ত্ত করা যায়। ছন্দ ও সরের মাধ্যমে বিষয়বস্তু এই পদ্ধতিতে আয়ত্ত করা হয় বলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।।
(ঝ) শ্রেণিগঠন পদ্ধতি :
শ্রেণিগঠন করে পড়লে সহজে স্মরণ রাখা যায়। উদাহরণস্বরূপ। বলা যায়-৫২৬৮৩১৯৪ এই সংখ্যাটিকে ৫২, ৬৮, ৩১, ৯৪ এইভাবে দলবদ্ধভাবে পড়লে অনেক সহজে মনে রাখা যায়।
(ঞ) স্মৃতি সংকেত : কোনও সংকেত বা স্মৃতি সহায়ক কৌশলও আমাদের কোন বিষয়
মনে রাখতে সাহায্য করে। যেমন—VIBGYOR এই শব্দ দিয়ে সাতটি রং মনে রাখা যায়। V -
Violet, 1 - Indigo, B - Blue, G-Green, Y-Yellow, R-Red
(ট) অনুকুল ও অপরিবর্তিত পরিবেশ :
শিক্ষাপোযোগী পরিবেশ হলে সহজে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করা যায়। এছাড়া যে পরিবেশে শিখন হয়েছে সেই পরিবেশকে অপরিবর্তিত রাখলে শিক্ষার্থীর পুনরুদ্রেকে সুবিধা হয়।
(ঠ) শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা :
কোন বিষয় শেখার সময় শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা মস্তিষ্কের কাজকে বিঘ্নিত করে, ফলে শিখতে দেরী হয়।
(ড) দৃঢ় সংকল্প :
বিষয়বস্তু শেখার পূর্বে মনকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে এবং | প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।।
(চ) প্রাক্ষোভিক নিয়ন্ত্রণ :
শেখার সময় শিক্ষার্থীদের রাগ, ভয়, দুঃখ প্রভৃতি আবেগগুলিকে | দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এইসব আবেগ বা প্রক্ষোভগুলি সংরক্ষণে বাধার সৃষ্টি করে।
(ণ) সংক্ষিপ্তসার লেখা :
কোন বৃহৎ বিষয় শেখার পর তার সংক্ষিপ্তসার লিখে রাখা | উচিৎ। কারণ ঐ সংক্ষিপ্তসারটি মনে থাকলে বৃহৎ অংশটিও সহজে মনে থাকবে।
(ত) সমগ্র ও অংশ পদ্ধতি :
সমগ্র পদ্ধতি বলতে বোঝায় বিষয়বস্তুকে সামগ্রিকভাবে পড়া।
পরবর্তী উত্তরের জন্য নীচের Link এ ক্লিক করো ।
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions .
No comments