Semester 2 History Suggestions -Part-7 -Answer প্রশ্ন -হর্ষবর্ধনের ধর্মভাবনা ও সাহিত্য চেতনা সম্পর্কে লেখো। প্রশ্নঃ হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব ব্যাখ্যা করো। প্রশ্নঃ টীকা লেখো : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রশ্নঃ - বাণভট্টের হর্ষচরিত সম্পর্কে কী জানো লেখো। Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestions( BA General ) with Answer
Semester 2 History Suggestions -Part-7 -Answer
প্রশ্ন -হর্ষবর্ধনের ধর্মভাবনা ও সাহিত্য চেতনা সম্পর্কে লেখো।
প্রশ্নঃ হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব ব্যাখ্যা করো।
প্রশ্নঃ টীকা লেখো : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রশ্নঃ - বাণভট্টের হর্ষচরিত সম্পর্কে কী জানো লেখো।
Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
2nd Semester History Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
History ( 2nd Semester )
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ হর্ষবর্ধনের ধর্মভাবনা ও সাহিত্য চেতনা সম্পর্কে লেখো।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তরঃ
এ ধর্ম ও সাহিত্য : বৌদ্ধ বা সম্মেলন ও প্রয়াগ মেলা : হর্ষবর্ধনের পূর্বপুরুষগণ এবং হর্ষবর্ধন নিজেও প্রথম জীবনে ছিলেন ব্রাহ্মণ্যধর্মের অনুগামী। প্রভাকরবর্ধন ছিলেন সূর্যের উপাসক। হর্ষ নিজের জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর ছিলেন শিবের উপাসক। সম্ভবত জীবনের শেষদিকে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর এই ধর্ম পরিবর্তনের ব্যাপারে হিউয়েন-সাঙের গভীর প্রভাব ছিল বলে মনে করা যায়। তবে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করলেও তিনি শিব বা সূর্য দেবতার প্রতি কখনই অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেননি। পরধর্মসহিষ্ণুতা ছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বৌদ্ধধর্মের প্রতি বিশেষ অনুরক্তির কারণে তিনি তাঁর রাজ্যে জীবহত্যা নিষিদ্ধ করেন। এছাড়া তিনি বহু জনহিতকর কার্যে উদ্যোগী হন। যেমন, তাঁর নির্দেশে বহু বিশ্রামাগার, চিকিৎসালয়, স্তূপ, বিহার ইত্যাদি নির্মিত হয়। বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন স্থানে তিনি বৌদ্ধমঠ স্থাপন করেন। হিউয়েন-সাঙ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ তাঁকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে ও তিনি হিউয়েন-সাঙ-এর সম্মানে কনৌজে এক বৌদ্ধধর্ম সম্মেলন আহ্বান করেন। বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েক হাজার বৌদ্ধ পণ্ডিত এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া বহু সামন্ত ও মিত্ররাজাও এই সম্মেলনে যোগদান করেন। এখানে বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন জটিল তত্ত্ব আলোচিত হয়। সম্মেলন চলেছিল প্রায় এক মাস ধরে। হিউয়েন-সাঙ ছিলেন এই সম্মেলনের সভাপতি। কনৌজ ধর্মসভার পর তিনি প্রয়াগের মেলায় যোগ দেন। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই মেলা বসত। নাবালক, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধভিক্ষু প্রমুখ সকলেই এখানে হর্ষের দান গ্রহণ করত। মেলায় প্রথম দিন বুদ্ধের উপাসনা হত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন হত যথাক্রমে সূর্য ও শিবের উপাসনা। শেষদিন কেবল দান করা হত। পাঁচ বছরে রাজকোষে সঞ্চিত সকল অর্থ হর্ষ এখানে দান করতেন। এমনকি পরনের মূল্যবান বস্ত্র দান করে সামান্য বস্ত্রে গৃহে ফিরতেন।
> সাহিত্য কর্ম : হর্ষবর্ধন স্বয়ং ছিলেন সুপণ্ডিত এবং শিক্ষা-সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক। আদায়ীকৃত রাজস্বের নির্দিষ্ট একটি অংশ তিনি জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের দান করতেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও তিনি প্রভূত অর্থসাহায্য দিতেন। তাঁর রাজসভায় বহু গুণী ব্যক্তির সমাবেশ ঘটেছিল। হর্ষচরিত ও কাদম্বরী প্রণেতা বাণভট্ট ছিলেন তাঁর সভাকবি। এছাড়া ময়ূরমাতঙ্গ, দিবাকর প্রমুখও তাঁর রাজসভায় ছিলেন। হর্ষ স্বয়ং ‘রত্নাবলী’, ‘প্রিয়দর্শিকা ও ‘নাগানন্দ' নামে তিনটি নাটক রচনা করেছিলেন।
=======@@@@@======
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ হর্ষবর্ধনের কৃতিত্ব ব্যাখ্যা করো।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তর -
এ রাজ্য বিজেতা : ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ (V. A. Smith) মন্তব্য করেছেন যে, হর্ষবর্ধন ছিলেন হিন্দুযুগের শেষ দক্ষ সম্রাট এবং তাঁর মৃত্যুর পরেই ভারতে ঐক্যবদ্ধ সাম্রাজ্য স্থাপনের সম্ভাবনা শেষ হয়। কিন্তু এই মন্তব্য তাঁর সম্পর্কে অতিশয়োক্তি মাত্র। কারণ পরবর্তীকালে প্রতিহার বা পাল রাজারা হর্ষের সাম্রাজ্যের অপেক্ষা বৃহৎ ও দীর্ঘস্থায়ী সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। আসলে স্মিথ প্রমুখ বিনা সমালোচনায় চালুক্য লেখগুলিকে ঐতিহাসিক সত্য বলে মেনে নিয়েছেন।
সম্ভবত দ্বিতীয় পুলকেশী নিজের কৃতিত্বকে অধিক উজ্জ্বল করার জন্যই হর্ষকে সকল উত্তরাপথের অধিপতি বলে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু চালুক্য বিনয়াদিত্যর লেখতে আরেকজন 'সকলোত্তোর পথনাথ'-এর উল্লেখ আছে। অধ্যাপক ত্রিপাঠীর মতে, এই ব্যক্তি ছিলেন সম্ভবত পরবর্তী গুপ্তরাজা আদিত্য সেনের এক সামান্য বংশধর। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার 'The Classical Age' গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন যে, হর্ষের বিপুল ঐতিহাসিক খ্যাতির পিছনে তাঁর নিজস্ব গুণাবলী ও কৃতিত্ব নিশ্চই আছে ; তবে তার চাইতেও বেশি প্রভাব ফেলেছে বানভট্ট ও হিউয়েন সাঙ প্রমুখের লেখনী ও গুণকীর্তন। এঁরা হর্ষের জীবন ও কৃতিত্বের যে ছবি এঁকেছেন, তা প্রকৃত ইতিহাস নয়। ড. মজুমদার লিখেছেন, "The case of Harsha vardhana teaches us that while the heroes make history, sometimes history also makes heroes.” লক্ষ্যণীয় যে, উত্তর-ভারতের সমগ্র অংশ তাঁর সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল না। আবার নিজ সাম্রাজ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করার কোন উপযুক্ত ও কার্যকর পন্থাও তিনি অবলম্বন করেননি। তাই তাঁর মৃত্যুর পরেই সাম্রাজ্য খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়, এসব সত্ত্বেও রাজনৈতিক অনৈকের অবসান ঘটান, ধর্মীয় সহনশীলতার বাতাবরণ তৈরি, সাংস্কৃতিক অগ্রগতির সূচনা করা ইত্যাদি কারণে তাঁর রাজ্যকাল স্মরণীয়।
> সংগঠক : গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর সমগ্র উত্তর ভারতে রাজনৈতিক অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। পরস্পর বিবাদমান রাজ্যগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারেন, এমন কোন শক্তিশালী নৃপতির প্রয়োজনীয়তা তখন বিশেষভাবে দেখা দিয়েছিল। সেই যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হয়ে হর্ষবর্ধন এক গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর সিংহাসন আরোহণের সময় পৈত্রিক রাজ্য থানেশ্বরের অবস্থা ছিল সংকটজনক। কারণ এর ঠিক আগেই অল্প সময়ের ব্যবধানে পিতা প্রভাকরবর্ধন ও জ্যেষ্ঠভ্রাতা রাজ্যবর্ধনের মৃত্যু ঘটেছে। অন্যদিকে নিকটাত্মীয় গ্রহবর্মনের মৃত্যুতে কনৌজের সিংহাসনও শূন্য হয়ে গেছে। এই অবস্থায় দুটি রাজ্যেরই শাসনভার গ্রহণ করে হর্ষবর্ধন এক বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন। শশাঙ্ক ও দেবগুপ্তর সম্মিলিত শত্রুজোটকে দূরে সরিয়ে দিয়ে তিনি কনৌজের নিরাপত্তা বিধান করেন।
> সুশাসক ঃ হর্ষের সাম্রাজ্যের পরিধি যতখানিই বিস্তৃত হোক না কেন, তিনি সেই সাম্রাজ্যের সুশাসনের ব্যবস্থা করেন। ব্যক্তিগতভাবে রাজ্য পরিভ্রমণ করে, প্রজাদের সুখদুঃখের খোঁজখবর নিয়ে তিনি এক বিশেষ আদর্শ স্থাপন করেন। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই প্রজাহিতৈষী সম্রাট। প্রজাদের জন্য চিকিৎসালয়, বিশ্রামাগার ইত্যাদি তৈরি করিয়ে তিনি প্রজাহিতৈষণার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাঁর মত দানশীল নৃপতির দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। জাতিধর্মনির্বিশেষে সকল প্রার্থীকেই তিনি অকাতরে দান করতেন। তাঁর ধর্মীয় সহিষ্ণুতাও ছিল প্রশংসনীয়। তিনি নিজে ছিলেন বিদ্বান ও বিদ্যোৎসাহী। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন ভারতের অন্যতম প্রধান শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল এই সব কারণে ঐতিহাসিক রাধাকুমুদ মুখার্জী মন্তব্য করেছেন যে, “হর্ষবর্ধনের চরিত্রে অশোকের প্রজাহিতৈষণা ও সমুদ্রগুপ্তের সামরিক নৈপুণ্যের সার্থক সমন্বয় ঘটেছিল।”
=======@@@@@======
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ টীকা লেখো : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তর ঃ
এ হিউয়েন সাঙ ও ইৎ সিং-এর বিবরণী এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ভগ্নাবশেষ থেকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তৃত বিবরণ পাওয়া যায়। এটি বর্তমান পাটনা জেলায় অবস্থিত ছিল। হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব চরম শিখরে উঠেছিল। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্তসম্রাটগণ কর্তৃক বৌদ্ধসংঘ হিসেবে এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নৃপতি ও বিত্তশালীদের চেষ্টায় ও অর্থে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আর্ন্তজাতিক শিক্ষার কেন্দ্রে পরিণত হয়।
আটটি বিভিন্ন কলেজ বা শিক্ষায়তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠিত ছিল। কলেজগুলি ছিল সারিবদ্ধ। সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র সুরম্য অট্টালিকার জন্য বিখ্যাত ছিল না। সেখানে ছাত্রদের পঠনপাঠনেরও সুবন্দোবস্ত ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি লাইব্রেরি ছিল। এগুলির নাম ছিল রত্নসাগর, রত্নদধি ও রত্নরঞ্জক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দশ হাজার ছাত্র অধ্যয়ন করত। এশিয়া, চিন, কোরিয়া, সিংহল, জাপান প্রভৃতি দেশের ছাত্ররা এখানে অধ্যয়ন করতে আসত। শুধু যে বিদেশি ছাত্র ও পণ্ডিতগণ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেন এমন নয়, এই বিশ্ববিদালয় থেকেও বহু ছাত্র ও পণ্ডিত বিশ্বের অন্যান্য স্থানে গমন করে বৌদ্ধধর্ম বিস্তারে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। তিব্বতে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত পণ্ডিতদের মধ্যে সংরক্ষিত, পদ্মসম্ভব, কমলশীল ছিলেন উল্লেখযোগ্য ।
বস্তুত, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়নের প্রধান কেন্দ্র। বৌদ্ধদের নিকট এটি ছিল পরম পবিত্র ভূমি। অবশ্য কালক্রমে বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্রের পঠনপাঠন ছাড়াও বেদ, ব্যাকরণ, ন্যায়, আয়ুর্বেদ, গণিত প্রভৃতি বিষয়ে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা চলত। হিউয়েন সাঙের সময় নালন্দার অধ্যক্ষ ছিলেন পণ্ডিত শীলভদ্র। এ ছাড়া ধর্মপাল, জিনমিত্র, বসুবন্ধু, প্রভামিত্র প্রমুখের নাম পাওয়া যায়।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্ররাই ভরতি হবার সুযোগ পেত। পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র গ্রহণ করা হত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়নির্বাহের জন্য নিজস্ব সম্পত্তি ছিল। প্রায় ১৮০টি গ্রামের আয় থেকে নালন্দার ব্যয়নির্বাহ হত। ইৎ-সিং-এর ভারত ভ্রমণের পরও প্রায় ৫ শতাব্দীকাল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব বজায় ছিল।
=======@@@@@======
////////🌸🌸🌸🌸🌸🌸🌸//////////
প্রশ্নঃ - বাণভট্টের হর্ষচরিত সম্পর্কে কী জানো লেখো।
////////🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷//////////
উত্তরঃ
কনৌজের পুষ্যভূতি বংশীয় সম্রাট হর্ষবর্ধনের সভাকবি ছিলেন বাণভট্ট। তিনি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের শেষদিকে প্রীতিকূট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ও মাতার নাম যথাক্রমে চিত্রভানু এবং রাজ্যদেবী। কৈশোরে মাতাকে হারিয়ে এবং সদ্যযৌবনে পিতৃবিয়োগ ঘটায় তিনি কিছুটা অসংযমী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এই সময় বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে তিনি দেশদেশান্তরে পরিভ্রমণ করেন। তাঁর সঙ্গী-বন্ধুদের মধ্যে কবি, নাট্যকার, বৈদ্য, চিত্রকর, লিপিকার, কথক, সন্ন্যাসী যাদুকর ইত্যাদি নানা পেশার মানুষ ছিলেন। এঁদের সঙ্গ ও সাহচর্যে তাঁর অর্ন্তনিহিত কলাজ্ঞান ও সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ঘটে।
দীর্ঘকাল দেশভ্রমণ, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় এবং অধ্যয়নের ফলে তাঁর পাণ্ডিত্য গভীরতর হয়। সাহিত্য ও বিভিন্ন শাস্ত্রে বাণভট্টের অর্জিত দক্ষতার ভিত্তিতে সম্রাট হর্ষবর্ধন তাঁকে সভাকবির পদে বরণ করেন। হর্ষবর্ধনের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি ‘কাদম্বরী' নামে একটি আখ্যায়িকা এবং ‘হর্ষচরিত' নামে হর্ষবর্ধনের জীবনী রচনা করেন। তবে কোনোটিই তিনি সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি। এই অসম্পূর্ণতা সম্পর্কে একাধিক মত প্রচলিত আছে। কারও কারও মতে, বৌদ্ধদের প্রতি সম্রাটের সহিষ্ণুতায় বাণভট্ট ব্যথিত হয়ে এটি সম্পূর্ণ করার কাজ বন্ধ রাখেন। আবার অন্য মতে, চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর কাছে হর্ষবর্ধনের পরাজিত হওয়ার ঘটনায় আশাহত হয়ে তিনি গ্রন্থ রচনার কাজ বন্ধ করে দেন।
‘হর্ষচরিত' গ্রন্থটি আটটি অংশে বিভক্ত। অধিকাংশ ভাগ গদ্যে রচিত। কিছু অংশে কৃত্রিম কাব্যসৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে বাণভট্ট তাঁর নিজের জীবন সম্পর্কে অনেক কথা বলেছেন। হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের প্রথম কয়েক মাসের ঘটনা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। স্বভাবতই এই গ্রন্থের ইতিহাসগত মূল্য সম্পর্কে সংশয় ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার-এর মতে, এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন ঘটনার বিবরণ আছে সর্বাধিক বারো পৃষ্ঠার মতো। অবশিষ্ট আলোচনা সম্রাটের গুণকীর্তন ও লেখকের কল্পনা প্রাধান্য পেয়েছে। তাই একে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া যুক্তিহীন। তা ছাড়া, বাণভট্ট এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু হিসেবে বহমান ঘটনাকে যতটা গ্রহণ করেছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এর সাহিত্যগত মান বৃদ্ধির দিকে। তাই ‘হর্ষচরিত' যতটা ছিল ঐতিহাসিক গ্রন্থ, তার তুলনায় অনেকগুণ বেশি ছিল একটি কল্পনাধর্মী সাহিত্যচর্চা।
=======@@@@@======
========================================
###########################################
--- আরো দেখো ---
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions .
No comments