Semester 2 History Suggestions -Part-4 -Answer প্রশ্ন - কি যুক্তিতে গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতের ‘সুবর্ণ যুগ' বলা হয়? -স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
History Suggestions( BA General ) with Answer
Semester 2 History Suggestions -Part-4 -Answer
প্রশ্ন - কি যুক্তিতে গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতের ‘সুবর্ণ যুগ' বলা হয়?
-স্নাতক ইতিহাস || History General Semester 2 - || History Suggestion for 2nd Semester of Calcutta University under CBCS System
Calcutta University all Semester Suggestions || All Subjects ( with Answer ) | |
Semester 1 ( I ) | |
Semester 2 ( II ) | |
Semester -3 ( III ) | |
Semester – 4 ( IV ) | |
Semester – 5 ( V ) | |
Semester – 6 ( VI ) |
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিজ্ঞান সাজেশন ( উত্তরসহ )
BA ( General 2nd Semester )
--- আরো দেখো ---
2nd Semester History Suggestions ( 2020 ) Calcutta University
History ( 2nd Semester )
=========================================
প্রশ্নঃ --কি যুক্তিতে গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতের ‘সুবর্ণ যুগ' বলা হয়?
====================================
উত্তর ⇒ ভারতবর্ষে বৃহত্তর সাম্রাজ্য গঠনের কাজে প্রথম কৃতিত্ব দেখান মৌর্য বংশের শাসকগণ। মৌর্যবংশের পতনের পর ভারতের রাজনীতিত সাময়িক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পরে গুপ্তবংশের রাজারা ঐক্যবদ্ধ ভারত গঠনে উদ্যোগী হন। রাজ্য গঠন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশেও তাঁরা অভূতপূর্ব কৃতিত্ব দেখান।
🎯🎯 পেরিক্লিসের যুগ, ক্ল্যাসিক্যাল যুগ : গুপ্তবংশের শাসনকাল ভারত-ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ঐতিহাসিক বার্নেট (Barnett) গুপ্তযুগকে গ্রীসের পেরিক্লিসের যুগের সাথে তুলনা করেছেন। তাঁর ভাষায় : “The Gupta period is in the annals of classical India almost what the Periclean age is in the history of Greece." শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির অভূতপূর্ব বিকাশের দিকে তাকিয়ে কেউ কেউ গুপ্তযুগকে ভারত-ইতিহাসের 'ক্ল্যাসিক্যাল যুগ (Classical age) বলে মন্তব্য করেছেন। অনুরূপভাবে কেউ কেউ বলেছেন, ইংল্যাণ্ডের 'এলিজাবেথীয়' যুগের সাথেই একমাত্র গুপ্ত যুগের উন্নতিকে তুলনা করা যেতে পারে।
🎯🎯 রাজনৈতিক ঐক্য ঃ কুষাণ সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়েছিল। সেই রাজনৈতিক অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটিয়ে গুপ্ত রাজাগণ এক সুদৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ সাম্রাজ্য গঠন করে ভারতবাসীকে রাজনৈতিক নিরাপত্তা দান করেছিলেন। এমনকি একাধিকবার পুষ্যমিত্র বা হুন প্রভৃতি বৈদেশিক আক্রমণও তাঁরা প্রতিহত করে নৃশংস হত্যা ও লুণ্ঠনজনিত বিপর্যয় থেকে ভারত-ভূমিকে রক্ষা করেছিলেন।
🎯🎯 উদার শাসনরীতি ও ন্যায়বিচার : কেবল সাম্রাজ্যের সংগঠন নয়, সুশাসন প্রবর্তনেও গুপ্ত রাজারা যথেষ্ট দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। স্বৈরাচারী ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও গুপ্ত রাজারা ছিলেন বিকেন্দ্রীকৃত শাসনব্যবস্থার সমর্থক। করের হার ছিল খুবই নগণ্য। বিচারের ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞ পরামর্শদাতার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ার রীতি ছিল। আইনকানুন ছিল লিখিত এবং তা মান্য করা ছিল বাধ্যতামূলক। ফলে ন্যায়বিচার ছিল অনিবার্য। শাসনকার্যে বিভিন্ন পরামর্শদাতা সভা ও নগর-শাসনে পৌর-সভাগুলির কর্তৃত্ব স্বীকৃত হওয়ার ফলে গুপ্ত যুগেই প্রথম শাসনকার্যে জনগণের প্রত্যক্ষ যোগ স্থাপিত হয়েছিল।
🎯🎯 কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের নীতি : কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুপ্ত যুগে অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছিল। উন্নত ধরনের যন্ত্রপাতির প্রচলন ও সেচব্যবস্থার মাধ্যমে সে যুগে কৃষি-উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিখ্যাত সুদর্শন হ্রদের সংস্কার গুপ্ত যুগেরই কীর্তি। গুপ্ত যুগের গ্রন্থাদিতে প্রায় ৬৪ ধরনের শিল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে বস্ত্রশিল্প, লৌহশিল্প, ধাতুশিল্প, কাষ্ঠশিল্প ও চর্মশিল্প ছিল বিখ্যাত। অভ্যন্তরীণ ও বহির্বাণিজ্যে গুপ্ত যুগ ছিল যথেষ্ট অগ্রণী। ভৃগুকচ্ছ, কল্যাণ, উজ্জয়িনী প্রভৃতি বন্দর ছিল বহির্বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, রোম, চীন প্রভৃতি দেশের সাথে ভারতের ছিল ব্যাপক বাণিজ্যিক লেনদেন। নাসিক, পৈঠান, বারাণসী, তক্ষশিলা প্রভৃতি নগর বিখ্যাত ছিল অন্তর্বাণিজ্যের জন্য। 'নিগম-প্রতিষ্ঠান' (Guilds) তৎকালীন বাণিজ্যবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছিল। এইভাবে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রভূত উন্নতির ফলে গুপ্তযুগে আর্থিক সাচ্ছল্য সম্ভব হয়েছিল।
🎯🎯 বর্ণভেদের কঠোরতা হ্রাস : সামাজিক ভেদাভেদও এই যুগে বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছিল। সামাজিক শ্রেণিভেদ থাকলেও বিভিন্ন বর্ণের মধ্যে বিবাহ সম্পর্ক স্থাপন ও এক পংক্তিতে আহারের বহু দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। তৎকালীন স্মৃতিশাস্ত্রে অনুলোম ও প্রতিলোম বিবাহ স্বীকৃত ছিল। গুপ্ত যুগে শূদ্রদের অবস্থা অনেক উন্নত হয়েছিল। এক কথায় গুপ্ত রাজারা ব্রাহ্মণ্যধর্মাবলম্বী হলেও বর্ণভেদের কঠোরতা এ যুগে অনেক কমে গিয়েছিল।
গুপ্ত যুগে সাহিত্য-সংস্কৃতির যে অকল্পনীয় বিকাশ ঘটেছিল, তা সত্য সত্যই ইংল্যাণ্ডের এলিজাবেথীয় যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়।
🎯🎯 সাহিত্য-দর্শন ঃ গুপ্ত যুগে বহুসংখ্যক খ্যাতনামা কবি-সাহিত্যিক ও দার্শনিকের আবির্ভাব ঘটেছিল।
কবিসাহিত্যিক কালিদাস, বিশাখদত্ত, বিষ্ণুশর্মা, শূদ্রক, বৈয়াকরণিক চন্দ্রগোমিন, দার্শনিক বৌদ্ধায়ণ, ঈশ্বরকৃষ্ণ, বসুবন্ধু, উপবর্ষ প্রমুখ তাঁদের অমর রচনার দ্বারা গুপ্তযুগকে গৌরবান্বিত করেছেন। গুপ্ত যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব চর্চা হয়েছিল। আর্যভট্ট, বরাহমিহির প্রমুখ চন্দ্র-সূর্যের অবস্থান, দিন-রাত্রি ও আহ্নিক-গতি, বার্ষিক-গতি প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করে অজানা বহু বিষয়ে জগতবাসীকে সচেতন করেছেন। চিকিৎসাশাস্ত্রও এই যুগে যথেষ্ট উন্নতি লাভ করে এবং সম্ভবত শল্য-চিকিৎসাও গুপ্ত যুগে প্রচলিত ছিল।
🎯🎯 স্থাপত্য : গুপ্ত যুগে শিল্পের তিনটি, যথা— স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্রকলার বিস্ময়কর উন্নতি ঘটেছিল। স্মিথের ভাষায় : "The three closely allied arts of architecture, sculpture and painting attained an extraordinary high points of achievements."
গুপ্ত যুগের স্থাপত্যশিল্পের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হল তিগোয়ার বিষ্ণুমন্দির, কুবীরের পার্বতীমন্দির, দেওগড়ের দশাবতার মন্দির, সাঁচী ও বৌদ্ধগয়ার বুদ্ধস্তূপ প্রভৃতি। এ যুগে মন্দির-শিল্পের দারুণ উন্নতি হয়েছিল। মন্দিরগুলি সাধারণত ইট বা কাঠ দিয়ে নির্মিত হত। মন্দিরগুলির চতুষ্পার্শ্বে ছিল প্রাঙ্গণ ও মাঝখানে ছিল গর্ভগৃহ।
🎯🎯 ভাস্কর্য : গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যের বহু নিদর্শন পৌরাণিক দেব-দেবীর মূর্তিগঠনের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। সারনাথে আবিষ্কৃত বুদ্ধমূর্তিগুলি এ যুগের ভাস্কর্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। মূর্তিগুলি ছিল আশ্চর্য রকমের সাবলীল এবং রেখার স্পষ্টতা ছিল লক্ষণীয়। গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যকে মথুরা ও অমরাবতীর ভাস্কর্যের পরিণত রূপ বলা যায়। তবে এখানকার মূর্তিগুলির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এদের আধ্যাত্মিকতা, যা প্রতিটি মুখমণ্ডলে উদ্ভাসিত। তবে বেঙ্গী ও অমরাবতীর ইন্দ্রিয়পরায়ণতা বা পার্থিবতা গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যে অনুপস্থিত। অধ্যাপক নীহারঞ্জন রায় ও অধ্যাপক সরসীকুমার সরস্বতী উল্লেখ করেছেন যে, গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যশিল্পীরা অতীন্দ্রিয় শিল্প সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন এবং সে কাজে তাঁরা সফলও হয়েছেন। সব থেকে বড়ো কথা এগুলির নির্মাণশৈলী ছিল সম্পূর্ণ ভারতীয়। ড. রমেশচন্দ্রের ভাষায় : "Indeed the Gupta sculpture may be regarded as typically Indian and classic in every sense of the term." মথুরা, বারাণসী, উজ্জয়িনী প্রভৃতি স্থানে এ যুগের বহু ভাস্কর্য-নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।
🎯🎯 চিত্রকলা : ভাস্কর্যের মতো গুপ্ত-চিত্রকলাও ছিল প্রাণবন্ত। অজস্তাগুহার দেওয়ালে আঁকা চিত্রগুলি যেমন সজীব তেমনি স্বাভাবিক। এখানে রাজা, রানি, রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে অপ্সরা, কিন্নরী, ভূত-প্রেত সবই বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই অজন্তার গুহাচিত্র পরিদর্শন করে বিস্ময়াবিভূত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বলেছেন, “যা কিছু মহৎ, যা কিছু ক্ষুদ্র সবই অজন্তার কোলে আশ্রয় নিয়েছে।” অজন্তা ছাড়া মধ্যপ্রদেশের ‘বাঘ গুহাচিত্রের নিদর্শনগুলিও গুপ্ত যুগের শিল্পীদের চিন্তার গভীরতা ও তুলির সূক্ষ্মতার অপূর্ব নিদর্শন।
🎯🎯 বিরুদ্ধ সমালোচনা ঃ গুপ্ত যুগের এইরূপ সর্বাঙ্গীণ উন্নতি সত্ত্বেও এ যুগকে ‘সুবর্ণ যুগ” বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত, সে বিষয়ে অধুনা মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিক গবেষকদের মতে, গুপ্ত যুগে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছিল সত্য, কিন্তু তার সাথে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের যোগ ছিল না। এদের মতে, গুপ্ত যুগে আপাত সচ্ছলতার অন্তরালে সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য ছিল প্রকট। দেশের অধিকাংশ সম্পদ মুষ্টিমেয় বণিক, উচ্চ অভিজাত ও সামন্ত-প্রভুদের হস্তগত ছিল। ভূমিদাসদের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছিল।
============================
↩ Semester 2
--- আরো দেখো ---
--- আরো দেখো ---
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) History General , BA 2nd Semester ( History General ) Suggestions .
No comments