বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-3] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্নঃ - প্রশ্ন- জাতীয় শিক্ষানীতিতে ( ১৯৮৬ ) নারী শিক্ষা সম্পর্কে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে ? || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
BA General Education Suggestions || বি.এ. শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper || 6th Semester Suggestions CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-3] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2
প্রশ্নঃ - প্রশ্ন- জাতীয় শিক্ষানীতিতে ( ১৯৮৬ ) নারী শিক্ষা সম্পর্কে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে ? || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
============================
নারী শিক্ষা ( Woman Education )
===========================
B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ )
প্রশ্ন- জাতীয় শিক্ষানীতিতে ( ১৯৮৬ ) নারী শিক্ষা সম্পর্কে কী কী সুপারিশ করা হয়েছে ?
উত্তরঃ
নারীশিক্ষা এবং জাতীয় শিক্ষানীতি 1986 (Women Education and National Policy on Education, 1986)ঃ
নতুন শিক্ষানীতির প্রধান উদ্দেশ্য হল অসাম্য দূর করা। যারা এতদিন বঞ্চিত হয়ে এসেছে তাদের সবাইকে সমান সুযোগসুবিধা দিয়ে এই অসাম্য দূর করতে হবে। সমাজে নারীদের বিশেষ মর্যাদার আসন দেওয়ার জন্য শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। নতুন পাঠক্রম, পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষক-শিক্ষণ প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়ে মেয়েদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে শিক্ষালয়গুলিকে উৎসাহিত করতে হবে।
জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় নারীজাতির অগ্রগতির উপর বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে—The education of girls should receive emphasis not only on grounds of social justice, but also it accelerates social transformation.
➤ মেয়েদের সাক্ষর করে তুলতে ও তাদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও প্রাথমিক শিক্ষালাভের পথে যেসব সমস্যা আছে তা দূর করতে হবে ।
➤ বৃত্তিমূলক, কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষায় মেয়েরা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
➤ পেশাগত শিক্ষায় নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূর করতে হবে।
➤ প্রচলিত ও অপ্রচলিত নতুন পেশার ক্ষেত্র মেয়েদের জন্য খুলে দিতে হবে।
➤ সামাজিক ন্যায়ের দাবি ছাড়াও শিক্ষাকে নারীর ক্ষমতায়নের প্রধানতম হাতিয়ার রূপে বিবেচনা করা হয়েছে।
➤ সমসুযোগ প্রতিষ্ঠা ছাড়াও সামগ্রিকভাবে শিক্ষার বিষয়বস্তু ও প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে লিঙ্গগত বৈষম্য দূরীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। নয়া শিক্ষানীতিতে |
➤ সর্বস্তরে সাম্য ও ঐক্যের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নারীর অবস্থানগত পরিবর্তনের প্রধান সূত্র হিসেবে শিক্ষা তার ভূমিকা পালন করবে। এর সাহায্যে দ্রুত নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটবে।
➤ নতুন ধরনের পাঠ্যপুস্তক, প্রশিক্ষণ, শিক্ষকদের মনোভাব ও প্রশাসন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নারীর ক্ষমতায়নকে ব্যাপকতর সহায়তা করবে।
( Women Education and National Policy on Education, 1992) এই কার্যক্রমে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে নারীশিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে। নারীশিক্ষাকে প্রগতিশীল করতে প্রধানত যেসব কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে তা হল -
👧 স্কুলছুট মেয়েদের জন্য অবিধিবদ্ধ শিক্ষার কার্যক্রম প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা শিক্ষার মূলস্রোতে ফিরে আসতে পারবে অথবা উপযুক্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।
👧 মুক্তবিদ্যালয় বা দূরাগত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ দূরবর্তী মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের আহ্বান জানানোর কথা বলা হয়েছে।
👧 গ্রাম ও শহরের বস্তিঅঞ্চলের মেয়েরা নানান কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। শিক্ষার সুযোগের অভাব ছাড়াও তাদের জল, জ্বালানি, পশুখাদ্য সংগ্রহে ব্যস্ত থাকতে হয়। পরিবারের ছোটো ভাইবোনদের দেখাশোনা করা বা পয়সার বিনিময়ে নানান কাজ করতে হয়। তাই লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। এজন্য সমন্বয়মূলক শিশুপালন কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বজনীন শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছে।
👧 নারীশিক্ষা প্রসারে অন্যতম প্রধান বাধা গ্রামাঞ্চলে মহিলা শিক্ষিকার অভাব। তাই নারীশিক্ষিকা নিয়োগে বিশেষ প্রচেষ্টা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
👧 শিক্ষার প্রতিটি স্তরে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কে মেয়েদের শিক্ষা দিতে হবে। এবিষয়ে নির্দেশনা ও পরামর্শদান প্রক্রিয়ার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই এই পরিসেবার প্রসার ঘটানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
👧 নারীদের সমসুযোগলাভের আবহ সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ও গণমাধ্যে জনসাধারণের চেতনার বিকাশ ঘটাতে হবে। যোগাযোগের বিস্তার ও তথ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে এই গণমাধ্যম নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে পারে। 8/13
👧 NCERT, NUEPA, DAE, DIET ও SCERT ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্রগুলি শিক্ষক নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
(National Perspective Plan regarding Women Education) এই পরিকল্পনায় নারীরা যাতে 2000 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তুলনামূলক অবস্থান লাভ করতে পারে তার জন্য শিক্ষাক্রম গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের কৃষ্টিগত, ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে নারীশিক্ষার মান ও সংখ্যাগত উন্নয়নকল্পে বৈচিত্র্যময় শিক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ শিক্ষা পরিকল্পনায় বিকেন্দ্রীকরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নারীশিক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট কয়েকটি উদ্দেশ্য নির্ণয়ের কথা বলা হয়েছে, তা না হলে নারীশিক্ষার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলি অতিক্রম করা সম্ভব নয়। 2000 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নিম্নরূপ লক্ষ্যগুলি অর্জনের কথা বলা হয়েছিল—
🌹 6-14 বছর বয়স্কদের নিরক্ষরতা দূরীকরণ, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, স্কুলছুট-এর সংখ্যা হ্রাস, অপচয় ও অনুন্নয়ন রোধ।
🌹 প্রতিটি নারীর বয়সোচিত উপযুক্ত, উন্নত মানের শিক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে, যাতে তারা ছেলেদের সঙ্গে তুলনামূলক সাফল্য লাভ করতে পারে
"মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভ ও নিয়োগের সুবিধার জন্য বৃত্তিশিক্ষার বায়সুযোগ প্রসারিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
🌹 নারীশিক্ষাকে লিঙ্গগত বৈষম্য দূরীকরণের অস্ত্রস্বরূপ ব্যবহার করার জন্য শিক্ষা গ্রহণে বাধা অপসারণে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। প্রথাগত পাঠ্যপুস্তক শিক্ষাপদ্ধতির মধ্যে যে লিঙ্গগত বৈষম্য নির্দেশিত হয় তা দুর করতে হবে।
🌹প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার মাধ্যমে ও আংশিক সময়ের পাঠক্রম প্রয়োগের মাধ্যমে তাত্ত্বিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
🌹 প্রতিটি পেশাগত শিক্ষার স্নাতক স্তরে শিক্ষার সুযোগ অধিক মাত্রায় প্রসারিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
🌹শিক্ষার প্রতিটি স্তরে অর্থাৎ আঞ্চলিক, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে অধিক সংখ্যক মেয়েদের অংশগ্রহণ ও যুক্তকরণের মাধ্যমে এক নতুন দায়িত্ববোধ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
🌹 জাতীয় শিক্ষানীতি, প্রয়োগ কার্যক্রম (POA), জাতীয় সাক্ষরতা মিশন প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীশিক্ষার প্রসারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে।
ভারতে স্বাধীনতার পর থেকেই নারীশিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কেবলমাত্র সংবিধান স্বীকৃত সমানাধিকারের জন্যই নয়, বা শুধুমাত্র বিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্তিকরণই নারীশিক্ষা প্রসারের শেষ কথা নয়। আন্তর্জাতিক স্তরে নারীর ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়াটি যত গুরুত্ব লাভ করেছে, নারীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, বৃত্তিশিক্ষা, অপ্রথাগত বা মুক্তশিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষা ও সাক্ষরতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিবার কল্যাণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য সচেতনতা ইত্যাদি। সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বেসরকারি উদ্যোগ।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2 , BA 6th Semester ( Education General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education Suggestions
No comments