Semester 2 History Suggestions -Part-10 -Answer প্রশ্নঃ ⇒ শশাঙ্কের নেতৃত্বে গৌড়ের উত্থানের কাহিনী বর্ণনা কর। প্রশ্নঃ প্রয়াগের মেলা সম্পর্কে টিকা লিখ। Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestions( BA General ) with Answer
Semester 2 History Suggestions -Part-10 -Answer
প্রশ্নঃ ⇒ শশাঙ্কের নেতৃত্বে গৌড়ের উত্থানের কাহিনী বর্ণনা কর।
প্রশ্নঃ প্রয়াগের মেলা সম্পর্কে টিকা লিখ।
Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
2nd Semester History Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
History ( 2nd Semester )
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ ⇒ শশাঙ্কের নেতৃত্বে গৌড়ের উত্থানের কাহিনী বর্ণনা কর।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তরঃ
গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পরে গুপ্ত-নামধারী রাজাগণ গৌড়ে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন। উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ নিয়ে গৌড় জনপদ গঠিত ছিল। গুপ্তরাজ বৈন্যগুপ্তের মৃত্যুর পর থেকে কনৌজের মৌখরী রাজগণের সাথে পরবর্তী গুপ্তদের নিরন্তর যুদ্ধ চলে। সেই সঙ্গে চালুক্যবংশীয় রাজারাও বার বার গুপ্তদের আক্রমণ করতে থাকেন। ফলে গুপ্তগণ ক্রমশ হীনবল হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে মহাসেনগুপ্তের জনৈক সামন্তরাজা শশাঙ্ক গৌড় দখল করে এক স্বাধীন গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন (৬০০ খ্রিঃ)।
> উপাদান : শশাঙ্কের রাজত্বকাল সম্বন্ধে জানার জন্য আমাদের মূলত বাণভট্টের ‘হর্ষচরিত' ও হিউয়েন সাং-এর 'বিবরণের' ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু বাণভট্ট ছিলেন শশাঙ্কের বিরোধী এবং হিউয়েন সাং ছিলেন হর্ষের সাহায্যপ্রাপ্ত। এই কারণে দু'জনেরই পক্ষপাতমূলক বিবৃতি দিয়েছেন বলে অনুমিত হয়।
> বংশপরিচয় : শশাঙ্কের বংশপরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। শশাঙ্কের কিছু মুদ্রায় ‘নরেন্দ্রগুপ্ত” বা ‘নরেন্দ্রদিত্য' নাম পাওয়া গিয়েছে। এ থেকে অনেকে মনে করেন, তিনি গুপ্তবংশীয় শাসক ছিলেন। কারও কারও মতে, তিনি ছিলেন গৌড়ের পূর্ববর্তী রাজা জয়নাগের বংশধর। তবে অধিকাংশ পণ্ডিতের মতে, শশাঙ্ক ছিলেন পরবর্তী গুপ্তরাজা মহাসেনগুপ্তের সামন্ত এবং গুপ্তবংশের দুর্বলতার সুযোগে গৌড়ে স্বাধীন রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন।
> রাজ্যবিস্তার : ড. মজুমদারের মতে, “শশাঙ্কই প্রথম বাঙালি রাজা যিনি আর্যাবর্তে সার্বভৌম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।" সামান্য সামন্ত থেকে নিজ বাহুবলে তিনি বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর হয়েছিলেন। তাঁর রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদের ‘কর্ণসুবর্ণ’। সিংহাসনে বসেই তিনি রাজ্যবিস্তারে উদ্যোগী হন। প্রথমে তিনি ‘দণ্ডভুক্তি' (মেদিনীপুর), 'উৎকল' (উড়িষ্যা) ও ‘গঞ্জাম' জেলা জয় করে মহেন্দ্রপর্বত রাজ্যবিস্তার করেন। পশ্চিমে মগধ ও স্বাধীন বঙ্গরাজ্যও নাকি তিনি জয় করেছিলেন।
> প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিজোট : পূর্ব-ভারত বিজয়ের পর তিনি পশ্চিম ভারত বিজয়ে অগ্রসর হন। পশ্চিমে কনৌজ রাজ্যের মৌখরীরা ছিল গৌড়ের শত্রু। থানেশ্বরের রাজা প্রভাকরবর্ধনের কন্যা রাজশ্রীর সঙ্গে কনৌজের মৌখরীরাজ গ্রহবর্মনের বিবাহ হওয়ার ফলে উভয় দেশের মধ্যে মৈত্রী-জোট গড়ে ওঠে। এই অবস্থায় শশাঙ্ক থানেশ্বরের শত্রু মালবরাজ দেবগুপ্তের সাথে পাল্টা মৈত্রী-জোট গঠন করেন।
> কনৌজ আক্রমণ : এইভাবে শক্তি-জোট গঠনের পর শশাঙ্ক ও দেবগুপ্ত কনৌজ আক্রমণ করে গ্রহবর্মনকে হত্যা করেন ও রাজশ্রীকে বন্দী করেন। এই সংবাদ পাওয়ামাত্র থানেশ্বররাজ রাজ্যবর্ধন মালব আক্রমণ করে দেবগুপ্তকে হত্যা করেন। ইতিমধ্যে শশাঙ্ক মালবে উপস্থিত হয়ে রাজ্যবর্ধনকে হত্যা করেন।
শশাঙ্ক রাজ্যবর্ধনকে কিভাবে হত্যা করেছিলেন সে বিষয়ে মতভেদ আছে। হর্ষচরিতের মতে, শশাঙ্ক বিশ্বাসঘাতকতা দ্বারা রাজ্যবর্ধনকে হত্যা করেছিলেন। হর্ষের 'লিপি' থেকে জানা যায়, সত্যরক্ষার্থে শত্রুশিবিরে উপস্থিত হলে গুপ্তঘাতক কর্তৃক নিহত হন। ড. মজুমদারের মতে, শশাঙ্ক ন্যায়যুদ্ধেই রাজ্যবর্ধনকে হত্যা করেন।
> শশাঙ্ক-হর্ষ : রাজ্যবর্ধনের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধন থানেশ্বর ও কনৌজের রাজা হন। তিনি ভ্রাতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে শশাঙ্কের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। ইতিমধ্যে শশাঙ্কের শক্তিবৃদ্ধিতে শঙ্কিত হয়ে কামরূপরাজ ভাস্করবর্ধন হর্ষের সাথে যোগ দেন। হর্ষের সাথে শশাঙ্কের যুদ্ধ আদৌ হয়েছিল কিনা বা হলেও কি ফল হয়েছিল, তা কোন গ্রন্থেই স্পষ্ট লেখা নেই। আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান, শশাঙ্ক জীবিত থাকা পর্যন্ত হর্ষ তাঁর রাজ্য দখল করতে পারেননি। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর (৬৩৭ খ্রিঃ) তাঁর পুত্র মানবদেবকে পরাজিত করে হর্ষ ও ভাস্করবর্মন বাংলাদেশ ভাগ করে নেন।
> কৃতিত্ব : শশাঙ্ক কেবল শক্তিশালী বাংলাই গঠন করেননি। উত্তর-ভারতীয় রাজনীতিতে তাকে মর্যাদার আসনেও প্রতিষ্ঠিত করেন। শশাঙ্কের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরবর্তী কালে পালরাজারা বাংলাকে কেন্দ্র করে সাম্রাজ্যগঠনে প্রয়াসী হয়েছিলেন। তাই ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার লিখেছেন : "He (Sasanka) laid the foundation of the imperial fabrick in the shape of realised hopes and ideals on which the Pales built at a later age.” শশাঙ্কের সময়েই বাংলার প্রশাসনে আমলাতন্ত্রের প্রাধান্য স্বীকৃতি লাভ করে।
> ধর্ম : শশাঙ্ক ছিলেন শিবের উপাসক। ব্রাহ্মণ্যধর্মের প্রভাব-প্রতিপত্তিও তখন অক্ষুণ্ণ ছিল। কিন্তু এ তথ্য ঠিক নয়। কারণ হিউয়েন সাং-ই তৎকালীন গৌড়ে বহু বৌদ্ধমঠ ও বৌদ্ধাশ্রমকে নিশ্চিন্ত জীবনযাপন করতে দেখেছিলেন। এইভাবে শশাঙ্ক বাংলাদেশে এক সার্বভৌম রাজ্য ও সুশাসন প্রবর্তন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
রোটাসগড় লেখতে শশাঙ্ককে 'শ্রীমহাসামন্ত' নামে অভিহিত করা হয়েছে। বাণভট্ট বিদ্বেষবশত শশাঙ্ককে তার হর্ষচরিত গ্রন্থে গৌড়া-ধর্ম ও গৌড়ভুজঙ্গ নামে অভিহিত করেছেন।
=======@@@@@======
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ প্রয়াগের মেলা সম্পর্কে টিকা লিখ।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তর ⇒ কনৌজের পুষ্যভূতি বংশীয় রাজা হর্ষবর্ধন তাঁর দানশীলতার জন্য ইতিহাসে খ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে সুযোদ্ধা, সাম্রাজ্যের সংগঠন, বিদ্যাৎসাহী, সুলেখক, ধর্মসহিষ্ণু এবং একান্তভাবে প্রজাদরদী শাসক। হর্ষ বিশ্বাস করতেন যে, সাম্রাজ্যের বাৎসরিক সঞ্চয়ের অন্ততঃ এক-চতুর্থাংশ সরাসরি জনগণের মধ্যে বণ্টন করা রাজার কর্তব্য। এই কাজের জন্য তিনি প্রয়াগের দানমেলার আয়োজন করতেন।
হর্ষবর্ধন গঙ্গা-যমুনার সংগমস্থল প্রয়াগে একটি দানমেলার আয়োজন করতেন। প্রতি পাঁচবছর অন্তর এই মেলার আয়োজন করা হত। ৬৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ষষ্ঠ দানমেলার আয়োজন করেছিলেন। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ তাঁর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে এই সভায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। তাঁর বিবরণী থেকে প্রয়াগের মেলার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়। প্রয়াগের মেলা ‘মহামোক্ষপরিষদ' নামে পরিচিত ছিল। এখানে পঞ্চ-ভারতের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ সমবেত হতেন। প্রয়াগের ষষ্ঠ সমাবেশে রাজা দ্বিতীয় ধ্রুবসেন, আসামের ভাস্করবর্মন ও অসংখ্য অনুগত সামন্তরাজা সহ অসংখ্য শ্রমণ (ভিক্ষু), নির্গ্রন্থ সন্ন্যাসী, দরিদ্র, অনাথ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
প্রথমদিন বুদ্ধের উপাসনা দিয়ে মেলার সূচনা হত। উপাসনার পর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মুক্তহস্তে দান করা হত। দ্বিতীয় দিনে হত সূর্যের উপাসনা এবং তৃতীয় দিনে শিবের উপাসনা করা হত। উভয় দিনই উপাসনা অস্তে সমবেত দরিদ্র মানুষদের দান দেওয়া হত। চতুর্থ দিনে পুনরায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান দেওয়া হত। পরবর্তী কয়েকদিন ব্রাহ্মণ, জৈন ভিক্ষু ও অন্যান্য ধর্ম সম্প্রদায়ের সন্যাসীদের দান করা হত। পরবর্তী দিনগুলিতে রাজা হর্ষ সমবেত সকল মানুষের হাতে দান তুলে দিতেন। রাজকোষের সকল অর্থ তিনি এখানে অকাতরে বিলিয়ে দিতেন। এইভাবে বিগত পাঁচ বছরে রাজকোষের সকল সঞ্চিত অর্থ নিঃশেষ করে হর্ষবর্ধন নিজের পরিধেয় অলংকারাদি এবং মহার্ঘ পরিধানটিও দান করে দিতেন। ভগিনি রাজ্যশ্রীর দেওয়া একটি সাধারণ বস্ত্র পরে তিনি রাজধানীতে প্রত্যাবর্তন করতেন।
প্রয়াগের মেলা সম্পর্কে আমাদের একমাত্র উপাদান হল হিউয়েন সাঙ এর বিবরণ। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতে, হিউয়েন সাঙ-এর বিবরণে অতিরঞ্জন স্পষ্ট। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি হর্ষবর্ধনের অনুগত্য প্রমাণ করার জন্য অতিশয়োক্তি করেছেন। বাস্তবে হর্ষবর্ধন বৌদ্ধধর্মের জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করেন নি। বিভিন্ন সময়ে তিনি ভিন্ন ভিন্ন ধর্মমতের প্রতি অনুগত্য দেখিয়েছেন। তাছাড়া রাজকোষের সকল অর্থ বিলিয়ে দিয়ে রাজকোষকে শূন্য করে ফেলা অর্থনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচায়ক নয়। রোমিলা থাপার মনে করেন যে, তাঁর এই কাজ সাম্রাজ্যকে দুর্বল করেছিল।
=======@@@@@======
=======@@@@@======
--- আরো দেখো ---
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions .
No comments