ব্যবহারিক বাংলা ( SEC-B ) পর্ব-৮ - টীকাঃ অপশ্রুতি (Ablaut) ও অভিশ্রুতি (Umlaut)? টীকাঃ উচ্চারণে শ্বাসাঘাত ও স্বরাঘাত .|| Suggestion for6th Semester of Calcutta University under CBCS System
ব্যবহারিক বাংলা ( SEC-B ) Suggestion for6th Semester of Calcutta University under CBCS System
ব্যবহারিক বাংলা ( SEC-B ) পর্ব-৮ - টীকাঃ অপশ্রুতি (Ablaut) ও অভিশ্রুতি (Umlaut)? টীকাঃ উচ্চারণে শ্বাসাঘাত ও স্বরাঘাত .|| Suggestion for6th Semester of Calcutta University under CBCS System
ব্যবহারিক বাংলা ( SEC-B ) Suggestions( BA General ) with Answer
BA ( General 6th Semester )
আরো দেখো
Education Suggestions Sem-5 ( with Answer)
Compulsory Bengali ( আবশ্যিক বাংলা ) Suggestions Semester-6( VI) ( with Answer)
Compulsory Bengali ( আবশ্যিক বাংলা ) Suggestions Semester-4(IV) ( with Answer)
6th Semester ব্যবহারিক বাংলা ( SEC-B ) Suggestions Calcutta University
টীকাঃ অপশ্রুতি (Ablaut) ও অভিশ্রুতি (Umlaut)
উত্তরঃ
অপশ্রুতি (Ablaut) ও অভিশ্রুতি (Umlaut)
ধাতুর মূল স্বরধ্বনির বিকৃতি ঘটলে অপশ্রুতির সৃষ্টি হয়। এই ধরনের শব্দ মূল বাংলায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এর মূল লুকিয়ে থাকে আদি ভারতীয় কোনো আর্য ভাষায়। সেই মূল প্রকৃতের মাধ্যমে বিবর্তিত হয়ে এসে বাংলা রূপ পরিগ্রহ করে। যেমন—চলতি > চলদি > লই চলে।
অপশ্রুতির বৈশিষ্ট্য হল:
(ক) শব্দের পরিবর্তন অনুধাবন করা খুব কঠিন হয়।
(খ) অপশ্রুতির শব্দ পরিবর্তনের ধারা অনুসরণ করার জন্য সংস্কৃত বৈয়াকরণিকরা গুণ, বৃদ্ধি, সম্প্রসারণ নামক তিনটি সূত্রের কথা বলেছেন। যেমন—বদ্ (ধাতু) >বদ(্গুন)> উদ্ (সম্প্রসারণে)।
(গ) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে ধাতু তার নিজের মূল রূপে প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে,প্রসারিত হয় না। এই প্রসারিত না হওয়াকে সংস্কৃতে ‘গুণ' বলে।
(ঘ) ধাতুর প্রকৃতি প্রসারিত হওয়াকে ‘বৃদ্ধি' বলে।
(ঙ) ধাতুর মূল শব্দের লোপকে সম্প্রসারণ বলে।
অভিশ্রুতি হল অপিনিহিতের ফলে সৃষ্ট 'ই'-কার উ-কার স্বরধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন প্রক্রিয়া। যেমন—করিয়া > কইর্যা > করে।
অভিশ্রুতির বৈশিষ্ট্য হল:
(ক) এটি পশ্চিমবঙ্গে চলিত ভাষার এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
(খ) একে এক ধরনের ‘অভ্যন্তর সন্ধি' বলা হয়। সর্বত্র কিন্তু সন্ধির নিয়ম অনুসৃত হয় না।
(গ) ইংরেজি, জার্মান ইত্যাদি ভাষাতেও অভিশ্রুতির রীতি প্রচলিত আছে।
(ঘ) ‘ই’-কার বা উ-কার লুপ্ত হলেও অনেক ক্ষেত্রে অভিশ্রুতি হয় না। যেমন – কালি > কাইল > কাল।
===============================================
আরো দেখোঃ
প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি ''ন' এবং 'ণ'-এর ব্যবহারক্ষেত্রে কী সুপারিশ করেছে? করেছে? উত্তর দেখো
প্রশ্নঃ ' ঃ'প্রশ্নঃ অর্ধতৎসম এবং তদ্ভব শব্দের ব্যবহারের ক্ষেত্রে 'কী' ও 'কি' এর প্রভেদ কি ? উত্তর দেখো
===============================================
টীকাঃ উচ্চারণে শ্বাসাঘাত ও স্বরাঘাত
উত্তর ঃ
উচ্চারণে শ্বাসাঘাত ও স্বরাঘাত
বাংলা উচ্চারণে স্বরধ্বনির প্রাধান্য দুই ভাবে কাজ করে—(ক) শ্বাসাঘাত (খ) স্বরাঘাত। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার আবির্ভাব ঘটার আগে কবিতার চরণে স্বরের পরিবর্তে বলের প্রভাব আবিষ্কার হল। বৈদিক ভাষার অর্থের সঙ্গে স্বরের নিবিড় সম্পর্ক ছিল বলের নয়। মধ্যভারতীয় আর্য ভাষার আদিম্বর লুপ্ত হওয়া দ্বিতীয় অক্ষরে বলের অস্তিত্ব অনুভব করা হল। যেমন—–সং উদ্ধার > উধার > ধার (“উধার'-এর ‘ধ’-এ বলের অস্তিত্ব অনুভূত হল)। আদি স্বর যখন দীর্ঘ হয় তখন আদি অক্ষরে বলের অস্তিত্ব অনুভূত হয়। যেমন—আর।
আধুনিক বাংলায় স্বরধ্বনির লোপ শুধু বলের আধিক্যেই হয় না, উচ্চারণের দ্রুততার জন্যও স্বরধ্বনির লোপ হয়। যেমন—যা হচ্ছে তাই = যাচ্ছেতাই। চলতি বাংলায় বাক্যের কোনো পদে ঝোঁক পড়লে পদটি একাক্ষর হয় এবং স্বরধ্বনি দীর্ঘ হয়। যেমন—ইহা কি রকম কথা = এ কি রকম কথা।
সুতরাং উচ্চারণে স্বরধ্বনির এই প্রাধান্য ভাষার স্বভাবজাত। শ্বাসাঘাত সৃষ্টি হয় ধ্বনি উচ্চারণের ‘বল' প্রবণতা থেকে আর স্বরাঘাত সৃষ্টি হয় ধ্বনি উচ্চারণের সুরতরঙ্গ' থেকে। রামেশ্বর শ' লিখেছেন, “যখন আমার গলার ভিতর দিয়ে বেশি পরিমাণে এবং জোরে শ্বাসবায়ু বের করে গলাকে পেশীকে শক্ত করে গলার আওয়াজ বাড়িয়ে দিই তখন সেটাকে বলে শ্বাসাঘাত (Stress)। আর যখন স্বরতন্ত্রী (vocal cords) দুটির কম্পনের দ্রুততা বাড়িয়ে সুর বা স্বরকে তীব্র করে জোর দিই তখন তাকে বলে স্বরাঘাত বা সুরাঘাত (pitch)। প্রথমটি নির্ভর করে গলা ও আওয়াজের (volume) উপরে, দ্বিতীয়টি নির্ভর করে সুরের (Tone) উপরে। প্রথমটি বাড়ালে আওয়াজের জোর (loudness) বাড়ে, দ্বিতীয়টি বাড়ালে সুরের তীব্রতা (pitch) বাড়ে এ সুতরাং শ্বাসাঘাতে ধ্বনিতে জোের পড়ে আর স্বরাঘাতে ধ্বনিতে তরঙ্গের দ্রুততা বাড়ে।
===============================================
আরো দেখোঃ
প্রশ্নঃ পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি বিদেশি শব্দের বানান বিধির ক্ষেত্রে কী কী সুপারিশ করেছে? উত্তর দেখো
===============================================
ক) বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে?
উ: যে ধ্বনিগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় সেই ধ্বনিগুলোকে বিভাজ্য ধ্বনি বলে। ডঃ সুকুমার সেন লিখেছেন—“যে ধ্বনির উচ্চারণে মুখপ্রযত্নের পরম্পরা থাকে, সুতরাং যাহা বিশ্লিষ্ট করা যায় তাকে বলা হয়ে বিভাজ্য ধ্বনি (Suprasegmental Phoneme) " যেমন— মধু খায় (ম্ + অ + ধ + উ) + ( + আ + য়)।
খ) অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে?
উ: যে ধ্বনিগুলোকে সুস্পষ্ট এককে ভাগ করা যায় না সেই সব ধ্বনিগুলোকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে। ডঃ রামেশ্বর শ' লিখেছেন, “আমাদের বাকপ্রবাহে এমন ধ্বনিও শোনা যায় যাকে সুস্পষ্ট ছোটো ছোটো পৃথক পৃথক একক (Units) রূপে ভাগ করা যায় না। এগুলিকে অবিভাজ্য ধ্বনি (বা অবিভাজিত বা বিভাজনাতিরিক্ত বা অখন্ডাত্মক ধ্বনি) বলে।" যেমন—
(ক) হরি খায়?—এখানে সুর নীচু থেকে উপরে উঠেছে।
(খ) হরি খায়। এখানে সুর উপর থেকে নিচে নেমেচে। সুরের গতিপথ দুটি বাক্যের অর্থ পরিবর্তন করেছে। এই সুরকে আমরা ছোটো ছোটো এককে ভাগ করতে পারি না। এই ভাগ না করতে পারার জন্য, একে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে।
↩ Semester 6
আরো দেখো 👉
➤প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা বলতে কী বোঝ? এর ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। উত্তর দেখো
➤বাংলা শব্দভাণ্ডারের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে উদাহরণসহ আলোচনা করো। আদিমধ্য ও অন্ত্যমধ্য
➤বাংলা শব্দার্থতত্ত্বের নিয়মগুলি উদাহরণ সহযোগে আলোচনা করো?
➤ধ্বনি পরিবর্তনের নিয়মগুলি বর্ণনা কর।
🔵➤গীতিকবিতা বলতে কি বোঝ? গীতিকবিতার লক্ষণ নির্দেশ করে একজন বাঙালি গীতিকবির বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। উত্তর দেখো
🔵➤ মহাকাব্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ ও শ্রেণিবিভাগ করে ঊনবিংশ শতাব্দীতে রচিত একটি সাহিত্যিক মহাকাব্যের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো।
🔵➤ট্র্যাজেডি কাকে বলে? ট্র্যাজেডির উৎস ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বাংলা সাহিত্যের একটি সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক আলোচনা করো।
🔵➤পৌরাণিক নাটক বলতে কি বোঝো? এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে একটি সার্থক বাংলা পৌরাণিক নাটক আলোচনা করো।
🔵➤সামাজিক নাটক বলতে কি বোঝ? এর বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো, একটি সার্থক বাংলা সামাজিক নাটক সম্পর্কে আলোচনা করো।
🔵➤রোমান্সধর্মী উপন্যাস কাকে বলে? একটি রোমান্সধর্মী উপন্যাস সম্পর্কে আলোচনা কর।উত্তর দেখো
সম্পূর্ন সাজেশনের জন্য নীচের লিংকে click করো
প্রশ্নপত্রের Page যাওয়ার জন্য
👇👇👇👇👇👇
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় । সেই প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক , উচ্চিমাধ্যমিক , স্নাতক , স্নাতকত্তর এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেমন WBCS , PSC , SSC , UPSC , WBP , Primary TET , SET , NET প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিবেশ বিদ্যা একটি অতি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় ।
তাই এই সবের কথা মাথায় রেখে আমরা বাংলার শিক্ষা e-Portal এর সাহায্যে সমস্ত শিক্ষার্থী দের কাছে এই সমস্ত বিষয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর ও সকল বিষয়ে Online Exam Practice এর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো ।
এখানে মাধ্যমিকের , মাধ্যমিক বাংলা , মাধ্যমিক ইংরেজী , মাধ্যমিক গণিত , মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ইতিহাস ও পরিবেশ , মাধ্যমিক ভূগোল ও পরিবেশ , উচ্চ-মাধ্যমিক এর ( একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনীর ) বাংলা , ইংরেজী , ভূগোল , শিক্ষা-বিজ্ঞান , দর্শন , রাষ্ট্র বিজ্ঞান , পরিবেশ পরিচয় , পুষ্টি বিজ্ঞান , সংস্কৃত , ইতিহাস , , স্নাতক ( জেনারেল ) কম্পালসারি বাংলা , কম্পালসারি ইংরেজী , কম্পালসারি পরিবেশ , বাংলা ( সাধারন ) , শিক্ষা বিজ্ঞান , দর্শন , ইতিহাস , ভূগোল , সমাজবিদ্যা , Physical Education , প্রভৃতির সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয় প্রশ্ন , সালের প্রশ্ন ও তার যথাযথ উত্তরসহ , এবং Online পরীক্ষা অভ্যাসের সুযোগ থাকবে ।
Calcutta University Under CBCS ( system ) , Semester (II) Education General , BA 2nd Semester ( Education General ) Suggestions . HS Education suggestion , উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবিজ্ঞান ,
No comments