Semester 2 History Suggestions -Part-15 -Answer প্রশ্নঃ চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কি জানো? প্রশ্নঃ চোলদের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ কর।। Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestions( BA General ) with Answer
Semester 2 History Suggestions -Part-15 -Answer
প্রশ্ন - প্রশ্নঃ চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কি জানো?
প্রশ্নঃ চোলদের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ কর।
Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
2nd Semester History Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
History ( 2nd Semester )
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ চোলদের স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ কর।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তরঃ
চোল শাসনপদ্ধতির অন্যতম বৈশিষ্ট ছিল স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন। তখন গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলি যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করত, তা আমাদের বিস্মিত করে। গ্রামের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের ভোটে নির্বাচিত প্রাথমিক সমিতির মাধ্যমে গ্রামশাসন চলত। এই সমিতিগুলি ছাড়াও একাধিক ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গোষ্ঠী ছিল। গোষ্ঠীর তুলনায় গ্রাম সমিতির দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল অনেক বেশি। তবে গোষ্ঠীর সদস্যরাই অনেকে সমিতিরও সদস্য হতেন, ফলে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সম্ভাবনা ছিল না।
> ঊর, সভা, নগরম্ : গ্রাম-সমিতি ছিল দু-ধরনের ; যথা—উর এবং সভা। তা ছাড়া, শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখার জন্য ‘নগরম্” নামক এক ধরনের সমিতি ছিল। কর্মসূচি রূপায়ণে গ্রামসভাগুলির পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল।
> নির্বাচন-পদ্ধতি : স্থানীয় সমিতিগুলির মধ্যে ওপরে গঠনতন্ত্র ছিল সহজ। সাধারণভাবে গ্রামের করদাতাদের নিয়ে ‘ঊর’ গঠিত হত। প্রয়োজন অনুসারে ঊর এককভাবে বা সভার সাথে যৌথভাবে কাজ পরিচালনা করত। রাজারা তাঁদের দানের দ্বারা বহু ‘মণ্ডলম্' সৃষ্টি করেছিলেন। সভার গঠনপ্রণালী ছিল অনেক বেশি জটিল। বিভিন্ন গ্রামের ‘কুডুম্ব' বা পাড়া থেকে প্রথমে যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনীত করা হত। আর্থিক সংগতি, বৈদিক জ্ঞান, চারিত্রিক শুদ্ধতা এবং বয়স প্রভৃতি যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হত। এইভাবে প্রতি কুডুম্ব থেকে মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একজনকে মনোনীত করা হত। একটি লেখ থেকে জানা যায়, এইরকম ৩০টি কুডুম্ব ছিল। এদের মধ্য থেকে যোগ্যতম ১২ জনকে নিয়ে ‘সম্বৎসরিক সমিতি' গঠিত হত। অবশিষ্ট ১২ জন উদ্যান সমিতি এবং ৬ জন পুষ্করিণী-সমিতি গঠন করতেন। এঁদের কার্যকালের মেয়াদ ছিল এক বৎসর। এঁরা কোনো পারিশ্রমিক পেতেন না। ঢোল বাজিয়ে মহাসভার অধিবেশন আহ্বান করা হত। সাধারণত মন্দির প্রাঙ্গণে এই সভা বসত। প্রতিটি নাড়ুর একটি করে নিজস্ব সভা ছিল। এদের বলা হত 'নাত্তার।
>আলোচনা-পদ্ধতি ঃ উল্লিখিত সভাগুলির কর্মপদ্ধতির বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যায় না। অনুমান করা যায়, প্রতিটি বিষয় সাধারণভাবে আলোচিত হত। আলোচনাকালে বাদী-বিবাদী উভয়েই উপস্থিত থাকত। অনেক সময় বিভিন্ন গ্রাম সমিতিসমূহের যৌথ অধিবেশন বসত। সম্ভবত তখন আলোচনার পরে ভোটগ্রহণের রীতি ছিল না।
> মধ্যস্থ, করণত্তার : চোলযুগে গ্রামীণ শাসনব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট দুজন সরকারি কর্মচারীর উল্লেখ পাওয়া যায়। এঁরা হলেন ‘মধ্যস্থ' এবং 'করণত্তার। মধ্যস্থ সম্ভবত গ্রাম সভার অধিবেশনে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকতেন। তবে তাঁরা আলোচনায় অংশ নিতেন না। করণত্তার ছিলেন হিসাব-পরীক্ষক। সম্ভবত ভূমি-রাজস্বের বিষয়েও এঁরা নজর রাখতেন। এঁদের পারিশ্রমিক সভা কর্তৃক নির্ধারিত করা হত।
> ব্যাসাম-এর অভিমত : ঐতিহাসিক ব্যাসাম-এর মতে, স্থানীয় লোকেরাই প্রাধান্য পেত। বৃত্তিহীন বা নারীদের এখানে কোনো ভূমিকা ছিল না। যেহেতু সম্পত্তিহীন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারত না, তাই দরিদ্র লোকেরা স্থানীয় শাসন থেকে কোনো সুযোগসুবিধা পেত না।
=======@@@@@======
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপ সম্পর্কে কি জানো?
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তর -
উত্তর ⇒ খ্রীষ্টীয় দশম শতকে দক্ষিণ-ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে চোল-রাজ্য ছিল বিশেষ শক্তিশালী। চোল-রাজাদের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব ছিল সামুদ্রিক ক্ষেত্রে প্রাধান্যলাভ। চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপের সূচনা করেন চোলরাজ প্রথম রাজরাজ। পরবর্তী কালে প্রথম রাজেন্দ্র চোলের নেতৃত্বে এদের সামুদ্রিক ক্রিয়াকলাপ আরও বিস্তৃত হয়।
> উদ্দেশ্যঃ তবে চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্য কি ছিল—এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকের মতে, চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসাবাণিজ্য বৃদ্ধি করা। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুপরিকল্পিত কোন কর্মসূচী অনুযায়ী চোলেরা সামুদ্রিক কাজ চালায়নি। এ কথা সত্য যে, সামুদ্রিক প্রাধান্যলাভের ফলে চোল রাজ্যের বাণিজ্য বিস্তৃত হয়েছিল। তামিল ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ ভারতে বণিক-সংঘ গড়ে তুলেছিলেন এবং এর সদস্যরা বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীন দেশে গমন করেছিলেন। চীনদেশীয় তথ্য থেকেও প্রমাণিত হয়েছে যে, চোল-রাজ্যের সাথে চীনে বাণিজ্য বিনিময় চলত। তবে সব সময়েই যে ব্যবসাবাণিজ্য প্রসারে চোলদের সামুদ্রিক ক্রিয়াকলাপ সীমাবদ্ধ থাকত তাও বলা চলে না। কেম্ব্রিজ ঐতিহাসিকদের বিবরণ থেকে জানা যায়, চোলরাজ প্রথম রাজরাজ মালয় উপদ্বীপ আক্রমণ করে সেখানকার বাণিজ্যকেন্দ্রগুলি ধ্বংস করেছিলেন।
চোলদের সামুদ্রিক অভিযানের সূচনা করেন প্রথম রাজরাজ (৯৮৫-১০১৪ খ্রিঃ)। তিনি উন্মক্ত সমুদ্রে অবস্থিত ইলম জয় করেছিলেন। ‘তিরুবালাঙ্গুরু তাম্রপটে' দাবি করা হয়েছে যে তিনি সিংহল (ইলমন্ডলম্) দখল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর দখল করা অঞ্চলের নাম দেন ‘মুমুণ্ডি-চোলমণ্ডলম।' অতঃপর রাজরাজ সিংহলের রাজধানী অনুরাধপুর ধ্বংস করেন এবং পোলন্নরূবতে সিংহলের চোল রাজ্যের নতুন রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে তিনি একটি পাথরের শিবমন্দির নির্মাণ করেছিলেন, যা আজও বর্তমান। চোল নৌবাহিনী সিংহলের ব্যস্তবন্দর ‘মহাতিটধ দখল করে তার নতুন নাম দেয় 'রাজরাজপুর'। রাজরাজের শেষ নৌ-অভিযান ছিল ভারত মহাসাগরের ‘মালদ্বীপপুঞ্জের' বিরুদ্ধে। রোমিলা থাপারের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যে আরবদের কর্তৃত্ব শিথিল করার জন্যই রাজরাজ কালদ্বীপ পুঞ্জের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিলেন।
> প্রথম রাজেন্দ্র : রাজরাজের পুত্র রাজেন্দ্রচোলের আমলেও (১০১৪-১০৪৪ খ্রিঃ) সামুদ্রিক অভিযান অব্যাহত ছিল। তিনিও সিংহল অভিযান করে প্রচুর ধন সম্পদ সংগ্রহ করে এনেছিলেন। তবে সিংহলের উপর চোলদের কর্তৃত্ব স্থায়ী হয়নি। সিংহল রাজ পঞ্চম মহেন্দ্রর পুত্র কাশ্যপ অল্পকালের মধ্যে সিংহলের দক্ষিণ ভাগ পুনর্দখল করতে পেরেছিলেন। রাজেন্দ্রচোলের নেতৃত্বে চোল সেনা বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম উপকূল ধরে গঙ্গানদীর মোহনা পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল এবং গঙ্গার পবিত্র জল নিয়ে চোলরাজ্যে ফিরে গিয়েছিল। এই কারণে তিনি গঙ্গইকোল্ড চোল পুরম বা গঙ্গা বিজেতা চোল নামে অভিহিত হতেন। শ্রীবিজয় রাজ্যের বিরুদ্ধেও তিনি সফল হন।
*** চোলরাজ বীর রাজেন্দ্রের সময়েও অনুরূপ কাজ করা হয়েছিল। এই ধরনের বিধ্বংসী ক্রিয়াকলাপের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে এদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হওয়ার পরিবর্তে হ্রাস পেয়েছিল।
চোলদের সামুদ্রিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, সামুদ্রিক প্রাধান্যলাভ করার ফলে চোল সামরিক বাহিনী পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল। প্রাচীন ভারতীয় নৃপতিদের অদূরদর্শিতার পরিবর্তে চোল-রাজারা জলপথের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। নৌ-শক্তিতে বলীয়ান ‘শ্রীবিজয়’ (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শৈলেন্দ্র রাজ্য) আক্রমণ করে সেখানে চোল আধিপত্য স্থাপন, চোল সামুদ্রিক প্রাধান্যের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এই সামুদ্রিক প্রাধান্যের জন্যই সেই সময়ে বঙ্গোপসাগরকে ‘চোল হ্রদ' (Chola Lake) নামে অভিহিত করা হত।
=======@@@@@======
↩ Semester 2
--- আরো দেখো ---
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions .
No comments