Header Ads

Header ADS

বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-1] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্নঃ - নারীশিক্ষা বিষয়ে রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো । || Education Suggestions For 6th Semester ( DSE-B2)

BA General Education Suggestions || বি.এ.  শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper  || 6th Semester Suggestions  CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus  

বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-1] || নারী শিক্ষা (  Woman Education ) || Paper - DSE-B2
প্রশ্নঃ - নারীশিক্ষা  বিষয়ে  রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো ।প্রশ্ন-নারীশিক্ষা  বিষয়ে  মুদালিয়ার কমিশন  এর সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো ।|| Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2) 
 
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-1] || নারী শিক্ষা (  Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্নঃ - নারীশিক্ষা  বিষয়ে  রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো ।প্রশ্ন-নারীশিক্ষা  বিষয়ে  মুদালিয়ার কমিশন  এর সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো ।|| Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)


===========================
আরো দেখোঃ 
Q1- 
Q2- 
===========================


============================
নারী শিক্ষা (  Woman Education ) 
===========================

B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ ) 



প্রশ্ন-নারীশিক্ষা  বিষয়ে  রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো । 
Ans: 

নারীশিক্ষা  এবং রাধাকৃষ্ণণ কমিশন (Women Education and Radhakrishnan Commission):
  স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই সরকার যে প্রথম কমিশনটি স্থাপন করেন তা হল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন বা রাধাকৃষুণ কমিশন ( 1948-49)। কমিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সম্বন্ধে সুপারিশ দেওয়া। নারীশিক্ষার ব্যাপারেও এই কমিশনের মতামত গুরুত্বপূর্ণ,
 তবে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে কমিশন মনে করেছিল যে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে নারীশিক্ষা ও পুরুষের শিক্ষা একই ধরনের হওয়ার যুক্তি নেই। মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে কমিশনের সুপারিশগুলি এই প্রকার—


● শিক্ষার সুযোগ থেকে মেয়েরা যেন কোনোরকমভাবেই বঞ্চিত না হয় বরং এই সুযোগ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

●যে কলেজগুলিতে ছাত্রদের সংখ্যা বেশি সেগুলিতে এখন অধিক সংখ্যায় মেয়েরা ভরতি হচ্ছে, অতএব এইসব কলেজগুলিতে নারীশিক্ষার জন্য সব রকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

●শিক্ষার ব্যাপারে মহিলারা পুরুষদের অনুসরণ করুক এটা বাঞ্ছনীয় নয়। তাই মহিলাদের কী ধরনের শিক্ষার প্রতি অনুরাগ এবং সেই অনুযায়ী মহিলারা যাতে শিক্ষা পেতে পারে তার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরামর্শদাতা নিয়োগ করা দরকার। মহিলা ও পুরুষের শিক্ষা অনেক ব্যাপারে এক ধরনের হলেও একেবারে অভিন্নরূপে গণ্য করা ঠিক হবে না।

● মহিলা শিক্ষিকারা পুরুষ শিক্ষকের সঙ্গে সমহারে বেতন পাবেন।

● সহশিক্ষা যেখানে দেওয়া হয় এই ধরনের কলেজে পুরুষদের সামাজিক দায়িত্ব ও মহিলাদের সম্মান রক্ষার ব্যাপারে সচেতন করার চেষ্টা করা দরকার।

●গার্হস্থ্য শিক্ষা বা গার্হস্থ্য অর্থনীতির বিরুদ্ধে যে ধরনের সংস্কার আছে তা কাটিয়ে ওঠা দরকার।

●সমাজে মহিলারা শুধুমাত্র নাগরিক নন তার সঙ্গে মহিলার যে বিশেষ ভূমিকা তা পালন করতে শেখানোর জন্য কলেজের কর্মসূচি সেইভাবে সংগঠিত করতে হবে।

● নতুন কলেজ, যেখানে সহশিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে, সেইসব কলেজে মেয়েদের প্রয়োজনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

● রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল 13 থেকে 18 বছর পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েদের পৃথক শিক্ষার ব্যবস্থা করার সুপারিশ। যদিও কলেজ স্তরে সহশিক্ষা ব্যবস্থাকে সমর্থন করা হয় তবুও কিশোর বয়সের জন্য কমিশন ছেলেমেয়েদের পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে মত পোষণ করে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা অহেতুক যা অধিক অর্থব্যয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগের অভাব দেখা যেতে পারে। তাই কমিশন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহশিক্ষা ব্যবস্থার সুপারিশ করেছিল।


===========================
আরো দেখোঃ 
Q1- 
Q2- 
===========================
প্রশ্ন-নারীশিক্ষা  বিষয়ে  মুদালিয়ার কমিশন  এর সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো । 
অথবা 
নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে মুদালীয়র  কমিশনের সহ-শিক্ষা সম্বন্ধে কী সুপারিশ ছিলো ? 

নারীশিক্ষা এবং মুদালিয়ার কমিশন (Women Education and Mudaliar Commission)

এই কমিশনের চতুর্থ অধ্যায়ে নারীশিক্ষার সমস্যা সম্পর্কে কিছু তথ্য পরিবেশন করা হয়। নারীশিক্ষা প্রসঙ্গে কোনোরকম আলাদা অধ্যায় রিপোর্টে নেই। কমিশন মন্তব্য করে যে ওই সময়ে সমাজে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলাদের জন্য পৃথক → শিক্ষাব্যবস্থা—এই মতবাদের কোনো যুক্তি নেই। সমস্ত ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই পুরুষ ও মহিলা দুজনের কাছেই উন্মুক্ত। কমিশন আরও মন্তব্য করে যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিদর্শন করে দেখা গেছে যে মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি, চিকিৎসা, পশু চিকিৎসা, বাণিজ্য, আইন, শিক্ষকতা ইত্যাদি বৃত্তিতে নিযুক্ত হচ্ছে ও পড়াশোনা করছে।

তবে মহিলাদের শিক্ষা নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে কিছু দ্বিমত দেখা যায়। একদিকে ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষার পার্থক্য থাকবে এবং মেয়েরা প্রধানত গৃহস্থালির কাজের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবে। অন্যদিকের মত হল মহিলারা গৃহের চার দেওয়ালের বাইরে এসে সমাজে নিজস্ব স্থান গ্রহণ করতে শিখবে। অতএব পুরুষ ও নারীর শিক্ষার জন্য কোনো পার্থক্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।

অবশ্য একথাও স্বীকার করা হয় যে ধরনের শিক্ষাই হোক না কেন গৃহ ও সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক থাকা দরকার। শিক্ষা এমন হবে যেখানে ব্যক্তি ভবিষ্যতের সুনাগরিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পারিবারিক দায়িত্ব পালন করতেও সক্ষম হবে। তাই মেয়েদের শিক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষার দ্বৈত উদ্দেশ্য অর্থাৎ পরিবার ও সমাজের বিকাশের শিক্ষা দুইয়ের উপরই জোর দেওয়া উচিত। শিক্ষা শুধু গৃহস্থালি বা সংসারের কাজের জন্য নয় বরং সামাজিক উন্নয়নের জন্যও এর ব্যবহার হওয়া প্রয়োজন।


কাজের জন্য নয় বরং সামাজিক সহশিক্ষার ব্যাপারে কমিশন মন্তব্য করে যে প্রাথমিক ও বিশ্বওয়া প্রয়োজন। নয়নের জন্যও এর ব্যবহার

সহশিক্ষা বিষয়ে সুপারিশ

স্তরে সাধারণত দেখা গেছে যে সহশিক্ষা ব্যবস্থার সমর্থন আছে। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে এই ব্যাপারে দ্বিমত দেখা গেছে। অনেকেই মনে করেন যে কিশোর বয়সে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা থাকাই ভালো ৷ অন্যদিকে পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা আবার খরচসাপেক্ষ। তা ছাড়া অর্থনৈতিক অসুবিধার জন্য হয়তো যথেষ্ট মেয়েদের স্কুল প্রতিষ্ঠা করা যাবে না এবং মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ পাবে না।

কমিশন এ প্রসঙ্গে এই সুপারিশ করেন যে যদি সম্ভব হয় তাহলে মেয়েদের জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা উচিত। কারণ মিশ্র প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এখানে মেয়েরা অবশ্য অনেক বেশি সুযোগ পাবে এবং রাজ্য এই ধরনের প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট সংখ্যায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্ট করবে।

তবে অভিভাবকের আপত্তি না থাকলে মিশ্র প্রতিষ্ঠান বা ছেলেদের স্কুলেও "ভরতির ব্যবস্থা থাকা উচিত।

কমিশন উল্লেখ করে যে অনেক সময় ছেলেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সরঞ্জাম ও গৃহ নির্মাণ বাবদ তুলনামূলকভাবে বেশি সরকারি অর্থসাহায্য পেয়ে থাকে। তাই মুদালিয়ার কমিশন সুপারিশ করে যে ভবিষ্যতে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সরকার একইভাবে অর্থসাহায্য করবে, যাতে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় ছেলেমেয়েদের বৌদ্ধিক বিকাশে যেন কোনোরকম তারতম্য না হয়।

মিশ্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রসঙ্গে মুদালিয়ার কমিশন বলে যে এই ধরনের বিদ্যালয়ে মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিতে হবে। এরজন্য কিছু নিয়ম প্রবর্তন করাও দরকার। যেমন - 

➤  বিদ্যালয়ের কর্মীদের মধ্যে মহিলা ও পুরুষ দুই ধরনের কর্মীই থাকবেন।

➤  মেয়েদের কাছে আকর্ষণীয় বিষয়, যেমন—গার্হস্থ্য বিদ্যা, সংগীত, অঙ্কন ওমুদ্রণশিল্প ইত্যাদি পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

➤ বিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপারেও মহিলারা যাতে অংশ নিতে পারে তার জন্য সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

➤  সহপাঠক্রমিক কার্যাবলির প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে মেয়েদের জন্য গাইড, নার্সিং ও সেলাই এই ধরনের সহপাঠক্রমিক কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।

➤  যেখানে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম যেমন গ্রাম অঞ্চলে, সেখানেও অন্তত একজন মহিলা শিক্ষিকা থাকবেন। শিক্ষিকাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকা দরকার।
➤ এছাড়া মেয়েদের জন্য পৃথক খেলার মাঠ, কমন রুম ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।




===========================
আরো দেখোঃ 
Q1- 
Q2- 
===========================


TAG:- 6th semester,BA 6th Semester,BA general,Education -DSE-B2,BA Education Suggestions,

তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2  , BA 6th Semester ( Education  General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education  Suggestions

No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.