মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দশম শ্রেণি
ভূগোল
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
১.১ মরু অঞ্চলের শুষ্ক নদীখাত হলো
ক) প্লায়া
গ) মরূদ্যান
খ) হামাদা
ঘ) ওয়াদি
১.২ যে ক্ষয়কারী প্রক্রিয়া নদীর ক্ষয়কাজের সঙ্গে যুক্ত নয় সেটি হলো –
ক) অবঘর্ষ
খ) অপসারণ
গ) ঘর্ষণ
ঘ) দ্রবণ
১.৩ উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব লক্ষ করা যায় –
ক) শীতকালে
খ) গ্রীষ্মকালে
গ) বর্ষাকালে
ঘ) শরৎকালে
১.৪ ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি শিল্প কেন্দ্র হলো –
ক) কলকাতা
খ) হায়দ্রাবাদ
গ) বেঙ্গালুরু
ঘ) চেন্নাই
২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :
২.১ বায়ুর প্রবাহপথে আড়াআড়ি অবস্থিত বালিয়াড়ি কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ- বার্খান নামে পরিচিত ।
২.২ হিমবাহের উৎপাটন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপের নাম লেখো।
উত্তরঃ- করি বা সার্ক ।
২.৩ ভারতের উপদ্বীপীয় মালভূমির একটি স্তূপ পর্বতের নাম লেখো।
উত্তরঃ- সাতপুরা পর্বত ।
২.৪ ভারতের কোন মৃত্তিকা কার্পাস চাষের পক্ষে আদর্শ?
উত্তরঃ- কৃষ্ণ বা রেগুর মৃত্তিকা ।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনার দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো।
১.জলসেচের প্রসার :- নদীর নিম্ন ও উচ্চ অববাহিকার অধিক পরিমাণ কৃষি জমিতে জলসেচের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নদীর উপর বাঁধ দিয়ে জলাধার নির্মাণ করা হয়ে থাকে। এর ফলে কৃষি জমি গুলিতে প্রয়োজন মতো জল সেচ করা সম্ভব হয় বলে উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
২. জলের সরবরাহ :- বহুমুখী নদী পরিকল্পনা জলাধারে সঞ্চিত জলকে অনেক সময় পার্শ্ববর্তী জনবসতি ও শহরগুলি তে সরবরাহের মাধ্যমে জলের চাহিদা পূরণ করা হয়।
৩.জলপথের বিকাশ :- বহুমুখী পরিকল্পনায় অনেক সময় জলপথ ব্যবস্থার বিকাশ ঘটিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হয়।
৩.২ ভারতীয় কৃষির সমস্যা সমাধানের যে কোনো দুটি উপায় উল্লেখ করো।
১. আধুনিক কৃষি প্রথা ও প্রযুক্তির ব্যবহার অপ্রতুল। অনেক ক্ষেত্রে খরচ বা ছোটো জোতের কারণে এই প্রযুক্তি ব্যবহারও করা যায় না। তাই কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করতে হবে।
২.অনেক ফসলের ক্ষেত্রেই ভারতের উৎপাদন কম। অবহেলিত সেচব্যবস্থা ও সম্প্রসারণ ব্যবস্থার বিশ্বজনীন অভাব এই দুরবস্থার অন্যতম কারণ । তাই যাতে ফসল উৎপন্ন বেশি হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে আর তাই সঙ্গে সেচ ব্যাবস্থার উন্নত করতে হবে ।
Madhyamik Suggestion || মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন ।| সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর ( মান-২ )
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ ‘ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থায় সড়কপথের গুরুত্ব অপরিসীম' বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
পৃথিবীর যে কোন উন্নত দেশে পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন প্রধান । ভারতের ক্ষেত্রেও সড়ক পরিবহণ সর্বাধিক ব্যবহার হয় । ভারতের পরিবহন ব্যবস্থায় সড়কপথের গুরুত্ব নীম্নে আলোচনা করা হল-
১. দ্রুত পরিবহন- সড়ক পথের সাহায্যে যে কোনো পণ্য খুব অল্প সময়ে এক জয়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
২. কাঁচামাল সংগ্রহ- গ্রাম থেকে কৃষিজ কাঁচামাল, খনি থেকে কয়লা এবং খনিজ পদার্থ খুব সহজে শিল্পকেন্দ্র পাঠানো যায়।
৩. নির্মাণ ব্যয় কম- রেলপথের তুলনায় সড়ক পথ এর ব্যয় কম তাই ভারতের মতো দেশে সড়কপথ নির্মাণ করলে অর্থনীতির উপর কম চাপ পড়ে।
৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৫.১ ভারতের জনবণ্টনের তারতম্যের প্রাকৃতিক কারণগুলি বর্ণনা করো।
পৃথিবীর যে সমস্ত অঞ্চলের পরিবেশ অনুকূল ও বন্ধুভাবাপন্ন, সেই সমস্ত অঞ্চলেগুলিতে সাধারণত বেশি মানুষ বসবাস করেন। অন্যদিকে যে সমস্ত অঞ্চলের পরিবেশ প্রতিকূল, সেই সমস্ত অঞ্চলে জীবনধারন কষ্টসাধ্য বলে কম মানুষ বসবাস করেন। ভারতের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। ভারতের সমভূমি অঞ্চলগুলিতে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব যেমন খুব বেশি, তেমনি পার্বত্য অঞ্চলে জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব খুব কম এবং মালভূমি অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব মাঝারি ধরনের।ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংখ্যা বন্টনের বা জনঘনত্বের তারতম্যের কারণগুলি হল নিম্নরূপ-
প্রাকৃতিক কারণ-
১. ভূ-প্রকৃতি-ভূ-প্রকৃতি ভারতের জনসংখ্যা বন্টনের বা জনঘনত্বের তারতম্যের একটি অন্যতম কারণ।এদেশের গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদী অববাহিকা অঞ্চল এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল সমতল হওয়ায় তা কৃষি, শিল্প, ব্যবসা বণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থায় উন্নত। তাই সমভূমি অঞ্চলগুলিতে বেশি মানুষ বসবাস করেন এবং জনঘনত্ব বেশি হয়। আবার হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ও বিভিন্ন মালভূমি অঞ্চলগুলির ভূ-প্রকৃতি উঁচু-নিচু বা বন্ধুর হওয়ায় সেখানে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা- বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা কষ্টসাধ্য এবং ব্যয় সাপেক্ষ। তাই এই সমস্ত অঞ্চলে কম মানুষ বসবাস করেন এবং জনঘনত্ব কম হয়।
২.জলবায়ু-ভারতের জনসংখ্যা বন্টনের বা জনঘনত্বের তারতম্যের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো এদেশের জলবায়ু।ভারতের সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির জলবায়ু মনোরম হওয়ায় সেগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বেশি।অপরদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের পাহাড়ি রাজ্যগুলির জলবায়ু স্যাঁতসেঁতে বলে এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির জলবায়ু শুষ্ক বলে সেগুলির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম।
৩. ভৌগােলিক অবস্থান -ভৌগােলিক অবস্থান কোনাে অঞ্চলের জনবসতি বণ্টনে প্রভাব বিস্তার করে। দক্ষিণভারতের উপকূলীয় অবস্থানের ফলে বন্দর ও বহির্বাণিজ্যের বিকাশ ঘটায় জনবসতির বিকাশ ঘটেছে।
৪. মাটি -উর্বর মাটিতে কৃষিকাজ ভালাে হয় বলে ওই অঞ্চলে জনবসতি ঘন হয়। মধ্য ও নিম্ন গঙ্গা সমভূমির উর্বর পলিমাটি, দাক্ষিণাত্যের উর্বর কালাে মাটি প্রভৃতি ঘন জনবসতি গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। লাল মাটি, ল্যাটেরাইট মাটি প্রভৃতি অনুর্বর বলে ওই মাটি অঞ্চলে জনবসতির তেমন বিকাশ হয়নি।
৫. খনিজ সম্পদ প্রাপ্তি-খনিজ সম্পদের প্রাপ্তির ওপর কোন অঞ্চলের জনসংখ্যার বন্টন বা জনঘনত্বের তারতম্য নির্ভর করে। কোন অঞ্চলে মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটে বলে অধিক সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে।ফলে ওই অঞ্চলটির জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। যেমন-একসময় ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চল জনবিরল ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হওয়ার ফলে বর্তমানে ওই অঞ্চলের জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
No comments