বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-4] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্ন- নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। Questions:- Discuss the role of Iswar Chandra Vidyasagar in the field of women's education. || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
BA General Education Suggestions || বি.এ. শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper || 6th Semester Suggestions CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-4] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2
প্রশ্ন- নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।
Questions:- Discuss the role of Iswar Chandra Vidyasagar in the field of women's education. || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
Questions:- Discuss the role of Iswar Chandra Vidyasagar in the field of women's education. || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
============================
নারী শিক্ষা ( Woman Education )
===========================
B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ )
প্রশ্ন- নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।
Questions:- Discuss the role of Iswar Chandra Vidyasagar in the field of women's education.
উত্তরঃ
নারী শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগর :
বিদ্যাসাগর বিশ্বাস করেছিলেন যে, শুধুমাত্র ছেলেদের শিক্ষা দেওয়া হলে সমাজের কোনোদিনও পরিবর্তন ঘটবে না। ছেলেদের শিক্ষা দেওয়ার সাথে সাথে নারীদেরও শিক্ষা দেওয়া হলে সমাজের যত কুসংস্কার, গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা আছে এগুলি সব দুর হয়ে যাবে। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সমাজের কুসংস্কার দূর করে নারীদের শিক্ষাবিস্তারে সমাজকে বিশেষ উৎসাহিত করেছেন। তিনি সমাজকে বুঝিয়েছিলেন যে, পরিবারের নারীরা যদি শিক্ষিত হয়, তাহলে তারা সন্তান-সন্ততিদেরও শিক্ষা দিতে পারবেন। নারীশিক্ষার প্রসারে তাঁর অন্যান্য অবদান গুলি উল্লেখ করা হল –
:🌸বেথুন স্কুলের প্রতিষ্ঠা 🌸:
১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দে বেথুন সাহেব যখন ভারতের ছোটো লাট হয়ে আসেন তখন থেকেই বিদ্যাসাগর তাঁর সহকর্মী হিসাবে কাজ করে আসছেন। বেথুন সাহেব ও নারীশিক্ষার উদ্যোগের ব্যাপারে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে বেথুন সাহেবও নারীশিক্ষা বিস্তারের প্রসারে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। বেথুন সাহেবের সহযোগিতায় কলকাতায় একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ‘কলকাতা বালিকা বিদ্যালয়' নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। পরবর্তীকালে বেথুন সাহেবের নাম অনুসারে এই বালিকা বিদ্যালয়টি 'বেথুন বালিকা বিদ্যালয়' নামে পরিচিত হয়।
:🌸 অন্যান্য বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন 🌸:
বিদ্যাসাগরের সঙ্গে বেথুন সাহেব কলকাতার বাইরে বিভিন্ন গ্রামগুলিতেও পরিদর্শন করেন। গ্রামগুলিতে প্রস্তাব দেন, যে গ্রামেই বালিকা বিদ্যালয় তৈরির জন্য জমি দেওয়া হবে সেই গ্রামেই বালিকা বিদ্যালয় স্থাপিত হবে। এইভাবে তাঁরা মোট ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এই ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয়ে মোট ছাত্রীর | সংখ্যা ৩৪০০ জন। এই বালিকা বিদ্যালয় গুলি চালাতে বিদ্যাসাগর অনেক ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
: 🌸নারী শিক্ষা ভান্ডার গঠন🌸 :
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ভাবেন যে, তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় গুলি সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবেন। কিন্তু সরকার তাঁকে সরাসরি জানিয়ে দেয় যে, বিদ্যাসাগর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় গুলিতে সরকার কোনো আর্থিক সাহায্য দিতে পারবেন না। বিদ্যালয় গুলির আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি নিজেই লেখালেখি শুরু করে দিলেন। কিন্তু তবুও বিদ্যালয় গুলির আর্থিক সমস্যার সমাধান হলো না। তাই তিনি নারী শিক্ষা ভান্ডার' নামে একটি অর্থভান্ডার গঠন করলেন। এই অর্থভান্ডারটি গঠন করার পর থেকেই বালিকা বিদ্যালয় গুলির আর্থিক সমস্যা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।
: 🌸নমাল স্কুল স্থাপন 🌸 :
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজের নারীদের জন্য ভাবনা ও নারীশিক্ষার প্রসারে এত উৎসাহ দেখে সবাই বিস্মিত হয়ে যায়। তিনি বালিকাদের শিক্ষার জন্য কলকাতায় ‘নর্মাল স্কুল' স্থাপন করেন। নারী শিক্ষার বিস্তারের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের মতো মহান ব্যক্তি বারে বারে এগিয়ে এসেছেন। তিনি নারীশিক্ষার বিস্তার ছাড়াও নারীদের | সমাজ মূলক যে কোনো কাজে অধীর আগ্রহী ছিলেন।
: 🌸বিভিন্ন পল্লী অঞ্চলে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন🌸 :
তিনি শুধুমাত্র বাংলার প্রাণকেন্দ্র কলকাতাতেই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাননি। তিনি ভারতের পল্লী অঞ্চল গুলিতেও বহুবার ঘুরেছেন নারীদের শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে। তিনি অনেকগুলি পল্লী অঞ্চলেও বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জৌ গ্রামে স্বয়ং বিদ্যাসাগর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।
: 🌸উপসংহার 🌸:
বিদ্যাসাগর সমাজকে বুঝিয়েছেন যে, সমাজের অর্ধাঙ্গ নারীকে বাদ দিয়ে শিক্ষা বিস্তার করলেল সেই শিক্ষা কখনোই পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারবে না। তাই বলেছেন সমাজের উন্নতি করতে চাইলে নারীদের শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নারীশিক্ষা বিস্তারে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারতের ইতিহাসে নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য বিদ্যাসাগর যা যা করেছেন তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত এবং চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
“তাই বলা যায়, “Vidyasagar is the pathfinder of women's education in India."
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2 , BA 6th Semester ( Education General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education Suggestions
No comments