বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-5] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2 প্রশ্ন- নারী শিক্ষার প্রসারে দুর্গাবাই দেশমুখ কমিটি র ভূমিকা আলোচনা কর। Questions:- Discuss the role of Durgabai Deshmukh Committee in the field of women's education. || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
BA General Education Suggestions || বি.এ. শিক্ষা বিজ্ঞান সাজেশন || Education DSE-B Paper || 6th Semester Suggestions CBCS System || All University Suggestions || Education Syllabus
বি.এ . শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন-[Part-5] || নারী শিক্ষা ( Woman Education ) || Paper - DSE-B2
প্রশ্ন- নারী শিক্ষার প্রসারে দুর্গাবাই দেশমুখ কমিটি র ভূমিকা আলোচনা কর। Questions:- Discuss the role of Durgabai Deshmukh Committee in the field of women's education. || Education Suggestions For 6th Semester (DSE-B2)
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
============================
নারী শিক্ষা ( Woman Education )
===========================
B.A. Education Suggestions with Answer ( শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন উত্তর সহ )
প্রশ্ন- নারী শিক্ষার প্রসারে দুর্গাবাই দেশমুখ কমিটি র ভূমিকা আলোচনা কর।
Questions:- Discuss the role of Durgabai Deshmukh Committee in the field of women's education.
উত্তরঃ
নারীশিক্ষা এবং দুর্গারাই দেশমুখ কমিটি
(Women Education and Durgabai Deshmukh Committee)" 1957 খ্রিস্টাব্দের প্ল্যানিং কমিশনের এডুকেশন প্যানেল-এর একটি মিটিং-এ নারীশিক্ষা / সম্বন্ধে আলোকপাত করার জন্য একটি কমিটি নিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয় এবং এই প্রস্তাবমতো ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক এই কমিটি স্থাপন করে। কমিটির সভাপতি। নিযুক্ত হন শ্রীমতি দুর্গাবাই দেশমুখ। s
কমিটির উদ্দেশ্য (Objectives of the Committee). কমিটির উদ্দেশ্যগুলি ছিল—
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে নারীশিক্ষার প্রসারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
মহিলা শিক্ষার সর্বস্তরে যে অপচয় আছে তার অনুসন্ধান করা।
মহিলারা বিশেষ করে নিরক্ষর মহিলারা কীভাবে শিক্ষার সাহায্যে নিজেদের রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারে ও সামাজিক অগ্রগতিতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই সংক্রান্ত ব্যবস্থা করা।
যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নারীশিক্ষায় নিযুক্ত আছে তাদের শিক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জাম ঠিকমতো আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা এবং প্রয়োজনমতো এ ব্যাপারে তা সাহায্য করা।
• কীভাবে মহিলাদের বৃত্তি শিক্ষায় উৎসাহিত করা যায় সে সম্বন্ধে অনুসন্ধান করা।
কমিটির বিভিন্ন সুপারিশ (Various Recommendations of the Committee) এই কমিটি প্রথমে কয়েকটি বিশেষ সুপারিশ করে, যেগুলিকে মহিলা শিক্ষার প্রসারের জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়া হয়। এগুলি হল—
🔵➤নারী ও পুরুষের শিক্ষার মানের যে পার্থক্য আছে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর করা । এবং প্রয়োজনমতো এ এই ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দ করা দরকার। এট
🔵➤ নারীশিক্ষার অগ্রগতির জন্য বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় শাসক গোষ্ঠী, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, শিক্ষক সংসদ ইত্যাদি সংস্থার সাহায্য নেওয়া দরকার।
🔵➤ প্রতিটি রাজ্য নারীশিক্ষার বিস্তারের জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।
🔵➤ নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারীশিক্ষা পর্ষদ গঠন করা (ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন অফ্ গার্লস অ্যান্ড উইমেন) রাজ্য সরকারগুলিও এ ব্যাপারে রাজ্য স্তরে কাউন্সিল গঠন করবে।
🔵➤ কী ধরনের মহিলা কর্মীর প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করার জন্য প্ল্যানিং একটি পূর্ণসময়ের বিভাগ তৈরি করতে হবে।
কমিটি মেয়েদের শিক্ষার প্রসারের জন্য আরও কয়েকটি সুপারিশ আলোচনা করা হল ছিল, যেগুলি নীচে আলোচনা করা হল -
🔵 প্রাথমিক শিক্ষা (6-11 বছর) প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারের জন্য সরকার মেয়েদের বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেবেন যাতে তারা শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহী হয়। বিশেষ করে গ্রামে যেখানে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার কম সেখানে বৃত্তি বা পুরস্কারের ব্যবস্থা করা দরকার।
🔵 মাধ্যমিক শিক্ষা (11-17 বছর)ঃ শিক্ষার এই স্তরে যাতে আরও সহশিক্ষা দেওয়া হয় সেই ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপন। করতে হবে। গ্রামে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা বিদ্যালয় থাকাই বাঞ্ছনীয়, কিন্তু অভিভাবকরা যদি তাদের কন্যাসন্তানকে ছেলেদের বিদ্যালয়ে ভরতি করতে • চায় তাহলে ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা তাদের দেওয়া হবে। যেসব অভিভাবকের বেতন ন্যূনতম সীমার নীচে তাদের মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক হবে। যতদূর সম্ভব মিডল স্কুল ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার জন্য মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে।
🔵 পাঠক্রম সংক্রান্ত সুপারিশ—প্রাথমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের পাঠক্রম একই হবে যদিও সংগীত, কলা ও সেলাই শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। মিডল স্তরে অর্থাৎ নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের পাঠক্রম পৃথক করার প্রয়োজন আছে।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে কমিটি মেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে অপচয় ও অনুন্নয়ন (Wastage and Stagnation)-এর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এর কারণ হিসেবে | পিতামাতার উদাসীনতা এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে দায়ী করা যায়। কমিটি এ ব্যাপারে নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি করেছিল—
🌸 প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ভরতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং 60 দিনের পর আর ভরতি হবে না।
🌸 শিক্ষিকারা বিশেষ করে দেখবেন ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে এবং ভরতির বয়স 6+ করা দরকার।
🌸 অনুন্নয়ন রোধ করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা নিতে হবে, শিক্ষা পদ্ধতির উন্নতি করতে হবে এবং গরিব মেয়েদের জন্য বই ও অন্যান্য উপকরণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
নারীশিক্ষা এবং হংসরাজ মেহতা কমিটি (Women Education and Hansraj Mehta Committee)
1961 খ্রিস্টাব্দে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর উইমেনস এডুকেশন-এর নির্দেশে ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের পরামর্শক্রমে হংস মেহতার সভাপতিত্বে এই কমিটি গঠিত হয়।
কমিটির উদ্দেশ্য (Objectives of the Committee) কমিটি যে উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল তা হল—
⏺️ মহিলাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক চাহিদা পূরণে বর্তমান পাঠক্রম কতখানি কার্যকরী এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ব্যাপারে পরিবর্তন আনা।
⏺️ গার্হস্থ্যবিদ্যা ও কলাবিদ্যা ছাড়াও মোদের শিক্ষার পাঠক্রমে বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরে অন্য বৃত্তিশিক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা বিবেচনা করা।
⏺️ কলা শিক্ষা ও গার্হস্থ্য শিক্ষার পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করে এগুলি বৃত্তিশিক্ষার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা তা দেখা।
⏺️ মেয়েদের জন্য পলিটেকনিক বা প্রযুক্তিবিদ্যার শিক্ষালয়গুলিতে কী ধরনের বৃত্তিশিক্ষা দেওয়া যেতে পারে মহিলাদের সুবিধার্থে তা পর্যালোচনা করা।
নারী-পুরুষের সামাজিক সমতা লিঙ্গ বৈষম্যের প্রসঙ্গে কমিটি মন্তব্য করেন যে নারী-পুরুষের মধ্যে যে জৈবিক বা লৈঙ্গিক প্রভেদ আছে তার প্রভাব কখনোই বৌদ্ধিক ক্ষমতার উপর পড়তে পারে না। এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উল্লেখ করে বলা হয় যে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে যে মনোবৈজ্ঞানিক বিশেষত্ব বা সংলক্ষণ (Trait) দেখা যায় তার কারণ হল সামাজিক অনুবর্তন (Social Conditioning)। অতএব কিছু বিষয় ছেলেদের পড়ার জন্য এবং কিছু মেয়েদের পক্ষে উপযোগী এ ধারণা ভুল। অতএব নতুন সমাজব্যবস্থায় নারী-পুরুষের সত্যিকারের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কমিটি নিম্নলিখিত সুপারিশগুলি করে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে যে শিক্ষার বৈষম্য আছে তা অবিলম্বে দূর করা।
নারী বা -পুরুষের প্রভেদ সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা জনগণের মধ্যে থেকে দূর করার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ শিক্ষা ছেলেমেয়েদের জন্য একই রকম হবে এবং এ ব্যাপারে কোনো বিভেদ রাখা চলবে না। এমনকি সাধারণ পাঠক্রমের মধ্যেই গৃহশিক্ষার বিষয়টি সবার জন্যই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
বিভিন্ন সুপারিশ (Various Recommendation)
🌸সহশিক্ষা (Coeducation)🌸
মহিলা শিক্ষক নিয়োগ করার ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পুরুষ প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহিলা শিক্ষক ও মহিলাপ্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
সহশিক্ষা সম্বন্ধে কমিটি মন্তব্য করে যে প্রাথমিক স্তরে সহশিক্ষার ব্যবস্থা থাকা উচিত। মাধ্যমিক ও কলেজ স্তরে কর্তৃপক্ষ অথবা অভিভাবকদের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে সহশিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করার অথবা পৃথক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেয়েদের পড়ানো।
🌸পাঠক্রম পৃথকীকরণ🌸
এই প্রসঙ্গে কমিটি মন্তব্য করে যে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যক্তিগত ক্ষমতা, আগ্রহ ও মনোভাবের উপর প্রতিষ্ঠিত হবে এ ব্যাপারে লিঙ্গ বৈষম্যের কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়। আধুনিক সমাজে পাঠক্রমের পৃথকীকরণ কখনোই নারী-পুরুষের বিভেদের উপর ভিত্তি করে হতে পারে না। তবে এই নতুন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে বিশেষ সময় লাগবে তাই কিছু কিছু মনোবৈজ্ঞানিক প্রভেদ মেনে নিলেও সর্বদাই চেষ্টা করতে হবে নারী-পুরুষের সমানাধিকার সংক্রান্ত মূল্যবোধ ও সঠিক মনোভাব যেন গঠিত হয়।
🌸প্রাথমিক স্তরের পাঠক্রম🌸
এই স্তরে ছেলে ও মেয়েদের পাঠক্রমে অবশ্যই কোনো প্রভেদ থাকবে না। ‘ছেলেদের পড়ার বিষয়’ বা ‘মেয়েদের বিষয়' এই ধরনের ধারণাগুলি সামাজিক অনুবর্তনের দ্বারা গঠিত হয়। অতএব কমিটি প্রস্তাব রাখে যে এই সময় ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই সহজ সেলাই, হাতের কাজ, রন্ধন, সংগীত, নৃত্য ইত্যাদি শেখানো উচিত যাতে নারী-পুরুষের প্রভেদ সংক্রান্ত ধারণাগুলি সহজে গড়ে উঠতে না পারে। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে মহিলা শিক্ষিকা আরও বেশি সংখ্যায় নিয়োগ করতে হবে।
🌸নিম্ন মাধ্যমিক অর্থাৎ মিডল স্কুল স্তর🌸
মিডল স্কুলের পরবর্তী পর্যায়ে বৃত্তিশিক্ষার শুরু হওয়া উচিত কারণ 11/12 বছরে শিক্ষার্থীদের ততখানি পরিণত মন হয় না যাতে তারা ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করতে পারে। প্রত্যেক মিডল স্কুলে এক বা একাধিক কারিগরি শিল্প শেখানো উচিত, যা ছেলে ও মেয়ে উভয়েই শিখবে।
14 বছর পর্যন্ত সর্বজনীন যে শিক্ষা দেওয়া হবে তা ছেলে ও মেয়েদের একই ধরনের হওয়া উচিত এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে পাঠক্রমে কোনো পার্থক্য করা হবে না এবং সাধারণ পাঠক্রমে সবার জন্য গৃহবিজ্ঞানও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
===========================
আরো দেখোঃ
Q1-
Q2-
===========================
তথ্য সংগ্রহঃ BA-6th-Semester-DSE-B-2-Education-Suggestions
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (VI) Education General Paper DSE-B2 , BA 6th Semester ( Education General ) Suggestions . BA Education suggestion , CBCS Education Suggestions
No comments