Header Ads

Header ADS

বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-9] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্ন- নারীশিক্ষার প্রসারে বাধাসমূহ আলোচনা কর। (Discus the hindrances regarding the augmentation of women education. ) Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)

 BA General Education Suggestions || বি.এ.  শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper  || 6th Semester Suggestions  CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus  

বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-9] || নারী শিক্ষা (  Woman Education ) || Paper - DSE-B2
 প্রশ্ন- নারীশিক্ষার প্রসারে বাধাসমূহ আলোচনা কর।
(Discus the hindrances regarding the augmentation of women education. ) 
Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2) 
 
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-2] || নারী শিক্ষা (  Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্নঃ - প্রশ্ন-নারীশিক্ষা  বিষয়ে  সর্বশিক্ষা  মিশন  এর সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো ।প্রশ্ন-নারীশিক্ষা  বিষয়ে  কোঠারি কমিশন র সুপারিশ গুলি কী ছিল তা আলোচনা করো । || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)


===========================
আরো দেখোঃ 
Q1- 
Q2- 
===========================


============================
নারী শিক্ষা (  Woman Education ) 
===========================

B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ ) 



===============================
**********************************

প্রশ্নঃ-  নারীশিক্ষার প্রসারে বাধাসমূহ আলোচনা কর।
  Discus the hindrances regarding the augmentation of women education.

**********************************


উত্তরঃ 

নারী শিক্ষার বাধা সমূহ 



🌸সামাজিক সমস্যা (Social Problem)🌸

    আমাদের সমাজ পুরুষ শাসিত সমাজ। এই সমাজে ব্যতিক্রম বাদ দিলে সামগ্রিক ভাবে নারীর সামাজিক অবস্থান খুবই নীচে। এখনো কন্যা ভ্ৰূণ হত্যা ব্যাপকভাবে ঘটে যার জন্য জনসংখ্যায় নারী ও পুরুষের অনুপাত বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে। কন্যা সন্তান এখনও অবাঞ্ছিত। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। পরিবারে ছেলে এবং মেয়ের প্রতি আচরণেও প্রভেদ দেখা যায়। তাই শিক্ষা অর্জনের সুযোগ মেয়েদের থেকে ছেলেদের বেশি দেওয়া হয়। দুঃখের বিষয় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবহেলিত থাকায় মেয়েদের প্রকৃত আত্মমর্যাদা বোধকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ছদ্ম আত্মমর্যাদা বোধ। অর্থাৎ মেয়েদের এই সামাজিক অবস্থা নারী শিক্ষা বিস্তারে একটি অন্যতম প্রধান অন্তরায়।

    ❎✅ স্ত্রী শিক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো সামাজিক বাধা সমাজে নারী ও পুরুষের ভূমিকা সম্বন্ধে প্রায় অপরিবর্তনীয় ধারণা (Sex role stereotyping)। কোন্ কোন্ বৃত্তি ও পাঠক্রম মেয়েদের জন্য, কোনগুলি পুরুষদের জন্য তা সামাজিক ভাবে পূর্বনির্দিষ্ট। বর্তমানে মেয়েরা সমস্ত বিষয়ে এগিয়ে এলেও সামগ্রিকভাবে মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট বৃত্তি ও পাঠক্রম অনেক সময়ই সীমাবদ্ধ, বৈচিত্র্যহীন ও তাদের আগ্রহ সৃষ্টির পরিপন্থী। এর ফলে মেয়েদের পক্ষে নিজেদের মেলে ধরার ক্ষেত্রটি হয়ে পড়ে সংকুচিত। তা ছাড়াও কঠিন পরিশ্রম সাপেক্ষ পাঠক্রম ও বৃত্তি গ্রহণ করার পরও মেয়েরা সাংসারিক দায়দায়িত্ব থেকে মুক্তি পায় না বা সমান অংশীদার হতে পারে না। এর ফলে অনেকেই শিক্ষা অসমাপ্ত রাখে বা সমাপ্ত করলেও তা কার্যকর ভাবে প্রয়োগ করে না।

    ❎✅ অনেক গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাট এখনও অনেক ক্ষেত্রে দুর্গম এবং যানবাহনের সুযোগ সুবিধা কম। বাসস্থান থেকে স্কুলগুলিও অনেক ক্ষেত্রে বেশ দূরে। এটি স্কুল যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি করে, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। সর্বশিক্ষা অভিযান নামক পরিকল্পনায় এই বিষয়টির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন স্কুল স্থাপনের জন্য উৎসাহ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবুও এখনও তুলনামূলক ভাবে মেয়েদের স্বাক্ষরতার হার কম।

    ❎✅ শহরে মেয়েদের জন্য যত বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে গ্রামাঞ্চলে তা হয়নি। ছেলে এবং মেয়ের একসঙ্গে শিক্ষালাভ করাটা এখনো অনেক রক্ষণশীল মানুষ মেনে নিতে পারেন না, তাই তারা তাদের মেয়েদেরে স্কুলে পাঠান না অথরা পাঠালেও যত দ্রুত সম্ভব নানা অজুহাতে তাদের পড়া শেষ করে দিতে চান।

    ❎✅  এখনো ভারতীয় সমাজে মনে করা হয় যে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে মা বাবার প্রধান কর্তব্য। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে ঘরকন্না করা এবং সন্তান লালনপালন করাই হচ্ছে মেয়েদের মূল সামাজিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য। এর ফলে বহু মেয়ে স্কুল বা কলেজে ভর্তি হলেও পড়া শেষ করতে সক্ষম হয় না। তাই অপচয় এবং অনুন্নয়ন হচ্ছে নারী শিক্ষার এক প্রধান সমস্যা।


 🌸 অর্থনৈতিক সমস্যা (Economic Problem) 🌸

রাজনৈতিক বাধা সম্বন্ধে আলোচনা প্রসঙ্গে এক ধরনের আর্থিক সমস্যার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বরাদ্দ অর্থের সদ্ব্যয় না হওয়াটা যে একধরনের আর্থিক সমস্যাও সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাবে অর্থনৈতিক সমস্যা আরও জটিল।

❎✅প্রথমত, দারিদ্র্য এক বৃহৎ সমস্যা। একথা ঠিক যে শিক্ষাই দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রধানতম হাতিয়ার এবং শিক্ষাই পরিবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আর্থিক সুস্থিতি নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু বিপরীত ক্রমে, দারিদ্র্য শিক্ষার প্রধান বাধা। দরিদ্র পরিবারে বহু সন্তান থাকলে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অভিভাবকরা মনে করেন যে মেয়েকে শিক্ষা নিতে পাঠানোটা অপব্যয়। তার থেকে তাকে গৃহের কাজে লাগিয়ে বা অন্যের গৃহে সহায়িকার কাজ করতে পাঠিয়ে উপার্জন করাটাকে তারা বেশি পছন্দ করে।

❎✅বহু সন্তানবিশিষ্ট পরিবারে, ঘন ঘন সন্তানের জন্ম হওয়ায়, পরিবারের অপেক্ষাকৃত বড়ো মেয়েদের ওপর ছোটোদের লালনপালনের ভার পড়ে। সংসারের কাজে সাহায্য করে, ছোটোদের লালন পালনের দায়িত্ব পালন করে তাদের পক্ষে লেখাপড়া করা হয়ে ওঠে না।

❎✅দারিদ্র্য ও বহু সন্তানের জন্ম দেওয়ার ফলে, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। সন্তানরাও অপুষ্টি, অজ্ঞতা ও স্বাস্থ্যহীনতার দরুন বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। দ্বিপ্রাহরিক আহার ও কিছু কিছু স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও, এই সমস্যা এখনও অনেকটাই আছে। যখন স্কুলে দুপুরে পাউরুটি জাতীয় খাবার দেওয়া হত তখন বড়ো মেয়েদের প্রতি নির্দেশ থাকত যেন তারা নিজেরা না খেয়ে ছোটো ভাইবোনের জন্য তা বাড়িতে নিয়ে আসে। এই ধরনের নানা কারণে মেয়েদের পড়া শুরুতেই অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়।

❎✅যদিও প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার আনুষঙ্গিক খরচ যেমন, বিদ্যালয় কাছে না হলে যাতায়াত করার ব্যয় খাতা, পেনসিলের খরচ ইত্যাদি বহন করাও আমাদের দেশের অনেক অভিভাবরদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। আমাদের দেশে ছেলেমেয়ে প্রতিপালনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য দেখা যায়। 


  🌸ধর্মীয় সমস্যা (Religious Problem)  🌸

কোন ধর্মই কিন্তু নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। প্রথম এককে আমরা দেখেছি যে প্রাচীন ভারতে নারীর সামাজিক মর্যাদা এবং শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে কোন পার্থক্য ছিল না। এমনকি উপনয়নের প্রথাও চালু ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের অপব্যবহার এবং অপব্যাখ্যা আরম্ভ হয়। নারীকে পরনির্ভরশীল, অশিক্ষিত, পর্দানশিন করা হতে থাকে। ধর্ম যখন থেকে শুধুমাত্র ঈশ্বর ও দার্শনিক তত্ত্বের মধ্যে বিচরণ না করে দৈনন্দিন জীবন, আচার অনুষ্ঠান, সামাজিক বিধিনিষেধ ইত্যাদির মধ্যে অনুশাসন আরোপ করতে শুরু করে, তখনই নারী সমাজকে শৃঙ্খলিত করার প্রবণতা দেখা যায়। প্রাচীন ভারতে মনুদের সময় থেকে এই প্রবণতা লক্ষ করা যায়। নারী সমাজ অশিক্ষিত, পুরুষ নির্ভর, অন্তঃপুরে আবদ্ধ হতে থাকায় সেই সুযোগে আরও নতুন বাধা নিষেধ আরোপ করা হতে থাকে। ধর্মের অপব্যাখ্যা বা স্বার্থান্বেষী মানুষের সুবিধাজনক ব্যাখ্যা মধ্যযুগীয় সমাজে প্রবলভাবে নারী সমাজকে অশিক্ষার অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল।

    ❎✅এই ধরনের মনোভাবেই প্রতিফলন দেখা যায় উচ্চতর শিক্ষার বিষয়বস্তু নির্বাচনে। কলা, জীববিদ্যা, সাহিত্য বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে চিকিৎসাবিদ্যার বিশেষ বিশেষ শাখা, শিক্ষকতা জাতীয় পেশা, এরকম কিছু বিষয় মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট। এক সময়ে এমন কথাও গবেষণার মাধ্যমে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা হয়েছিল যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বুদ্ধি কম। এই ধরনের বিশ্বাস ও ধারণা মেয়েদের মধ্যেও দৃঢ়ভাবে বিদ্যমান যা কাটিয়ে উঠে স্বাবলম্বী, স্বাধীন মানুষ হিসাবে আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা যাঁরা করতে পেরেছেন একমাত্র তাঁরাই শিক্ষা, বৃত্তি ও সামাজিক মর্যাদায় পুরুষের পাশাপাশি উঠে আসতে পেরেছেন। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে এই বাধা এখনও ব্যাপক।

    ❎✅মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আর একটি মানসিক বাধা, সামাজিক রীতি নীতি, আচার অনুষ্ঠান, সামাজিকতা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের দায় শুধুমাত্র মেয়েদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। সুদীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত থাকায় মেয়েরাও বিশ্বাস করেন এগুলি তাঁদেরই একান্ত নিজস্ব। এই কারণে বাড়ির পুরুষ সন্তানের পাঠচর্চা ব্যাহত না হলেও, মেয়ের বেলায় অনেক সময়ই সময়ের অপচয় হতে দেখা যায়। এই কারণেও গ্রামাঞ্চলে এখনও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা বেশি।

    ❎✅আমাদের দেশে পুরুষ সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব সর্বজনবিদিত। ছোটো থেকেই পুরুষ সন্তানকে এমন ভাবে প্রতিপালন করা হয় যে সে মেয়েদের প্রতি অবহেলার মনোভাব নিয়েই বড়ো হয়। ছোটো থেকেই সে ভাবতে শেখে ছেলে হিসাবে মেয়েদের চেয়ে তার স্থান উচ্চে। বর্তমান সমাজে শুধু বিদ্যাচর্চার ক্ষেত্রেই নয় সামাজিক, কর্মক্ষেত্রে, পারিবারিক ইত্যাদি যতরকম নিগ্রহ মেয়েদের সহ্য করতে হয় তার মূলে আছে ছোটোবেলা থেকে গড়ে ওঠা শ্রেষ্ঠত্বের মনোভাব, অবহেলা ও অশ্রদ্ধার মনোভাব।

    ❎✅এখনও পণপ্রথার দরুন মেয়ের বিবাহে বিপুল পরিমাণ যৌতুক দিতে হয়, কন্যা ভ্রূণ হত্যা করা হয়, কন্যা সন্তান জন্মালে তাকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ কন্যা মানে একটি বোঝা, যাকে নিজের দায়িত্ব থেকে অন্যের দায়িত্বে হস্তান্তরিত করতে হয় এবং তার জন্য প্রচুর অর্থব্যয় করতে হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এখনো কন্যার মা-বাবারা শিক্ষার পেছনে অর্থের অপব্যয় না করে সেটিকে বিবাহের জোগান হিসেবে রেখে দেওয়াটা পছন্দ করেন।


===============================
**********************************


===========================
আরো দেখোঃ 
Q1- 
Q2- 
===========================





TAG:- 6th semester,BA 6th Semester,BA general,Education -DSE-B2,BA Education Suggestions,

তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions

Calcutta University  Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2  , BA 6th Semester ( Education  General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education  Suggestions

No comments

Featured Post

Semester 2 History Suggestions - Questions Set-1 -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System

   History  Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System  History   Suggestions( BA General )  with Answer  Semester...

Powered by Blogger.