Semester 2 History Suggestions -Part-12 -Answer প্রশ্ন -কার রচিত কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে কৈবর্ত-বিদ্রোহের কাহিনী জানা যায়? কৈবর্ত-বিদ্রোহের স্বরূপ সম্বন্ধে যা জান লেখ। প্রশ্নঃ পালযুগে বাংলার শিল্প ও ধর্ম সম্পর্কে কি জানো? Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestions( BA General ) with Answer
Semester 2 History Suggestions -Part-12 -Answer
প্রশ্ন -কার রচিত কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে কৈবর্ত-বিদ্রোহের কাহিনী জানা যায়? কৈবর্ত-বিদ্রোহের স্বরূপ সম্বন্ধে যা জান লেখ।
প্রশ্নঃ পালযুগে বাংলার শিল্প ও ধর্ম সম্পর্কে কি জানো?
Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
2nd Semester History Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
History ( 2nd Semester )
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
কার রচিত কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে কৈবর্ত-বিদ্রোহের কাহিনী জানা যায়? কৈবর্ত-বিদ্রোহের স্বরূপ সম্বন্ধে যা জান লেখ।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তরঃ কৈবর্ত বিদ্রোহের বিবরণ সন্ধ্যাকর নন্দীর রচিত 'রামচরিত' গ্রন্থে পাওয়া যায়।
পালরাজ দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে (১০৭-৭৫ খ্রিঃ) জনৈক দিব্য বা দিবোক-এর নেতৃত্বে বরেন্দ্র অঞ্চলে এক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। এই বিদ্রোহ ‘কৈবর্ত-বিদ্রোহ' নামে খ্যাত।
> উপাদান : সন্ধ্যাকর নন্দী বিরচিত ‘রামচরিত' গ্রন্থে এই বিদ্রোহের বিস্তারিত বিবরণ আছে। এছাড়া বৈদ্যদেবের ' ‘কামাউলী পট্ট', মদনপালের 'মানহালি দানপত্র এবং ভোজবর্মনের ‘বেলবা দানপত্রে'-ও এই ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়।
সামাজিক বিদ্রোহ : এই বিদ্রোহের কারণ সম্বন্ধে একাধিক মত প্রচলিত আছে। ড. এস.পি. লাহিড়ীর মতে, চাষী-কৈবর্ত-শ্রেণিভুক্ত যশোদাস নামক জনৈক ব্যক্তি রাজ্যপালের মন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন। ফলে কৈবর্তদের রাজনৈতিক প্রাধান্য সূচিত হয়েছিল। এরই পরিণতিতে বিদ্রোহের মাধ্যমে কৈবর্তরা রাজনৈতিক কর্তৃত্ব স্থাপনে সচেষ্ট হয়েছিল। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, কৈবর্তরা রাজনৈতিক কর্তৃত্ব স্থাপনে সচেষ্ট হয়েছিল। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, কৈবর্তরা ছিল বরেন্দ্রের শক্তিশালী জাতি। দ্বিতীয় মহীপালের অত্যাচারে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা দিব্যর নেতৃত্বে বিদ্রোহ করেছিল। ড. বি. সেন এই বিদ্রোহের সামাজিক ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তাঁর মতে, বৌদ্ধধর্মে মৎস্য হত্যা নিষিদ্ধ ছিল। ফলে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী পাল রাজাদের আমলে কৈবর্তদের সামাজিক অসুবিধা হচ্ছিল। দ্বিতীয় মহীপাল কঠোরভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে চাইলে কৈবর্তরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। তবে অনেকে এই তত্ত্ব অস্বীকার করেছেন। এঁদের মতে, পালরাজারা ছিলেন ধর্মবিষয়ে উদার। তাই ধর্মীয় অত্যাচারের সম্ভাবনা ছিল না।
> অপবিত্র বিদ্রোহ : সন্ধ্যাকর নন্দী তাঁর 'রামচরিত' গ্রন্থে এই বিদ্রোহকে ‘অনিকম্ ধর্মবিপ্লবম্ বলে বর্ণনা করেছেন। ‘অনিকম্’ অর্থে অপবিত্র। তিনি আরও বলেছেন, রাজবাহিনী ‘মিলিতাস্তক সামন্তচক্রের' সম্মুখীন হয়েছিল। দিব্য ছিলেন রাজার পক্ষে। সম্ভবত মিত্রের ছদ্মবেশে রাজবাহিনীর সাথে ছিলেন দিব্য। তাঁর আসল লক্ষ্য ছিল রাজসিংহাসন দখল করা। অর্থাৎ সামন্তদের সাথে রাজার সংঘর্ষ দ্বারা রাজা ও সামন্ত উভয় পক্ষের শক্তি ক্ষয় হবে। সেই সুযোগে রাজক্ষমতা দখল করবেন দিব্য। এবং বাস্তবে দেখা গেছে, দ্বিতীয় মহীপালের নিহত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বারেন্দ্রকে নিজ অধীনে এনেছিলেন। এই অর্থে তিনি অপবিত্র বা অন্যায় আচরণ করেছিলেন।
> রাজনৈতিক বিদ্রোহ : ড. উপেন্দ্রনাথ ঘোষাল, যদুনাথ সরকার প্রমুখ এই বিদ্রোহের গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এঁদের মতে, কৈবর্ত-শ্রেণিভুক্ত দিব্য নেতৃত্ব দিলেও এটি কেবলমাত্র কৈবর্তদের বিদ্রোহ ছিল না। বাংলার কেন্দ্রীয় শক্তির দুর্বলতা এবং রাজপরিবারের অন্তর্বিরোধের সুযোগে উত্তরবঙ্গের সামন্তরাজাগণ একত্রে এই বিদ্রোহে সামিল হয়েছিলেন। দক্ষতা ও যোগ্যতার দ্বারা দিব্য এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিল। তবে এজন্য দ্বিতীয় মহীপাল অত্যাচারী ছিলেন, এ তত্ত্ব ড. মজুমদার অস্বীকার করেন। ব্যক্তিগত উচ্চাশা এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিই বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছিল।
এই বিদ্রোহের ফলও সুদূরপ্রসারী ছিল না। সামন্তরা মিলিতভাবে বিদ্রোহ করলেও, খুব শীঘ্র তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। তাই ক্ষমতা পুনর্দখল করতে রামপালের অসুবিধা হয়নি।
=======@@@@@======
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ পালযুগে বাংলার শিল্প ও ধর্ম সম্পর্কে কি জানো?
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তর - পাল আমলে বাংলার স্থাপত্য শিল্পেও নবযুগ সূচিত হয়েছিল ; স্বতন্ত্র নির্মাণ-শৈলীর জন্য পরবর্তী কয়েক শতক বাংলার শিল্প ‘পালযুগের শিল্প' নামে অভিহিত হত।
→ স্থাপত্য : পালযুগে স্থাপত্য, শিল্প-নিদর্শনের অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। তবুও ধ্বংসস্তূপ থেকে যে নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে, তা আমাদের বিস্মিত করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ও তিব্বতের বহু বিহার পালযুগে নির্মিত ‘সোমপুর’ বিহার ও ‘উদত্তপুর’ বিহারের অনুকরণে নির্মিত হয়েছিল বলে পণ্ডিতদের ধারণা। ‘সোমপুর বিহারটি ছিল সম্ভবত পাঁচতল ও ষোলো কোণবিশিষ্ট। চারদিকে ছিল চারটি সিংহদরজা ও চারটি গর্ভগৃহ। এছাড়া, পাহাড়পুরের বিহারটিও ছিল পালযুগের অনন্য কীর্তি। ড. নীহাররঞ্জন রায়ের মতে, এটি ছিল প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যশিল্পের বিস্ময়।
> ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্প : পালযুগের ভাস্কর্যের প্রধান ক্ষেত্র ছিল সাধারণ মানুষের জীবনধারা ; দেব-দেবীর নয়। পোড়ামাটি ও কালোপাথরের ওপর নির্মিত এইসব মূর্তি ছিল স্বাভাবিক ও সজীব। এছাড়া, ব্রোঞ্জ ও পাথর খোদাই করেও ভাস্কর্য নির্মিত হত। চিত্রশিল্পেও পালযুগ অগ্রণী ছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহাযান-বজ্রযান-হীনযান প্রভৃতি বৌদ্ধধর্মকে কেন্দ্র করে চিত্রগুলি রচিত হয়েছিল। চিত্রগুলিতে কল্পনার বিস্তার, রঙের বিন্যাস, রেখার প্রয়োগ সবই ছিল দীর্ঘ ও প্রশস্ত। এই চিত্রগুলির রচয়িতাগণ নিঃসন্দেহে প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ছিলেন। পালযুগের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্পী ছিলেন বীতপাল ও ধীমান।
> ধর্ম : পালযুগে ধর্মের ক্ষেত্রেও পুনরুজ্জীবনের আভাস পাওয়া যায়। পালরাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধধর্মের পুনরুত্থান ঘটেছিল। এই সময় নির্মিত হয়েছিল বহু বৌদ্ধমঠ ও বিহার। বৌদ্ধ আচার্য অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান) পাল রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে গমন করেছিলেন, তবে কোনরূপ ধর্মীয় গোঁড়ামি পালরাজাদের ছিল না।
এইভাবে রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে পালযুগে বাংলার অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছিল। তাই ড. স্মিথ যথার্থই বলেছেন, “ভারতের রাজবংশগুলির ইতিহাসে বাংলার পালবংশ বিশেষভাবে দাবি রাখে।”
=======@@@@@======
--- আরো দেখো ---
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions .
No comments