Semester 2 History Suggestions -Part-13 -Answer প্রশ্ন -কনৌজের অধিকারকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রামের বিবরণ দাও। । Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestions( BA General ) with Answer
Semester 2 History Suggestions -Part-13 -Answer
প্রশ্ন -কনৌজের অধিকারকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রামের বিবরণ দাও। ।
Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
2nd Semester History Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
History ( 2nd Semester )
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ কনৌজের অধিকারকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রামের বিবরণ দাও।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তরঃ প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে অন্যতম নগরী কনৌজের উপর অধিকার স্থাপন করার প্রশ্নকে নিয়ে তিনটি প্রখ্যাত রাজবংশ—প্রতিহার, রাষ্ট্রকূট ও পালবংশীয় রাজারা প্রায় দু'শত বছর ধরে অবিরাম সংঘর্ষে নিযুক্ত থাকেন।
> ভূমিকা : প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বর্তমান উত্তর প্রদেশের ফাকদাবাদ জেলায় অবস্থিত ‘মহোদয়’বা কনৌজ একদা ‘সাম্রাজ্যবাদের আসন ও প্রতীক'-এ পরিণত হয়েছিল। কনৌজের রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে শুরু করে হর্ষবর্ধন কর্তৃক সেখানে রাজধানী স্থাপনের পর থেকে।
পরে মৌখরীবংশীয় জনৈক যশোবর্মনের আমলে গুরুত্ব ও মর্যাদা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পায়। অষ্টম ও নবম শতকে কনৌজের রাজনৈতিক গুরুত্ব অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।
> কনৌজের গুরুত্ব : কনৌজের গুরুত্ব বৃদ্ধির পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ বিদ্যমান ছিল। মৌর্য বা গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পরে ‘সাম্রাজ্যের সংজ্ঞা কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। সমগ্র ভারতবর্ষে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব স্থাপনের পরিবর্তে শুধুমাত্র উত্তর-ভারতে বা শুধুমাত্র দক্ষিণ-ভারতে একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপনকেই তৎকালীন নরপতিরা লক্ষ্য হিসেবে স্থির করে নিয়েছিলেন। হর্ষবর্ধনের পরবর্তীকালে উত্তর-ভারতের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব স্থাপনই উচ্চাকাঙ্ক্ষী নরপতিদের লক্ষ্যে পর্যবসিত হয়েছিল এবং উত্তর ভারতের কর্তৃত্বের প্রশ্নে কনৌজের ওপর অধিকার স্থাপন করা ছিল মর্যাদার প্রতীক। একইভাবে কনৌজের অর্থনৈতিক গুরুত্বও ভারতীয় রাজাদের কনৌজ দখলে প্ররোচিত করেছিল। কনৌজ যার দখলে থাকবে তার পক্ষে গাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলের উর্বর ভূমির সম্পদ আহরণ করা সহজসাধ্য হত। এইসব কারণে অষ্টম শতকে কনৌজ দখলের প্রশ্নে এক দীর্ঘস্থায়ী ত্রি-শক্তি সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। এই ত্রিশক্তি ছিল উত্তর-ভারতের পালবংশ ও গুর্জর প্রতিহার বংশ এবং দক্ষিণ-ভারতের রাষ্ট্রকূট বংশ। এই ত্রি-শক্তি সংগ্রাম প্রায় দুইশত বৎসর স্থায়ী হয়েছিল।
অষ্টম শতকের শেষ পাদে পাল, প্রতিহার ও রাষ্ট্রকূট বংশ প্রতিপত্তিশালী হয়ে ওঠে এবং স্ব স্ব ক্ষমতা বিস্তারের উদ্যোগ নিলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। কনৌজের অধিকারকে কেন্দ্র করে উত্তরের পাল ও প্রতিহার শক্তির সংঘর্ষ ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু দক্ষিণের রাষ্ট্রকূট শক্তি এই দ্বন্দ্বে যোগদান করে এর গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। সম্ভবত রাষ্ট্রকূটগণ উত্তর ভারতে পাল বা প্রতিহার কোন একটি শক্তিকে একচ্ছত্র হতে দিতে চায়নি। কারণ সেক্ষেত্রে ঐ শক্তি দ্বারা দক্ষিণ-ভারতে রাজ্য বিস্তারের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারত। তাই রাষ্ট্রকূটরা প্রতিরোধমূলক পন্থা হিসেবে কনৌজের দিকে হাত বাড়িয়েছিল।
> প্রথম সংঘর্ষ : দীর্ঘস্থায়ী ত্রি-শক্তি সংঘর্ষের ক্রমপরম্পরা নির্ণয় করা কঠিন। সম্ভবত কনৌজকে কেন্দ্র করে পাল ও প্রতিহার শক্তির মধ্যে প্রথম যুদ্ধ হয়। বাংলাদেশের পালরাজা ধর্মপাল নিজ ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত করার পর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। একই সময়ে প্রতিহার-রাজ বংশের মধ্য ভারতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। ফলে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। গাঙ্গেয় দোয়াব অঞ্চলের যুদ্ধে ধর্মপাল প্রতিহার-রাজ বংসের নিকট পরাজিত হন। প্রতিহাররাজের জয়লাভ ও ক্ষমতাবৃদ্ধিতে শঙ্কিত হয়ে রাষ্ট্রকূটরাজ ধ্রুব উত্তর-ভারত অভিযান করেন। বৎস পরাজিত হন ধ্রুবর হাতে। অতঃপর বৎসরাজ রাজপুতনার মরু অঞ্চলে পালিয়ে যান। রাষ্ট্রকুটরাজ ধ্রুব দোয়াব পর্যন্ত অগ্রসর হন এবং ধর্মপালকেও পরাজিত করেন। এই যুদ্ধে বস্তুত লাভবান হন ধর্মপাল। কারণ ধ্রুবর হাতে পরাজিত হবার ফলে বৎসরাজ কনৌজ ছেড়ে চলে যান। আবার ধ্রুব কনৌজ দখল করেই দক্ষিণ-ভারতে ফিরে যান। এই সুযোগ নেন ধর্মপাল। তিনি খুব সহজে কনৌজ দখল করেই দক্ষিণ ভারতে ফিরে যান। ধর্মপাল কনৌজের সিংহাসন থেকে ইন্দ্রায়ুধকে বিতাড়িত করে নিজ অনুগত ব্যক্তি চক্রায়ুধকে বসান। ‘খালিমপুর লিপি' থেকে ইন্দ্ৰায়ূধকে বিতাড়িত করে নিজ অনুগত ব্যক্তি চক্রায়ুধকে বসান। ‘খালিমপুর লিপি' থেকে জানা যায়, ধর্মপাল কনৌজে এক দরবার আয়োজন করলে উত্তর-ভারতের বহু রাজা উপস্থিত হয়ে তাঁর প্রতি বশ্যতা জ্ঞাপন করেন।
> দ্বিতীয় সংঘর্ষ : তবে ধর্মপাল দীর্ঘকাল কনৌজের ওপর স্ব-অধিকার বজায় রাখতে পারেননি। রাজত্বের শেষদিকে কনৌজকে কেন্দ্র করে পুনরায় ত্রিশক্তি সংঘর্ষের সূচনা হয় এবং এবারেও ধর্মপালের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটে। বৎসরাজের পর দ্বিতীয় নাগভট্টের নেতৃত্বে প্রতিহারগণ পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং কনৌজ অধিকারের জন্য অগ্রসর হয়। নাগভট্ট প্রথমে সিন্ধু, বিদর্ভ, অন্ধ্র প্রভৃতি শক্তির সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন এবং আকস্মিক আক্রমণ করে কনৌজের সিংহাসন থেকে ধর্মপালের প্রতিনিধি চক্রাধকে বিতাড়িত করেন। এই অবস্থায় ধর্মপাল সম্ভবত রাষ্ট্রকূটরাজ তৃতীয় গোবিন্দের সাহায্যপ্রার্থী হন। কারণ রাষ্ট্রকুট-রাজকন্যা রন্নাদেবী ছিলেন ধর্মপালের পত্নী। অবশ্য রাষ্ট্রকূটদের সাহায্য আসতে বিলম্ব হওয়ায় ধর্মপাল একাই কনৌজ পুনরুদ্ধারের জন্য এগিয়ে যান। মুঙ্গেরে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়। কিন্তু এবারেও ধর্মপাল নাগভট্টের কাছে পরাজিত হন।
> পরিণতি : তবে দ্বিতীয় নাগভট্ট এই বিজয়কে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেননি। কারণ তাঁর জয়লাভের অব্যবহিত পরেই রাষ্ট্রকুটরাজ তৃতীয় গোবিন্দ উত্তর দিকে অভিযান চালান। তাঁর হাতে প্রতিহাররাজ চূড়ান্তভাবে পরাস্ত হন। ধর্মপাল বিনা যুদ্ধে তৃতীয় গোবিন্দের বশ্যতা স্বীকার করে নেন। এবারেও তৃতীয় গোবিন্দ জয়লাভের পরেই দক্ষিণ ভারতে প্রত্যাবর্তন করে যান। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, এই সুযোগ নেন ধর্মপাল। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কনৌজ তথা উত্তর-ভারতে নিজ প্রতিপত্তি বজায় রাখতে সক্ষম হন।
দীর্ঘস্থায়ী ত্রি-শক্তি সংগ্রামের ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। এর ফলে তিনটি শক্তিরই ক্ষতি হয়েছিল। দীর্ঘকাল সংগ্রামে লিপ্ত থাকার ফলে প্রত্যেকেরই সৈন্য ও অর্থক্ষয় ঘটেছিল। যুদ্ধের বিপুল ব্যয় সামাল দিতে প্রত্যেকেই জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল। তাছাড়া তিনটি শক্তির পারস্পরিক দ্বন্দ্বের সুযোগে সামন্তরাজারা স্বাধীনতাকামী হয়ে উঠেছিল।
=======@@@@@======
--- আরো দেখো ---
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions .
No comments