HS Education Suggestion Answer ( marks 8) Part - 1
HS Education Suggestion Answer ( marks 8) Part - 1
** পরিণমন কাকে বলে ?
পরিনমন হলো শিক্ষার্থীর আচরণের গুনগত এবং পরিমানগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যা প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন নিরোপেক্ষ। অর্থাৎ পরিনমন হলো শিখন নিরোপেক্ষ এবং মানব জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
শিখনে পরিণমনের ভুমিকা (Role of Maturation in Learning)
• পরিণমন হল এমন একটি জন্মগত প্রবণতা যা স্বাভাবিকভাবে পরিস্ফুট হওয়ার ফলে শিশুর আচরণের পরিণামগত ও গুণগত পরিবর্তন ঘটে। পরিণমন হল শিখন প্রস্তুতির সহায়ক উপাদান। পরিণমন শিশুর শিখনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিখনে পরিণমনের ভূমিকা হল নিম্নরূপ —
(১) শিখনের গতি ও সীমা নির্ধারণ : মাতৃগর্ভে ভ্রুণ সঞ্চার থেকে শিশুর পরিণমন ঘটতে থাকে। নির্দিষ্ট পরিণমনের পর শিশুর শিখন শুরু হয় এবং তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলতে থাকে। পরিণমনই ঠিক করতে পারে
কোন সময়ে কোন্ ধরনের শিখন সার্থক হবে।
(২) জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়ের সমন্বয় : শিক্ষার্থীর সার্থক বিকাশ নির্ভর করে জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয়ের সমন্বয়ের ওপর। পরিণমন সার্থকভাবে উভয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। যা শিক্ষার্থীকে যে-কোনো বিষয় শিখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
(৩) শিখন ত্বরান্বিতকরণ: পরিণমন শিখনকে ত্বরান্বিত করে। অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর উপযুক্ত পরিণমন ঘটলে যে-কোনো বিষয় তারা অতি দ্রুত আয়ত্ত করতে পারবে।
(৪) ভাষার বিকাশ বা বাচনিক বিকাশ : শিশুর ভাষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিণমন। পরিণমন ছাড়া শিশুর ভাষার বিকাশ সম্ভব নয়।
(৫) পরিকল্পনামাফিক শিক্ষাদান : পরিণমনের ওপর নির্ভর করে শিক্ষাপরিকল্পনা। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে শিশুর শিক্ষার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হয় এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করা হয়।
(৬) শিখন প্রচেষ্টার কার্যকারিতা : পরিণমন শিখন প্রচেষ্টাকে কার্যকারী করে তুলতে সাহায্য করে।
(৭) উন্নত ও জটিল আচরণ সম্পাদন : উন্নত ও জটিল আচরণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে অনেক বেশি সক্রিয় করে তোলে। ফলে শিক্ষার্থী যে-কোনো জটিল সমস্যার সমাধান সহজে করতে পারে।
তবে বলা যায়, পরিণমনের সঙ্গে শিখনের একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান। শিশু কেবলমাত্র পরিণমনের দ্বারা সব ধরনের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। তার জন্য শিখনের একান্ত প্রয়োজন। আবার পরিণমনের বিভিন্ন স্তর অনুযায়ী শিক্ষাদানের ব্যবস্থা না করলে শিশুর শিখন ফলপ্রসূ হবে না।
*** প্রথম অধ্যায়- শিখন click here
** দ্বিতীয় অধ্যায়- শিখন কৌশল click here
** পঞ্চম অধ্যায় : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন (1948-49)-Click Here
** ষষ্ঠ অধ্যায় : মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (1952-53)-Click here
** সপ্তম অধ্যায় :কোঠারি কমিশন (1964-66) এবং ভারতের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা- Click here
** অষ্টম অধ্যায় :1986-র জাতীয় শিক্ষানীতি ও পরবর্তী সংস্কার 1992-Click here
** দশম অধ্যায় :প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীনতা-Click here
** একাদশ অধ্যায় :শিক্ষার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী : ডেলর্স কমিশন-Click here
** দ্বাদশ অধ্যায়: শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা-Click Here
TAG : HS Suggestions , Suggestions 2022 , HS , Higher Education , Education , Education Suggestions ,
****//// শিক্ষাক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা আলোচনা করো।
অথবা, শিখনে প্রেষণার ভূমিকা লেখো। ////****
● শিখনে প্রেষণার ভূমিকা (Role of Motivation in Learning) : প্রেষণা একটি অভ্যন্তরীণ মানসিদ্ধ . শক্তি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই মানসিক শক্তি অর্থাৎ প্রেষণা জাগ্রত করতে পারলেই ধারাবাহিকভাবে শিখনের প্রপ্তি তাদের অনুরাগী ও মনোযোগী করে তোলা সম্ভব হবে। তাই শিখনের ক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা অপরিসীম। শিখনে প্রেষণার ভূমিকা নিম্নে আলোচনা করা হল – (১) শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ উদ্যম জাগ্রত : প্রেষণা শিক্ষার্থীর অভ্যন্তরীণ উদ্যমকে জাগ্রত করে তোলে। এর ফলে শিক্ষার্থী যে-কোনো কর্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। উপযুক্ত উদ্বোধক প্রয়োগ শিখনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ আচরণ সৃষ্টি করা যায়।
(২) আগ্রহ সৃষ্টি : প্রেষণা শিক্ষার্থীর মধ্যে আগ্রহ সঞ্চার করে। শিক্ষার্থীর বিশেষ বিষয়ের প্রতি প্রেষণা তার অনুরাগের দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। আগ্রহ অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্ধারিত হলে শিক্ষার্থীর মধ্যে তৃপ্তি ও সফলতা আসে।
(৩) লক্ষ্যাভিমুখী: প্রেষণা শিক্ষার্থীকে শিক্ষার নির্দিষ্ট লক্ষ্যাভিমুখী করে তোলে। শিক্ষার্থীর একটি লক্ষ্য পূরণ হলে পরবর্তী লক্ষ্য পূরণের জন্য আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে ওঠে। (৪) মনোযোগী প্রেষণা শিক্ষার্থীকে শিখনে মনোযোগী করে তোলে। মনোযোগ শিক্ষার্থীর বিষয় জ্ঞানকে নিখুঁত ও পরিষ্কার করে।
(৫) ব্যক্তিত্বের উন্মেষ : প্রেষণা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের উন্মেষ ঘটায়; যা শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে সুনাগরিক হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে।
(৬) শিখন কৌশলের ওপর প্রভাব : প্রেষণা শিক্ষার্থীর শিখন কৌশলকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রেষণার বিভিন্নতা অনুযায়ী শিখতে পারে।
(৭) শিক্ষার্থীর আচরণের গতিপথ নির্ণয় ঃ প্রেষণা শিক্ষার্থীর আচরণের গতিপথ নির্ণয় করে তাকে কোনো বিশেষ লক্ষ্য অনুযায়ী আচরণ করতে সাহায্য করে।
(৮) যথাযথভাবে কর্মসম্পাদন : প্রেষণা শিক্ষার্থীকে যথাযথভাবে কর্মসম্পাদন করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ শিখনচলাকালীন শিক্ষার্থীর যেসকল কাজ থাকে তা তাদের সঠিকভাবে করতে প্রেষণা সাহায্য করে।
(৯) নতুন বিষয়ের প্রতি কৌতূহল সৃষ্টি ঃ শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বিষয়কে জানার কৌতূহল সৃষ্টি করে প্রেষণা। এরফলে শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন বিষয় জ্ঞান বৃদ্ধি ঘটে।
(১০) দক্ষতা সম্বন্ধে আত্মবিশ্বাস : প্রেষণা দক্ষতা সম্বন্ধে শিক্ষার্থীকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। আত্মবিশ্বাস কর্মে আরও বেশি উদ্যম সৃষ্টি করে।
(১১) অভ্যাস গঠন : প্রেষণা শিক্ষার্থীর মধ্যে সুঅভ্যাস গঠন করে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর মধ্যে পঠনের অভ্যাস তৈরি করে যা তার বিষয় জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
****//// *** মনোযোগ বলতে কী বোঝো? শিক্ষাক্ষেত্রে মনোযোগের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। অথবা, মনোযোগ কাকে বলে? শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা লেখো।**** ////****
মনোযোগ বলতে কী ?
বোঝোমনোযোগ একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার সাহায্যে কোন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ বিষয়কে মনের কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসা যায়
শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা (Role of Attention in Education) :
মনোযোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাকালীন মানসিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। মনোযোগের দ্বারাই জ প্রচেষ্টামূলক শিখন সম্ভব হয়। মনোযোগ শিক্ষার্থীকে কোনো বিষয়ে স্পষ্টতা এবং বোধগম্যতায় সাহায্য করে। ত শিক্ষায় মনোযোগের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাক্ষেত্রে মনোযোগের ভূমিকা হল –
(১) বিষয়বস্তুর স্পষ্টতা বৃদ্ধিঃ মনোযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বিষয়বস্তুর স্পষ্ট বা নিখুঁত জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায করে। কারণ মনোযোগ দিয়ে কোনো বিষয় অধ্যয়ন করলে সেই বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা হয়।
(২) জ্ঞানমূলক বিকাশ ত্বরান্বিত: মনোযোগ জ্ঞানমূলক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। অর্থাৎ, কোনো বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান তার জ্ঞানের বিকাশে অনেক বেশি সাহায্য করে।
(৩) জ্ঞানেন্দ্রিয়ের সক্রিয়তা বৃদ্ধি : মনোযোগের ফলে জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বেশি সংখ্যক তথ্য বা বিষয় স্মৃতিতে ধরে রাখা সম্ভব হয়।
(৪) পারদর্শিতা বৃদ্ধি ঃ মনোযোগ শিক্ষার্থীর বা ব্যক্তির পারদর্শিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শিক্ষার্থী যে বিষয়
মনোযোগ সহকারে আয়ত্ত করে সেই বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। এর ফলে তার পারদর্শিতার
মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
(৫) সহজাত প্রবৃত্তির বিকাশ: মনোযোগ ব্যক্তির সহজাত প্রবৃত্তির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সহজাত প্রবৃত্তির বিকাশের ফলে ব্যক্তির বিভিন্ন দিকের বিকাশ ঘটে।
(৬) বস্তুকেন্দ্রিক সেন্টিমেন্ট গড়ে ওঠেঃ মনোযোগ ব্যক্তির মধ্যে বস্তুকেন্দ্রিক সেন্টিমেন্ট গড়ে তোলে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেন্টিমেন্ট নিয়ন্ত্রিত স্বতঃস্ফূর্ত মনোযোগের সৃষ্টি করে। যা শিক্ষার্থীর জীবনব্যাপী শিখনে সহায়তা করে। (৭) বিচার ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ মনোযোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিচারশক্তির বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মনোযোগের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষয়জ্ঞান পরিষ্কার হয় বলে যুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা বিচার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(৮) স্মৃতি দীর্ঘস্থায়ী ঃ মনোযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল স্মৃতি। যে বিষয়ে যত বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়। সেই বিষয়ে তত বেশি মনে থাকে। তাই শিক্ষার্থীরা যদি পাঠ গ্রহণের সময় সক্রিয়ভাবে মনোযোগ দেয় তবে সেই স্মৃতি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আরো দেখতে click করো
** প্রথম অধ্যায়- শিখন click here
** দ্বিতীয় অধ্যায়- শিখন কৌশল click here
** পঞ্চম অধ্যায় : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন (1948-49)-Click Here
** ষষ্ঠ অধ্যায় : মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (1952-53)-Click here
** সপ্তম অধ্যায় :কোঠারি কমিশন (1964-66) এবং ভারতের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা- Click here
** অষ্টম অধ্যায় :1986-র জাতীয় শিক্ষানীতি ও পরবর্তী সংস্কার 1992-Click here
** দশম অধ্যায় :প্রাথমিক শিক্ষার সর্বজনীনতা-Click here
** একাদশ অধ্যায় :শিক্ষার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী : ডেলর্স কমিশন-Click here
** দ্বাদশ অধ্যায়: শিক্ষায় প্রযুক্তির ভূমিকা-Click Here
TAG : HS Suggestions , Suggestions 2022 , HS , Higher Education , Education , Education Suggestions ,
hs Education suggestion 95% Common ,class 12 Education suggestion 95% Common pdf download,2021 hs exam Education suggestion,hs Education grammar suggestion 2021,hs suggestion 95% Common pdf free download ,class 12 Education suggestion 95% Common ,hs Education suggestion 2021 pdf download, class 12 Education suggestion 2021
HS Education Suggestions 95% Common , 95% Common answers, HS Education Suggestions 95% Common class 12, HS Education Suggestions 95% Common download, HS Education Suggestions 95% Common free download, HS Education Suggestions 95% Common in Education, HS Education Suggestions 95% Common in Education, HS Education Suggestions 95% Common in west bengal, HS Education Suggestions 95% Common key answer, HS Education Suggestions 95% Common ncert solutions, HS Education Suggestions 95% Common objective, HS Education Suggestions 95% Common pdf, HS Education Suggestions 95% Common pdf download, HS Education Suggestions 95% Common question, HS Education Suggestions 95% Common questions and answers, HS Education Suggestions 95% Common wbcHSe, HS Education Suggestions 95% Common west bengal, HS Education Suggestions 95% Common west bengal board
HS Education Suggestions 95% Common
HS Education Suggestions 95% Common (উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন 95% Common (95% COMMON ) – ‘Three Questions'(Leo Tolstoy) প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এই HS Education Suggestions 95% Common (উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন 95% Common (95% COMMON ) Answer গুলি আগামী West Bengal Higher Secondary Education Examination 95% Common – পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বিজ্ঞান 95% Common সালের পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষা বিজ্ঞান 95% Common পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভবনা আছে।
No comments